রুশা চৌধুরী আবৃত্তিশিল্পী
একুশ শতকের আটপৌরে বাঙালি আজ সাপলুডুর বোর্ডের একদম ৯৯ নম্বর ঘরের সাপটির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সামনে সাতচল্লিশ সালের দেশভাগের সূত্রটি জোর বাতাসে দুলছে! সূত্রের শরীরে হিংসার লাল আর কালো পিঁপড়া হেঁটে বেড়াচ্ছে।
একটু পেছনে তাকাই। ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্ব নামে এক ভয়ানক বিষাক্ত সূত্র প্রবর্তন করেই একসময় ভারতবর্ষ ভাগ করা হয়েছিল। যোগ, বিয়োগ কিংবা গুণ নয়, সেই ভাগ সত্যি সত্যি ভাগ করে দিয়েছিল বহু মানুষের ভাগ্য! ভাষা, চেহারা, আচার, আচরণ সবটায় মিল থাকলেও শুধু ধর্মটাকে মুখ্য করে আলাদা করা হয়েছিল আটপৌরে বাঙালিকে। কেন, কবে, কীভাবে তার উত্তর খোঁজার জন্য হাজারো মানুষের গল্প চারদিকে, একজন ছা-পোষা মানুষ সেটুকুতেই ভাষা ফোটাতে চাই।
তবে বাঙালি কিন্তু এই সব সূত্রকে বুড়ো আঙুল দেখাতেও পারে! এর প্রমাণ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। আর সেই গৌরবের পথ ধরেই একাত্তর সালে মা-মাটি-সংস্কৃতির জন্য প্রাণ বাজি ধরে সেই বাজিতেও জিতে যাওয়া। বেশি দিন তো নয়, মাত্র ৫২টি বছর।
সংস্কৃতির প্রতি অপার ভালোবাসা নিয়েই বড় হয়েছিলাম স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রজন্মের মানুষগুলো। তারপর? তারপর কোথা থেকে যেন বেনোজল এল। বেহুলার বাসরঘরের মতো অদৃশ্য ছিদ্রপথে সেই পুরোনো সাপটাই প্রবেশ করল বাঙালির অন্তরমহলে। সাপটা আজ পরিপূর্ণ অনেক দিক থেকে। তাকে লালন করেছে এ দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আস্তানা গেড়ে বসা কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষ আর পালন করে যাচ্ছি আমরা এই আমজনতা!
অবাক লাগছে? এই অবাকপর্ব পার করে আজ আমরা অনেকেই এক রূঢ় সত্য মেনে নিয়েছি, ‘আজও বাঙালি সেই ঔপনিবেশিক সূত্রের মাঝে আটকে আছি।’ সেই যে ছোটবেলা—‘হিন্দু’ লাল পিঁপড়া দেখে মুসলমানরা তা মেরে ফেলবে আর ‘মুসলমান’ কালো পিঁপড়েগুলোকে মেরে ফেলবে হিন্দুরা। তবে কি সেই শিশুরাই বড় হয়ে সেই পুরোনো সূত্রটাকে আরও দুর্বোধ্য করে তুলল?
আমাদের নিজস্বতা, মূল্যবোধ আজ নেকাবে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বইয়ের পাতাতেই হাইলাইটেড। আর ঐতিহ্য? এটা কোনো বিষয় নাকি? কত দিক থেকেই তো আজকাল তাদের ধার করে আনা যায়! সংযম, ধৈর্য, শ্রদ্ধাবোধ যদি দেখাতেই হয়, তবে যারা আমরা সংখ্যায় বেশি, তাদের জন্যই তা, যারা সংখ্যায় কম তাদের জন্য এই কোটি কোটি মানুষের দেশে জায়গা নেই ভাই।
‘মালাউন’, ‘মালু’, ‘নোমো’ নামগুলো যেমন আমাদের বায়ান্ন আর একাত্তরের শরীরে নতুন করে রক্তপাত ঘটাচ্ছে, তেমনি ‘হুজুর’, ‘মৌলভি’, ‘জামায়াতি’ তকমা দিয়ে ঢেকে দেওয়া যাচ্ছে যেকোনো প্রাগৈতিহাসিক দৈত্যকে। টিপ দিয়ে রাস্তায় বের হলেই তাই আমি ‘দিদি’ হয়ে যাব। প্রশ্ন ছুটে আসবে, ‘তোমাদের পুজো কি শেষ নাকি?’ ম্রিয়মাণ আমি প্রাণপণে বলতে চাইব, ‘আরে ভাই, আমি গুরুর ভাগে পড়েছি, লঘু নই...টিপটা তো আমাদের সংস্কৃতির অংশ!’ কিন্তু জোর গলায় বলার সাহসটা কি একটু হারাচ্ছে না বাঙালি?
যে আটপৌরে বাঙালি তার স্বদেশকে হায়েনার মুখ থেকে বাঁচিয়েছিল একদিন, আজ তারাই সেই দেশটাকে ‘অদ্ভুত উটের পিঠে’ বসিয়ে বাহবা কুড়িয়ে যাচ্ছি। আসলে বাহবা নয়, স্বার্থ আর স্বার্থ চারপাশে। গাছ কেটে, খাল ভরিয়ে, জীবন বর্গা দিয়ে শুধু লেবাসটুকু আঁকড়ে আছি। তারপরও এ দেশে বর্ষা নামে, সবুজ মাটির ওপরে দাঁড়িয়ে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের যৌক্তিকতা নিয়ে তর্ক করা বাঙালি আজও গান গায়, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...’।
তবে ‘ইতিহাস’কে পুরোনো বানাতে চাওয়া দলটা শুধু ‘হাস’টুকু রেখে মাথাটার ‘ইতি’ টানতে বদ্ধপরিকর। আর যারা আজও ‘মঙ্গল’ কথাটায় বিশ্বাস রাখতে চায়, তাদের চোখের সামনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জৌলুশ হারায়। চিরকালীন উৎসবের নাম ঢাকা পড়ে যায় ‘হিন্দুয়ানি’র নিচে।
এই তো মাসখানেক আগে সকালবেলা ধানমন্ডি লেকে হাঁটতে গিয়ে বৃষ্টিতে আটকা পড়েছিলাম। একটু দূরে একটা ছোট ছেলে লেকের পানিতে মুখ ধুয়ে উঠে আসতেই তিনজন মাঝবয়সী বা প্রায়-বৃদ্ধ লোক তাকে ঘিরে ধরল। আজকাল যাকে ‘অ্যাবিউজ’ বলে সে রকম কথাবার্তা চালাতে লাগল ছোট ছেলেটার সঙ্গে। একপর্যায়ে এক লোক শিশুটিকে বলল, ‘এই তুই কি মুসলমান?’ ছেলেটি ‘হ্যাঁ’ বলতেই লোকটি তার লুঙ্গিতে হাত দিল, ‘দেখি দেখা তো তুই কেমন মুসলমান?’
আমি প্রাণপণে চুপ করে আছি! দেখি পথের পাশে বড় হওয়া ছোট শিশুটিও ঘাড় শক্ত করে শীর্ণ হাতে নিজের কাপড় আঁকড়ে ধরে বলছে, ‘আগে আপনি দেখান, আপনি হিন্দু নাকি মুসলমান, তারপরে আমি দেখামু!’
আমি চুপ করে অন্যদিকে তাকিয়ে বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভেসে যেতে দেখছি আমাদের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ নামের শব্দটিকে। তিন বৃদ্ধের অশ্লীল হাসি মনে করাচ্ছে, একাত্তর সালের হানাদারদের সেই অশ্লীল-নির্মম প্রশ্ন, ‘তুম মুসলমান হো? খতনা হুয়া?’
একুশ শতকের শেষ প্রান্তে এসে আটপৌরে বাঙালি আজ সত্যিই লুডুর বোর্ডের ৯৯ ঘরের সাপটির মুখের সামনে দাঁড়িয়ে। চোখের সামনে সাতচল্লিশের সেই বিভাজনের সূত্রটা। আমাদের শরীরজুড়ে হিংসার লাল আর কালো পিঁপড়ার দল। লোভ-স্বার্থ-ক্ষমতার কাছে মনুষ্যত্ব হেরে যেতে বসেছে। র্যাডক্লিফের মগজ থেকে যে সীমারেখার সূত্র বেড়িয়েছিল তা মাটির সীমানা ছাড়িয়ে বাঙালির অন্তরমহলে পাকাপোক্ত হতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথ তবু প্রাণপণে বলছেন, ‘ভয় নেই ভাই, মানবকে মহান বলে যেন।’
সত্যিই কি মানবেরা মহান? নাকি এটাও বইয়ের পাতায় আটকে থাকা কোনো পৌরাণিক শব্দ শুধু?
একুশ শতকের আটপৌরে বাঙালি আজ সাপলুডুর বোর্ডের একদম ৯৯ নম্বর ঘরের সাপটির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সামনে সাতচল্লিশ সালের দেশভাগের সূত্রটি জোর বাতাসে দুলছে! সূত্রের শরীরে হিংসার লাল আর কালো পিঁপড়া হেঁটে বেড়াচ্ছে।
একটু পেছনে তাকাই। ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্ব নামে এক ভয়ানক বিষাক্ত সূত্র প্রবর্তন করেই একসময় ভারতবর্ষ ভাগ করা হয়েছিল। যোগ, বিয়োগ কিংবা গুণ নয়, সেই ভাগ সত্যি সত্যি ভাগ করে দিয়েছিল বহু মানুষের ভাগ্য! ভাষা, চেহারা, আচার, আচরণ সবটায় মিল থাকলেও শুধু ধর্মটাকে মুখ্য করে আলাদা করা হয়েছিল আটপৌরে বাঙালিকে। কেন, কবে, কীভাবে তার উত্তর খোঁজার জন্য হাজারো মানুষের গল্প চারদিকে, একজন ছা-পোষা মানুষ সেটুকুতেই ভাষা ফোটাতে চাই।
তবে বাঙালি কিন্তু এই সব সূত্রকে বুড়ো আঙুল দেখাতেও পারে! এর প্রমাণ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। আর সেই গৌরবের পথ ধরেই একাত্তর সালে মা-মাটি-সংস্কৃতির জন্য প্রাণ বাজি ধরে সেই বাজিতেও জিতে যাওয়া। বেশি দিন তো নয়, মাত্র ৫২টি বছর।
সংস্কৃতির প্রতি অপার ভালোবাসা নিয়েই বড় হয়েছিলাম স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রজন্মের মানুষগুলো। তারপর? তারপর কোথা থেকে যেন বেনোজল এল। বেহুলার বাসরঘরের মতো অদৃশ্য ছিদ্রপথে সেই পুরোনো সাপটাই প্রবেশ করল বাঙালির অন্তরমহলে। সাপটা আজ পরিপূর্ণ অনেক দিক থেকে। তাকে লালন করেছে এ দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আস্তানা গেড়ে বসা কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষ আর পালন করে যাচ্ছি আমরা এই আমজনতা!
অবাক লাগছে? এই অবাকপর্ব পার করে আজ আমরা অনেকেই এক রূঢ় সত্য মেনে নিয়েছি, ‘আজও বাঙালি সেই ঔপনিবেশিক সূত্রের মাঝে আটকে আছি।’ সেই যে ছোটবেলা—‘হিন্দু’ লাল পিঁপড়া দেখে মুসলমানরা তা মেরে ফেলবে আর ‘মুসলমান’ কালো পিঁপড়েগুলোকে মেরে ফেলবে হিন্দুরা। তবে কি সেই শিশুরাই বড় হয়ে সেই পুরোনো সূত্রটাকে আরও দুর্বোধ্য করে তুলল?
আমাদের নিজস্বতা, মূল্যবোধ আজ নেকাবে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বইয়ের পাতাতেই হাইলাইটেড। আর ঐতিহ্য? এটা কোনো বিষয় নাকি? কত দিক থেকেই তো আজকাল তাদের ধার করে আনা যায়! সংযম, ধৈর্য, শ্রদ্ধাবোধ যদি দেখাতেই হয়, তবে যারা আমরা সংখ্যায় বেশি, তাদের জন্যই তা, যারা সংখ্যায় কম তাদের জন্য এই কোটি কোটি মানুষের দেশে জায়গা নেই ভাই।
‘মালাউন’, ‘মালু’, ‘নোমো’ নামগুলো যেমন আমাদের বায়ান্ন আর একাত্তরের শরীরে নতুন করে রক্তপাত ঘটাচ্ছে, তেমনি ‘হুজুর’, ‘মৌলভি’, ‘জামায়াতি’ তকমা দিয়ে ঢেকে দেওয়া যাচ্ছে যেকোনো প্রাগৈতিহাসিক দৈত্যকে। টিপ দিয়ে রাস্তায় বের হলেই তাই আমি ‘দিদি’ হয়ে যাব। প্রশ্ন ছুটে আসবে, ‘তোমাদের পুজো কি শেষ নাকি?’ ম্রিয়মাণ আমি প্রাণপণে বলতে চাইব, ‘আরে ভাই, আমি গুরুর ভাগে পড়েছি, লঘু নই...টিপটা তো আমাদের সংস্কৃতির অংশ!’ কিন্তু জোর গলায় বলার সাহসটা কি একটু হারাচ্ছে না বাঙালি?
যে আটপৌরে বাঙালি তার স্বদেশকে হায়েনার মুখ থেকে বাঁচিয়েছিল একদিন, আজ তারাই সেই দেশটাকে ‘অদ্ভুত উটের পিঠে’ বসিয়ে বাহবা কুড়িয়ে যাচ্ছি। আসলে বাহবা নয়, স্বার্থ আর স্বার্থ চারপাশে। গাছ কেটে, খাল ভরিয়ে, জীবন বর্গা দিয়ে শুধু লেবাসটুকু আঁকড়ে আছি। তারপরও এ দেশে বর্ষা নামে, সবুজ মাটির ওপরে দাঁড়িয়ে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের যৌক্তিকতা নিয়ে তর্ক করা বাঙালি আজও গান গায়, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...’।
তবে ‘ইতিহাস’কে পুরোনো বানাতে চাওয়া দলটা শুধু ‘হাস’টুকু রেখে মাথাটার ‘ইতি’ টানতে বদ্ধপরিকর। আর যারা আজও ‘মঙ্গল’ কথাটায় বিশ্বাস রাখতে চায়, তাদের চোখের সামনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জৌলুশ হারায়। চিরকালীন উৎসবের নাম ঢাকা পড়ে যায় ‘হিন্দুয়ানি’র নিচে।
এই তো মাসখানেক আগে সকালবেলা ধানমন্ডি লেকে হাঁটতে গিয়ে বৃষ্টিতে আটকা পড়েছিলাম। একটু দূরে একটা ছোট ছেলে লেকের পানিতে মুখ ধুয়ে উঠে আসতেই তিনজন মাঝবয়সী বা প্রায়-বৃদ্ধ লোক তাকে ঘিরে ধরল। আজকাল যাকে ‘অ্যাবিউজ’ বলে সে রকম কথাবার্তা চালাতে লাগল ছোট ছেলেটার সঙ্গে। একপর্যায়ে এক লোক শিশুটিকে বলল, ‘এই তুই কি মুসলমান?’ ছেলেটি ‘হ্যাঁ’ বলতেই লোকটি তার লুঙ্গিতে হাত দিল, ‘দেখি দেখা তো তুই কেমন মুসলমান?’
আমি প্রাণপণে চুপ করে আছি! দেখি পথের পাশে বড় হওয়া ছোট শিশুটিও ঘাড় শক্ত করে শীর্ণ হাতে নিজের কাপড় আঁকড়ে ধরে বলছে, ‘আগে আপনি দেখান, আপনি হিন্দু নাকি মুসলমান, তারপরে আমি দেখামু!’
আমি চুপ করে অন্যদিকে তাকিয়ে বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভেসে যেতে দেখছি আমাদের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ নামের শব্দটিকে। তিন বৃদ্ধের অশ্লীল হাসি মনে করাচ্ছে, একাত্তর সালের হানাদারদের সেই অশ্লীল-নির্মম প্রশ্ন, ‘তুম মুসলমান হো? খতনা হুয়া?’
একুশ শতকের শেষ প্রান্তে এসে আটপৌরে বাঙালি আজ সত্যিই লুডুর বোর্ডের ৯৯ ঘরের সাপটির মুখের সামনে দাঁড়িয়ে। চোখের সামনে সাতচল্লিশের সেই বিভাজনের সূত্রটা। আমাদের শরীরজুড়ে হিংসার লাল আর কালো পিঁপড়ার দল। লোভ-স্বার্থ-ক্ষমতার কাছে মনুষ্যত্ব হেরে যেতে বসেছে। র্যাডক্লিফের মগজ থেকে যে সীমারেখার সূত্র বেড়িয়েছিল তা মাটির সীমানা ছাড়িয়ে বাঙালির অন্তরমহলে পাকাপোক্ত হতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথ তবু প্রাণপণে বলছেন, ‘ভয় নেই ভাই, মানবকে মহান বলে যেন।’
সত্যিই কি মানবেরা মহান? নাকি এটাও বইয়ের পাতায় আটকে থাকা কোনো পৌরাণিক শব্দ শুধু?
দেশের সংবিধান, পুলিশ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নানা আলাপ হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারেরই গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেঈশ্বরকে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমরা। এ কারণে মানবদেহ থাকলেও মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নেই কিংবা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই, যদিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি এখানে আসার কথা ছিল না। শব্দটি প্রযোজ্য নয় এখানে। কিন্তু জন্ম, মৃত্যু ও ধর্মকে পুঁজি করে এক অদৃশ্য নাগপাশে বাঁধা পড়ে
১৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক অংশ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়; বিচার বিভাগে সংস্কার, হাসিনা সরকারের হত্যা-নির্যাতন, গুম-খুন ও দুর্নীতির বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষকরণসহ নানা
১৭ ঘণ্টা আগেঢাকা শহরে পরিবহনের অব্যবস্থাপনার কারণে নগরবাসী কাহিল অনেক আগে থেকেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকারের কিছু উদ্যোগ গ্রহণের কারণে মানুষ আশার আলো দেখতে পেলেও সময়ের সঙ্গে সেই আশাও নিরাশায় পরিণত হয়েছে। মূলত পরিবহনমালিক ও নেতাদের অসহযোগিতার কারণে
১৭ ঘণ্টা আগে