বিভুরঞ্জন সরকার
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া না-নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই কথা বলছেন। সরকারের কিছুই যাদের ভালো লাগে না তাদের সরকারপ্রধানের কথাও ভালো লাগবে না, তা তিনি ভালো বলুন আর মন্দ বলুন। তবে সরকারকে অগ্রাহ্য করার তো কোনো উপায় নেই।
জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ কখনও কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি।’
এ ধরনের মন্তব্য তিনি প্রায়ই করছেন। তবে প্রশ্ন হলো, শেখ হাসিনার কথার সবটা কি অসত্য? কারণ, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ বা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আওয়ামী লীগ বরাবরই ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়েছে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে ‘বিএনপি উদ্বিগ্ন’ বলে দাবি করে শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তারা (বিএনপি) সত্যিই চিন্তিত যে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। কারণ, তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাচ্ছে না।’
এই তথ্য তো মিথ্যা নয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ভুয়া ভোটারে ভরা তালিকা করেছিল। স্বচ্ছ নির্বাচনে জয় পাওয়া নিয়ে শঙ্কা না থাকলে ভুয়া ভোটারের তালিকা করার পেছনে বিএনপির আর কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে? তবে আওয়ামী লীগের আমলে ভোটার তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম যে হয়নি, তা নয়।
শেখ হাসিনা বরাবরই দাবি করে আসছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তাঁর সরকার দেশের ‘নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে’ এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে ‘লাইনচ্যুত’ হয়েছিল।
শেখ হাসিনার দাবি, সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই’ দেখেই ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তহীন। দলটি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বলে দাবি করছে। সেক্ষেত্রে একতরফা নির্বাচন হবে অথবা বিএনপি ছাড়া অন্য দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি যে বিএনপির নেই এবং দেশের মানুষও যে অকারণ রক্তক্ষয় ও বিশৃঙ্খলা চায় না, সেটা নিয়ে বিতর্ক করা অর্থহীন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো-নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপির দ্বিধা কেন? অনেকে মনে করেন, বিএনপির বড় সমস্যা হলো-দলের প্রধান দুই নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের একজনও আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তাঁরা দুজনই আদালতে দণ্ডিত। তাছাড়া খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার পক্ষে দল বা সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া আদৌ সম্ভব হবে কিনা সেটা এক বড় প্রশ্ন।
আর, দেশের বাইরে থাকা তারেক রহমান ঝুঁকি নিয়ে যদি আগেই দেশে ফিরতেন, তাহলে কিছু মানুষের সহানুভূতি তৈরি হতো। সেটাকে পুঁজি করে মাঠও হয়তো তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু তা হয়নি। আর তাই, বিদ্যমান বাস্তবতায় খালেদা কিংবা তারেক–কেউই জনমানসে তেমন আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে মারাত্মক অস্থিরতা তৈরি হবে বলেই অনেকের ধারণা। প্রায় দেড় দশকের শাসনামলে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশে বহুবার বাধা দেওয়া হয়েছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে বহুবার। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি যে সুযোগ পেলে প্রতিশোধ নেবে না তার তো কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ফলে ক্ষমতার হাতবদল হলে নিয়ন্ত্রণহীন বাড়াবাড়ির কারণে দেশজুড়ে নৈরাজ্য তৈরি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ২০০১ সালসহ আগে-পরের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার শিকার তো মানুষ কম হয়নি।
এবার আসা যাক, রাজনীতির মাঠের বাস্তবতায়। টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় যেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। সেই লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাচ্ছে দলটি। অন্যদিকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের’ দাবি আদায়ে মাঠ দখলের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে; দলটি সরকারের পতন ঘটানোর ঘোষণাও তারা।
প্রধান দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে এতদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুগ্রহভোগী বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে দেখা দিয়েছে কিছুটা অস্থিরতা। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও ভোট ও মাঠের লাভালাভের হিসাব কষতে শুরু করেছে। জোটের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ। বিএনপি যেমন জোটের পরিধি বিস্তৃত করার চেষ্টা করছে, তেমনি বসে নেই আওয়ামী লীগও। দল ভাঙার খেলাও চলবে বলে ধারণা করা যায়।
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দফায় দফায় সংলাপ করে গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। এ জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের আগ্রহ থেকেও সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির প্রস্তুতির সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে দল গোছানোর পাশাপাশি নানা কৌশল নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচন কঠিন হবে মেনে মাঠেও সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে দলটি। দলের নেতারা বলছেন, প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি দলীয় নেতাদের মাধ্যমে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আমলনামা যাচাই-বাছাই চলছে। এমপিদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের বাদ দিয়ে সৎ, যোগ্য, জনপ্রিয় ও দক্ষ প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
