রাখাইন পরিস্থিতি

নতুন ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এ কে এম শামসুদ্দিন 
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭: ৫৪
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ০০
Thumbnail image
বিদ্রোহীদের অব্যাহত হামলার মুখে একের পর এক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জান্তা বাহিনী এখন কোণঠাসা। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে মিয়ানমারের রাখাইন এলাকা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে রাখাইনের ১৭টি শহরের ভেতর ১৪টি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে আরাকান আর্মি দাবি করছে। দখল করা শহরের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন মংডু, বুথিডাং এবং চিন রাজ্যের পালেতোয়া শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে। যদিও পালেতোয়ার সঙ্গে ভারতেরও সীমান্ত রয়েছে। এই তিনটি শহর দখলে নেওয়ার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আরাকান আর্মি প্রচণ্ড লড়াই শেষে ২০ ডিসেম্বর আন শহরে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক সদর দপ্তরও দখলে নেয়। ফলে যুদ্ধরত বিদ্রোহ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোনো আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারাল মিয়ানমার সামরিক জান্তা। মিয়ানমারের জান্তা আগের মতো আর ক্ষমতাধর নেই। বিদ্রোহীদের অব্যাহত হামলার মুখে একের পর এক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জান্তা বাহিনী এখন কোণঠাসা। তবে সীমান্ত অঞ্চল ও রাজ্যের অধিকাংশ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারালেও রাখাইনের রাজধানী আকিয়াব, মুনাং ও কাইয়াকফু এখনো নিজেদের দখলে রেখেছে জান্তা। এই তিনটি শহরই অর্থনৈতিকভাবে রাখাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সামরিক জান্তা এখন আকিয়াব দখলে রাখার চেষ্টা করছে। আকিয়াবের পার্শ্ববর্তী নদীপথগুলো বন্ধ রেখে ছোট ও মাঝারি শক্তির যুদ্ধজাহাজ দিয়ে এ শহরটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে আরাকান আর্মি রাখাইনের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জনগণের সর্বাত্মক সমর্থন পেয়ে রাখাইনে তারা পূর্বের মতো আবারও স্বাধীন রাজত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। মানুষের প্রবল সমর্থন আছে বলেই আরাকান আর্মি রাখাইনের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। ইতিমধ্যেই তারা ওই সব এলাকায় নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। বিচারব্যবস্থা ও কর ব্যবস্থাপনাও তৈরি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নতুন পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ১৯৯০ সালের আগে রাখাইন আরাকান নামে পরিচিত ছিল। এখানকার প্রধান জনগোষ্ঠী হলো আরাকানি। ধর্মে তারা থেরোবাদী বৌদ্ধ। তবে তারা নিজেদের মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের বৌদ্ধদের থেকে আলাদা দাবি করে। আরাকান একসময় স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। ১৭৮৪-৮৫ সালে যুদ্ধে তৎকালীন বার্মার অধীন হয় আরাকান। তারপরেই ইংরেজদের হাতে চলে যায় পুরো বার্মা। অতঃপর ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার একটি প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় আরাকান। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বার্মার নতুন ফেডারেল প্রজাতন্ত্রে আরাকান একটি বিশেষ অঙ্গরাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

