Ajker Patrika

সায়েমুজ্জামানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার অনুসন্ধানের দায়িত্ব থেকে সরাল দুদক

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৪২
সায়েমুজ্জামানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার অনুসন্ধানের দায়িত্ব থেকে সরাল দুদক

সরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নীতিমালা পরিপন্থী কাজ করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির কারণে তাঁকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসন্ধান সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রকাশ করার কারণে তাঁকে প্রত্যাহার করছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির কারণে তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি।’

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান চালানো দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কাজী সায়েমুজ্জামানের বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়। গত সপ্তাহে এই চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক।

চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়—এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধারণাপ্রসূত বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী। চিঠির সঙ্গে কাজী সায়েমুজ্জামানের দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যও যুক্ত করে দেওয়া হয়।

গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযান চালায় দুদক। বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি তাঁরা। অভিযান শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান যে ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের জন্য এসেছিলাম, তাঁদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি।’

তবে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত