ফারহানা মিলি
সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে অবশ্যই। কিন্তু সরকারেরই একাংশের তরফ থেকে করোনা-বিজয়ের মেসেজ যাওয়ায় ‘ভুল’ আনন্দে বিভোর জনগণের বড় অংশ যখন মাস্ক ছেড়ে খুল্লামখুল্লা চলতে শুরু করেছিলেন, তখনই হঠাৎ ‘ধামাকা’ এটা। কিন্তু লকডাউন বা সাধারণ ছুটি, গত বছরের সেটি এবং এ-বছরের এটি, দুটোর ক্ষেত্রেই সমন্বয়হীনতা প্রকট দেখছি। আর এর ফলে জনদুর্ভোগ আবারও চরমে।
কদিন আগেই গণপরিবহনের ভাড়া হুট করে বাড়িয়ে পঞ্চাশ শতাংশ আসন নিয়ে যানবাহন চালানোর আদেশ দেওয়া হলো। ঢাকায় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আদালত, মার্কেট খোলা থাকার পর— নানা ধরনের কার্যক্রম পুরোদমে চালু রাখার সময় কীভাবে এমন আদেশ এলো কে জানে!
সেই সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হলো রাইড-শেয়ারিং মোটর সাইকেল সার্ভিস। প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যার এই শহরে কোভিড-উনিশের প্রথম ধাক্কায় কিছু মানুষ স্থায়ীভাবেই হয়তো ঢাকা ছেড়েছেন। কিন্তু বিপুলসংখ্যক ফিরেও এসেছেন। রুটি-রুজির চিন্তায় এত মানুষের রোজকার চলাফেরার কী হাল হতে পারে তাতে, সেটা ভেবে সিদ্ধান্ত আসেনি তা বোঝাই যায়।
লকডাউন শুরু হবে বলে জরুরি কেনাকাটার জন্য ৪ এপ্রিল বাসার কাছের এক শপিং মলে যেতে হয়েছিল। বিভ্রান্ত দিশেহারা দোকানিরা যখন জানতে চাইছিলেন, ‘নববর্ষ আর ঈদেই তো সব কেনাবেচা, কী হবে আমাদের? সরকারের সিদ্ধান্ত মেনেই নাগরিকদের চলতে হবে। কিন্তু বইমেলা কেন খোলা রইল তবে’?
সাধারণ ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের এই অসহায়ত্বের কী জবাব জানি না। মার্কেট বা শপিংমলেই বিক্রি হয় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। সব বন্ধের এই সময়ে বইমেলা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, ক্ষোভ ও অবিশ্বাস তৈরি করতে যথেষ্ট বলে মনে করি। সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলে দেওয়া হলো, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি লোকবল দিয়ে চালাতে হবে। তা-ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব হলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের অফিসে আনা-নেওয়া। কিন্তু ৫ এপ্রিল সকাল থেকেই শুনতে পাচ্ছি স্বজন-পরিচিত সব মহলের অফিসযাত্রীদের চরম ভোগান্তির খবর। পত্রপত্রিকার খবরও তাই।
অফিসগুলো সরকারের নির্দেশনার কোনোটিই মানবে কিনা সন্দেহ। লোকবল কমিয়ে, তাদেরকেও নিজ দায়িত্বে অফিসে আনা-নেওয়ার নির্দেশনা অফিসগুলো অনুসরণ না করলে কী ব্যবস্থা? আমরা হয়তো ভুলেই যাই যে, এই নগরের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে একটি বৃহৎ সাধারণ শ্রমজীবী ও নিম্ন-আয়ের নিম্ন-পেশাজীবী মানুষ। তারা সব হিসাব-নিকাশেই ব্রাত্য। কেবল পেটে-ভাতে চলতে পারার মতো আয় করতে পারেন বলেই এই নগরের বুকে তাদের ঠাঁই নেওয়া। কিন্তু সেজন্যই এই নগরের এত জৌলুসও জারি থাকে। চারপাশে কান পাতলে শুনতে পাচ্ছি কত-কতজন নিজেরাই কোভিড-আক্রান্ত; কারও-বা স্বজন-বন্ধু-প্রতিবেশির আক্রান্ত হবার ও মৃত্যুর খবর। গত বছর এটা ছিল অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগেই ঢাল-তলোয়ার নিয়ে তৈরি থাকা উচিত ছিল। বিশেষত পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির এই দেশে।
সেটি হলো না বলে আবারও অনিশ্চয়তা, হতাশা, অবিশ্বাসের সঙ্গে মৃত্যু-আতঙ্কের দোলাচলে মানুষ।
সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে অবশ্যই। কিন্তু সরকারেরই একাংশের তরফ থেকে করোনা-বিজয়ের মেসেজ যাওয়ায় ‘ভুল’ আনন্দে বিভোর জনগণের বড় অংশ যখন মাস্ক ছেড়ে খুল্লামখুল্লা চলতে শুরু করেছিলেন, তখনই হঠাৎ ‘ধামাকা’ এটা। কিন্তু লকডাউন বা সাধারণ ছুটি, গত বছরের সেটি এবং এ-বছরের এটি, দুটোর ক্ষেত্রেই সমন্বয়হীনতা প্রকট দেখছি। আর এর ফলে জনদুর্ভোগ আবারও চরমে।
কদিন আগেই গণপরিবহনের ভাড়া হুট করে বাড়িয়ে পঞ্চাশ শতাংশ আসন নিয়ে যানবাহন চালানোর আদেশ দেওয়া হলো। ঢাকায় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আদালত, মার্কেট খোলা থাকার পর— নানা ধরনের কার্যক্রম পুরোদমে চালু রাখার সময় কীভাবে এমন আদেশ এলো কে জানে!
সেই সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হলো রাইড-শেয়ারিং মোটর সাইকেল সার্ভিস। প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যার এই শহরে কোভিড-উনিশের প্রথম ধাক্কায় কিছু মানুষ স্থায়ীভাবেই হয়তো ঢাকা ছেড়েছেন। কিন্তু বিপুলসংখ্যক ফিরেও এসেছেন। রুটি-রুজির চিন্তায় এত মানুষের রোজকার চলাফেরার কী হাল হতে পারে তাতে, সেটা ভেবে সিদ্ধান্ত আসেনি তা বোঝাই যায়।
লকডাউন শুরু হবে বলে জরুরি কেনাকাটার জন্য ৪ এপ্রিল বাসার কাছের এক শপিং মলে যেতে হয়েছিল। বিভ্রান্ত দিশেহারা দোকানিরা যখন জানতে চাইছিলেন, ‘নববর্ষ আর ঈদেই তো সব কেনাবেচা, কী হবে আমাদের? সরকারের সিদ্ধান্ত মেনেই নাগরিকদের চলতে হবে। কিন্তু বইমেলা কেন খোলা রইল তবে’?
সাধারণ ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের এই অসহায়ত্বের কী জবাব জানি না। মার্কেট বা শপিংমলেই বিক্রি হয় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। সব বন্ধের এই সময়ে বইমেলা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, ক্ষোভ ও অবিশ্বাস তৈরি করতে যথেষ্ট বলে মনে করি। সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলে দেওয়া হলো, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি লোকবল দিয়ে চালাতে হবে। তা-ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব হলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের অফিসে আনা-নেওয়া। কিন্তু ৫ এপ্রিল সকাল থেকেই শুনতে পাচ্ছি স্বজন-পরিচিত সব মহলের অফিসযাত্রীদের চরম ভোগান্তির খবর। পত্রপত্রিকার খবরও তাই।
অফিসগুলো সরকারের নির্দেশনার কোনোটিই মানবে কিনা সন্দেহ। লোকবল কমিয়ে, তাদেরকেও নিজ দায়িত্বে অফিসে আনা-নেওয়ার নির্দেশনা অফিসগুলো অনুসরণ না করলে কী ব্যবস্থা? আমরা হয়তো ভুলেই যাই যে, এই নগরের সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে একটি বৃহৎ সাধারণ শ্রমজীবী ও নিম্ন-আয়ের নিম্ন-পেশাজীবী মানুষ। তারা সব হিসাব-নিকাশেই ব্রাত্য। কেবল পেটে-ভাতে চলতে পারার মতো আয় করতে পারেন বলেই এই নগরের বুকে তাদের ঠাঁই নেওয়া। কিন্তু সেজন্যই এই নগরের এত জৌলুসও জারি থাকে। চারপাশে কান পাতলে শুনতে পাচ্ছি কত-কতজন নিজেরাই কোভিড-আক্রান্ত; কারও-বা স্বজন-বন্ধু-প্রতিবেশির আক্রান্ত হবার ও মৃত্যুর খবর। গত বছর এটা ছিল অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগেই ঢাল-তলোয়ার নিয়ে তৈরি থাকা উচিত ছিল। বিশেষত পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির এই দেশে।
সেটি হলো না বলে আবারও অনিশ্চয়তা, হতাশা, অবিশ্বাসের সঙ্গে মৃত্যু-আতঙ্কের দোলাচলে মানুষ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’ সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরদিন থেকেই বিভিন্ন মহল সরকারের কাছে নানা দাবিদাওয়া উত্থাপন করে আসছে। এসব দাবিদাওয়া আদায়ের কৌশল হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সচিবালয়, শিক্ষা বোর্ডসহ রাষ্ট্রীয় দপ্তর, রাজপথ ইত্যাদি ঘেরাওয়ের একটি প্রবণতাও বেশ জোরেশোরেই লক্ষ করা যাচ্ছে
১৮ ঘণ্টা আগেবিরোধী দলবিহীন দুটি ভোট ও একটি নৈশ ভোটের ‘বিশাল জয়ে’ তৃপ্তির ঢেকুর তুলে শেখ হাসিনা দিব্যি কর্তৃত্ববাদী পন্থায় এবং এক ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে সরকার পরিচালনা করে আসছিলেন। আর পারিষদবর্গ ছিলেন স্তুতিতে মুখর। একদিকে তাঁদের ছিল জেদ ও দম্ভ, অন্যদিকে বিত্তশালী হয়ে ওঠার আলাদিনের চেরাগ। মানুষের...
১৮ ঘণ্টা আগেওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান এক সংগীত আবহে বড় হয়েছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবারের সদস্য তিনি। সেই ধারা তাঁরা এখনো বজায় রেখে চলছেন। তাঁর বাবা ওস্তাদ আবেদ হোসেন খান...
১৯ ঘণ্টা আগে