রোহিঙ্গা এমন একটি জনগোষ্ঠীর নাম, যারা শত শত বছর ধরে বর্তমান মিয়ানমারের রাখাইনে বসবাস করলেও আজ তারা এক অবাঞ্ছিত রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। নিজ দেশ এবং ভিটেমাটি হারিয়ে সবার করুণার পাত্র হয়েছে। মিয়ানমার সরকার, সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা তাদের ন্যূনতম মানবিক মর্যাদা দিতে রাজি নয়। ১৯৭৪ সালের পর মিয়ানমার সামরিক জান্তারা প্রকাশ্যে রোহিঙ্গাদের বহিরাগত ‘বাঙালি’ বলে চিহ্নিত করা শুরু করে। এই জনগোষ্ঠীর ৯৫ শতাংশ যেহেতু ইসলাম ধর্মাবলম্বী, ভাষাগত দিক দিয়ে বাংলার সঙ্গে মিল আছে, এ কারণে মিয়ানমারের বৃহত্তর বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা তাদের ‘রোহিঙ্গা’ জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে যতগুলো জনগোষ্ঠী আছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ও নিরীহ। এ কারণে রোহিঙ্গারা নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য কিছুই করতে পারেনি। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং বেসামরিক প্রশাসন রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতেও অস্বীকার করছে। এ জন্য তারা ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনে ১৮২৪-কে বেসলাইন ধরেছে। মিয়ানমার সরকারের সংজ্ঞায় ১৮২৪ সালে বার্মা যুদ্ধে আরাকান দখলের আগে যারা ওই অঞ্চলের বাসিন্দা ছিল, তারাই কেবল সে দেশের নাগরিক—এর পরের কোনো জনগোষ্ঠী নয়। তাদের যুক্তি, ব্রিটিশরাজ চাষাবাদ এবং অন্যান্য কাজের জন্য পূর্ব বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে বেশ কিছু বাঙালি রাখাইন অঞ্চলে নিয়ে এসেছিল। তাদেরই বংশধর বর্তমান রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এমন আইন বা যুক্তি আধুনিক বিশ্বের আর কোনো দেশে নেই। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য অথবা ইউরোপের বহু দেশের বহু জনগোষ্ঠীকে ওই সব দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে হতো। অতএব এ যুক্তি ধোপে টেকে না।

আগেই উল্লেখ করেছি, আরাকান বা রাখাইন ঐতিহাসিকভাবে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত স্বাধীন রাজ্য ছিল, যার পরিধি ছিল বর্তমান বাংলাদেশের রামু পর্যন্ত এবং উত্তরে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এ অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন অষ্টম শতাব্দীতে, যাদের সংস্পর্শে এখানকার বহু নাগরিক ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল। উত্তর রাখাইন প্রভাবিত হয়েছিল চট্টগ্রাম, মংডু ও কক্সবাজার অঞ্চলে আরব বণিকদের বাণিজ্যের পরিধি বৃদ্ধির সময় থেকে।

রাখাইনের যেসব অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের বসবাস, সেইসব অঞ্চল এখন আরাকান আর্মির দখলে। বর্তমানে রাখাইনে আনুমানিক পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। অথচ এর প্রায় দ্বিগুণের বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এমতাবস্থায় সেখানে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে বাংলাদেশ ও রাখাইন উভয় পাশেই রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাঝুঁকি বেড়েছে। যদিও আরাকান আর্মির অবস্থা কী, তা স্পষ্ট নয়। তবু সীমান্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গাদের জানমালের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের বিষয়ে এখন থেকেই বাংলাদেশের আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। আমার বিশ্বাস, সে উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। যদি ভবিষ্যতে রাখাইনে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাহলে রোহিঙ্গাদের নিজ বাস্তুভিটায় পুনর্বাসনের বিষয়টি আরাকান আর্মির ওপরই সম্পূর্ণ নির্ভর করবে। এমনকি মিয়ানমার সরকারও যদি ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত হয় তাহলেও আরাকান আর্মির অনুমোদন ছাড়া তা সম্ভব হবে না। তিন বছর আগেও রোহিঙ্গাদের প্রতি আরাকান আর্মির মনোভাব ছিল নমনীয় এবং তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নিতে তাদের কোনো আপত্তি ছিল ন। আরাকান আর্মির প্রধান জেনারেল থোয়াই ম্রা নাইং বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ কথা বলেছিলেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ঢাকার এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার স্বীকার করি। তবে কয়েকটি কথায় এ রকম সমস্যার উত্তর দেওয়া মুশকিল। এটা এত বড় সমস্যা যে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশও একা সমাধান করতে পারবে না। আমাদের জন্যও এটা একটি বড় ইস্যু। বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা কাজ করতে চাই।’ বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার তাঁর সেদিনের কথায় কোনো আগ্রহ দেখায়নি, এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে গোপনেও কোনো যোগাযোগ করেনি। জেনারেল নাইংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের যোগাযোগ ঘটেছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি নানা সময়ে। প্রত্যাশিত সাড়া পেয়েছি বলতে পারব না। আমার দিক থেকে সিদ্ধান্ত রয়েছে, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনার। আমরা যথাযথ সাড়ার অপেক্ষায় আছি।’ বাংলাদেশ থেকে সাড়া না পেলেও তিনি হতাশ হননি। আশা ব্যক্ত করে তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে ইচ্ছুক। বিশেষভাবে চাই বাংলাদেশের মানুষ আমাদের সংগ্রাম সম্পর্কে প্রকৃত সত্য জানুক। আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভাবুক—সেই সম্পর্ক হতে পারে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সব ধরনের।’

