জিন্নাত আরা ঋতু
আমাদের রান্নাঘর এমন সব উপাদানে ভরা, যা শুধু পরিপাকতন্ত্রের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। অনেকেই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কারি পাতা ব্যবহার করেন, ব্রণের জন্য কাঁচা রসুন। সাম্প্রতিক সময়ে রূপচর্চায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জাফরান। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে জাফরানের উপকারের কথা প্রচার করছেন।
জাফরান ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় চমৎকার কাজ করতে পারে। তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলাগুলোর একটি। ত্বক পরিচর্যায় একটু খরচ করতে চাইলে দামি এই মসলা হতে পারে সব সমস্যার সমাধান!
দামি এই মসলা বাংলাদেশের বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি সাড়ে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। জাফরানগাছের ফুল থেকে সংগ্রহ করা এই মসলা। যা জাফরান ক্রোকাস নামে পরিচিত। ফুলের গাঢ় লাল রঙের গর্ভদণ্ডটিই জাফরান মসলা। এক পাউন্ড (সাড়ে ৪০০ গ্রাম) জাফরান উৎপাদন করতে প্রায় ৭৫ হাজারটি ফুলের দরকার, এ কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলাগুলোর একটি। তাই প্রশ্ন উঠতে পারে ত্বক বিশেষজ্ঞরা কি আসলেই জাফরানে রূপচর্চার রুটিনে এটি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন?
কী বলছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা?
জাফরান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ব্রণ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। জাফরান বিশেষ করে শুষ্ক, সংবেদনশীল এবং ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য বেশ উপযোগী। এটি ত্বকে পুষ্টি জোগায়, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং তেলের মাত্রায় ভারসাম্য রাখে। সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে। মেলানিন উৎপাদনকারী টাইরোসিনেস এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করে জাফরান, ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং হাইপারপিগমেন্টেশন কমায়।
তবে জাফরানের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তর জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
জাফরানের উপকারিতাগুলো দেখে নেওয়া যাক
জাফরান কোলাজেন এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের সংশ্লেষণ বাড়ায়। এতে ত্বক হয়ে ওঠে টসটসে, উজ্জ্বল, মোলায়েম, স্বাস্থ্যকর এবং সমান টোনের। এটি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন এবং অক্সিজেনেশনও উন্নত করে। ত্বককে সতেজ করতে সাহায্য করে এবং সূক্ষ্ম রেখা কমায়, পাশাপাশি এটি একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: জাফরান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বককে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। ফ্রি রেডিক্যাল ত্বকে বয়সের ছাপ তৈরি করে।
প্রদাহরোধী: ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, ত্বকের লালচে ভাব কমায়।
ত্বক উজ্জ্বল করে: প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করে। পিগমেন্টেশন, কালো দাগ এবং অন্যান্য দাগ দূর করে।
শুকনো জাফরান নাকি জাফরান তেল, কোনটি বেশি উপকারী?
শুকনো জাফরান মাস্ক বা ইনফিউশনে ভালো কাজ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধীরে ধীরে উপকার দেয়। খাবার কিংবা চায়ের সঙ্গে শুকনো জাফরান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। জাফরানের তেলও বেশ কার্যকারী। গভীর আর্দ্রতা ধরে রাখতে জাফরানের তেল সহায়তা করে। ত্বক এটি দ্রুত শুষে নেয়। শুকনো জাফরান সাধারণত সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবারে মসলা, রং বা স্বাদ বর্ধক হিসেবে খাওয়া হয়। আর জাফরানের তেল সাধারণত বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য। বলা চলে উভয়ই ত্বকের জন্য সমান উপকার। শুধু ব্যবহার এবং ঘনত্ব ভিন্ন।
রূপচর্চায় জাফরান যেভাবে ব্যবহার করবেন
সেরাম, তেল বা ফেস মাস্কে জাফরান ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল করতে জাফরানের সঙ্গে দই ও হলুদ দিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। ব্রণের দাগ দূর করতে মধুর সঙ্গে ব্যবহার করে পারেন।
জাফরান ফেসপ্যাক
সতর্কতা
শুরুতে অল্প পরিমাণ নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে দেখুন। অতিরিক্ত ব্যবহার বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালা বা অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। ভালো মানের জাফরান ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া এড়ানো যায় এবং ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। অ্যালার্জি থাকলে জাফরান ত্বকের জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ব্যবহার না করাই ভালো।
সূত্র: এনডিটিভি
আমাদের রান্নাঘর এমন সব উপাদানে ভরা, যা শুধু পরিপাকতন্ত্রের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। অনেকেই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কারি পাতা ব্যবহার করেন, ব্রণের জন্য কাঁচা রসুন। সাম্প্রতিক সময়ে রূপচর্চায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জাফরান। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে জাফরানের উপকারের কথা প্রচার করছেন।
জাফরান ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় চমৎকার কাজ করতে পারে। তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলাগুলোর একটি। ত্বক পরিচর্যায় একটু খরচ করতে চাইলে দামি এই মসলা হতে পারে সব সমস্যার সমাধান!
দামি এই মসলা বাংলাদেশের বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি সাড়ে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। জাফরানগাছের ফুল থেকে সংগ্রহ করা এই মসলা। যা জাফরান ক্রোকাস নামে পরিচিত। ফুলের গাঢ় লাল রঙের গর্ভদণ্ডটিই জাফরান মসলা। এক পাউন্ড (সাড়ে ৪০০ গ্রাম) জাফরান উৎপাদন করতে প্রায় ৭৫ হাজারটি ফুলের দরকার, এ কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলাগুলোর একটি। তাই প্রশ্ন উঠতে পারে ত্বক বিশেষজ্ঞরা কি আসলেই জাফরানে রূপচর্চার রুটিনে এটি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন?
কী বলছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা?
জাফরান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ব্রণ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। জাফরান বিশেষ করে শুষ্ক, সংবেদনশীল এবং ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য বেশ উপযোগী। এটি ত্বকে পুষ্টি জোগায়, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং তেলের মাত্রায় ভারসাম্য রাখে। সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে। মেলানিন উৎপাদনকারী টাইরোসিনেস এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করে জাফরান, ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং হাইপারপিগমেন্টেশন কমায়।
তবে জাফরানের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তর জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।
জাফরানের উপকারিতাগুলো দেখে নেওয়া যাক
জাফরান কোলাজেন এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের সংশ্লেষণ বাড়ায়। এতে ত্বক হয়ে ওঠে টসটসে, উজ্জ্বল, মোলায়েম, স্বাস্থ্যকর এবং সমান টোনের। এটি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন এবং অক্সিজেনেশনও উন্নত করে। ত্বককে সতেজ করতে সাহায্য করে এবং সূক্ষ্ম রেখা কমায়, পাশাপাশি এটি একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: জাফরান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বককে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। ফ্রি রেডিক্যাল ত্বকে বয়সের ছাপ তৈরি করে।
প্রদাহরোধী: ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে, ত্বকের লালচে ভাব কমায়।
ত্বক উজ্জ্বল করে: প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করে। পিগমেন্টেশন, কালো দাগ এবং অন্যান্য দাগ দূর করে।
শুকনো জাফরান নাকি জাফরান তেল, কোনটি বেশি উপকারী?
শুকনো জাফরান মাস্ক বা ইনফিউশনে ভালো কাজ করে। এটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধীরে ধীরে উপকার দেয়। খাবার কিংবা চায়ের সঙ্গে শুকনো জাফরান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। জাফরানের তেলও বেশ কার্যকারী। গভীর আর্দ্রতা ধরে রাখতে জাফরানের তেল সহায়তা করে। ত্বক এটি দ্রুত শুষে নেয়। শুকনো জাফরান সাধারণত সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবারে মসলা, রং বা স্বাদ বর্ধক হিসেবে খাওয়া হয়। আর জাফরানের তেল সাধারণত বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য। বলা চলে উভয়ই ত্বকের জন্য সমান উপকার। শুধু ব্যবহার এবং ঘনত্ব ভিন্ন।
রূপচর্চায় জাফরান যেভাবে ব্যবহার করবেন
সেরাম, তেল বা ফেস মাস্কে জাফরান ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল করতে জাফরানের সঙ্গে দই ও হলুদ দিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। ব্রণের দাগ দূর করতে মধুর সঙ্গে ব্যবহার করে পারেন।
জাফরান ফেসপ্যাক
সতর্কতা
শুরুতে অল্প পরিমাণ নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে দেখুন। অতিরিক্ত ব্যবহার বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকে জ্বালা বা অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। ভালো মানের জাফরান ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া এড়ানো যায় এবং ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। অ্যালার্জি থাকলে জাফরান ত্বকের জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ব্যবহার না করাই ভালো।
সূত্র: এনডিটিভি
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৩ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৩ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৩ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৩ দিন আগে