Ajker Patrika

কুষ্টিয়ার সেই এসপি তানভীর আরাফাত বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ১৮
২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন এসপি তানভীর আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হন এসপি তানভীর আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে সাময়িক দরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এস এম তানভীর আরাফাত, ডিআইজির কার্যালয়, সিলেট (সাবেক পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া জেলা)কে কুষ্টিয়া সদর থানার মামলায় গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই দিন তাঁকে আমলি আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এস এম তানভীর আরাফাতকে ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ (২) ধারা অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

২০১৮ সালের চাকরি আইনের ৩৯-এর (২) উপধারায় বলা আছে, কোনো কর্মচারী দেনার দায়ে কারাগারে আটক থাকলে অথবা কোনো ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হলে বা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গৃহীত হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এমন আটক, গ্রেপ্তার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোনো সরকারি কর্মচারী তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি বা খালাসপ্রাপ্ত হলে তাঁর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।

সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ায় বিএনপির কর্মী সুজন মালিথা হত্যা মামলার প্রধান আসামি তানভীর আরাফাত। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুজন মালিথা নিহত হন। এর আগে সুজনকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় তানভীর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার ছিলেন। আন্দোলনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।

এ ছাড়া ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় ‘কুমারখালী নাগরিক পরিষদ’র ব্যানারে আয়োজিত এক সভায় অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার তৎকালীন এসপি এস এম তানভীর আরাফাত। বক্তব্যে তিনি সরকারবিরোধীদের ‘তিনটি অপশন’ দেন। তানভীর আরাফাত বলেন, ‘যদি সংবিধান না মানেন তাহলে আপনাদের জন্য তিনটি অপশন, এক. উল্টাপাল্টা করবা হাত ভেঙে দেব, জেল খাটতে হবে। দুই. একেবারে চুপ করে থাকবেন, দেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না। তিন. আপনার যদি বাংলাদেশ পছন্দ না হয়, তাহলে ইউ আর ওয়েলকাম টু গো ইউর পেয়ারা পাকিস্তান।’

এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তানভীর আরাফাত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত