ড. দাউদ আবদুল্লাহ
ইসরায়েল যে অসংখ্য অপরাধের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছে, তার মধ্যে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা অন্যতম নৃশংস হিসেবে বিবেচিত। সময়ের পরিক্রমায় এই নিষ্পাপ শিশুদের হত্যার স্মৃতি মুছে যায়নি। এই তালিকায় রয়েছে ২০০০ সালে বাবার কোলে আশ্রয় নেওয়া ১২ বছর বয়সী মুহাম্মদ আল-দুররা এবং ২০২৪ সালে ৫ বছর বয়সী হিন্দ রজব হত্যাকাণ্ড, যে কিনা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া একটি গাড়িতে তার নিহত আত্মীয়দের পাশে বসে সাহায্যের জন্য আকুতি জানিয়েছিল। এরা কেবল হিমশৈলের সামান্য এক অংশ মাত্র।
২০২৫ সালের শুরু থেকে ইসরায়েলের দখলদার সেনাবাহিনী তাদের নৃশংস অভিযানকে একপ্রকার শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউ) নিশ্চিত করেছে যে গাজায় প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একজন শিশু নিহত হচ্ছে। গত দেড় বছরে প্রতিদিন গড়ে ৩০ শিশু নিহত হয়েছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েল অন্তত ১৭ হাজার ৪০০ শিশুকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬০০-এর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও হাজার হাজার শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে—তাদের বাড়ি, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর। গত মার্চ থেকে আবার আগ্রাসন শুরু করার পর ইউনিসেফের তথ্যমতে গাজায় ৩০০-এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
এই পরিসংখ্যানগুলো যেকোনো কিছুর চেয়েও স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়, গাজার সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েল পূর্বপরিকল্পিতভাবে গণবিনাশের নীতির দিকে চলেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি শিশু। বর্তমান প্রজন্ম কখনো স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি; তারা যা কিছু জেনেছে তা হলো দমন-পীড়ন ও দখলদার সেনাবাহিনী পরিচালিত একের পর এক যুদ্ধ।
তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগেও ফিলিস্তিনিদের জীবন কোনোভাবেই সুখের ছিল না। গাজার জনগণের জন্য জীবন ছিল সব সময়ই নরকতুল্য ও নির্মম। ১৭ বছরের অবরোধ গাজার যুবসমাজকে এমন এক পর্যায়ে ঠেলে দিয়েছিল, যেখানে তাদের সামনে একমাত্র পথ ছিল প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং এমন কিছু করা, যা বিশ্ব বিবেককে তার ইচ্ছাঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে পারে। সুতরাং ৭ অক্টোবরের ঘটনা ছিল বছরের পর বছর বঞ্চনার একটি অনিবার্য পরিণতি। তবু ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা ‘অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’-এর সূচনাকে ঘিরে এমনভাবে অবাক হওয়ার ভান করেছিল, যেন তারা আগে থেকে কোনো কিছু জানত না—যদিও তাদের বারবার সতর্ক করা হয়েছিল যে এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে পারে না।
২০০৩ সালে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সাবেক স্পিকার (১৯৯৯-২০০৩) এবং ইসরায়েলি ইহুদি এজেন্সির সাবেক চেয়ারম্যান আব্রাহাম বুর্গ সতর্ক করে দিয়েছিলেন: ‘ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনিদের শিশুদের নিয়ে আর চিন্তা না করে, তাহলে আশ্চর্য হওয়া উচিত হবে না, যখন তারা ঘৃণায় ভর করে উঠে দাঁড়াবে ও ফিরে আসবে। আর ইসরায়েলিদের বিলাসবহুল জীবনের কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেবে।’
আরও চিন্তাভাবনা করে আব্রাহাম বুর্গ যোগ করেছিলেন: ‘আমরা প্রতিদিন হাজার জন নেতাকে হত্যা করতে পারি, তবে তাতেও কোনো কিছুই সমাধান হবে না। কারণ এই নেতারা উঠে আসে নিচ থেকে—ঘৃণা ও ক্রোধের উৎস থেকে, অন্যায় ও নৈতিক দুর্নীতির “অবকাঠামো” থেকে।’
নিঃসন্দেহে, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই কথাগুলো শুনেছেন বা পড়েছেন। তিনি তখন দেশটির অর্থমন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৯৯ সালে নেতানিয়াহু নিজের প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ করেছিলেন। ইসরায়েলি রাজনীতিতে নেতানিয়াহুর মতো দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব বিস্তারকারী আর কেউ নেই। তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবন নিবেদিত হয়েছে ইহুদি আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার সম্পূর্ণরূপে দমন করার লক্ষ্যে।
সবকিছুরই শেষ আছে এবং নেতানিয়াহুর স্বৈরশাসনেরও অবসান ঘনিয়ে আসছে—গৌরবের আলোয় নয়, বরং অপমান ও কলঙ্কের গভীর অন্ধকারে। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একজন অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ওয়ারেন্টভুক্ত এবং একই সঙ্গে নিজ দেশের আদালতেও নানা অভিযোগে—প্রতারণা, ঘুষ, আস্থাভঙ্গসহ গুরুতর অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি। দ্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এবং নিজ দেশেও হয়তো তাঁকে দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটাতে হবে।
সম্ভবত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর জন্য একমাত্র ‘উদ্ধারসূত্র’ হলো গাজায় তাঁর ঘোষিত ‘পূর্ণ বিজয়’-এর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, যদিও এর অর্থ হয় সাধারণ জনগণের ওপর সামগ্রিক শাস্তি চাপানো এবং শিশুদের ধারাবাহিকভাবে হত্যা করা। আর এই অপরাধগুলোর দায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যাবে না। যারা এই অপরাধের পরিকল্পনা করেছে, সহযোগিতা ও বাস্তবায়নে অংশ নিয়েছে, তাদের সবাইকেই একদিন জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।
আর একটুখানি ভাবুন গাজার গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের নিয়ে। নিঃসন্দেহে তারা দখলদারদের কাছে গোলাপ পাঠাবে না, কিংবা তাদের প্রশংসা করে গান গাইবে না। পূর্বসূরিদের মতো তারাও দখলদারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে—সেই দখলদারত্ব, যা তাদের সৈন্যদের ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করে প্রতিযোগিতা ও মুনাফা অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে।
যেখানে ‘মুক্ত বিশ্ব’-এর আত্মতুষ্ট নেতারা নিয়মিতভাবে ইউক্রেনীয় শিশুদের হত্যার নিন্দা জানাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান, তাঁদের প্রশ্ন করা উচিত—আপনারা কি ফিলিস্তিনি শিশুদের দখলকৃত ভূমিতে সংঘটিত গণহত্যা দেখেননি বা শোনেননি? তখন আপনারা কোথায় ছিলেন?
একজন ইসরায়েলি বাবা ইৎজাক ফ্রাঙ্কেনথালের মতে, ‘এটি বিকৃত ভণ্ডামিই, যা ফিলিস্তিনিদের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে ঠেলে দেয়। এটা হলো আমাদের সেই দ্বিমুখী নীতি, যা আমাদেরকে আমাদের সর্বোচ্চ সামরিক নৈতিকতা নিয়ে গর্ব করার সুযোগ দেয়, অথচ সেই একই সেনাবাহিনী নির্দোষ শিশুদের হত্যা করে।’
ড. দাউদ আবদুল্লাহ,পরিচালক, মিডল ইস্ট মনিটর
(মিডল ইস্ট মনিটরে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
ইসরায়েল যে অসংখ্য অপরাধের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছে, তার মধ্যে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা অন্যতম নৃশংস হিসেবে বিবেচিত। সময়ের পরিক্রমায় এই নিষ্পাপ শিশুদের হত্যার স্মৃতি মুছে যায়নি। এই তালিকায় রয়েছে ২০০০ সালে বাবার কোলে আশ্রয় নেওয়া ১২ বছর বয়সী মুহাম্মদ আল-দুররা এবং ২০২৪ সালে ৫ বছর বয়সী হিন্দ রজব হত্যাকাণ্ড, যে কিনা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া একটি গাড়িতে তার নিহত আত্মীয়দের পাশে বসে সাহায্যের জন্য আকুতি জানিয়েছিল। এরা কেবল হিমশৈলের সামান্য এক অংশ মাত্র।
২০২৫ সালের শুরু থেকে ইসরায়েলের দখলদার সেনাবাহিনী তাদের নৃশংস অভিযানকে একপ্রকার শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউ) নিশ্চিত করেছে যে গাজায় প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একজন শিশু নিহত হচ্ছে। গত দেড় বছরে প্রতিদিন গড়ে ৩০ শিশু নিহত হয়েছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েল অন্তত ১৭ হাজার ৪০০ শিশুকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬০০-এর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও হাজার হাজার শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে—তাদের বাড়ি, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর। গত মার্চ থেকে আবার আগ্রাসন শুরু করার পর ইউনিসেফের তথ্যমতে গাজায় ৩০০-এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
এই পরিসংখ্যানগুলো যেকোনো কিছুর চেয়েও স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়, গাজার সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েল পূর্বপরিকল্পিতভাবে গণবিনাশের নীতির দিকে চলেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি শিশু। বর্তমান প্রজন্ম কখনো স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি; তারা যা কিছু জেনেছে তা হলো দমন-পীড়ন ও দখলদার সেনাবাহিনী পরিচালিত একের পর এক যুদ্ধ।
তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগেও ফিলিস্তিনিদের জীবন কোনোভাবেই সুখের ছিল না। গাজার জনগণের জন্য জীবন ছিল সব সময়ই নরকতুল্য ও নির্মম। ১৭ বছরের অবরোধ গাজার যুবসমাজকে এমন এক পর্যায়ে ঠেলে দিয়েছিল, যেখানে তাদের সামনে একমাত্র পথ ছিল প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং এমন কিছু করা, যা বিশ্ব বিবেককে তার ইচ্ছাঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে পারে। সুতরাং ৭ অক্টোবরের ঘটনা ছিল বছরের পর বছর বঞ্চনার একটি অনিবার্য পরিণতি। তবু ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা ‘অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’-এর সূচনাকে ঘিরে এমনভাবে অবাক হওয়ার ভান করেছিল, যেন তারা আগে থেকে কোনো কিছু জানত না—যদিও তাদের বারবার সতর্ক করা হয়েছিল যে এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে পারে না।
২০০৩ সালে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সাবেক স্পিকার (১৯৯৯-২০০৩) এবং ইসরায়েলি ইহুদি এজেন্সির সাবেক চেয়ারম্যান আব্রাহাম বুর্গ সতর্ক করে দিয়েছিলেন: ‘ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনিদের শিশুদের নিয়ে আর চিন্তা না করে, তাহলে আশ্চর্য হওয়া উচিত হবে না, যখন তারা ঘৃণায় ভর করে উঠে দাঁড়াবে ও ফিরে আসবে। আর ইসরায়েলিদের বিলাসবহুল জীবনের কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেবে।’
আরও চিন্তাভাবনা করে আব্রাহাম বুর্গ যোগ করেছিলেন: ‘আমরা প্রতিদিন হাজার জন নেতাকে হত্যা করতে পারি, তবে তাতেও কোনো কিছুই সমাধান হবে না। কারণ এই নেতারা উঠে আসে নিচ থেকে—ঘৃণা ও ক্রোধের উৎস থেকে, অন্যায় ও নৈতিক দুর্নীতির “অবকাঠামো” থেকে।’
নিঃসন্দেহে, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই কথাগুলো শুনেছেন বা পড়েছেন। তিনি তখন দেশটির অর্থমন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৯৯ সালে নেতানিয়াহু নিজের প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ করেছিলেন। ইসরায়েলি রাজনীতিতে নেতানিয়াহুর মতো দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব বিস্তারকারী আর কেউ নেই। তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবন নিবেদিত হয়েছে ইহুদি আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার সম্পূর্ণরূপে দমন করার লক্ষ্যে।
সবকিছুরই শেষ আছে এবং নেতানিয়াহুর স্বৈরশাসনেরও অবসান ঘনিয়ে আসছে—গৌরবের আলোয় নয়, বরং অপমান ও কলঙ্কের গভীর অন্ধকারে। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একজন অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ওয়ারেন্টভুক্ত এবং একই সঙ্গে নিজ দেশের আদালতেও নানা অভিযোগে—প্রতারণা, ঘুষ, আস্থাভঙ্গসহ গুরুতর অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি। দ্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এবং নিজ দেশেও হয়তো তাঁকে দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটাতে হবে।
সম্ভবত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর জন্য একমাত্র ‘উদ্ধারসূত্র’ হলো গাজায় তাঁর ঘোষিত ‘পূর্ণ বিজয়’-এর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, যদিও এর অর্থ হয় সাধারণ জনগণের ওপর সামগ্রিক শাস্তি চাপানো এবং শিশুদের ধারাবাহিকভাবে হত্যা করা। আর এই অপরাধগুলোর দায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যাবে না। যারা এই অপরাধের পরিকল্পনা করেছে, সহযোগিতা ও বাস্তবায়নে অংশ নিয়েছে, তাদের সবাইকেই একদিন জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।
আর একটুখানি ভাবুন গাজার গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের নিয়ে। নিঃসন্দেহে তারা দখলদারদের কাছে গোলাপ পাঠাবে না, কিংবা তাদের প্রশংসা করে গান গাইবে না। পূর্বসূরিদের মতো তারাও দখলদারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে—সেই দখলদারত্ব, যা তাদের সৈন্যদের ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করে প্রতিযোগিতা ও মুনাফা অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে।
যেখানে ‘মুক্ত বিশ্ব’-এর আত্মতুষ্ট নেতারা নিয়মিতভাবে ইউক্রেনীয় শিশুদের হত্যার নিন্দা জানাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান, তাঁদের প্রশ্ন করা উচিত—আপনারা কি ফিলিস্তিনি শিশুদের দখলকৃত ভূমিতে সংঘটিত গণহত্যা দেখেননি বা শোনেননি? তখন আপনারা কোথায় ছিলেন?
একজন ইসরায়েলি বাবা ইৎজাক ফ্রাঙ্কেনথালের মতে, ‘এটি বিকৃত ভণ্ডামিই, যা ফিলিস্তিনিদের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে ঠেলে দেয়। এটা হলো আমাদের সেই দ্বিমুখী নীতি, যা আমাদেরকে আমাদের সর্বোচ্চ সামরিক নৈতিকতা নিয়ে গর্ব করার সুযোগ দেয়, অথচ সেই একই সেনাবাহিনী নির্দোষ শিশুদের হত্যা করে।’
ড. দাউদ আবদুল্লাহ,পরিচালক, মিডল ইস্ট মনিটর
(মিডল ইস্ট মনিটরে প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
দেশের সংবিধান, পুলিশ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নানা আলাপ হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারেরই গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৫ ঘণ্টা আগেঈশ্বরকে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমরা। এ কারণে মানবদেহ থাকলেও মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নেই কিংবা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই, যদিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি এখানে আসার কথা ছিল না। শব্দটি প্রযোজ্য নয় এখানে। কিন্তু জন্ম, মৃত্যু ও ধর্মকে পুঁজি করে এক অদৃশ্য নাগপাশে বাঁধা পড়ে
১৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক অংশ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়; বিচার বিভাগে সংস্কার, হাসিনা সরকারের হত্যা-নির্যাতন, গুম-খুন ও দুর্নীতির বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষকরণসহ নানা
১৬ ঘণ্টা আগেঢাকা শহরে পরিবহনের অব্যবস্থাপনার কারণে নগরবাসী কাহিল অনেক আগে থেকেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকারের কিছু উদ্যোগ গ্রহণের কারণে মানুষ আশার আলো দেখতে পেলেও সময়ের সঙ্গে সেই আশাও নিরাশায় পরিণত হয়েছে। মূলত পরিবহনমালিক ও নেতাদের অসহযোগিতার কারণে
১৬ ঘণ্টা আগে