রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ ও খাতসমূহের সমন্বয়

জাহাঙ্গীর আলম শোভন
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১৭: ৫৯
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ০১

প্রতি বছর সরকারের দুটো প্রধান চ্যালেঞ্জ থাকে যেগুলোর ওপর উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নির্ভর করে। প্রথম, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, দ্বিতীয়, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সহায়ক কিংবা প্রতিবন্ধক কিছু অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিয়ামক থাকে। সেগুলো এই লক্ষ্যমাত্রাকে সহজ কিংবা কঠিন করে তোলে। আসলে সহজ বলতে কিছু হয় না। সবই কঠিন হয়; কেবল কিছু কঠিনকে অতিক্রম করা যায় আর কিছু কঠিনকে যায় না। 

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য সরকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এর প্রধান কারণ বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ও বাজার অস্থিরতা। যার কারণ রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সংগত কারণে জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি। 

এসব সমস্যা অতিক্রমে সংশ্লিষ্টরা দুটি অনুভূতি অর্জন করেছে, এক. ভীতি, অন্যটি হচ্ছে সতর্ক থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ঝুঁকি মোকাবিলা। উদাহরণ হলো—আমাদের নিকট অতীতে আমরা দেখি বৈশ্বিক চিত্র ক্ষেত্রবিশেষে নেতিবাচক হলেও আমাদের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। যেমন বিগত ২০২১–২২ অর্থবছরে রপ্তানি খাতের আয় ছিল ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। 

পরের বছর কিন্তু এর প্রভাব পড়েছে। মানে কখনো কোনো কিছু কাঙ্ক্ষিত মাত্রার চেয়ে বেশি হয়ে গেলে পরে এটার কিছুটা সমন্বয় হয়। মানে ২০২২–২৩ অর্থবছরে যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ বিলিয়ন ডলার এবং একই অর্থবছরের জুলাই থেকে মে এই সময়ের কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। অর্জিত আয় ছিল ৪৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। মানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি যত কমই হোক না কেন সেটা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ এটি যদি প্রবণতায় পরিণত হয়ে ক্রমাগত হতে থাকে তাহলে এই চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। 

অন্যদিকে ইতিবাচক প্রবণতার ক্ষেত্রে হার কম হলেও সেটা স্বস্তিদায়ক। 

সমস্যা হলো, যেসব অনুঘটকের কারণে বিগত অর্থবছরে নেতিবাচক প্রবণতা বা প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়েছে সেসব অনুঘটক এখনো বিদ্যমান। বিশেষ করে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ও জ্বালানি তেলের মূল্য। যদিও ডলারের দামের ক্ষেত্রে একটি ভালো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়েছে। ডলারের দাম যে গতিতে বেড়েছে প্রায় তার কাছাকাছি গতিতে কমেছে। যদিও তা আর আগের জায়গায় বা তার কাছাকাছি নেই। 

ডলারের দাম রপ্তানি আয়ের অঙ্কে একটি প্রভাব ফেললেও আমদানি বিবেচনা করলে এতে খুব লাভবান হওয়া যায় না। কারণ আমাদের দেশ থেকে আমরা যেসব প্রধান পণ্য–সেবা রপ্তানি করি সেগুলোকে রূপায়ণ করার জন্য আবার আমদানি নির্ভরতা রয়েছে। তখন কিন্তু কাঁচামাল, প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ আমদানিতে বড় অঙ্ক বেরিয়ে যায়। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক হিসাব মতে, গত ২০২২–২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে সময়ের মধ্যে মাত্র ১৬টি পণ্যের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২৫টি পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে। 

রপ্তানি বাড়া ১৬ খাতের কয়েকটির চিত্র এ রকম—নিট পোশাক ২৩২৭৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ, ওভেন পোশাক ১৯৩৫২ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, প্লাস্টিক দ্রব্য ১৯০ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন ডলার সঙ্গে প্রবৃদ্ধি ৩৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, টুপি ৪১৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ২৭ দশমিক ০৯ শতাংশ, কাগজ ও কাগজ পণ্য ২০৯ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার এবং এতে প্রবৃদ্ধি ১২৯ দশমিক ২১ শতাংশ, ইলেকট্রিক পণ্য ১১৫ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার আর প্রবৃদ্ধি দেখা যায় ৪৮ দশমিক ০৯ শতাংশ, জুতা (চামড়া ব্যতীত) রপ্তানি ৪৩৩ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার ও প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, গুঁড়া মসলা রপ্তানি হয়েছে ৩৮ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলারের এবং প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্য ৩৬১ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার আর এর প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, সিরামিক পণ্য বিদেশ গেছে ৩৯ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলারের, বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

উইগস ও মানুষের চুলের মতো পণ্য একটা ভালো অঙ্ক যোগ করেছে, যা ছিল ১১৩ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলারের প্রবৃদ্ধিও বেশ ভালো— ১৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ, জীবন্ত মাছ অনেক বেশি নয়— ১২ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ডলার তবে প্রবৃদ্ধি ভালো— ১১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে নির্দেশ করছে। 

সিমেন্ট ১২ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, জাহাজ ৫ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ২১৮৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, রাসায়নিক পণ্য ৩৯ মিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। (সূত্র: ইপিবি প্রতিবেদন) 

এখানে আমরা দেখতে পাই বড় অঙ্কের রপ্তানি খাতগুলোতে প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক কমবেশি ১০ শতাংশের কাছে। প্লাস্টিক দ্রব্য, টুপি, ইলেকট্রিক পণ্য, জীবন্ত মাছ ও জাহাজে প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো। যদিও জাহাজ ও জীবন্ত মাছের ক্ষেত্রে পরিমাণ কম হওয়াতে বেশি প্রবৃদ্ধি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। গোটা হিসাবটাতে এটা বোঝা যায় যে, এই খাতগুলোতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। 

অন্যদিকে রপ্তানি কমে যাওয়া ২৫টি খাতের মধ্যে রয়েছে— স্পেশাল টেক্সটাইল, শাকসবজি, পেট্রোলিয়াম বাই প্রোডাক্টস, ওষুধ, ফলমূল, হস্তশিল্প, ফার্নিচার, কার্পেট, চিংড়ি, রাবার, নিট ফেব্রিকস, বাইসাইকেল, তামার তার, কৌশল যন্ত্রাংশ, শুকনো খাবার, জুট ইয়ার্ন ও টোয়াইন, কাঁকড়া, টেরি টাওয়েলস, হোম টেক্সটাইল, কাঁচাপাট, চা, জুট সক্স ও ব্যাগ, চামড়ার জুতা, চামড়া, গলফ সফট ইত্যাদি। 

সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি কমেছে ফলমূলে— ৮১ শতাংশ, যার মূল্য ছিল দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার। শাকসবজির বাজার ফলের চেয়ে ভালো এবং বড় হলেও এখানে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যার মূল্য ছিল ৫৮ দশমিক ০৩ মিলিয়ন ডলার। এর পরিমাণ এবং হার দুটোই নেতিবাচক। এই বিষয়ে কারণ অনুসন্ধান প্রয়োজন। যদি আমরা মান নিশ্চিত না করার কারণে পিছিয়ে পড়ি সেটা যেমন একটি সমস্যা, আমাদের যদি উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত না হয় সেটাও ভাবার বিষয়। যদিও এই আইটেমটা রপ্তানির চেয়ে আমদানিই বেশি করি। বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও মানগত সমস্যার কারণে আমাদের ফল কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে বিদেশে যায় না। দেশীয় ফলের বিদেশে বাজারের ব্যাপারও রয়েছে। আমাদের ফলের মূল ভোক্তা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। 

হস্তশিল্পের রপ্তানি কমেছে ৩২ দশমিক ১৪ শতাংশ, চিংড়ির রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ, পাট ইয়ার্ন ও টোয়াইন কমেছে ৩০ শতাংশ— এগুলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য খারাপ খবর নিয়ে এসেছে। যদিও এর মধ্যে চিংড়ি খাদ্যপণ্য হওয়া সত্ত্বেও চিংড়ির রপ্তানির পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে যে, আমাদের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আর এর কারণ হচ্ছে ঘেরে যেসব উপকরণ ও খাবার ব্যবহার করা হয় সেগুলোর নিম্নমান। তাই এই বিষয়ে এখন সরকারের তদারকির প্রশ্ন আসে। আসে মান নিশ্চিতকরণ ও খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর। 

সরকার ভেনামি আমদানির অনুমতি দিলেও ভেনামি চিংড়ি উৎপাদনের জন্য যে পর্যাপ্ত খামারের অনুমোদন দরকার সেটা পাওয়া যায়নি। এ ধরনের সিদ্ধান্তের সমন্বয়হীনতা আমাদের খুব পুরোনো। এর থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি। এই একই অর্থবছরে এ রকম অনেকগুলো সমস্যা দেখা দিয়েছে এর ফলে কিছু সুবিধা সরকার থেকে পাওয়া গেলেও সেখানে অন্য সুবিধার জন্য সেগুলো ব্যবহার করা যায় না। যেমন মেনমেইড ফাইবার তৈরির অনুমতি মিলেছে কিন্তু এর জন্য যে যন্ত্র ক্রয় করা দরকার সেগুলোর শুল্ক কমানো বা প্রত্যাহার করা হয়নি। 

হোম টেক্সটাইল রপ্তানি কমেছে ৩০ দশমিক ১৪ শতাংশ, এর পরিমাণ ছিল ১০২৪ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার, নিট ফেব্রিকস কমেছে ৩৪ শতাংশ এবং এর পরিমাণ ছিল ১৩৬ মিলিয়ন ডলার, প্রকৌশল যন্ত্রাংশ কমেছে ৪৪ শতাংশ, এর পরিমাণ ছিল ১১৮ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার। এগুলো শিল্পপণ্য বলে এসব খাতে শিল্পখাতে নেতিবাচক চাপ পড়বে বৈকি। 

সরকার এরই মধ্যে আগামী অর্থবছরের রপ্তানি চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করেছে এবং খাত ভিত্তিক ও সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য আগামী ২০২৫ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা। যা দেশকে ২০২৬ সালের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে সাহায্য করবে। সে অনুপাতে ২০২৩–২৪ সালে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা হওয়া উচিত ৮০ বিলিয়ন ডলার এবং তা অর্জিত হওয়া জরুরি তাহলে পূর্ববর্তী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তুলনামূলক সহজ হবে। 

এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয় প্রথমত বর্তমান খাতগুলোর প্রবৃদ্ধি দ্বিতীয়ত নতুন নতুন খাতের সৃষ্টি করা।

এখানে সফটওয়্যার খাতের চিত্রটি আসেনি, এই খাতকে আরও শক্তিশালী করা উচিত। সরকারের রেমিট্যান্স আয় বাড়ানোর জন্য বিদেশ গমনের বাধা অপসারণ করে প্রক্রিয়া সহজ করা প্রয়োজন। আমাদের ওষুধ, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বাজার প্রসারিত করতে হবে। 

ওষুধ, সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য, বিস্কুট, শুকনো খাবার, ঢেউটিন ও জাহাজের মতো খাতগুলোকে আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত করা যায়। সফটওয়্যার খাতের ক্ষেত্রে এরই মধ্যে সব ধরনের সফটওয়্যার রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ ডিউটির বিষয়টি অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। সফটওয়্যার তৈরি করতে যেসব সফটওয়্যার লাগে সেগুলোর ডিউটি না কমালে এই খাত একটি বড় ধাক্কা খেতে পারে। 

ক্রসবর্ডার ই–কমার্সের জন্য ভিন্নতর নীতিমালা না হলে এই খাতে উন্নয়ন হবে না। এতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসে তা খুব নগণ্য হলেও এই খাতের ৭৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কিন্তু কমেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে এই খাতের উদ্যোক্তারা দেশে নানাবিধ সমস্যার কারণে অন্যত্র বিশেষ করে দুবাইতে তাঁদের ব্যবসা স্থানান্তর করা শুরু করেছেন। 

সম্প্রতি সাদা ইঁদুর রপ্তানির বিষয়ে অনুমতির একটি দাবি উঠেছে। আমার মনে হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় এটি করলে নতুন একটি রপ্তানি খাত হতে পারে। এটির উৎপাদন খরচ কম আর শীতপ্রধান দেশের চেয়ে আমাদের দেশে উৎপাদন হয় বেশি। অল্প জায়গাতেই খামার গড়ে তোলা সম্ভব। তাই এই বিষয়টিতে সরকারের নজর দেওয়া উচিত। 

বর্তমান বছরে মোটের ওপর ১০ শতাংশের মতো লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৭২ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেক খাতের উদ্যোক্তারা হাঁসফাঁস করছেন। অনেকে বিদ্যুৎ ঘাটতির কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন, এটা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। আবার দেখা যাবে, ডলারের দাম বাড়ার কারণে সেখানে হিসাবের ফেরে কিছু অগ্রগতি সূচক আকারে আসবে। তাই সব মিলিয়ে অসম্ভব নয় মোটেও। তবে সঠিক নীতিমালার অভাবে এবারও ক্রসবর্ডার ই–কমার্স থেকে কোনো ভালো স্কোর দেখা যাচ্ছে না। 

বৈশ্বিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতে পারে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে ইতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমন, আরএমজির ক্ষেত্রে আমরা যেসব পণ্য রপ্তানি করি তা বেসিক বা প্রয়োজনীয় ফলে অর্থনীতির মন্দাভাব এতে খুব প্রভাব ফেলে না। আবার দেখা যায় মন্দাভাবের কারণে কখনো কখনো বিক্রেতাকে কম উৎপাদন মূল্যের কারণে বাংলাদেশকে বেছে নিতে হয়। কিন্তু আমাদের রপ্তানি পণ্যের প্রবাহ খাতওয়ারি আরও মজবুত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। 

লেখক: নির্বাহী পরিচালক, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত