ফিচার ডেস্ক
উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ‘সপ্তপদী’ চলচ্চিত্রের বিখ্যাত গান ‘এই পথ যদি না শেষ হয়...’। সুচিত্রা সেনকে মোটরবাইকের পেছনে বসিয়ে রোমান্টিক এই গানে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন উত্তমকুমার। সাদাকালোয় ধারণ করা সেই দৃশ্য এখনো বাঙালি নারী ও পুরুষের মনে রোমান্সের ঝড় তোলে।
বাস্তবেও এমন প্রেমিকযুগলের খোঁজ মিলেছে। তাঁরা হলেন ৩২ বছর বয়সী লাভি আর ৩৪ বছর বয়সী অলি। এই যুগল বাম্বল-বি নামে তাঁদের মোটরবাইকে চেপে ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁরা মোটরসাইকেলে দীর্ঘ পথ অতিক্রমকারী যুগলের মর্যাদা পেয়েছেন। মোটরবাইকে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করা সর্বকনিষ্ঠ জুটি হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখা হয়েছে তাঁদের।
সালটা ২০১৭। লাভি ও অলি একটি ফার্মে কাজ করতেন। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাঁরা একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। সেই সময় লাভির একটা ক্যাম্পার ভ্যান ছিল। সেটি চালিয়ে তিনি ক্যাম্প করতেন। তাঁরা সেই ক্যাম্পার ভ্যানে ভ্রমণ শুরু করেন। অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার পর লাভি ও অলি নিউজিল্যান্ডের চারপাশে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস হাইকিং করে কাটান। এ সময় তাঁরা বুঝতে পারেন, তাঁরা ভ্রমণে আনন্দ পাচ্ছেন। এবার দুজনে সিদ্ধান্ত নেন সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ করার। তবে একটি পরীক্ষামূলক ভ্রমণের পরে ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ এ ভ্রমণ পরিকল্পনা বাদ দিতে হয় তাঁদের।
এরপরই ১৭ বছর বয়সে করা মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্সকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন অলি। মোটরবাইক চালিয়ে বিশ্বভ্রমণের সিদ্ধান্তের পর কে ইউকে ডিলারশিপ মোটরসাইকেল ওয়ার্ল্ড তাঁদের একটি সুজুকি ভি-স্ট্রম টেনফিফটিএক্সটি ধার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডের পিক ডিস্ট্রিক্টে পরীক্ষামূলক ভ্রমণের পর তাঁরা গুগল ম্যাপ দেখে বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা তৈরি করেন। শুরু করেন অর্থ সংগ্রহ। কোভিড মহামারির পর একটি বিরতি নিয়ে ২০২২ সালের এপ্রিলে উত্তর-পশ্চিম লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু করে এ জুটি। সে সময় অনেক দেশ তাদের আন্তর্জাতিক সীমা খোলেনি। তবে ভ্রমণের পর বিভিন্ন দেশ তাদের সীমানা উন্মুক্ত করতে শুরু করে।
খরচ কম রাখার জন্য লাভি-অলি যতটা সম্ভব ক্যাম্পিং বেছে নিয়েছিলেন এবং বাইরের খাওয়া এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। কখনো শক্ত নুড়ি আবার কখনো কর্দমাক্ত পথ, কোথাও তুষারঝড় আবার কখনো বজ্রপাত মাথায় নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন কিলোমিটারের পর কিলোমিটার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দক্ষিণ ও পশ্চিমে ফ্রান্স, স্পেন ও মরক্কো যাওয়ার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হয়েছিল লাভি-অলিকে। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিটি দেশকে ‘অনন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অলি। আর্জেন্টিনা পাড়ি দিয়ে উত্তর আমেরিকায় প্রবেশ করে পূর্বপরিকল্পনামতো লাস ভেগাসে ২০২৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লাভি-অলি। সেখানে চার দিনের একটা বিরতি নিয়ে আবার রাস্তায় নেমে পড়েন তাঁরা। ভ্রমণের শেষ দিকে দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাজ্যের ডোভার বন্দর থেকে লন্ডন পর্যন্ত আরও বেশ কয়েকজন রাইডারের সঙ্গে যোগ দিয়ে বেশ কিছু অ্যাডভেঞ্চার সম্পন্ন করেন তাঁরা। গত বছরের ১৯ নভেম্বর লন্ডনে যাত্রা শুরু করা ক্যাফেতে গিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণের সমাপ্তি টানেন লাভি-অলি।
মরক্কো, আর্জেন্টিনা, মঙ্গোলিয়াসহ ৩৯টি দেশে ভ্রমণ শেষ করেছেন লাভি-অলি। পুরো সময় তাঁদের বাহন ছিল বাম্বল-বি। এ দীর্ঘ ভ্রমণ শেষ হয় মোট ৫৮৯ দিনে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন লাভি-অলি। শুরু করেছেন তাঁদের পরবর্তী অ্যাডভেঞ্চারের পরিকল্পনা।
সূত্র: সিএনএন
উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ‘সপ্তপদী’ চলচ্চিত্রের বিখ্যাত গান ‘এই পথ যদি না শেষ হয়...’। সুচিত্রা সেনকে মোটরবাইকের পেছনে বসিয়ে রোমান্টিক এই গানে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন উত্তমকুমার। সাদাকালোয় ধারণ করা সেই দৃশ্য এখনো বাঙালি নারী ও পুরুষের মনে রোমান্সের ঝড় তোলে।
বাস্তবেও এমন প্রেমিকযুগলের খোঁজ মিলেছে। তাঁরা হলেন ৩২ বছর বয়সী লাভি আর ৩৪ বছর বয়সী অলি। এই যুগল বাম্বল-বি নামে তাঁদের মোটরবাইকে চেপে ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁরা মোটরসাইকেলে দীর্ঘ পথ অতিক্রমকারী যুগলের মর্যাদা পেয়েছেন। মোটরবাইকে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করা সর্বকনিষ্ঠ জুটি হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখা হয়েছে তাঁদের।
সালটা ২০১৭। লাভি ও অলি একটি ফার্মে কাজ করতেন। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাঁরা একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। সেই সময় লাভির একটা ক্যাম্পার ভ্যান ছিল। সেটি চালিয়ে তিনি ক্যাম্প করতেন। তাঁরা সেই ক্যাম্পার ভ্যানে ভ্রমণ শুরু করেন। অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার পর লাভি ও অলি নিউজিল্যান্ডের চারপাশে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস হাইকিং করে কাটান। এ সময় তাঁরা বুঝতে পারেন, তাঁরা ভ্রমণে আনন্দ পাচ্ছেন। এবার দুজনে সিদ্ধান্ত নেন সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ করার। তবে একটি পরীক্ষামূলক ভ্রমণের পরে ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ এ ভ্রমণ পরিকল্পনা বাদ দিতে হয় তাঁদের।
এরপরই ১৭ বছর বয়সে করা মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্সকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন অলি। মোটরবাইক চালিয়ে বিশ্বভ্রমণের সিদ্ধান্তের পর কে ইউকে ডিলারশিপ মোটরসাইকেল ওয়ার্ল্ড তাঁদের একটি সুজুকি ভি-স্ট্রম টেনফিফটিএক্সটি ধার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডের পিক ডিস্ট্রিক্টে পরীক্ষামূলক ভ্রমণের পর তাঁরা গুগল ম্যাপ দেখে বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা তৈরি করেন। শুরু করেন অর্থ সংগ্রহ। কোভিড মহামারির পর একটি বিরতি নিয়ে ২০২২ সালের এপ্রিলে উত্তর-পশ্চিম লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু করে এ জুটি। সে সময় অনেক দেশ তাদের আন্তর্জাতিক সীমা খোলেনি। তবে ভ্রমণের পর বিভিন্ন দেশ তাদের সীমানা উন্মুক্ত করতে শুরু করে।
খরচ কম রাখার জন্য লাভি-অলি যতটা সম্ভব ক্যাম্পিং বেছে নিয়েছিলেন এবং বাইরের খাওয়া এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। কখনো শক্ত নুড়ি আবার কখনো কর্দমাক্ত পথ, কোথাও তুষারঝড় আবার কখনো বজ্রপাত মাথায় নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন কিলোমিটারের পর কিলোমিটার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দক্ষিণ ও পশ্চিমে ফ্রান্স, স্পেন ও মরক্কো যাওয়ার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হয়েছিল লাভি-অলিকে। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিটি দেশকে ‘অনন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অলি। আর্জেন্টিনা পাড়ি দিয়ে উত্তর আমেরিকায় প্রবেশ করে পূর্বপরিকল্পনামতো লাস ভেগাসে ২০২৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লাভি-অলি। সেখানে চার দিনের একটা বিরতি নিয়ে আবার রাস্তায় নেমে পড়েন তাঁরা। ভ্রমণের শেষ দিকে দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাজ্যের ডোভার বন্দর থেকে লন্ডন পর্যন্ত আরও বেশ কয়েকজন রাইডারের সঙ্গে যোগ দিয়ে বেশ কিছু অ্যাডভেঞ্চার সম্পন্ন করেন তাঁরা। গত বছরের ১৯ নভেম্বর লন্ডনে যাত্রা শুরু করা ক্যাফেতে গিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণের সমাপ্তি টানেন লাভি-অলি।
মরক্কো, আর্জেন্টিনা, মঙ্গোলিয়াসহ ৩৯টি দেশে ভ্রমণ শেষ করেছেন লাভি-অলি। পুরো সময় তাঁদের বাহন ছিল বাম্বল-বি। এ দীর্ঘ ভ্রমণ শেষ হয় মোট ৫৮৯ দিনে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন লাভি-অলি। শুরু করেছেন তাঁদের পরবর্তী অ্যাডভেঞ্চারের পরিকল্পনা।
সূত্র: সিএনএন
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১৯ ঘণ্টা আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১৯ ঘণ্টা আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১৯ ঘণ্টা আগে