শাইখ সিরাজ
দেশে উৎপাদিত মোট চালের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে আমন থেকে। গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরপর বন্যায় মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন কৃষক। বন্যায় সবশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগের কৃষক। দেশের ধান উৎপাদনের বড় একটি হাব বলা যায় ময়মনসিংহ অঞ্চলকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা—এ চার জেলায় খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫০ টন। বিপরীতে এ অঞ্চলে চাহিদা ছিল মাত্র ১৮ লাখ ৭ হাজার ২৩৩ টন। বাকি ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৭১৭ টন উদ্বৃত্ত খাদ্যে পূরণ করা হয় রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলোর চাহিদা। তবে সাম্প্রতিক বন্যায় এ অঞ্চলের লক্ষাধিক হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলেরও।
কৃষি ও মৎস্য বিভাগের তথ্য বলছে, ময়মনসিংহে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ২৮৩ হেক্টর জমির আমন ধান ও শাকসবজি। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ লাখ কৃষক। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা। আর ভেসে গেছে প্রায় ১৫ হাজার পুকুর, দিঘি ও মাছের খামার।
বাংলাদেশের মোট খাদ্য চাহিদার ১০ শতাংশই আসে ময়মনসিংহ জেলা থেকে। এ জেলার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি স্থানীয় মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে যেমন ঘাটতি ফেলবে, আশঙ্কা আছে জাতীয় পর্যায়েও রাখবে ক্ষতিকর প্রভাব।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের আমন মৌসুমের প্রায় ৬০ লাখ হেক্টর জমিতে ১ কোটি ৬৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা
হয়েছিল। কিন্তু মোট উৎপাদন হয় ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ টন চাল, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টন বেশি।
এবার বন্যার কারণে আমনের ব্যাপক ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক জমিতে পানি উঠে যাওয়ায় ধানের শিষ বের হচ্ছে দেরি করে। এতে ধান উৎপাদনে সময় লাগছে বেশি। এর প্রভাবে বোরো ধান রোপণের সময়ও পিছিয়ে যেতে পারে। বন্যায় নষ্ট হয়েছে কৃষকের ঘরে থাকা বোরো ধানের বীজও।
গত আগস্টের বন্যায় দেশের পূর্বাঞ্চলে ২৩ জেলায় ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; দুর্দশায় পড়েন ১৪ লাখেরও বেশি কৃষক। কৃষি মন্ত্রণালয় বন্যার ক্ষয়ক্ষতির সবশেষ হিসাবে বলেছে, ফসলি জমি ২ লাখ হেক্টরের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি। ফলে সব মিলিয়ে কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। আমরা জানার চেষ্টা করি এসব অঞ্চলের কৃষকের বর্তমান অবস্থা। কৃষক এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। দেরিতে রোপণ করা আমনের কাঙ্ক্ষিত ফলন মাঠে দৃশ্যমান নয়।
দীর্ঘদিন ধরে বন্যাসহনশীল ধানের জাত নিয়ে কথা বলে আসছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। ব্রি ধান ৫১ ও ব্রি ধান ৫২ বন্যাসহনশীল রোপা আমনের জাত। আমরা নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ এলাকায় মাঠের কৃষক এ ধান সম্পর্কে কতটা জানেন, তা জানার চেষ্টা করি। জানতে চাই বন্যাসহনশীল জাতগুলো আসলে কতটা বন্যা সহ্য করতে পেরেছে। কিন্তু অবাক করা বিষয়, অধিকাংশ কৃষকই এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। কৃষকেরাও ফলনের নিশ্চয়তা পেতে পরীক্ষিত ধানের জাতের বাইরে গিয়ে চাষাবাদ করতে চান না। সব মিলিয়ে এবারের বন্যায় বন্যাসহনশীল ধানের জাতগুলো কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি।
দেশে চাল উদ্বৃত্ত থাকা জেলাগুলোর শীর্ষে রয়েছে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঝিনাইদহ, জয়পুরহাট, শেরপুর, নওগাঁ, বগুড়া, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ভোলা। এসব জেলায় ৮০ থেকে ১৮৩ শতাংশ পর্যন্ত চাল উদ্বৃত্ত থাকে। কুড়িগ্রাম, জামালপুর, নীলফামারী, রংপুর, মাগুরা, যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও পটুয়াখালী জেলায় ৫১ থেকে ৭৭ শতাংশ চাল উদ্বৃত্ত থাকে। গাইবান্ধা, নাটোর, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২২ থেকে ৪৮ শতাংশ চাল উদ্বৃত্ত থাকে। রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলায় ১ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত চাল উদ্বৃত্ত থাকে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও রাঙামাটি—এ জেলাগুলোয় ৪৬ থেকে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত চালের ঘাটতি রয়েছে। আর মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও মাদারীপুরে রয়েছে ১৯-৪০ শতাংশ চালের ঘাটতি। কিন্তু এবারকার উপর্যুপরি বন্যা পরিস্থিতির কারণে চালের ঘাটতি দেখা দেবে বন্যাকবলিত জেলাগুলোতেও।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফসলের ফলন কমে যাওয়ায় চালের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুল্ক কমিয়ে আমদানিকে উৎসাহিত এবং স্থানীয় মজুত বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি চাল আমদানিতে শুল্ক-কর ৬২.৫ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমদানিতে উৎসাহ জোগাতে চালে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিসি)।
খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে ক্রমেই কমে আসছে চালের মজুত। গুদামে এখন চালের মজুত ১০ লাখ টনের নিচে। বাজারে ইতিমধ্যে চালের দাম ৪ থেকে ৭ শতাংশ বেড়ে গেছে।
যেকোনো সংকট মোকাবিলায় দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ সংকট নিরসনকে সহজ করে তোলে। আসন্ন খাদ্যশস্যের ঘাটতির আশঙ্কাকে প্রতিহত করতে সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নিতে হবে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন, বণ্টন এবং বাজারজাতকরণে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সব ধরনের অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি কোনো সিন্ডিকেট যেন অসাধুভাবে বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে না পারে, তার জন্য বাজার মনিটরিং শক্তিশালী করতে হবে।
এমনিতেই বাজারমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ মানুষ পেরে উঠছে না, চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। তবে আশা রাখি সরকার নিশ্চয়ই সুপরিকল্পনা ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে এ সংকট সমাধানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।
শাইখ সিরাজ, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান চ্যানেল আই
দেশে উৎপাদিত মোট চালের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে আমন থেকে। গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরপর বন্যায় মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন কৃষক। বন্যায় সবশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগের কৃষক। দেশের ধান উৎপাদনের বড় একটি হাব বলা যায় ময়মনসিংহ অঞ্চলকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা—এ চার জেলায় খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫০ টন। বিপরীতে এ অঞ্চলে চাহিদা ছিল মাত্র ১৮ লাখ ৭ হাজার ২৩৩ টন। বাকি ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৭১৭ টন উদ্বৃত্ত খাদ্যে পূরণ করা হয় রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলোর চাহিদা। তবে সাম্প্রতিক বন্যায় এ অঞ্চলের লক্ষাধিক হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলেরও।
কৃষি ও মৎস্য বিভাগের তথ্য বলছে, ময়মনসিংহে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ২৮৩ হেক্টর জমির আমন ধান ও শাকসবজি। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ লাখ কৃষক। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা। আর ভেসে গেছে প্রায় ১৫ হাজার পুকুর, দিঘি ও মাছের খামার।
বাংলাদেশের মোট খাদ্য চাহিদার ১০ শতাংশই আসে ময়মনসিংহ জেলা থেকে। এ জেলার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি স্থানীয় মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে যেমন ঘাটতি ফেলবে, আশঙ্কা আছে জাতীয় পর্যায়েও রাখবে ক্ষতিকর প্রভাব।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের আমন মৌসুমের প্রায় ৬০ লাখ হেক্টর জমিতে ১ কোটি ৬৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা
হয়েছিল। কিন্তু মোট উৎপাদন হয় ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ টন চাল, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টন বেশি।
এবার বন্যার কারণে আমনের ব্যাপক ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক জমিতে পানি উঠে যাওয়ায় ধানের শিষ বের হচ্ছে দেরি করে। এতে ধান উৎপাদনে সময় লাগছে বেশি। এর প্রভাবে বোরো ধান রোপণের সময়ও পিছিয়ে যেতে পারে। বন্যায় নষ্ট হয়েছে কৃষকের ঘরে থাকা বোরো ধানের বীজও।
গত আগস্টের বন্যায় দেশের পূর্বাঞ্চলে ২৩ জেলায় ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; দুর্দশায় পড়েন ১৪ লাখেরও বেশি কৃষক। কৃষি মন্ত্রণালয় বন্যার ক্ষয়ক্ষতির সবশেষ হিসাবে বলেছে, ফসলি জমি ২ লাখ হেক্টরের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি। ফলে সব মিলিয়ে কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। আমরা জানার চেষ্টা করি এসব অঞ্চলের কৃষকের বর্তমান অবস্থা। কৃষক এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। দেরিতে রোপণ করা আমনের কাঙ্ক্ষিত ফলন মাঠে দৃশ্যমান নয়।
দীর্ঘদিন ধরে বন্যাসহনশীল ধানের জাত নিয়ে কথা বলে আসছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। ব্রি ধান ৫১ ও ব্রি ধান ৫২ বন্যাসহনশীল রোপা আমনের জাত। আমরা নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ এলাকায় মাঠের কৃষক এ ধান সম্পর্কে কতটা জানেন, তা জানার চেষ্টা করি। জানতে চাই বন্যাসহনশীল জাতগুলো আসলে কতটা বন্যা সহ্য করতে পেরেছে। কিন্তু অবাক করা বিষয়, অধিকাংশ কৃষকই এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। কৃষকেরাও ফলনের নিশ্চয়তা পেতে পরীক্ষিত ধানের জাতের বাইরে গিয়ে চাষাবাদ করতে চান না। সব মিলিয়ে এবারের বন্যায় বন্যাসহনশীল ধানের জাতগুলো কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি।
দেশে চাল উদ্বৃত্ত থাকা জেলাগুলোর শীর্ষে রয়েছে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঝিনাইদহ, জয়পুরহাট, শেরপুর, নওগাঁ, বগুড়া, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ভোলা। এসব জেলায় ৮০ থেকে ১৮৩ শতাংশ পর্যন্ত চাল উদ্বৃত্ত থাকে। কুড়িগ্রাম, জামালপুর, নীলফামারী, রংপুর, মাগুরা, যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও পটুয়াখালী জেলায় ৫১ থেকে ৭৭ শতাংশ চাল উদ্বৃত্ত থাকে। গাইবান্ধা, নাটোর, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২২ থেকে ৪৮ শতাংশ চাল উদ্বৃত্ত থাকে। রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলায় ১ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত চাল উদ্বৃত্ত থাকে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও রাঙামাটি—এ জেলাগুলোয় ৪৬ থেকে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত চালের ঘাটতি রয়েছে। আর মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও মাদারীপুরে রয়েছে ১৯-৪০ শতাংশ চালের ঘাটতি। কিন্তু এবারকার উপর্যুপরি বন্যা পরিস্থিতির কারণে চালের ঘাটতি দেখা দেবে বন্যাকবলিত জেলাগুলোতেও।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফসলের ফলন কমে যাওয়ায় চালের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুল্ক কমিয়ে আমদানিকে উৎসাহিত এবং স্থানীয় মজুত বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি চাল আমদানিতে শুল্ক-কর ৬২.৫ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমদানিতে উৎসাহ জোগাতে চালে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিসি)।
খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে ক্রমেই কমে আসছে চালের মজুত। গুদামে এখন চালের মজুত ১০ লাখ টনের নিচে। বাজারে ইতিমধ্যে চালের দাম ৪ থেকে ৭ শতাংশ বেড়ে গেছে।
যেকোনো সংকট মোকাবিলায় দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ সংকট নিরসনকে সহজ করে তোলে। আসন্ন খাদ্যশস্যের ঘাটতির আশঙ্কাকে প্রতিহত করতে সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নিতে হবে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন, বণ্টন এবং বাজারজাতকরণে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সব ধরনের অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি কোনো সিন্ডিকেট যেন অসাধুভাবে বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে না পারে, তার জন্য বাজার মনিটরিং শক্তিশালী করতে হবে।
এমনিতেই বাজারমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ মানুষ পেরে উঠছে না, চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। তবে আশা রাখি সরকার নিশ্চয়ই সুপরিকল্পনা ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে এ সংকট সমাধানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।
শাইখ সিরাজ, পরিচালক ও বার্তাপ্রধান চ্যানেল আই
যাঁরা একটু পুরোনো আমলের মানুষ, তাঁদের মনে এখনো আমেরিকা-রাশিয়া নিয়ে অনেক আগ্রহ। পৃথিবী বদলে গেছে। এই রাশিয়া যে বিগত সোভিয়েত ইউনিয়নের আদর্শিক উত্তরসূরি নয়, সে কথাও সবাই জানে। তার পরও সত্তর ও আশির দশকের ঠান্ডা লড়াইকালের রাশিয়া-আমেরিকাকেই এখনো মনের মধ্যে স্থান দিয়ে রাখা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেভেবেছিলাম, সমাজ বিনির্মাণে রাজনীতি নিয়ে লিখব। পরে আমার মনে হলো বিনির্মাণ কেন? নির্মাণের আগে যে ‘বি’ উপসর্গটি যুক্ত, তা ইতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়। যে দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচকতা বলে আসলে কিছুই আর নেই, সেই সমাজে ‘সমাজ বিনির্মাণে রাজনীতি’ শিরোনাম কি যুক্তিযুক্ত?
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রবীণ জীবনে স্ত্রীর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেবাযত্ন, ওষুধপত্র, খাবারদাবার ইত্যাদি বিষয়ে স্ত্রীর নজরদারি থাকে। আমাদের সমাজব্যবস্থায় দাম্পত্যজীবনে স্বামীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার রেওয়াজ চালু রয়েছে। কার্যত সংসারে স্ত্রীর অভিভাবক স্বামী।
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিনের সংবাদপত্রে অসংখ্য খারাপ খবর পাঠ করে পাঠক যখন ক্লান্ত, ত্যক্তবিরক্ত, ঠিক তখন ২৯ নভেম্বর আজকের পত্রিকায় ‘এবার সবচেয়ে চিকন ধান উদ্ভাবন নূরের’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি পড়ে পাঠক খুশি হবেন, আনন্দিত হবেন।
১৮ ঘণ্টা আগে