৪০তম ক্যাডেট ব্যাচ
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে গতকাল বুধবার রাতে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। পাসিং আউট প্যারেড দুই দফায় স্থগিত হওয়ায় এবং অব্যাহতির ঘটনায় এই ব্যাচের অন্য ক্যাডেটরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় প্রশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সূত্র বলেছে, এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে। তাঁদের বা তাঁদের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। কারণ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগে ব্যাপক দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এসআই নিয়োগে সুপারিশ পেয়েও প্রশিক্ষণকালে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন করার পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যই তাঁদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বশেষ এসআই পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল এক বছর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষে গত ৪ নভেম্বর তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। তবে ২১ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের মধ্যে ২৫২ জনকে, ৪ নভেম্বর ৫৮ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর তিনজনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।
সর্বশেষ গতকাল রাতে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলেছে, রাতের ক্লাস চলাকালে তাঁদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তাঁদের বিরুদ্ধে মাঠে নির্দেশনা না মেনে উচ্চ স্বরে হইচই করা এবং দৌড়ানোর বদলে হাঁটার অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
৪০তম ক্যাডেট এসআইদের পাসিং আউট প্যারেডের প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। পরে তা স্থগিত করা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেও পরে স্থগিত করা হয়। পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার পর এসআই পদে পদায়ন করা হয় প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে ব্যবহার করেছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়োগ নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ থাকায় বিগত আমলে পুলিশের এসআই এবং বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের বিষয়ে আবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দুই মাস ধরে ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় ওই ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড হচ্ছে না। ভেরিফিকেশনে ওই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে; যা থেকে দলীয়করণের বিষয়টি বোঝা যাবে।
এদিকে পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইয়ের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ব্যাচের ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়ায় এবং পাসিং আউট প্যারেড দুবার স্থগিত হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে রয়েছেন। ১২ মাসের প্রশিক্ষণ ১৪ মাসে ঠেকেছে। পাসিং আউট প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ছয় মাস ধরে তাঁদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তায় এত দিন চললেও চাকরি না হওয়ায় এখন সেসব পরিবার আশঙ্কায় পড়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁরা বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী এসআই বলেন, এক বছর মেয়াদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণকালে কোনো বেতন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পোশাক এবং প্রতি মাসে ১ হাজার ৮২৫ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বাকি সব খরচ প্রশিক্ষণার্থীকে বহন করতে হয়। কারও কারও পরিবার চাকরির পর সুখের আশায় অনেক কষ্টে এই খরচ জোগায়। সব মিলিয়ে এখনো চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় তাঁরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এতজনকে একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ১১২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন হাইকোর্টে ১৮ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের অব্যাহতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাঁদের এসআই পদে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অসদাচরণের অভিযোগ এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সারদা পুলিশ একাডেমির পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
পুলিশ বাহিনীর ৪০তম ক্যাডেট উপপরিদর্শকদের (এসআই) ১২ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাসে তা হয়নি। এরই মধ্যে এই ব্যাচের সব মিলিয়ে ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজনকে গতকাল বুধবার রাতে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। পাসিং আউট প্যারেড দুই দফায় স্থগিত হওয়ায় এবং অব্যাহতির ঘটনায় এই ব্যাচের অন্য ক্যাডেটরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় প্রশিক্ষণ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সূত্র বলেছে, এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে শেষ মুহূর্তে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে। তাঁদের বা তাঁদের পরিবার, স্বজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। কারণ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগে ব্যাপক দলীয়করণ ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এসআই নিয়োগে সুপারিশ পেয়েও প্রশিক্ষণকালে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে ভেরিফিকেশন করার পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্যই তাঁদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বশেষ এসআই পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ৮২৩ জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল এক বছর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ শেষে গত ৪ নভেম্বর তাঁদের পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার কথা ছিল। তবে ২১ অক্টোবর এই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের মধ্যে ২৫২ জনকে, ৪ নভেম্বর ৫৮ জনকে এবং ১৮ নভেম্বর তিনজনকে শৃঙ্খলাভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ চলাকালে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।
সর্বশেষ গতকাল রাতে আটজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলেছে, রাতের ক্লাস চলাকালে তাঁদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নোটিশে তাঁদের বিরুদ্ধে মাঠে নির্দেশনা না মেনে উচ্চ স্বরে হইচই করা এবং দৌড়ানোর বদলে হাঁটার অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
৪০তম ক্যাডেট এসআইদের পাসিং আউট প্যারেডের প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর। পরে তা স্থগিত করা হয়। পরে ২৬ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেও পরে স্থগিত করা হয়। পাসিং আউট প্যারেড হওয়ার পর এসআই পদে পদায়ন করা হয় প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে ব্যবহার করেছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; বিশেষ করে এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। নিয়োগ নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ থাকায় বিগত আমলে পুলিশের এসআই এবং বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের বিষয়ে আবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে দুই মাস ধরে ভেরিফিকেশন (যাচাই-বাছাই) করানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়ায় ওই ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেড হচ্ছে না। ভেরিফিকেশনে ওই প্রশিক্ষণার্থী এসআইদের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব—সবার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে; যা থেকে দলীয়করণের বিষয়টি বোঝা যাবে।
এদিকে পাসিং আউট প্যারেড না হওয়ায় ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইয়ের প্রশিক্ষণ এখনো চলছে। তাঁদের কয়েকজন বলেছেন, এরই মধ্যে তাঁদের ব্যাচের ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়ায় এবং পাসিং আউট প্যারেড দুবার স্থগিত হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে রয়েছেন। ১২ মাসের প্রশিক্ষণ ১৪ মাসে ঠেকেছে। পাসিং আউট প্যারেড না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ছয় মাস ধরে তাঁদের ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তায় এত দিন চললেও চাকরি না হওয়ায় এখন সেসব পরিবার আশঙ্কায় পড়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে থাকায় তাঁরা বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষণার্থী এসআই বলেন, এক বছর মেয়াদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণকালে কোনো বেতন পাওয়া যায় না। থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পোশাক এবং প্রতি মাসে ১ হাজার ৮২৫ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বাকি সব খরচ প্রশিক্ষণার্থীকে বহন করতে হয়। কারও কারও পরিবার চাকরির পর সুখের আশায় অনেক কষ্টে এই খরচ জোগায়। সব মিলিয়ে এখনো চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় তাঁরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এতজনকে একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ১১২ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন হাইকোর্টে ১৮ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাঁদের অব্যাহতিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করে তাঁদের এসআই পদে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রিটকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অসদাচরণের অভিযোগ এনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সারদা পুলিশ একাডেমির পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
২০১৮ ও ২০২৪ সালে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের জোবায়েরপন্থীদের ওপর সাদপন্থীদের হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশ সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে জোবায়েরপন্থীরা। আগামী শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এই দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিষ্ঠার ৫৩ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ উপলক্ষে আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিমানের প্রতিটি ফ্লাইটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঘোষণা প্রচার করা হয়। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সব ফ্লাইটের যাত্রীদের দেওয়া হয় শুভেচ্ছা উপহার।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের দখলে থাকা লন্ডনের একটি ফ্ল্যাট এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই ফ্ল্যাটটি তাঁকে বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক ব্যবসায়ী। বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারে
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা বিষয়কমন্ত্রী ও ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট দান করেছিলেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী।
১০ ঘণ্টা আগে