নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ইউরিয়া কিংবা নন-ইউরিয়া সারের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। আজ রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান তিনি।
দেশে কৃষির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছাড়াও সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা তুলে ধরেন কৃষিসচিব। সারের বর্তমান মজুত সম্পর্কে সচিব বলেন, ‘দেশে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সারের কোনো সংকট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সার আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে এখনো কিছুটা সমস্যা রয়েছে। এলসি জটিলতা সমাধানের চেষ্টা চলছে। ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলায় শতভাগ মার্জিন দিতে হচ্ছে।’
সচিব আরও বলেন, ‘বন্যায় ২৩টি জেলার ১৪ লাখের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মূলত ১১টি জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রণোদনার অর্থ জেলাগুলোর কৃষকদের টার্গেট করেই দেওয়া হচ্ছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা এবং আশপাশের জেলাগুলোর কৃষি বিভাগের অব্যবহৃত জায়গায় রোপা আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এসব বীজ আমন চাষিদের দেওয়া হবে।’
সচিব এমদাদ উল্লাহ বলেন, ‘বন্যায় পুনর্বাসনের আওতায় ৯টি জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৮০ হাজার কৃষককে এক বিঘা জমি চাষের জন্য বিনা মূল্যে রোপা আমনের উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি করে সার সহায়তা এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ এক হাজার করে দেওয়া হবে। বসতবাড়িতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ২২টি জেলায় দেড় লাখ কৃষককে বিভিন্ন জাতের সবজির বীজ ও নগদ এক হাজার করে দেওয়া হবে।’
বন্যার কারণে দেশে খাদ্যঘাটতি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আগামী মৌসুমে বোরো উৎপাদনে কোনো সমস্যা না হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট হবে না। তাই এখন আমাদের টার্গেট আগামী বোরো মৌসুমে ভালো উৎপাদন করা।’
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৬ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বন্যায় ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধান, সবজি, ফলমূলসহ প্রায় ১০ লাখ টন উৎপাদন নষ্ট হয়েছে। টাকার অঙ্কে এই ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজারর ৩৪৬ কোটি টাকা। বন্যায় মোট তিন লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে বর্তমানে ৪ লাখ ৬১ হাজার টন ইউরিয়া, ৩ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি, ৩ লাখ ৫৭ হাজার টন ডিএপি এবং ৪ লাখ ৩৭ হাজার টন এমওপি সার মজুত রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কয়েকটি ধাপে ১৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজম, অর্থ সম্পাদক আয়নাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফারুক আহমাদ আরিফ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শওকত আলী পলাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য মুন্না রায়হান ও হরলাল রায় সাগর।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ইউরিয়া কিংবা নন-ইউরিয়া সারের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। আজ রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান তিনি।
দেশে কৃষির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছাড়াও সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা তুলে ধরেন কৃষিসচিব। সারের বর্তমান মজুত সম্পর্কে সচিব বলেন, ‘দেশে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সারের কোনো সংকট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সার আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে এখনো কিছুটা সমস্যা রয়েছে। এলসি জটিলতা সমাধানের চেষ্টা চলছে। ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলায় শতভাগ মার্জিন দিতে হচ্ছে।’
সচিব আরও বলেন, ‘বন্যায় ২৩টি জেলার ১৪ লাখের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মূলত ১১টি জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রণোদনার অর্থ জেলাগুলোর কৃষকদের টার্গেট করেই দেওয়া হচ্ছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা এবং আশপাশের জেলাগুলোর কৃষি বিভাগের অব্যবহৃত জায়গায় রোপা আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এসব বীজ আমন চাষিদের দেওয়া হবে।’
সচিব এমদাদ উল্লাহ বলেন, ‘বন্যায় পুনর্বাসনের আওতায় ৯টি জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৮০ হাজার কৃষককে এক বিঘা জমি চাষের জন্য বিনা মূল্যে রোপা আমনের উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি করে সার সহায়তা এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ এক হাজার করে দেওয়া হবে। বসতবাড়িতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ২২টি জেলায় দেড় লাখ কৃষককে বিভিন্ন জাতের সবজির বীজ ও নগদ এক হাজার করে দেওয়া হবে।’
বন্যার কারণে দেশে খাদ্যঘাটতি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আগামী মৌসুমে বোরো উৎপাদনে কোনো সমস্যা না হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট হবে না। তাই এখন আমাদের টার্গেট আগামী বোরো মৌসুমে ভালো উৎপাদন করা।’
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৬ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বন্যায় ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধান, সবজি, ফলমূলসহ প্রায় ১০ লাখ টন উৎপাদন নষ্ট হয়েছে। টাকার অঙ্কে এই ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজারর ৩৪৬ কোটি টাকা। বন্যায় মোট তিন লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে বর্তমানে ৪ লাখ ৬১ হাজার টন ইউরিয়া, ৩ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি, ৩ লাখ ৫৭ হাজার টন ডিএপি এবং ৪ লাখ ৩৭ হাজার টন এমওপি সার মজুত রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কয়েকটি ধাপে ১৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজম, অর্থ সম্পাদক আয়নাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফারুক আহমাদ আরিফ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শওকত আলী পলাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য মুন্না রায়হান ও হরলাল রায় সাগর।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে এনসিসি ব্যাংকের একটি হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন। এই ব্যাংক হিসাবে ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে বলে জানা গেছে।
২ মিনিট আগেপ্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি অনলাইনেও বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন করা যাবে। ‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ সংশোধন করে এই নিয়ম করেছে সরকার।
১ ঘণ্টা আগেপ্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে কোনো একটি পদ্ধতিতে ভরসা পায়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই পোস্টাল, অনলাইন ও প্রক্সি— তিনটি ভোটিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে চায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। আজ বুধবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত কর্মশালা নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন...
৩ ঘণ্টা আগেঈদযাত্রা শুরুর দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনের মধ্যে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত ও ৮২৬ জন আহত হয়েছে। একই সময়ে রেলপথে ২১টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ৪টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ১ জন আহত ও ১ জন নিখোঁজ রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে