কাজি সুমাইয়া
আমি এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে সব মানুষ সমান সুযোগ পাবে, অন্যায়-অবিচার থাকবে না, সবাই ন্যায্য অধিকার পাবে। ধনী-গরিবের মধ্যে বিশাল পার্থক্য থাকবে না, প্রত্যেকে তার প্রাপ্য সম্মান পাবে। উন্নত দেশ মানে শুধু বিল্ডিং, রাস্তা বা প্রযুক্তির অগ্রগতি নয়, বরং মানুষের জীবনের মানোন্নয়নই আসল উন্নয়ন। আমি চাই, এমন একটি দেশ, যেখানে প্রত্যেক নাগরিক শান্তিতে, নিরাপদে এবং সুখে বসবাস করতে পারবে।
আমি চাই, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত হোক। শহরের সঙ্গে গ্রামের স্কুলগুলোর মান যেন একই রকম হয়। মুখস্থভিত্তিক পড়াশোনার বদলে বাস্তবজীবনে কাজে লাগানো যায় এমন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হোক। প্রতিটি শিশুর জন্য বিনা মূল্যে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা হোক। শিক্ষকেরা ভালো প্রশিক্ষণ পাবেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ থাকবে। শিক্ষার্থীরা চাকরির জন্য তৈরি হবে, পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যও উপযুক্ত হবে।
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীও দেশের জন্য তেমন উপকারে আসে না। আমি চাই, দেশে পর্যাপ্ত চাকরির সুযোগ তৈরি হোক। এমন ব্যবস্থা করা হোক, যাতে একজন তরুণ পড়াশোনা শেষ করে বছরের পর বছর চাকরির অপেক্ষায় না থাকে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করবে। শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে, তরুণেরা যেন উদ্যোক্তা হতে পারে, সে জন্য সহজ শর্তে ঋণ, প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
আইনের শাসন ছাড়া একটি দেশ কখনোই শান্তিপূর্ণ হতে পারে না। আমি চাই, দেশে শক্তিশালী ও কার্যকর বিচারব্যবস্থা থাকুক। অপরাধী যত ক্ষমতাশালী হোক না কেন, সে আইনের বাইরে থাকবে না। দুর্নীতি, ঘুষ, বিচারহীনতা পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে। কোনো সাধারণ মানুষকে যেন ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর আদালতে ঘুরতে না হয়। পুলিশ ও প্রশাসন হবে জনবান্ধব, যাতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।
পরিবেশ সংরক্ষণ ছাড়া উন্নয়ন কখনোই টেকসই হয় না। আমি চাই, দেশের বনজ সম্পদ রক্ষা হোক। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের বনভূমি সংরক্ষণের জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সুন্দরবন, চট্টগ্রামের পাহাড়ি বন এবং অন্যান্য সংরক্ষিত অঞ্চলের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা দরকার। নদী দখল, জলাশয় ভরাট পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। বায়ু ও পানি দূষণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শহরগুলো হতে হবে পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত, আর সবুজে ভরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নতুন বিপ্লব আনতে হবে।
খাদ্যে ভেজাল পুরোপুরি বন্ধ হোক। রাসায়নিকযুক্ত খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে, ক্যানসারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাজারের দুধ, ফলমূল, মাছ-মাংস, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যে ক্ষতিকর উপাদান মেশানো হচ্ছে। এসব বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরীক্ষা ও বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। যারা খাদ্যে ভেজাল মেশাবে, তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আমি চাই, নারীরা নির্ভয়ে বাইরে চলাফেরা করতে পারবে, কর্মক্ষেত্র হবে নিরাপদ। কর্মজীবনে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে। শিশুদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার না হয়। প্রবীণদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে তাঁরা অবহেলিত না হন।
দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও উন্নত হওয়া দরকার। আমি চাই, প্রত্যেক নাগরিক মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পাক। শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামেও উন্নত হাসপাতাল ও ক্লিনিক থাকবে। সরকারি হাসপাতালগুলোর মান উন্নত করতে হবে, ওষুধ ও চিকিৎসা সহজলভ্য করতে হবে। কেউ যেন টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে মারা না যায়। জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা আরও দ্রুত ও কার্যকর করতে হবে।
আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করা জরুরি। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি, গান, কবিতা, সাহিত্য, নাটক বিশ্বদরবারে আরও পরিচিত হোক। শুধু পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরশীল না থেকে প্রযুক্তি, গবেষণা, বিজ্ঞান, কৃষি—সব ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের দেশ বিশ্বমানের প্রযুক্তি, সফটওয়্যার, রোবোটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রগামী হবে।
এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে হলে শুধু সরকার নয়, আমাদের প্রতিটি নাগরিককেও সচেতন হতে হবে। সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে, দেশের সম্পদ রক্ষা করতে হবে। আমরা যদি দায়িত্বশীল হই, তাহলে দেশ দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।
আজ স্বাধীনতা দিবসে আমি চাই, বাংলাদেশ হোক উন্নত, সুন্দর, মানবিক আর ভালোবাসায় ভরা এক দেশ। যেখানে মানুষ শুধু স্বপ্ন দেখবে না, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে পারবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, কবি নজরুল সরকারি কলেজ
আমি এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে সব মানুষ সমান সুযোগ পাবে, অন্যায়-অবিচার থাকবে না, সবাই ন্যায্য অধিকার পাবে। ধনী-গরিবের মধ্যে বিশাল পার্থক্য থাকবে না, প্রত্যেকে তার প্রাপ্য সম্মান পাবে। উন্নত দেশ মানে শুধু বিল্ডিং, রাস্তা বা প্রযুক্তির অগ্রগতি নয়, বরং মানুষের জীবনের মানোন্নয়নই আসল উন্নয়ন। আমি চাই, এমন একটি দেশ, যেখানে প্রত্যেক নাগরিক শান্তিতে, নিরাপদে এবং সুখে বসবাস করতে পারবে।
আমি চাই, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত হোক। শহরের সঙ্গে গ্রামের স্কুলগুলোর মান যেন একই রকম হয়। মুখস্থভিত্তিক পড়াশোনার বদলে বাস্তবজীবনে কাজে লাগানো যায় এমন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হোক। প্রতিটি শিশুর জন্য বিনা মূল্যে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা হোক। শিক্ষকেরা ভালো প্রশিক্ষণ পাবেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ থাকবে। শিক্ষার্থীরা চাকরির জন্য তৈরি হবে, পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যও উপযুক্ত হবে।
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীও দেশের জন্য তেমন উপকারে আসে না। আমি চাই, দেশে পর্যাপ্ত চাকরির সুযোগ তৈরি হোক। এমন ব্যবস্থা করা হোক, যাতে একজন তরুণ পড়াশোনা শেষ করে বছরের পর বছর চাকরির অপেক্ষায় না থাকে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করবে। শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে, তরুণেরা যেন উদ্যোক্তা হতে পারে, সে জন্য সহজ শর্তে ঋণ, প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
আইনের শাসন ছাড়া একটি দেশ কখনোই শান্তিপূর্ণ হতে পারে না। আমি চাই, দেশে শক্তিশালী ও কার্যকর বিচারব্যবস্থা থাকুক। অপরাধী যত ক্ষমতাশালী হোক না কেন, সে আইনের বাইরে থাকবে না। দুর্নীতি, ঘুষ, বিচারহীনতা পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে। কোনো সাধারণ মানুষকে যেন ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর আদালতে ঘুরতে না হয়। পুলিশ ও প্রশাসন হবে জনবান্ধব, যাতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।
পরিবেশ সংরক্ষণ ছাড়া উন্নয়ন কখনোই টেকসই হয় না। আমি চাই, দেশের বনজ সম্পদ রক্ষা হোক। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের বনভূমি সংরক্ষণের জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সুন্দরবন, চট্টগ্রামের পাহাড়ি বন এবং অন্যান্য সংরক্ষিত অঞ্চলের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা দরকার। নদী দখল, জলাশয় ভরাট পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। বায়ু ও পানি দূষণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শহরগুলো হতে হবে পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত, আর সবুজে ভরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নতুন বিপ্লব আনতে হবে।
খাদ্যে ভেজাল পুরোপুরি বন্ধ হোক। রাসায়নিকযুক্ত খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে, ক্যানসারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাজারের দুধ, ফলমূল, মাছ-মাংস, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যে ক্ষতিকর উপাদান মেশানো হচ্ছে। এসব বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরীক্ষা ও বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। যারা খাদ্যে ভেজাল মেশাবে, তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আমি চাই, নারীরা নির্ভয়ে বাইরে চলাফেরা করতে পারবে, কর্মক্ষেত্র হবে নিরাপদ। কর্মজীবনে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে। শিশুদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার না হয়। প্রবীণদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে তাঁরা অবহেলিত না হন।
দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও উন্নত হওয়া দরকার। আমি চাই, প্রত্যেক নাগরিক মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা পাক। শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামেও উন্নত হাসপাতাল ও ক্লিনিক থাকবে। সরকারি হাসপাতালগুলোর মান উন্নত করতে হবে, ওষুধ ও চিকিৎসা সহজলভ্য করতে হবে। কেউ যেন টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে মারা না যায়। জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা আরও দ্রুত ও কার্যকর করতে হবে।
আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করা জরুরি। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি, গান, কবিতা, সাহিত্য, নাটক বিশ্বদরবারে আরও পরিচিত হোক। শুধু পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরশীল না থেকে প্রযুক্তি, গবেষণা, বিজ্ঞান, কৃষি—সব ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের দেশ বিশ্বমানের প্রযুক্তি, সফটওয়্যার, রোবোটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রগামী হবে।
এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে হলে শুধু সরকার নয়, আমাদের প্রতিটি নাগরিককেও সচেতন হতে হবে। সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে, দেশের সম্পদ রক্ষা করতে হবে। আমরা যদি দায়িত্বশীল হই, তাহলে দেশ দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।
আজ স্বাধীনতা দিবসে আমি চাই, বাংলাদেশ হোক উন্নত, সুন্দর, মানবিক আর ভালোবাসায় ভরা এক দেশ। যেখানে মানুষ শুধু স্বপ্ন দেখবে না, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে পারবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, কবি নজরুল সরকারি কলেজ
কয়েক দিন ধরেই সেনাবাহিনী নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) নামক অপর একটি দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান...
১৪ ঘণ্টা আগেএখনই রাজনীতির মাঠের উত্তাপ বাড়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। সম্ভাব্য নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা যত বাড়তে থাকবে এবং রাজনীতির মাঠের উত্তাপ ততই বেশি করে অনুভূত হতে থাকবে। এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে। তবে নির্বাচনের সময়সূচি...
১৫ ঘণ্টা আগেআমরা সবাই পাপী; আপন পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি—কাজী নজরুল ইসলামের এই পঙ্ক্তিটি আমাদের সমাজের চিরন্তন বাস্তবতার নগ্ন প্রতিচিত্র। সময়ের পরিক্রমায় সভ্যতার অগ্রগতি হয়েছে, মানুষ বিজ্ঞানের চূড়ান্ত উৎকর্ষে পৌঁছেছে...
১৫ ঘণ্টা আগেএসপি হতে পারেন তিনি। কিন্তু এ কথা তো সত্য, তিনি চলেন জনগণের করের টাকায়। যে দেশে বাস করেন, সে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে অপমান করেও দিব্যি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে