আব্দুর রাজ্জাক
আমাদের এই অঞ্চলের গ্রামের একটি প্রবাদ বাক্য আছে—পেটে খেলে পিঠে সয়। অর্থাৎ আপনি যদি কাউকে পেট ভরে ভাত দেন, তারপর যদি কোনো কাজ দেন, কোনো কাজের জন্য তাকে চাপ দেন অথবা বকাঝকা করেন, সে নির্দ্বিধায় এই কাজ করতে পারে। এখনো আমাদের দেশ কেমন চলছে, আমরা কেমন আছি, আমাদের সমাজব্যবস্থা কেমন চলছে, সবকিছুর মোটামুটি একটা নিয়ামক বা মাপকাঠি হচ্ছে—চালের দাম কেমন। ২০-২৫ বছর যাবৎ মানুষের জীবনযাত্রার মান কিছুটা উন্নতি হওয়ার জন্য এই চালের দাম নিয়ে তেমন একটা কথা বলতে শোনা যায়নি। যেমন আশির দশকের গোড়ার দিকে বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনের শ্রমিকশ্রেণি, খেতমজুর সমিতির আন্দোলন-সংগ্রাম হতো চালের দাম নিয়ে।
আমার মনে আছে, আশির দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতির একটি স্লোগান ছিল, একজন খেতমজুরের দৈনিক পরিশ্রম হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের দামের সমান। গত ১৫-২০ বছরে একজন মজুরের দৈনিক পারিশ্রমিক প্রায় ১০ কেজি চালের সমান হয়েছিল। এককথায় বলতে গেলে মানুষ অন্ততপক্ষে খাদ্যে স্বাবলম্বী হয়েছিল। মোটামুটি মোটা ভাত, তরকারি দিয়ে তিন বেলা খেতে পারত, আমাদের সার্বিক অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। রাষ্ট্র ধীরে ধীরে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। তবে মানুষের সার্বিক চাহিদার ঘাটতি ছিল। সেটা ছিল বাসস্থান, চিকিৎসা, যাতায়াতব্যবস্থা ও পরিবারের শিক্ষার মান উন্নয়ন। খাদ্যে তেমন একটা কষ্টে থাকেনি মানুষ।
বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, প্রথম দিকে মানুষ স্বাগত জানিয়েছিল। আপামর জনগণ আশা করেছিল, এবার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা, বাসস্থান ও শিক্ষারও যথাযথ একটা উন্নয়ন ঘটবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বলতেই হয়, আমাদের জীবনযাত্রার মান মানুষের এই আশায় ছাই দিয়ে নিম্নমুখী হয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত দুইবার ফসল তোলা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে আউশের ফলন হয়েছিল, নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমনের ফসল হয়েছে। বর্তমান সময়টাকে ধরা হয় ভরা মৌসুম। এই সময়ে আমাদের এই অঞ্চলে কোনো অভাব-অনটন থাকে না। সবার ঘরেই খাদ্য থাকে। কৃষকের ঘরে গোলাভরা ধান থাকে। মোটামুটি এই সময় মানুষ সবচেয়ে সুখে-শান্তিতে থাকে আমাদের এই পূর্ব বাংলায়। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে এই ভরা মৌসুমেও চালের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে প্রতি কেজিতে। রিকশাওয়ালা, দিনমজুর, কোনো বাড়ির দারোয়ান বা যেসব মানুষ ছোটখাটো ব্যবসা করে, যেমন ভ্যানে করে তরকারি বিক্রি করে, ঝুড়িতে করে কোনো পণ্য ফেরি করে, গ্রামগঞ্জে কাঁচামালের ব্যবসা করে, সেইসব মানুষের সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারবেন তাঁদের অসহায়ত্বের কথা।
মানুষ বলতে শুরু করেছে আগের সরকার ভালো ছিল, অথচ আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে মানুষ কতই না আশা নিয়ে এই সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছিল। মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা একেবারেই ধুলায় মিশে গেছে। এই প্রসঙ্গে একটি ছোট্ট গল্প বলি। কোনো এক গ্রামে এক লোক ছিল, সে মৃত মানুষের দাফনের কাফন চুরি করত। তার নাম হয়েছিল ‘কাফন চোরা’। তার একটি ছেলেসন্তান হয়। ছেলেটি বড় হলে কাফন চোরা তাকে বলল, ‘বাবা, এই গ্রামে আমি ঘৃণিত ব্যক্তি, তুই এমন কাজ করবি মানুষ যেন আমাকে ভালো বলে।’ বাবার মৃত্যুর পরে কাফন চোরার ছেলে মৃত মানুষের কাফনের কাপড় একবার চুরি করার পরে সেই ব্যক্তির বাড়ির সামনে ফেলে রাখত লাশটি। সেই বাড়ির লোকজন আবার কাফন পরিয়ে দাফন করত ওই ব্যক্তির লাশ। কাফন চোরার ছেলে আবার সেই লাশের কাফন চুরি করত। এরকমভাবে দু-তিনবার চুরি করত একই লাশের কাফনের কাপড়। তখন গ্রামের মানুষ বলাবলি করতে শুরু করল, ‘এর চেয়ে তো কাফন চোরাই ভালো ছিল!’
বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যাই আমাদের দেশে বেশি। এই বেশিসংখ্যক মানুষ বলতে শুরু করেছে, আগের সরকারই ভালো ছিল। কোনো মানুষ এর আগে অর্থাৎ গত ২০-২৫ বছরে খাবারের জন্য এত কষ্ট করেনি। মানুষের আয় কমে গেছে, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। সর্বোপরি মানুষের মনে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে। সরকারের কাজের সাফল্য তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
গত ৫৩ বছরের মধ্যে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ১০০-এর বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট ও সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি বসিয়েছে কোনো সরকার, এ রকম নজির নেই। বর্তমান সরকার একেবারেই সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহারের জিনিসের ওপর অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এ রকম অতিরিক্ত শুল্ক-করাদি বসিয়ে তাদের হতাশায় নিমজ্জিত করেছে।
আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা দরকার অতিসত্বর। সবার আগে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার ওপর মনোনিবেশ করা উচিত সরকারের। সাধারণ মানুষ সংস্কারের নামে পরিবর্তন আর আগের সরকারের ব্যর্থতা শুনতে চায়, যদি আপনি তার চেয়ে ভালো কিছু করে দেখাতে পারেন। আপনার কাজকর্ম যদি আগের সরকারের তুলনায় আরও নেতিবাচক হয়, তাহলে মানুষ মনে করবে, আগের সরকার দেশ ভালো চালিয়েছিল।
যারা সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কাজ করে, বেসরকারি সংস্থায় কোনো ভালো পদে কাজ করে, শিল্পপতি, ধনিক শ্রেণি, অবস্থাপন্ন আর দেশের বাইরে যারা আছে তারা হয়তো মোটামুটি খেয়েপরে ভালো আছে। কিন্তু এইসব মানুষের সংখ্যা কম। বরং ‘ভালো নেই’ দলের জনসংখ্যাই বেশি। যাঁরা দেশ পরিচালনা করছেন, তাঁরা একটু ভেবে দেখুন। এইসব অনুধাবন করতে খুব একটা রকেট সায়েন্স জানতে হয় না। বিভিন্ন অঞ্চলে, বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়, প্রতি গ্রামে ১০-১২ জন করে মানুষের সাক্ষাৎকার নিলে সার্বিক অবস্থা বুঝতে পারবেন। রিকশাওয়ালা, তরিতরকারি বিক্রেতা, পোশাকশ্রমিকসহ অন্য শ্রমিকদের কথা বললে সার্বিক পরিস্থিতি সবার সামনে ফুটে উঠবে।
অবশ্যই আপনারা সংস্কার করবেন। যেসব জায়গায় আমাদের ঘাটতি ছিল, সেইসব জায়গায় সংস্কার হতেই পারে। তাই বলে মানুষকে অভুক্ত রেখে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে, দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়ে যা কিছুই করেন না কেন, মানুষ সহজভাবে নেবে না। সবার আগে মানুষের চাই সার্বিক শান্তি—প্রথমে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা, তারপর আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করা, মানুষ যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। আশা করি সবাই বর্তমান এই দুটি ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন, বিশেষ করে যাঁরা ক্ষমতায় আছেন।
লেখক: প্রকৌশলী
আমাদের এই অঞ্চলের গ্রামের একটি প্রবাদ বাক্য আছে—পেটে খেলে পিঠে সয়। অর্থাৎ আপনি যদি কাউকে পেট ভরে ভাত দেন, তারপর যদি কোনো কাজ দেন, কোনো কাজের জন্য তাকে চাপ দেন অথবা বকাঝকা করেন, সে নির্দ্বিধায় এই কাজ করতে পারে। এখনো আমাদের দেশ কেমন চলছে, আমরা কেমন আছি, আমাদের সমাজব্যবস্থা কেমন চলছে, সবকিছুর মোটামুটি একটা নিয়ামক বা মাপকাঠি হচ্ছে—চালের দাম কেমন। ২০-২৫ বছর যাবৎ মানুষের জীবনযাত্রার মান কিছুটা উন্নতি হওয়ার জন্য এই চালের দাম নিয়ে তেমন একটা কথা বলতে শোনা যায়নি। যেমন আশির দশকের গোড়ার দিকে বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনের শ্রমিকশ্রেণি, খেতমজুর সমিতির আন্দোলন-সংগ্রাম হতো চালের দাম নিয়ে।
আমার মনে আছে, আশির দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতির একটি স্লোগান ছিল, একজন খেতমজুরের দৈনিক পরিশ্রম হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের দামের সমান। গত ১৫-২০ বছরে একজন মজুরের দৈনিক পারিশ্রমিক প্রায় ১০ কেজি চালের সমান হয়েছিল। এককথায় বলতে গেলে মানুষ অন্ততপক্ষে খাদ্যে স্বাবলম্বী হয়েছিল। মোটামুটি মোটা ভাত, তরকারি দিয়ে তিন বেলা খেতে পারত, আমাদের সার্বিক অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। রাষ্ট্র ধীরে ধীরে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। তবে মানুষের সার্বিক চাহিদার ঘাটতি ছিল। সেটা ছিল বাসস্থান, চিকিৎসা, যাতায়াতব্যবস্থা ও পরিবারের শিক্ষার মান উন্নয়ন। খাদ্যে তেমন একটা কষ্টে থাকেনি মানুষ।
বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, প্রথম দিকে মানুষ স্বাগত জানিয়েছিল। আপামর জনগণ আশা করেছিল, এবার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা, বাসস্থান ও শিক্ষারও যথাযথ একটা উন্নয়ন ঘটবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বলতেই হয়, আমাদের জীবনযাত্রার মান মানুষের এই আশায় ছাই দিয়ে নিম্নমুখী হয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত দুইবার ফসল তোলা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে আউশের ফলন হয়েছিল, নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমনের ফসল হয়েছে। বর্তমান সময়টাকে ধরা হয় ভরা মৌসুম। এই সময়ে আমাদের এই অঞ্চলে কোনো অভাব-অনটন থাকে না। সবার ঘরেই খাদ্য থাকে। কৃষকের ঘরে গোলাভরা ধান থাকে। মোটামুটি এই সময় মানুষ সবচেয়ে সুখে-শান্তিতে থাকে আমাদের এই পূর্ব বাংলায়। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে এই ভরা মৌসুমেও চালের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে প্রতি কেজিতে। রিকশাওয়ালা, দিনমজুর, কোনো বাড়ির দারোয়ান বা যেসব মানুষ ছোটখাটো ব্যবসা করে, যেমন ভ্যানে করে তরকারি বিক্রি করে, ঝুড়িতে করে কোনো পণ্য ফেরি করে, গ্রামগঞ্জে কাঁচামালের ব্যবসা করে, সেইসব মানুষের সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারবেন তাঁদের অসহায়ত্বের কথা।
মানুষ বলতে শুরু করেছে আগের সরকার ভালো ছিল, অথচ আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে মানুষ কতই না আশা নিয়ে এই সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছিল। মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা একেবারেই ধুলায় মিশে গেছে। এই প্রসঙ্গে একটি ছোট্ট গল্প বলি। কোনো এক গ্রামে এক লোক ছিল, সে মৃত মানুষের দাফনের কাফন চুরি করত। তার নাম হয়েছিল ‘কাফন চোরা’। তার একটি ছেলেসন্তান হয়। ছেলেটি বড় হলে কাফন চোরা তাকে বলল, ‘বাবা, এই গ্রামে আমি ঘৃণিত ব্যক্তি, তুই এমন কাজ করবি মানুষ যেন আমাকে ভালো বলে।’ বাবার মৃত্যুর পরে কাফন চোরার ছেলে মৃত মানুষের কাফনের কাপড় একবার চুরি করার পরে সেই ব্যক্তির বাড়ির সামনে ফেলে রাখত লাশটি। সেই বাড়ির লোকজন আবার কাফন পরিয়ে দাফন করত ওই ব্যক্তির লাশ। কাফন চোরার ছেলে আবার সেই লাশের কাফন চুরি করত। এরকমভাবে দু-তিনবার চুরি করত একই লাশের কাফনের কাপড়। তখন গ্রামের মানুষ বলাবলি করতে শুরু করল, ‘এর চেয়ে তো কাফন চোরাই ভালো ছিল!’
বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যাই আমাদের দেশে বেশি। এই বেশিসংখ্যক মানুষ বলতে শুরু করেছে, আগের সরকারই ভালো ছিল। কোনো মানুষ এর আগে অর্থাৎ গত ২০-২৫ বছরে খাবারের জন্য এত কষ্ট করেনি। মানুষের আয় কমে গেছে, খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। সর্বোপরি মানুষের মনে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে। সরকারের কাজের সাফল্য তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
গত ৫৩ বছরের মধ্যে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে ১০০-এর বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট ও সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি বসিয়েছে কোনো সরকার, এ রকম নজির নেই। বর্তমান সরকার একেবারেই সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহারের জিনিসের ওপর অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এ রকম অতিরিক্ত শুল্ক-করাদি বসিয়ে তাদের হতাশায় নিমজ্জিত করেছে।
আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা দরকার অতিসত্বর। সবার আগে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলার ওপর মনোনিবেশ করা উচিত সরকারের। সাধারণ মানুষ সংস্কারের নামে পরিবর্তন আর আগের সরকারের ব্যর্থতা শুনতে চায়, যদি আপনি তার চেয়ে ভালো কিছু করে দেখাতে পারেন। আপনার কাজকর্ম যদি আগের সরকারের তুলনায় আরও নেতিবাচক হয়, তাহলে মানুষ মনে করবে, আগের সরকার দেশ ভালো চালিয়েছিল।
যারা সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কাজ করে, বেসরকারি সংস্থায় কোনো ভালো পদে কাজ করে, শিল্পপতি, ধনিক শ্রেণি, অবস্থাপন্ন আর দেশের বাইরে যারা আছে তারা হয়তো মোটামুটি খেয়েপরে ভালো আছে। কিন্তু এইসব মানুষের সংখ্যা কম। বরং ‘ভালো নেই’ দলের জনসংখ্যাই বেশি। যাঁরা দেশ পরিচালনা করছেন, তাঁরা একটু ভেবে দেখুন। এইসব অনুধাবন করতে খুব একটা রকেট সায়েন্স জানতে হয় না। বিভিন্ন অঞ্চলে, বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়, প্রতি গ্রামে ১০-১২ জন করে মানুষের সাক্ষাৎকার নিলে সার্বিক অবস্থা বুঝতে পারবেন। রিকশাওয়ালা, তরিতরকারি বিক্রেতা, পোশাকশ্রমিকসহ অন্য শ্রমিকদের কথা বললে সার্বিক পরিস্থিতি সবার সামনে ফুটে উঠবে।
অবশ্যই আপনারা সংস্কার করবেন। যেসব জায়গায় আমাদের ঘাটতি ছিল, সেইসব জায়গায় সংস্কার হতেই পারে। তাই বলে মানুষকে অভুক্ত রেখে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে, দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়ে যা কিছুই করেন না কেন, মানুষ সহজভাবে নেবে না। সবার আগে মানুষের চাই সার্বিক শান্তি—প্রথমে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা, তারপর আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করা, মানুষ যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। আশা করি সবাই বর্তমান এই দুটি ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন, বিশেষ করে যাঁরা ক্ষমতায় আছেন।
লেখক: প্রকৌশলী
২০০৫ সালে আমি ভিয়েতনামের কৃষি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রথম ড্রাগন ফলের চিত্র তুলে ধরেছিলাম। তখন দেশের মানুষের কাছে ড্রাগন ফল তেমন পরিচিত ছিল না। তারও ১২-১৩ বছর পর বিদেশি ফল ‘ড্রাগন’ দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হতে থাকে। কয়েক বছর আগেও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে অচেনা ফল ছিল ড্রাগন।
৬ ঘণ্টা আগেপৃথিবী তার অক্ষকে কেন্দ্র করে যে অভিমুখে ঘুরছে, তার অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রটি ঘুরছে ঠিক তার বিপরীত অভিমুখে। সম্প্রতি নেচার জিয়োসায়েন্সের একটি গবেষণায় বিষয়টিকে এভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কিছুদিন আগেই পৃথিবীর কেন্দ্র ঘোরা থামিয়ে দিয়েছিল। তার পর থেকেই এটি উল্টোমুখে ঘোরা শুরু করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে১৭ জানুয়ারি বিকেলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘ফ্যাসিবাদের জমানায় শিকারি সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয় আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকার হয়ে উঠেছিল স্বৈরাচারী সরকার। সেই সরকারকে হটিয়ে দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ছাত্ররা। সেই আন্দোলনে ঢুকে পড়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। একসময় প্রকাশ পেল, এই আন্দোলন আসলে অনেক ধরনের দলের সম্মিলিত কিংবা বিচ্ছিন্ন প্রয়াসের সমষ্টি।
১ দিন আগে