ইমরান হোসেন ভূইয়া
কিছুদিন আগে অকটেন-পেট্রলসহ জ্বালানি তেলের রিজার্ভ নিয়ে একটি ভিত্তিহীন খবর যখন কোনো এক সংবাদমাধ্যম সামান্য সময়ের জন্য প্রচার করে এক ‘ভয়াবহ গুজবের’ জন্ম দিতে চেষ্টা করছিল, তখন সেই ‘গুজব’ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সরাসরি সংবাদ সম্মেলনসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানা বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারের মাধ্যমে সেই ‘গুজব’ দারুণভাবে ঠেকানোও গেল। জনগণ জানল যে আমাদের পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের মজুত আছে, তেল আমদানির প্রবাহ স্বাভাবিক আছে এবং উপরন্তু অকটেন ও পেট্রল আমরা গ্যাস উত্তোলনের বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে পাই।
কিন্তু গতকাল (৫ আগস্ট ২০২২) মধ্যরাতের কিছুটা আগে কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা-আলোচনা-পর্যালোচনা ছাড়াই মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের নোটিশে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ বাড়ানোর এক উদ্ভটতম ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও পরে গণমাধ্যমে জানা গেল। প্রথমে আগের জ্বালানি তেলের রিজার্ভের নিউজের মতোই কোনো উড়ো বা ‘গুজব’ সৃষ্টিকারী খবর কি না, তা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পরে সরকারি বিজ্ঞপ্তিসহ নানা গণমাধ্যমের সংবাদ দেখে খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেল। আর এই খবরের সত্যতা যতই নিশ্চিত হচ্ছিলাম, এর প্রভাব জনজীবনে ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে কতটা ওয়াইল্ড ফায়ারের মতো পড়বে, তা ভাবছিলাম।
ভাবতে ভাবতে একটা ব্যাপার প্রথমেই মনে হলো যে কিছুদিন আগের জ্বালানি তেলের রিজার্ভ সংকটের সেই ‘গুজব’ এত কষ্ট করে ঠেকিয়ে আজ এক প্রজ্ঞাপনে এক সিদ্ধান্তে সেই ‘গুজবের’ চেয়ে বহুগুণে ও বহুমাত্রার বেশি ‘গুজব’ ছড়ানোর সুযোগটা করে দেওয়া হলো কেন?
তারও অবশ্য বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে! যার প্রথমেই হতে পারে, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ও জ্বালানি সংকটে স্বস্তিতে নেই দেশের অর্থনীতি এবং সে ব্যাপারে আতঙ্ক না ছড়ানোর এত দিনের চেষ্টা বিফলে গেছে! কিন্তু তা-ই বলে এত দিনের চেষ্টাকেও রাতের অন্ধকারে কারফিউ জারির মতো এক প্রজ্ঞাপনেই নস্যাৎ করে দিতে হলো?
যা-ই হোক, দ্বিতীয় কারণটিও প্রথম কারণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এটি হলো, বহুদিন ধরে এড়িয়ে চলা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কমানোর শর্তটি আর কোনোভাবেই এড়ানো গেল না। যেহেতু কোভিড-১৯ অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকট আমাদের অর্থনীতিকে একটি ত্রিমুখী বা বহুমুখী সংকটে ফেলেছে। আর তাই, আইএমএফ-এর ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ যেকোনো শর্তেই মেনে নেওয়ার বিকল্প হয়তো আমাদের নেই!
তৃতীয় কারণটি হতে পারে, রাষ্ট্রের কোনো নীতিনির্ধারণের সময় জনগণের বা জনজীবনের ওপর তার কী কী প্রভাব পড়বে, সেসব নিয়ে জনসাধারণের জানার অধিকার এবং সেসব বিষয়ে তাদের বলার অধিকারের বিষয়টি বেমালুম ভুলে যাওয়া!
আর চতুর্থ কারণটি যেটি শুনতে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব শোনাবে সেটি হলো—সরকারের ভেতরে-বাইরে কতিপয় স্বার্থান্বেষী ক্ষমতাবানের যোগসাজশ ও পরামর্শে এই জনবিচ্ছিন্ন ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি করে ঘোষণা দেওয়া ও বাস্তবায়ন করছে সরকার!
তবে কারণ যেটিই হোক, তার কোনোটার দোহাই দিয়ে কোনোভাবেই সরকার মধ্যরাতের কিছুটা আগে আচমকা এক নোটিশেই এত দিনের ‘যেকোনো সংকট মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুত সরকার’-এর দেশের জনসাধারণকে এত বড় দুঃস্বপ্ন উপহার দিতে পারে না।
আমি মেনে নিচ্ছি যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যশস্যসহ সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকট রয়েছে গেল কয়েক বছরের কোভিড-১৯ অতিমারি ও সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের
কারণে। আমি মেনে নিচ্ছি যে উন্নত দেশগুলোতেই যেখানে মূল্যস্ফীতিসহ জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্য সংকট তৈরি হচ্ছে, সেখানে আমাদের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে নানামুখী সংকটে মূল্যস্ফীতি বাড়বে ও ভোগ্যপণ্যের সংকট সাময়িকভাবে হলেও তৈরি হবে। আমি এ-ও মেনে নিচ্ছি যে আমাদের সার্বিক দেশীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কমিয়ে এনে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
কিন্তু তাই বলে কি কোনো প্রকার আলোচনা-পর্যালোচনা ছাড়া আচমকা মধ্যরাতের এক নোটিশেই ৪০-৫০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দেওয়াকে জায়েজ করা যায়? এই সিদ্ধান্তটি কি বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নেওয়া যেত না? একবারেই ৪০-৫০ শতাংশ দাম না বাড়িয়ে অন্তত ৩ বা ৪ ধাপে আগামী এক বা দুই বছরে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা যেত না? সাধারণ মানুষকে ও দেশের অর্থনীতিকে আরেকটু খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যেত না? এই এক সিদ্ধান্তের ফলে জনজীবনে যে মারাত্মক প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের জীবনে, তা কাটিয়ে উঠতে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদে সরকার কি ভাবছে সেটুকু পরিকল্পনা ও আলাপ-আলোচনা করে নেওয়া যেত না?
হয়তো অনেক কিছুই করা যেত। তবে কেন করা হয়নি, তা আমি বা আমার মতো অধিকাংশ সাধারণ নাগরিকই জানে না! রাষ্ট্রযন্ত্র যদি জোর করে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এক ঘণ্টার নোটিশে বাস্তবায়ন করতে পারে, যার সম্পূর্ণ বোঝা জনগণকেই বইতে হবে, তাহলে একজন নাগরিক হিসেবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া ও তার প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার আমার যে সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে, তা-ও আমি প্রায়োগিক অর্থে দেখতে চাইতে পারি। আশা করি, মাননীয় নীতিনির্ধারকেরা দ্রুত এই বিষয়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরবেন এবং এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থেই।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জ্বালানি তেল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কিছুদিন আগে অকটেন-পেট্রলসহ জ্বালানি তেলের রিজার্ভ নিয়ে একটি ভিত্তিহীন খবর যখন কোনো এক সংবাদমাধ্যম সামান্য সময়ের জন্য প্রচার করে এক ‘ভয়াবহ গুজবের’ জন্ম দিতে চেষ্টা করছিল, তখন সেই ‘গুজব’ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সরাসরি সংবাদ সম্মেলনসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানা বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারের মাধ্যমে সেই ‘গুজব’ দারুণভাবে ঠেকানোও গেল। জনগণ জানল যে আমাদের পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের মজুত আছে, তেল আমদানির প্রবাহ স্বাভাবিক আছে এবং উপরন্তু অকটেন ও পেট্রল আমরা গ্যাস উত্তোলনের বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে পাই।
কিন্তু গতকাল (৫ আগস্ট ২০২২) মধ্যরাতের কিছুটা আগে কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা-আলোচনা-পর্যালোচনা ছাড়াই মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের নোটিশে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ বাড়ানোর এক উদ্ভটতম ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও পরে গণমাধ্যমে জানা গেল। প্রথমে আগের জ্বালানি তেলের রিজার্ভের নিউজের মতোই কোনো উড়ো বা ‘গুজব’ সৃষ্টিকারী খবর কি না, তা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পরে সরকারি বিজ্ঞপ্তিসহ নানা গণমাধ্যমের সংবাদ দেখে খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেল। আর এই খবরের সত্যতা যতই নিশ্চিত হচ্ছিলাম, এর প্রভাব জনজীবনে ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে কতটা ওয়াইল্ড ফায়ারের মতো পড়বে, তা ভাবছিলাম।
ভাবতে ভাবতে একটা ব্যাপার প্রথমেই মনে হলো যে কিছুদিন আগের জ্বালানি তেলের রিজার্ভ সংকটের সেই ‘গুজব’ এত কষ্ট করে ঠেকিয়ে আজ এক প্রজ্ঞাপনে এক সিদ্ধান্তে সেই ‘গুজবের’ চেয়ে বহুগুণে ও বহুমাত্রার বেশি ‘গুজব’ ছড়ানোর সুযোগটা করে দেওয়া হলো কেন?
তারও অবশ্য বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে! যার প্রথমেই হতে পারে, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ও জ্বালানি সংকটে স্বস্তিতে নেই দেশের অর্থনীতি এবং সে ব্যাপারে আতঙ্ক না ছড়ানোর এত দিনের চেষ্টা বিফলে গেছে! কিন্তু তা-ই বলে এত দিনের চেষ্টাকেও রাতের অন্ধকারে কারফিউ জারির মতো এক প্রজ্ঞাপনেই নস্যাৎ করে দিতে হলো?
যা-ই হোক, দ্বিতীয় কারণটিও প্রথম কারণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এটি হলো, বহুদিন ধরে এড়িয়ে চলা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কমানোর শর্তটি আর কোনোভাবেই এড়ানো গেল না। যেহেতু কোভিড-১৯ অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকট আমাদের অর্থনীতিকে একটি ত্রিমুখী বা বহুমুখী সংকটে ফেলেছে। আর তাই, আইএমএফ-এর ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ যেকোনো শর্তেই মেনে নেওয়ার বিকল্প হয়তো আমাদের নেই!
তৃতীয় কারণটি হতে পারে, রাষ্ট্রের কোনো নীতিনির্ধারণের সময় জনগণের বা জনজীবনের ওপর তার কী কী প্রভাব পড়বে, সেসব নিয়ে জনসাধারণের জানার অধিকার এবং সেসব বিষয়ে তাদের বলার অধিকারের বিষয়টি বেমালুম ভুলে যাওয়া!
আর চতুর্থ কারণটি যেটি শুনতে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব শোনাবে সেটি হলো—সরকারের ভেতরে-বাইরে কতিপয় স্বার্থান্বেষী ক্ষমতাবানের যোগসাজশ ও পরামর্শে এই জনবিচ্ছিন্ন ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি করে ঘোষণা দেওয়া ও বাস্তবায়ন করছে সরকার!
তবে কারণ যেটিই হোক, তার কোনোটার দোহাই দিয়ে কোনোভাবেই সরকার মধ্যরাতের কিছুটা আগে আচমকা এক নোটিশেই এত দিনের ‘যেকোনো সংকট মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুত সরকার’-এর দেশের জনসাধারণকে এত বড় দুঃস্বপ্ন উপহার দিতে পারে না।
আমি মেনে নিচ্ছি যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যশস্যসহ সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকট রয়েছে গেল কয়েক বছরের কোভিড-১৯ অতিমারি ও সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের
কারণে। আমি মেনে নিচ্ছি যে উন্নত দেশগুলোতেই যেখানে মূল্যস্ফীতিসহ জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্য সংকট তৈরি হচ্ছে, সেখানে আমাদের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে নানামুখী সংকটে মূল্যস্ফীতি বাড়বে ও ভোগ্যপণ্যের সংকট সাময়িকভাবে হলেও তৈরি হবে। আমি এ-ও মেনে নিচ্ছি যে আমাদের সার্বিক দেশীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কমিয়ে এনে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
কিন্তু তাই বলে কি কোনো প্রকার আলোচনা-পর্যালোচনা ছাড়া আচমকা মধ্যরাতের এক নোটিশেই ৪০-৫০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দেওয়াকে জায়েজ করা যায়? এই সিদ্ধান্তটি কি বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নেওয়া যেত না? একবারেই ৪০-৫০ শতাংশ দাম না বাড়িয়ে অন্তত ৩ বা ৪ ধাপে আগামী এক বা দুই বছরে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা যেত না? সাধারণ মানুষকে ও দেশের অর্থনীতিকে আরেকটু খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যেত না? এই এক সিদ্ধান্তের ফলে জনজীবনে যে মারাত্মক প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের জীবনে, তা কাটিয়ে উঠতে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদে সরকার কি ভাবছে সেটুকু পরিকল্পনা ও আলাপ-আলোচনা করে নেওয়া যেত না?
হয়তো অনেক কিছুই করা যেত। তবে কেন করা হয়নি, তা আমি বা আমার মতো অধিকাংশ সাধারণ নাগরিকই জানে না! রাষ্ট্রযন্ত্র যদি জোর করে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এক ঘণ্টার নোটিশে বাস্তবায়ন করতে পারে, যার সম্পূর্ণ বোঝা জনগণকেই বইতে হবে, তাহলে একজন নাগরিক হিসেবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া ও তার প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার আমার যে সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে, তা-ও আমি প্রায়োগিক অর্থে দেখতে চাইতে পারি। আশা করি, মাননীয় নীতিনির্ধারকেরা দ্রুত এই বিষয়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরবেন এবং এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থেই।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জ্বালানি তেল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নাম জুড়ে দিয়ে ওই তিন দলসহ মোট ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। ১১টি দলের তালিকায় এলডিপির নামও
৪ ঘণ্টা আগেঅত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এই লেখাটা লিখছি। রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে অন্য একটি প্রবন্ধ লিখব বলে ভেবেছিলাম। গত রোববার থেকেই বুকের মধ্যে কেমন যেন পাথরচাপা একটা কষ্ট অনুভব করছি। প্রথমে টেলিভিশনে খবরে দেখলাম, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির তিন ছাত্র মারা গেছেন। যে তিন ছাত্র মারা গেছেন, তাঁদের সমবয়সী হবে
৪ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় বহুল পরিচিত একটি শব্দ হলো কালাজ্বর। শব্দটি কমবেশি আমরা সবাই শুনেছি। এমনকি কেউ কেউ কালাজ্বরে আক্রান্তও হয়েছি। কিন্তু এই জ্বরকে কালাজ্বর কেন বলা হয়? কালো রঙের সঙ্গে এর কি কোনো সম্পর্ক রয়েছে? জ্বরের প্রকারভেদে রঙের কি আদৌ কোনো ভূমিকা রয়েছে? যদি না থাকে তাহলে প্রশ্ন হলো, কেন এ জ্বরকে কালাজ্ব
৪ ঘণ্টা আগেসাংবাদিকদের হয়রানি করা কোনো গণতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থল ও বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ইমিগ্রেশনে যেভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, তা কেবল পেশাগত বাধার উদাহরণ নয়, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মুক্তচিন্তার ওপর একধরনের চাপ। এই ধরনের আচরণ রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনা ও মানব
৫ ঘণ্টা আগে