ঢিলেঢালা বা নামমাত্র লকডাউন দিয়ে করোনাভাইরাস রোধে সুফল না পাওয়ায় কঠোর লকডাউন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউনে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় জনচলাচল অব্যাহত থাকলে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। এবারের অবস্থা যে গতবছরের মতো নয়, সেটি গত কয়েক দিনেই টের পাওয়া গেছে।
কঠোর লকডাউন করতে গেলে কয়েকটি বিষয়ে সরকারকে আগাম ভাবতে হবে। প্রায় ৪ কোটি দরিদ্র মানুষের (এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ অতি দরিদ্র) মানুষের খাদ্যনিরাপত্তার প্রস্তুতি থাকতে হবে। গত বছর মানুষের হাতে সঞ্চয় ছিল, এখন কিন্তু স্বল্প আয়ের মানুষের হাতে সঞ্চয়ও কম। কাজেই সত্যিকারের লকডাউনে গেলে অনেক বেশিসংখ্যক মানুষের সাহায্য দরকার হবে।
অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁচিয়ে রাখার উপায় কী হবে? গত একবছরে যারা ঋণ নিয়েছেন, তারা ব্যবসা-বাণিজ্য এখন না করলে ফেরত দেবেন কী করে? আর এ ধরনের প্রতিষ্ঠান সমস্যায় পড়লে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের উপায় কী হবে, তা ভাবতে হবে। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও টানাটানিতে চলা লোকজন কারও কাছে হাত পাততে পারবেন না, কিন্তু খাদ্যকষ্টে থাকবেন।
এদেরও কিন্তু সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন হবে। গত বছর এই সংকটে মানুষ যতটা না পড়েছে, এবার তার চেয়ে বেশি হবে; কারণ অনেক মানুষের সঞ্চয় গত বছর শেষ হয়ে গেছে। বিশেষ করে অনেক উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখার জন্য সঞ্চয় থেকে অথবা পারিবারিকভাবে ঋণ করেছেন। এত বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য খাদ্য কিংবা আয়ের নিরাপত্তা অথবা কর্মসংস্থানের নিরাপত্তার দেওয়ার উপায় কী হবে?
কত দিনের জন্য লকডাউন দিলে সত্যিকার অর্থেই তা করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় কার্যকর হবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। কঠোর লকডাউন দেওয়ার সক্ষমতা না থাকলে অল্প দিনের লকডাউন দিয়ে জীবনেরও তেমন লাভ হবে না, জীবিকাও হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
সব ধরনের সভা-সমাবেশ, জনসমাগম বন্ধ করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে হবে। সংক্রমণ প্রতিরোধমূলক মাস্ক, সাবান ইত্যাদি ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। এ সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণা জোরদার করতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মানা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে।
তবে যা-ই করা হোক, ভেবেচিন্তে করতে হবে। করার পর ভেবে কোনো ফল পাওয়া যাবে না।
ঢিলেঢালা বা নামমাত্র লকডাউন দিয়ে করোনাভাইরাস রোধে সুফল না পাওয়ায় কঠোর লকডাউন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউনে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় জনচলাচল অব্যাহত থাকলে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। এবারের অবস্থা যে গতবছরের মতো নয়, সেটি গত কয়েক দিনেই টের পাওয়া গেছে।
কঠোর লকডাউন করতে গেলে কয়েকটি বিষয়ে সরকারকে আগাম ভাবতে হবে। প্রায় ৪ কোটি দরিদ্র মানুষের (এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ অতি দরিদ্র) মানুষের খাদ্যনিরাপত্তার প্রস্তুতি থাকতে হবে। গত বছর মানুষের হাতে সঞ্চয় ছিল, এখন কিন্তু স্বল্প আয়ের মানুষের হাতে সঞ্চয়ও কম। কাজেই সত্যিকারের লকডাউনে গেলে অনেক বেশিসংখ্যক মানুষের সাহায্য দরকার হবে।
অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁচিয়ে রাখার উপায় কী হবে? গত একবছরে যারা ঋণ নিয়েছেন, তারা ব্যবসা-বাণিজ্য এখন না করলে ফেরত দেবেন কী করে? আর এ ধরনের প্রতিষ্ঠান সমস্যায় পড়লে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের উপায় কী হবে, তা ভাবতে হবে। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও টানাটানিতে চলা লোকজন কারও কাছে হাত পাততে পারবেন না, কিন্তু খাদ্যকষ্টে থাকবেন।
এদেরও কিন্তু সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন হবে। গত বছর এই সংকটে মানুষ যতটা না পড়েছে, এবার তার চেয়ে বেশি হবে; কারণ অনেক মানুষের সঞ্চয় গত বছর শেষ হয়ে গেছে। বিশেষ করে অনেক উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখার জন্য সঞ্চয় থেকে অথবা পারিবারিকভাবে ঋণ করেছেন। এত বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য খাদ্য কিংবা আয়ের নিরাপত্তা অথবা কর্মসংস্থানের নিরাপত্তার দেওয়ার উপায় কী হবে?
কত দিনের জন্য লকডাউন দিলে সত্যিকার অর্থেই তা করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় কার্যকর হবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। কঠোর লকডাউন দেওয়ার সক্ষমতা না থাকলে অল্প দিনের লকডাউন দিয়ে জীবনেরও তেমন লাভ হবে না, জীবিকাও হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
সব ধরনের সভা-সমাবেশ, জনসমাগম বন্ধ করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে হবে। সংক্রমণ প্রতিরোধমূলক মাস্ক, সাবান ইত্যাদি ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। এ সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণা জোরদার করতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মানা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে।
তবে যা-ই করা হোক, ভেবেচিন্তে করতে হবে। করার পর ভেবে কোনো ফল পাওয়া যাবে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’ সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরদিন থেকেই বিভিন্ন মহল সরকারের কাছে নানা দাবিদাওয়া উত্থাপন করে আসছে। এসব দাবিদাওয়া আদায়ের কৌশল হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সচিবালয়, শিক্ষা বোর্ডসহ রাষ্ট্রীয় দপ্তর, রাজপথ ইত্যাদি ঘেরাওয়ের একটি প্রবণতাও বেশ জোরেশোরেই লক্ষ করা যাচ্ছে
১৫ ঘণ্টা আগেবিরোধী দলবিহীন দুটি ভোট ও একটি নৈশ ভোটের ‘বিশাল জয়ে’ তৃপ্তির ঢেকুর তুলে শেখ হাসিনা দিব্যি কর্তৃত্ববাদী পন্থায় এবং এক ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে সরকার পরিচালনা করে আসছিলেন। আর পারিষদবর্গ ছিলেন স্তুতিতে মুখর। একদিকে তাঁদের ছিল জেদ ও দম্ভ, অন্যদিকে বিত্তশালী হয়ে ওঠার আলাদিনের চেরাগ। মানুষের...
১৫ ঘণ্টা আগেওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান এক সংগীত আবহে বড় হয়েছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবারের সদস্য তিনি। সেই ধারা তাঁরা এখনো বজায় রেখে চলছেন। তাঁর বাবা ওস্তাদ আবেদ হোসেন খান...
১৬ ঘণ্টা আগে