কাজী আহমদ পারভেজ
৪ আগস্ট দেশের সব শীর্ষ জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রধান একটি শিরোনাম ছিল: ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগে’ পরীমণির বাসায় র্যাবের অভিযান। অভিযোগের অনুষঙ্গ তিনটি: ১. অভিযোগকারী, ২. অভিযোগের বিষয়বস্তু, ৩. অভিযুক্ত।
এর পর বেশ অনেক দিন কেটে গেছে। এত দিনে আমরা শুধুই জানি, অভিযুক্ত কে। অথচ, অভিযোগকারী কে কিংবা অভিযোগের বিষয়বস্তু কী—আমরা কেউ সেসব জানি না।
স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, সুনির্দিষ্ট তো দূরের কথা, আসলেই কি ন্যূনতম কোনো অভিযোগ ছিল, সেই অভিযান পরিচালনার? নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে (হতে পারে হয়রানি করতে) অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছিল ক্ষমতাবান কারও প্ররোচনায়। তারপর সেটাকে অভিযান হিসেবে জাস্টিফাই করতে মদ-মাদক ইত্যাদি সামনে আনা হয়েছে?
আচ্ছা, ‘অভিযান’ জিনিসটা কী? ইংরেজিতে যাকে অপারেশন বলে, সেটাই তো, তাই না? তা যদি হয়, আমরা সবাই জানি, সেটা পরিচালনা করা হয়, সম বা কাছাকাছি শক্তির কোনো এক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
র্যাব হলো একটি ‘এলিট ফোর্স’। যার অর্থ, তারা আর ১০টা অর্ডিনারি ফোর্সের মতো নয়। র্যাব গঠনের সময়েই শোনা গিয়েছিল, তাদের গড়ে তোলা হয়েছে জলে-স্থলে-অন্তরিক্ষে অভিযান চালিয়ে কঠিনতম রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের ধরতে, যাদের কারও কারও ফায়ার পাওয়ার ও ইকুইপমেন্টের সক্ষমতা অন্যান্য (এলিট নন, এ রকম) বাহিনী থেকে বেশি, অন্তত কাছাকাছি।
এ রকম একটা ‘এলিট বাহিনী’ যখন পরীমণির বাসায় অভিযান চালায়, মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ‘কে এই পরীমণি?’ তিনি কি, ঘোরতর কোনো রাষ্ট্রবিরোধী? দুর্ধর্ষ কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বা জঙ্গি? নাকি কোনো কুখ্যাত ড্রাগ লর্ড বা ওয়ার লর্ড?
দুই সপ্তাহের ওপরে কেটে গেল, একাধিকবার পরীমণিকে রিমান্ডেও নেওয়া হলো। কিন্তু বাবা-মা মরা লেট টুয়েন্টিজের এক কর্মজীবী নারী ছাড়া পরীমণির আর কোনো ভয়ংকর পরিচিতি আজও খুঁজে পাওয়া গেল না। স্বাভাবিকভাবে তাই মনে প্রশ্ন জাগে, এলিট ফোর্সের ওই অভিযানের আসলেই কি কোনো দরকার ছিল? না থাকলে, তা করা হলো কেন? আর তা করার জন্য এলিট ফোর্স নিয়ে জনগণ যদি বীতশ্রদ্ধ হয়, তার দায় কার ওপরে বর্তায়?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘেঁটে পরীমণি সম্পর্কে কারও কারও পোস্টে যে অভিযোগগুলো পাওয়া যায়—
ক. পরীমণি মদ্যপানে অভ্যস্ত ছিলেন। দেশের কমপক্ষে ৩৫ লাখ মানুষ মদ্যপানে অভ্যস্ত। এ জন্য পরীমণির বাড়িতে ৪ ঘণ্টার অভিযান চললে কত দিন লাগবে বাকিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শেষ করতে? ১ হাজার ৬০০ বছর!
খ. পরীমণি মাদকাসক্ত ছিলেন? দেশের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এ জন্য পরীমণির বাড়ির মতো অভিযান চললে ৩ হাজার ৬০০ বছর লাগবে তা শেষ করতে।
গ. পরীমণি ‘নষ্টা’ ছিলেন। আপনি কীভাবে জানলেন, তিনি নষ্টা নাকি নষ্টা নন? আপনার কি তাঁর সঙ্গে ওঠাবসা ছিল? যদি না থাকে, না জেনে কথা বলা কি ঠিক? আর যদি থেকে থাকে, তিনি নষ্টা হলে, আপনি কী?
ঘ. পরীমণি একটি বিষবৃক্ষ ছিলেন। ওপরের ‘গ’-এর লেখাটা এখানেও প্রযোজ্য।
ঙ. বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পরীমণির সম্পর্ক ছিল। দেশের কোনো আইনে আছে, বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে একজন একা নারীর পারস্পরিক সম্মতিতে রোমান্টিক সম্পর্ক হতে পারবে না? না, এ রকম কোনো আইনের অস্তিত্ব এ দেশে নেই। তাই এ নিয়ে কোনো শৃংখলাবাহিনীর কিছুই করার নেই।
অভিনয়-চলচ্চিত্র এসবই হলো উচ্চমানের গোষ্ঠী শিল্প, সুকুমারবৃত্তি। অনেক সংগ্রাম করে, কঠোর পরিশ্রম করে, এ শিল্পের একজন মানুষ উৎকর্ষ অর্জন করেন। এই শিল্প লাখ লাখ মানুষের জীবিকা ও কোটি কোটি মানুষের বিনোদন দেয়। এ রকম একটি শিল্পের সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ একজনকে এভাবে অকারণে প্রকাশ্যে হিউমিলিয়েট করে কী বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে এই শিল্পে আগ্রহ থাকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে? তাঁরা কি এটাকে কোনো সম্মানজনক পেশা হিসেবে ভেবে, তা গ্রহণে উৎসাহ পাবেন? নাকি, শোনামাত্রই তা থেকে ১০০ হাত দূরে ছিটকে যাবেন?
আমি বলছি না, জনপ্রিয় ও গুণী অভিনয় শিল্পী বলেই পরীমণি সব দোষের ঊর্ধ্বে বা তিনি কোনো অন্যায় করতে পারেন না। সেটা তিনি অবশ্যই করতে পারেন। কিন্তু তা দেশের কোন আইনের কতটা পরিপন্থী, কতটা শাস্তিযোগ্য, অভিযোগকারী কে—এগুলো তো জানতে হবে।
ইচ্ছে হলো, আর প্রমাণ ছাড়াই মনগড়াভাবে বলে দিলাম, সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়ি পেল কোথায়? পরে তদন্ত করে পাওয়া গেল, সেটা কেনাই হয়নি।
ইচ্ছা হলেই বললাম, অমুক এমডি, তমুক চেয়ারম্যান এটা-সেটা দিয়েছেন। পরে দেখা গেল, তাঁদের সঙ্গে ন্যূনতম পরিচয়ও নেই। এগুলো কেমন কথা?
একজন নাগরিক কেন তাঁর নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন? তা যদি হন, ‘আইনের শাসন আছে’—এ কথা বলব কীভাবে?
পরীমণির মতো যারা ব্যক্তির ঊর্ধ্বে উঠে এক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করাটা কি অন্যায় আবদার হয়ে যাবে?
কাজী আহমদ পারভেজ: ফ্রিল্যান্স শিক্ষক ও গবেষক
৪ আগস্ট দেশের সব শীর্ষ জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রধান একটি শিরোনাম ছিল: ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগে’ পরীমণির বাসায় র্যাবের অভিযান। অভিযোগের অনুষঙ্গ তিনটি: ১. অভিযোগকারী, ২. অভিযোগের বিষয়বস্তু, ৩. অভিযুক্ত।
এর পর বেশ অনেক দিন কেটে গেছে। এত দিনে আমরা শুধুই জানি, অভিযুক্ত কে। অথচ, অভিযোগকারী কে কিংবা অভিযোগের বিষয়বস্তু কী—আমরা কেউ সেসব জানি না।
স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, সুনির্দিষ্ট তো দূরের কথা, আসলেই কি ন্যূনতম কোনো অভিযোগ ছিল, সেই অভিযান পরিচালনার? নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে (হতে পারে হয়রানি করতে) অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছিল ক্ষমতাবান কারও প্ররোচনায়। তারপর সেটাকে অভিযান হিসেবে জাস্টিফাই করতে মদ-মাদক ইত্যাদি সামনে আনা হয়েছে?
আচ্ছা, ‘অভিযান’ জিনিসটা কী? ইংরেজিতে যাকে অপারেশন বলে, সেটাই তো, তাই না? তা যদি হয়, আমরা সবাই জানি, সেটা পরিচালনা করা হয়, সম বা কাছাকাছি শক্তির কোনো এক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
র্যাব হলো একটি ‘এলিট ফোর্স’। যার অর্থ, তারা আর ১০টা অর্ডিনারি ফোর্সের মতো নয়। র্যাব গঠনের সময়েই শোনা গিয়েছিল, তাদের গড়ে তোলা হয়েছে জলে-স্থলে-অন্তরিক্ষে অভিযান চালিয়ে কঠিনতম রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের ধরতে, যাদের কারও কারও ফায়ার পাওয়ার ও ইকুইপমেন্টের সক্ষমতা অন্যান্য (এলিট নন, এ রকম) বাহিনী থেকে বেশি, অন্তত কাছাকাছি।
এ রকম একটা ‘এলিট বাহিনী’ যখন পরীমণির বাসায় অভিযান চালায়, মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ‘কে এই পরীমণি?’ তিনি কি, ঘোরতর কোনো রাষ্ট্রবিরোধী? দুর্ধর্ষ কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বা জঙ্গি? নাকি কোনো কুখ্যাত ড্রাগ লর্ড বা ওয়ার লর্ড?
দুই সপ্তাহের ওপরে কেটে গেল, একাধিকবার পরীমণিকে রিমান্ডেও নেওয়া হলো। কিন্তু বাবা-মা মরা লেট টুয়েন্টিজের এক কর্মজীবী নারী ছাড়া পরীমণির আর কোনো ভয়ংকর পরিচিতি আজও খুঁজে পাওয়া গেল না। স্বাভাবিকভাবে তাই মনে প্রশ্ন জাগে, এলিট ফোর্সের ওই অভিযানের আসলেই কি কোনো দরকার ছিল? না থাকলে, তা করা হলো কেন? আর তা করার জন্য এলিট ফোর্স নিয়ে জনগণ যদি বীতশ্রদ্ধ হয়, তার দায় কার ওপরে বর্তায়?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘেঁটে পরীমণি সম্পর্কে কারও কারও পোস্টে যে অভিযোগগুলো পাওয়া যায়—
ক. পরীমণি মদ্যপানে অভ্যস্ত ছিলেন। দেশের কমপক্ষে ৩৫ লাখ মানুষ মদ্যপানে অভ্যস্ত। এ জন্য পরীমণির বাড়িতে ৪ ঘণ্টার অভিযান চললে কত দিন লাগবে বাকিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শেষ করতে? ১ হাজার ৬০০ বছর!
খ. পরীমণি মাদকাসক্ত ছিলেন? দেশের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এ জন্য পরীমণির বাড়ির মতো অভিযান চললে ৩ হাজার ৬০০ বছর লাগবে তা শেষ করতে।
গ. পরীমণি ‘নষ্টা’ ছিলেন। আপনি কীভাবে জানলেন, তিনি নষ্টা নাকি নষ্টা নন? আপনার কি তাঁর সঙ্গে ওঠাবসা ছিল? যদি না থাকে, না জেনে কথা বলা কি ঠিক? আর যদি থেকে থাকে, তিনি নষ্টা হলে, আপনি কী?
ঘ. পরীমণি একটি বিষবৃক্ষ ছিলেন। ওপরের ‘গ’-এর লেখাটা এখানেও প্রযোজ্য।
ঙ. বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পরীমণির সম্পর্ক ছিল। দেশের কোনো আইনে আছে, বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে একজন একা নারীর পারস্পরিক সম্মতিতে রোমান্টিক সম্পর্ক হতে পারবে না? না, এ রকম কোনো আইনের অস্তিত্ব এ দেশে নেই। তাই এ নিয়ে কোনো শৃংখলাবাহিনীর কিছুই করার নেই।
অভিনয়-চলচ্চিত্র এসবই হলো উচ্চমানের গোষ্ঠী শিল্প, সুকুমারবৃত্তি। অনেক সংগ্রাম করে, কঠোর পরিশ্রম করে, এ শিল্পের একজন মানুষ উৎকর্ষ অর্জন করেন। এই শিল্প লাখ লাখ মানুষের জীবিকা ও কোটি কোটি মানুষের বিনোদন দেয়। এ রকম একটি শিল্পের সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ একজনকে এভাবে অকারণে প্রকাশ্যে হিউমিলিয়েট করে কী বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে এই শিল্পে আগ্রহ থাকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে? তাঁরা কি এটাকে কোনো সম্মানজনক পেশা হিসেবে ভেবে, তা গ্রহণে উৎসাহ পাবেন? নাকি, শোনামাত্রই তা থেকে ১০০ হাত দূরে ছিটকে যাবেন?
আমি বলছি না, জনপ্রিয় ও গুণী অভিনয় শিল্পী বলেই পরীমণি সব দোষের ঊর্ধ্বে বা তিনি কোনো অন্যায় করতে পারেন না। সেটা তিনি অবশ্যই করতে পারেন। কিন্তু তা দেশের কোন আইনের কতটা পরিপন্থী, কতটা শাস্তিযোগ্য, অভিযোগকারী কে—এগুলো তো জানতে হবে।
ইচ্ছে হলো, আর প্রমাণ ছাড়াই মনগড়াভাবে বলে দিলাম, সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়ি পেল কোথায়? পরে তদন্ত করে পাওয়া গেল, সেটা কেনাই হয়নি।
ইচ্ছা হলেই বললাম, অমুক এমডি, তমুক চেয়ারম্যান এটা-সেটা দিয়েছেন। পরে দেখা গেল, তাঁদের সঙ্গে ন্যূনতম পরিচয়ও নেই। এগুলো কেমন কথা?
একজন নাগরিক কেন তাঁর নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন? তা যদি হন, ‘আইনের শাসন আছে’—এ কথা বলব কীভাবে?
পরীমণির মতো যারা ব্যক্তির ঊর্ধ্বে উঠে এক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করাটা কি অন্যায় আবদার হয়ে যাবে?
কাজী আহমদ পারভেজ: ফ্রিল্যান্স শিক্ষক ও গবেষক
‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১ দিন আগেসদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নানা মাত্রিক আলোচনার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন: ‘গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’
১ দিন আগেতিন মাস পার হলো, আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলের অধীনে আছি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটেছে। অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছিল—সামাজিক সব বৈষম্যের অবসান ঘটবে, আমাদের সামগ্রিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হবে, প্রকৃত স্বাধীনতা..
১ দিন আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার নাছিয়াঘোনা এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে বোঝা যায় সেটি দুর্গম এলাকা। এ কারণেই সেখানে বসানো হয়েছিল ফাঁড়ি। কিন্তু ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের থানা ও ফাঁড়িগুলোয় যখন আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নুরু আলম নুরু নামের এক সন্ত্রাসীও সে সুযোগ নেন। তিনি পুলিশের ফাঁড়ি দখল করে...
১ দিন আগে