আগের দুটি নির্বাচন (২০১৪ ও ২০১৮) অনিয়ম ও কারচুপিসহ নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় এবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের কথা বেশ জোরে শোরে শোনা যাচ্ছে। এই তাগিদ থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনার কথা বলছে ক্ষমতাসীন দল। এরই মধ্যে বিএনপির একটি অংশ ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে গোপনে বৈঠক করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কতগুলো আসনে আওয়ামী লীগের ভালো অবস্থা, কতগুলোতে খারাপ ও কতগুলো আসনে ফিফটি-ফিফটি চান্স, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি খারাপ অবস্থা কীভাবে ভালো করা সম্ভব, সেই উদ্যোগও নেওয়া হবে।’
আপাতদৃষ্টিতে সরকার ভোটে আনার চেষ্টা হিসেবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে ক্ষুদ্র পরিসরে মাঠে থাকার সুযোগ দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে দলটি মাঠ দখলের চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করারও পরিকল্পনার কথাও ক্ষমতাসীন দলটির নেতাদের মুখে শোনা যাচ্ছে।
শাসক দলের এমন ভাবনা থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অবস্থান এখনো বদলায়নি বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিরপেক্ষ ওই সরকার যে নির্বাচন কমিশন করবে, সেই কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে, সেখানে তারা অংশ নেবে।
দাবি আদায়ে বর্তমান সরকারের পতনের বিকল্প কিছু নেই মেনে বিএনপি আন্দোলন করছে। নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, এই আন্দোলনের সঙ্গে সমমনাদের সমর্থনও রয়েছে। বিএনপির চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে কর্মসূচিতে হামলা করা হচ্ছে, মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিএনপির মাঠ দখলের সম্ভাবনা জোরালো হওয়ায় এখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়ানো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই বলা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, আগামী দিনের রাজনৈতিক রূপরেখা প্রণয়নেও কাজ করছে বিএনপি। গত বছর দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার মধ্য দিয়ে এই কাজ শুরু হয়। এরপর সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথমে অনানুষ্ঠানিক এবং পরে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে দলটি। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করা হবে।
এদিকে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির চলমান সম্পর্ক নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। জামায়াতকে নিয়ে সমমনাদের অনেকে অস্বস্তিতে রয়েছে। এমন বাস্তবতায় বিএনপির জামায়াতকে নিয়ে ভাবনা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘জামায়াত তো বলেনি যে তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে। তারা বলেছে, যুগপৎ আন্দোলন করবে। তার মানে সরকারের বিরুদ্ধেই তো তাদের অবস্থান। সেই অবস্থানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আর এটা অনেকটাই নিশ্চিত যে যারা জামায়াতকে অপছন্দ করে, তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদৌ আন্দোলন করবে কি না—এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মুখোমুখি অবস্থানের মাঝে রহস্যময় ভূমিকায় রয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটি মাঠে না থেকেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সরকারের সমালোচনা করে আলোচনায় রয়েছে। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, তারা কোনো জোটে নেই। তবে ভবিষ্যতে জোটে যাবেন কি না, সেটা না বলে বিষয়টা ঝুলিয়ে রেখেছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জাতীয় পার্টির নেতারা মুখে যাই বলুন না কেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সামর্থ্য নেই দলটির। কারও না কারও ভরসায় বরাবরের মতো নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার ইচ্ছা। সে কারণে জোটে যাওয়া না-যাওয়ার বিষয়টি ইচ্ছা করেই পরিষ্কার করা হচ্ছে না।
তবে রাজনৈতিক দলের অবস্থা ও অবস্থান নির্বাচন আরও কাছাকাছি এলে আরও বদলাবে। বিদেশি শক্তির কাছে ধরনা দিয়ে বিএনপি খুব সুবিধা করতে পারবে বলেও মনে হয় না। অনেক বিদেশি শক্তি ‘অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন’ চাইলেও কেউ আওয়ামী লীগকে হটিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে চায়, এমন ইঙ্গিতের কথা কোনো রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে আছে বলে শোনা যায়নি।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া না-নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই কথা বলছেন। সরকারের কিছুই যাদের ভালো লাগে না তাদের সরকারপ্রধানের কথাও ভালো লাগবে না, তা তিনি ভালো বলুন আর মন্দ বলুন। তবে সরকারকে অগ্রাহ্য করার তো কোনো উপায় নেই।
জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ কখনও কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি।’
এ ধরনের মন্তব্য তিনি প্রায়ই করছেন। তবে প্রশ্ন হলো, শেখ হাসিনার কথার সবটা কি অসত্য? কারণ, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ বা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আওয়ামী লীগ বরাবরই ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়েছে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে ‘বিএনপি উদ্বিগ্ন’ বলে দাবি করে শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তারা (বিএনপি) সত্যিই চিন্তিত যে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। কারণ, তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাচ্ছে না।’
এই তথ্য তো মিথ্যা নয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ভুয়া ভোটারে ভরা তালিকা করেছিল। স্বচ্ছ নির্বাচনে জয় পাওয়া নিয়ে শঙ্কা না থাকলে ভুয়া ভোটারের তালিকা করার পেছনে বিএনপির আর কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে? তবে আওয়ামী লীগের আমলে ভোটার তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম যে হয়নি, তা নয়।
শেখ হাসিনা বরাবরই দাবি করে আসছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তাঁর সরকার দেশের ‘নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে’ এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে ‘লাইনচ্যুত’ হয়েছিল।
শেখ হাসিনার দাবি, সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই’ দেখেই ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তহীন। দলটি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বলে দাবি করছে। সেক্ষেত্রে একতরফা নির্বাচন হবে অথবা বিএনপি ছাড়া অন্য দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি যে বিএনপির নেই এবং দেশের মানুষও যে অকারণ রক্তক্ষয় ও বিশৃঙ্খলা চায় না, সেটা নিয়ে বিতর্ক করা অর্থহীন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো-নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপির দ্বিধা কেন? অনেকে মনে করেন, বিএনপির বড় সমস্যা হলো-দলের প্রধান দুই নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের একজনও আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তাঁরা দুজনই আদালতে দণ্ডিত। তাছাড়া খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার পক্ষে দল বা সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া আদৌ সম্ভব হবে কিনা সেটা এক বড় প্রশ্ন।
আর, দেশের বাইরে থাকা তারেক রহমান ঝুঁকি নিয়ে যদি আগেই দেশে ফিরতেন, তাহলে কিছু মানুষের সহানুভূতি তৈরি হতো। সেটাকে পুঁজি করে মাঠও হয়তো তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু তা হয়নি। আর তাই, বিদ্যমান বাস্তবতায় খালেদা কিংবা তারেক–কেউই জনমানসে তেমন আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে মারাত্মক অস্থিরতা তৈরি হবে বলেই অনেকের ধারণা। প্রায় দেড় দশকের শাসনামলে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশে বহুবার বাধা দেওয়া হয়েছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে বহুবার। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি যে সুযোগ পেলে প্রতিশোধ নেবে না তার তো কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ফলে ক্ষমতার হাতবদল হলে নিয়ন্ত্রণহীন বাড়াবাড়ির কারণে দেশজুড়ে নৈরাজ্য তৈরি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ২০০১ সালসহ আগে-পরের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার শিকার তো মানুষ কম হয়নি।
এবার আসা যাক, রাজনীতির মাঠের বাস্তবতায়। টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় যেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। সেই লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাচ্ছে দলটি। অন্যদিকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের’ দাবি আদায়ে মাঠ দখলের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে; দলটি সরকারের পতন ঘটানোর ঘোষণাও তারা।
প্রধান দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে এতদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুগ্রহভোগী বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে দেখা দিয়েছে কিছুটা অস্থিরতা। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও ভোট ও মাঠের লাভালাভের হিসাব কষতে শুরু করেছে। জোটের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ। বিএনপি যেমন জোটের পরিধি বিস্তৃত করার চেষ্টা করছে, তেমনি বসে নেই আওয়ামী লীগও। দল ভাঙার খেলাও চলবে বলে ধারণা করা যায়।
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দফায় দফায় সংলাপ করে গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। এ জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের আগ্রহ থেকেও সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির প্রস্তুতির সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে দল গোছানোর পাশাপাশি নানা কৌশল নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচন কঠিন হবে মেনে মাঠেও সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে দলটি। দলের নেতারা বলছেন, প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি দলীয় নেতাদের মাধ্যমে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আমলনামা যাচাই-বাছাই চলছে। এমপিদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের বাদ দিয়ে সৎ, যোগ্য, জনপ্রিয় ও দক্ষ প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
আগের দুটি নির্বাচন (২০১৪ ও ২০১৮) অনিয়ম ও কারচুপিসহ নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় এবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের কথা বেশ জোরে শোরে শোনা যাচ্ছে। এই তাগিদ থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে আনার কথা বলছে ক্ষমতাসীন দল। এরই মধ্যে বিএনপির একটি অংশ ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে গোপনে বৈঠক করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কতগুলো আসনে আওয়ামী লীগের ভালো অবস্থা, কতগুলোতে খারাপ ও কতগুলো আসনে ফিফটি-ফিফটি চান্স, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি খারাপ অবস্থা কীভাবে ভালো করা সম্ভব, সেই উদ্যোগও নেওয়া হবে।’
আপাতদৃষ্টিতে সরকার ভোটে আনার চেষ্টা হিসেবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে ক্ষুদ্র পরিসরে মাঠে থাকার সুযোগ দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে দলটি মাঠ দখলের চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করারও পরিকল্পনার কথাও ক্ষমতাসীন দলটির নেতাদের মুখে শোনা যাচ্ছে।
শাসক দলের এমন ভাবনা থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অবস্থান এখনো বদলায়নি বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিরপেক্ষ ওই সরকার যে নির্বাচন কমিশন করবে, সেই কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে, সেখানে তারা অংশ নেবে।
দাবি আদায়ে বর্তমান সরকারের পতনের বিকল্প কিছু নেই মেনে বিএনপি আন্দোলন করছে। নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন, এই আন্দোলনের সঙ্গে সমমনাদের সমর্থনও রয়েছে। বিএনপির চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে কর্মসূচিতে হামলা করা হচ্ছে, মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিএনপির মাঠ দখলের সম্ভাবনা জোরালো হওয়ায় এখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়ানো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই বলা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, আগামী দিনের রাজনৈতিক রূপরেখা প্রণয়নেও কাজ করছে বিএনপি। গত বছর দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার মধ্য দিয়ে এই কাজ শুরু হয়। এরপর সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথমে অনানুষ্ঠানিক এবং পরে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে দলটি। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করা হবে।
এদিকে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির চলমান সম্পর্ক নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। জামায়াতকে নিয়ে সমমনাদের অনেকে অস্বস্তিতে রয়েছে। এমন বাস্তবতায় বিএনপির জামায়াতকে নিয়ে ভাবনা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘জামায়াত তো বলেনি যে তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে। তারা বলেছে, যুগপৎ আন্দোলন করবে। তার মানে সরকারের বিরুদ্ধেই তো তাদের অবস্থান। সেই অবস্থানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আর এটা অনেকটাই নিশ্চিত যে যারা জামায়াতকে অপছন্দ করে, তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদৌ আন্দোলন করবে কি না—এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মুখোমুখি অবস্থানের মাঝে রহস্যময় ভূমিকায় রয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটি মাঠে না থেকেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সরকারের সমালোচনা করে আলোচনায় রয়েছে। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, তারা কোনো জোটে নেই। তবে ভবিষ্যতে জোটে যাবেন কি না, সেটা না বলে বিষয়টা ঝুলিয়ে রেখেছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জাতীয় পার্টির নেতারা মুখে যাই বলুন না কেন, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সামর্থ্য নেই দলটির। কারও না কারও ভরসায় বরাবরের মতো নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার ইচ্ছা। সে কারণে জোটে যাওয়া না-যাওয়ার বিষয়টি ইচ্ছা করেই পরিষ্কার করা হচ্ছে না।
তবে রাজনৈতিক দলের অবস্থা ও অবস্থান নির্বাচন আরও কাছাকাছি এলে আরও বদলাবে। বিদেশি শক্তির কাছে ধরনা দিয়ে বিএনপি খুব সুবিধা করতে পারবে বলেও মনে হয় না। অনেক বিদেশি শক্তি ‘অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন’ চাইলেও কেউ আওয়ামী লীগকে হটিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে চায়, এমন ইঙ্গিতের কথা কোনো রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে আছে বলে শোনা যায়নি।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নাম জুড়ে দিয়ে ওই তিন দলসহ মোট ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। ১১টি দলের তালিকায় এলডিপির নামও
১ দিন আগেঅত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এই লেখাটা লিখছি। রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে অন্য একটি প্রবন্ধ লিখব বলে ভেবেছিলাম। গত রোববার থেকেই বুকের মধ্যে কেমন যেন পাথরচাপা একটা কষ্ট অনুভব করছি। প্রথমে টেলিভিশনে খবরে দেখলাম, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির তিন ছাত্র মারা গেছেন। যে তিন ছাত্র মারা গেছেন, তাঁদের সমবয়সী হবে
১ দিন আগেবাংলা ভাষায় বহুল পরিচিত একটি শব্দ হলো কালাজ্বর। শব্দটি কমবেশি আমরা সবাই শুনেছি। এমনকি কেউ কেউ কালাজ্বরে আক্রান্তও হয়েছি। কিন্তু এই জ্বরকে কালাজ্বর কেন বলা হয়? কালো রঙের সঙ্গে এর কি কোনো সম্পর্ক রয়েছে? জ্বরের প্রকারভেদে রঙের কি আদৌ কোনো ভূমিকা রয়েছে? যদি না থাকে তাহলে প্রশ্ন হলো, কেন এ জ্বরকে কালাজ্ব
১ দিন আগেসাংবাদিকদের হয়রানি করা কোনো গণতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থল ও বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ইমিগ্রেশনে যেভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, তা কেবল পেশাগত বাধার উদাহরণ নয়, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মুক্তচিন্তার ওপর একধরনের চাপ। এই ধরনের আচরণ রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনা ও মানব
১ দিন আগে