হালুয়ার সঙ্গে আটা বা চালের রুটি বেশ জমে যায়। প্রায় সব বাড়িতে বিভিন্ন পদের হালুয়া বানানোর আয়োজন চলছে। পাঠকদের জন্য রইল কয়েকটি হালুয়ার রেসিপি। রেসিপি দিয়েছেন রাবেয়া আক্তার। ছবি ধবলের সৌজন্যে।
বুটের ডালের হালুয়া
উপকরণ
বুটের ডালবাটা ২ কাপ, ঘি আধা কাপ, চিনি ১ কাপ, এলাচি ৪ থেকে ৫টি, ঘন দুধ আধা কাপ।
প্রণালি
অর্ধেক পরিমাণে ঘি প্যানে দিয়ে আস্ত এলাচি ফোড়ন দিন। তাতে বেটে রাখা ডাল ও চিনি একসঙ্গে দিয়ে ভাজতে থাকুন। চিনি থেকে বের হওয়া পানি শুকিয়ে গেলে তাতে বাকি সব উপকরণ দিয়ে আবারও ভাজুন। দলা পাকিয়ে এলে বাকি ঘি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নেড়ে নামিয়ে বরফির মতো কেটে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
নারকেলের বরফি
উপকরণ
নারকেল ১টি, পানি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, চিনি ১ কাপ, মালাই আধা কাপ, দুধ আধা কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ, দারুচিনিগুঁড়া ১ চা-চামচ।
প্রণালি
নারকেলের কুচি ও পানি একসঙ্গে মিকশ্চারে দিয়ে বেটে নিন। চুলায় প্যান বসিয়ে নারকেলের মিশ্রণ দিয়ে দিন। পানি না শুকানো পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে দিন। ৫ মিনিট পর মালাই, দুধ ও ঘি দিয়ে দিন। নেড়ে আবারও ঢেকে দিন। মিশ্রণ একদম যেন না শুকিয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। নামানোর কিছুক্ষণ পর দারুচিনির গুঁড়া দিন। একটি প্লেটে ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে হাত দিয়ে সমান করে নিন। ওপরে বাদামকুচি ছিটিয়ে দিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে বরফির আকারে কেটে নিন।
ডিমের মনসুর
উপকরণ
ডিম ৪টা, চিনি ১ কাপ, ঘি আধা কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স সামান্য।
প্রণালি
ডিম, চিনি ও ভ্যানিলা এসেন্স ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এবার চুলায় ঘি দিয়ে মিশ্রণটা দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন। বাদামি হয়ে এলে একটি পাত্রে ঘি দিয়ে মিশ্রণটি তাতে ঢেলে দিয়ে সমান করে ছুরি দিয়ে কেটে নিন।
পেঁপের হালুয়া
উপকরণ
কাঁচা পেঁপে ২ কেজি, চিনি ৩ কাপ, ঘি ১ কাপ, গুঁড়া দুধ পরিমাণমতো।
প্রণালি
পেঁপে ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। একটি পাত্রে ৪ কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে ব্লেন্ড করা পেঁপে দিয়ে দিন। চুলার আঁচ মাঝারি রেখে অনবরত নাড়তে থাকুন। হালুয়া শুকিয়ে এলে গুঁড়া দুধ ছিটিয়ে মিশিয়ে দিন। দুধ মিশে গেলে চিনি দিয়ে দিন। দ্রুত নাড়তে থাকুন। হালুয়া প্যানের গা ছেড়ে উঠে এলে নামিয়ে নিন। একটি ট্রে বা থালায় সামান্য ঘি মেখে নিন। তাতে হালুয়া ঢেলে ভালোভাবে সমান করে নিন। ঠান্ডা হলে পছন্দের আকৃতিতে কেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
গাজরের হালুয়া
উপকরণ
তিন কাপ মিহি কুচি গাজর, আধা কাপ ঘন করে জ্বাল দেওয়া দুধ, এক কাপ চিনি, এক কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ গুঁড়া দুধ, এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ ঘি, বাদামকুচি, মাওয়া পরিমাণমতো এবং প্রয়োজন হলে হালকা জর্দা রং।
প্রণালি
চার কাপ দুধ মৃদু আঁচে জ্বাল দিয়ে আধা কাপ পরিমাণ করে নিন। এই দুধে গাজর আর চিনি মিশিয়ে নিন। গাজর আর চিনির পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত বেশি আঁচে রান্না করুন। রান্নার সময় ঘন ঘন নাড়ুন, যাতে দুধ ও গাজর হাঁড়িতে লেগে না যায়। দুধ কমে এলে ঘি দিয়ে আবার নাড়ুন। তারপর গুঁড়া দুধ দিয়ে জ্বাল কমিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন। গাজর আর দুধ গা-মাখা হয়ে গেলে জ্বাল বন্ধ করে দিন। বাদামকুচি আর মাওয়া দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
সুজির হালুয়া
সুজি ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, বাদামকুচি ১ টেবিল চামচ, দুধ আধা লিটার, কিশমিশ, এলাচি ২টি, দারুচিনি ২ টুকরা, তেজপাতা ১টি।
প্রণালি
একটি প্যান চুলায় বসিয়ে তাতে মাঝারি আঁচে সুজি, এলাচি ও দারুচিনি হালকা টেলে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। একটি পাত্রে দুধ নিয়ে তাতে চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। বলক উঠে গেলে তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা সুজি দিয়ে দিন। এরপর তাতে কিশমিশ দিয়ে দিন। দুধ শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিন। বরফির মতো কেটে ওপরে বাদামকুচি বা কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন।
হালুয়ার সঙ্গে আটা বা চালের রুটি বেশ জমে যায়। প্রায় সব বাড়িতে বিভিন্ন পদের হালুয়া বানানোর আয়োজন চলছে। পাঠকদের জন্য রইল কয়েকটি হালুয়ার রেসিপি। রেসিপি দিয়েছেন রাবেয়া আক্তার। ছবি ধবলের সৌজন্যে।