তিন বছর আগের আরাকান আর্মির অবস্থান এখনো একই থাকবে সে কথা বলা বোধ হয় ঠিক হবে না। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। তবে আরাকান আর্মির বর্তমান সাফল্য রোহিঙ্গাদের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তাতে তাদের দুর্ভোগ বাড়াবে বলেই মনে হয়। বর্তমান পরিস্থিতি তাদের জন্য বিপর্যয়করও বটে। রাজনীতির কৌশলে ভুল চাল দিয়ে নিজেদের বিপদ যেন নিজেরাই ডেকে এনেছে। যে জান্তার বুলেট ও বেয়নেটে শরীর ঝাঁঝরা হয়েছে, যে জান্তা গোষ্ঠীর হাতে মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন হয়েছে, বাস্তুভিটা থেকে উৎখাত হয়েছে, সেই জান্তার ডাকেই তারা কোন বিবেচনায় আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে, তা বোধগম্য নয়! নিরাপদ পুনর্বাসন, নাকি নাগরিকত্বের স্বীকৃতির টোপের ফাঁদে তারা পা দিয়েছে? যা ৪০ বছরে হয়নি তা ভবিষ্যতেও যে হবে, সে নিশ্চয়তা তারা কাদের কাছে পেল? যে ভুল তারা করেছে তার কিছুটা মাশুল তো তাদের দিতেই হবে।

এ ব্যাপারে অবশ্য বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। যে ভুল শেখ হাসিনা করে গেছেন, সে ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে ড. ইউনূস সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। যে করেই হোক এ সরকারকে আরাকান আর্মির সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন করতেই হবে। শুধু যোগাযোগ স্থাপন করলেই চলবে না; এ যোগাযোগ অব্যাহতও রাখতে হবে। তবে এ জন্য সরকারকে রাখাইন সম্প্রদায়কে যুক্ত করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। সম্পর্ক ভালো করার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়বে। প্রয়োজনে কিছু সুবিধা দিয়ে হলেও আরাকান আর্মির আস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। জেনারেল নাইং নিজেও জানেন, তাঁরা ‘অভ্যন্তরীণ সার্বভৌম’ কিংবা ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’, যে পথেই এগিয়ে যাক না কেন, নিজ ভূখণ্ড পুনর্গঠনে প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন পড়বে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও গ্রহণযোগ্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। রাখাইনের বর্তমান বাস্তব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে নতুন করে বোঝাপড়ার দরকার আছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আগের বিদেশনীতির পরিবর্তন করতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার প্রকৃত সমাধান চায়— এমন বন্ধুরাষ্ট্রকে সঙ্গী করতে হবে। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার বিষয়ে জাতিসংঘে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, বাংলাদেশ তার পূর্ণ সুযোগ নিতে পারে। অতএব সময় নষ্ট না করে মিয়ানমার সরকার, আরাকান আর্মি এবং আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কার্যকর কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত