নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ আবারও একটি নতুন সংগ্রামের সাক্ষী হয়, যা “জুলাই অভ্যুত্থান”-এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসন এবং বহিরাগত প্রভাব থেকে জাতিকে মুক্ত করে। এই বিজয় স্বাধীনতাকে প্রকৃত অর্থে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে এবং স্বাধীনতা ও মুক্তির আদর্শ রক্ষার জন্য সম্মিলিত প্রতিজ্ঞা পুনরায় জাগ্রত করে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) আজ সোমবার বিকেলে এক পোস্টে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা নাহিদ। তিনি আরও বলেন, ‘এই নব স্বাধীনতার সাথে নতুন বাংলাদেশ সমতা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে গণতন্ত্র চর্চা ও মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য স্থির করেছে। ভারতীয়-মুসলিম সভ্যতার উত্তরাধিকারী এবং বাংলা সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল হিসেবে বঙ্গোপসাগর অঞ্চল ও গ্লোবাল সাউথে গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠ হিসেবে আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ তার সভ্যতাগত যাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত। এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতাদের এবং ১৯৭১ ও জুলাই অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের।’
উপদেষ্টা নাহিদ লিখেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান, যারা ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করেছিল, তাদের ঐতিহাসিক গতিপথ প্রায়ই “বিভাগ” শব্দের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত হয়। এই রূপান্তর মূলত দিল্লি ও করাচির মধ্যে ক্ষমতার স্থানান্তর নিয়ে আবর্তিত হয়, যা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাঞ্চলকে প্রভাবিত করেছিল। যদিও বঙ্গ দেশ উপনিবেশবিরোধী সংগ্রাম এবং পাকিস্তান আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল, তবুও আলোচনা প্রক্রিয়ায় তাদের উপেক্ষা করা হয়েছিল। এর ফলে বাংলা বিভক্ত হয়ে পূর্ব বাংলা নামে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়।’
এক্স পোস্টে উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, ‘পূর্ব বাংলা, যা পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয়, মর্যাদা ও অধিকারের জন্য সংগ্রামের ঐতিহ্য বহন করেছিল। ভারত ও পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশ কোনো আলোচনার মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেনি; বরং এটি গড়ে উঠেছিল জনগণের যুদ্ধের মাধ্যমে—১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ, যা এ দেশের মানুষের দৃঢ়তা ও প্রতিজ্ঞার প্রতীক।’ তিনি লিখেছেন, ‘যদিও স্বাধীনতার পূর্বাপর ঘটনাগুলোতে শেখ মুজিবুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁর পরবর্তী নীতি, বিশেষত বাকশালের প্রতিষ্ঠা, ১৯৭১-এর আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। এই “মুজিবীয় বন্দোবস্ত” দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে তুলেছিল এবং বিজয়ের পূর্ণ সুফল অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল।’
এর আগে সকালে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের বিজয় এলেও সেই স্বাধীনতা অরক্ষিত ছিল। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে।’
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ আবারও একটি নতুন সংগ্রামের সাক্ষী হয়, যা “জুলাই অভ্যুত্থান”-এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসন এবং বহিরাগত প্রভাব থেকে জাতিকে মুক্ত করে। এই বিজয় স্বাধীনতাকে প্রকৃত অর্থে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে এবং স্বাধীনতা ও মুক্তির আদর্শ রক্ষার জন্য সম্মিলিত প্রতিজ্ঞা পুনরায় জাগ্রত করে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) আজ সোমবার বিকেলে এক পোস্টে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা নাহিদ। তিনি আরও বলেন, ‘এই নব স্বাধীনতার সাথে নতুন বাংলাদেশ সমতা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে গণতন্ত্র চর্চা ও মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য স্থির করেছে। ভারতীয়-মুসলিম সভ্যতার উত্তরাধিকারী এবং বাংলা সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল হিসেবে বঙ্গোপসাগর অঞ্চল ও গ্লোবাল সাউথে গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠ হিসেবে আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ তার সভ্যতাগত যাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত। এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতাদের এবং ১৯৭১ ও জুলাই অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের।’
উপদেষ্টা নাহিদ লিখেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান, যারা ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করেছিল, তাদের ঐতিহাসিক গতিপথ প্রায়ই “বিভাগ” শব্দের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত হয়। এই রূপান্তর মূলত দিল্লি ও করাচির মধ্যে ক্ষমতার স্থানান্তর নিয়ে আবর্তিত হয়, যা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাঞ্চলকে প্রভাবিত করেছিল। যদিও বঙ্গ দেশ উপনিবেশবিরোধী সংগ্রাম এবং পাকিস্তান আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল, তবুও আলোচনা প্রক্রিয়ায় তাদের উপেক্ষা করা হয়েছিল। এর ফলে বাংলা বিভক্ত হয়ে পূর্ব বাংলা নামে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়।’
এক্স পোস্টে উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, ‘পূর্ব বাংলা, যা পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয়, মর্যাদা ও অধিকারের জন্য সংগ্রামের ঐতিহ্য বহন করেছিল। ভারত ও পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশ কোনো আলোচনার মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেনি; বরং এটি গড়ে উঠেছিল জনগণের যুদ্ধের মাধ্যমে—১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ, যা এ দেশের মানুষের দৃঢ়তা ও প্রতিজ্ঞার প্রতীক।’ তিনি লিখেছেন, ‘যদিও স্বাধীনতার পূর্বাপর ঘটনাগুলোতে শেখ মুজিবুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁর পরবর্তী নীতি, বিশেষত বাকশালের প্রতিষ্ঠা, ১৯৭১-এর আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। এই “মুজিবীয় বন্দোবস্ত” দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে তুলেছিল এবং বিজয়ের পূর্ণ সুফল অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল।’
এর আগে সকালে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের বিজয় এলেও সেই স্বাধীনতা অরক্ষিত ছিল। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে।’
২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
৪৪ মিনিট আগেগত ৫ মাসে (৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে) সারা দেশের ৪০টি মাজারে ৪৪টি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে...
৪ ঘণ্টা আগেলেবাননে আটকে পড়া আরও ৪৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তাদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়...
৫ ঘণ্টা আগে