বুটের ডালের হালুয়া
উপকরণ
বুটের ডালবাটা ২ কাপ, ঘি আধা কাপ, চিনি ১ কাপ, এলাচি ৪ থেকে ৫টি, ঘন দুধ আধা কাপ।
প্রণালি
অর্ধেক পরিমাণে ঘি প্যানে দিয়ে আস্ত এলাচি ফোড়ন দিন। তাতে বেটে রাখা ডাল ও চিনি একসঙ্গে দিয়ে ভাজতে থাকুন। চিনি থেকে বের হওয়া পানি শুকিয়ে গেলে তাতে বাকি সব উপকরণ দিয়ে আবারও ভাজুন। দলা পাকিয়ে এলে বাকি ঘি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নেড়ে নামিয়ে বরফির মতো কেটে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
নারকেলের বরফি
উপকরণ
নারকেল ১টি, পানি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, চিনি ১ কাপ, মালাই আধা কাপ, দুধ আধা কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ, দারুচিনিগুঁড়া ১ চা-চামচ।
প্রণালি
নারকেলের কুচি ও পানি একসঙ্গে মিকশ্চারে দিয়ে বেটে নিন। চুলায় প্যান বসিয়ে নারকেলের মিশ্রণ দিয়ে দিন। পানি না শুকানো পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে দিন। ৫ মিনিট পর মালাই, দুধ ও ঘি দিয়ে দিন। নেড়ে আবারও ঢেকে দিন। মিশ্রণ একদম যেন না শুকিয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। নামানোর কিছুক্ষণ পর দারুচিনির গুঁড়া দিন। একটি প্লেটে ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে হাত দিয়ে সমান করে নিন। ওপরে বাদামকুচি ছিটিয়ে দিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে বরফির আকারে কেটে নিন।
ডিমের মনসুর
উপকরণ
ডিম ৪টা, চিনি ১ কাপ, ঘি আধা কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স সামান্য।
প্রণালি
ডিম, চিনি ও ভ্যানিলা এসেন্স ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এবার চুলায় ঘি দিয়ে মিশ্রণটা দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন। বাদামি হয়ে এলে একটি পাত্রে ঘি দিয়ে মিশ্রণটি তাতে ঢেলে দিয়ে সমান করে ছুরি দিয়ে কেটে নিন।
পেঁপের হালুয়া
উপকরণ
কাঁচা পেঁপে ২ কেজি, চিনি ৩ কাপ, ঘি ১ কাপ, গুঁড়া দুধ পরিমাণমতো।
প্রণালি
পেঁপে ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। একটি পাত্রে ৪ কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে ব্লেন্ড করা পেঁপে দিয়ে দিন। চুলার আঁচ মাঝারি রেখে অনবরত নাড়তে থাকুন। হালুয়া শুকিয়ে এলে গুঁড়া দুধ ছিটিয়ে মিশিয়ে দিন। দুধ মিশে গেলে চিনি দিয়ে দিন। দ্রুত নাড়তে থাকুন। হালুয়া প্যানের গা ছেড়ে উঠে এলে নামিয়ে নিন। একটি ট্রে বা থালায় সামান্য ঘি মেখে নিন। তাতে হালুয়া ঢেলে ভালোভাবে সমান করে নিন। ঠান্ডা হলে পছন্দের আকৃতিতে কেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
গাজরের হালুয়া
উপকরণ
তিন কাপ মিহি কুচি গাজর, আধা কাপ ঘন করে জ্বাল দেওয়া দুধ, এক কাপ চিনি, এক কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ গুঁড়া দুধ, এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ ঘি, বাদামকুচি, মাওয়া পরিমাণমতো এবং প্রয়োজন হলে হালকা জর্দা রং।
প্রণালি
চার কাপ দুধ মৃদু আঁচে জ্বাল দিয়ে আধা কাপ পরিমাণ করে নিন। এই দুধে গাজর আর চিনি মিশিয়ে নিন। গাজর আর চিনির পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত বেশি আঁচে রান্না করুন। রান্নার সময় ঘন ঘন নাড়ুন, যাতে দুধ ও গাজর হাঁড়িতে লেগে না যায়। দুধ কমে এলে ঘি দিয়ে আবার নাড়ুন। তারপর গুঁড়া দুধ দিয়ে জ্বাল কমিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন। গাজর আর দুধ গা-মাখা হয়ে গেলে জ্বাল বন্ধ করে দিন। বাদামকুচি আর মাওয়া দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
সুজির হালুয়া
সুজি ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, বাদামকুচি ১ টেবিল চামচ, দুধ আধা লিটার, কিশমিশ, এলাচি ২টি, দারুচিনি ২ টুকরা, তেজপাতা ১টি।
প্রণালি
একটি প্যান চুলায় বসিয়ে তাতে মাঝারি আঁচে সুজি, এলাচি ও দারুচিনি হালকা টেলে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। একটি পাত্রে দুধ নিয়ে তাতে চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। বলক উঠে গেলে তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা সুজি দিয়ে দিন। এরপর তাতে কিশমিশ দিয়ে দিন। দুধ শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিন। বরফির মতো কেটে ওপরে বাদামকুচি বা কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন।
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
১ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
৩ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
৩ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
৩ দিন আগে