এম আর রহমান
খোদ নিজের দেশে এমন কঠিন সমস্যায় পড়বেন তা হয়তো স্বপ্নেও চিন্তা করেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত রোববার দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সব কয়টি উত্তাল হয়ে ওঠে ট্রাম্প ও তাঁর প্রধান চ্যালা ইলন মাস্কবিরোধী বিক্ষোভে। ১ হাজার ৪০০-এর বেশি স্থান তাঁদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কেঁপে ওঠে। ‘হ্যান্ডস অফ!’ নামের এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। তারা সবাই ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ প্রধান শহরগুলোতে বড় বড় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন শহরেও সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ হয়েছে। কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিজ দেশে এ ধরনের বিক্ষোভ সম্ভবত এটাই প্রথম।
তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্প যা শুরু করেছেন, তাতে এ ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনিবার্য ছিল। তিনি দেশে-বিদেশে যেসব নতুন বন্দোবস্ত চালু করার পরিকল্পনা আগেই ঘোষণা করেছিলেন, এখন ক্ষমতায় বসে তার বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। আর শুরুটা অনেকটা কালবৈশাখীর মতো হয়ে এসেছে সাধারণ মানুষের কাছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে সবার জীবন। ফলে প্রতিবাদটা অনিবার্য ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় বসার ৮০ দিনের মধ্যে এমন প্রতিবাদের মুখে পড়বেন তা বোধ হয় ট্রাম্প বা তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা ভাবতে পারেননি।
পারবেন কীভাবে? তাঁরা ক্ষমতার মধু খেতে বসেই অন্যের রুটি-রুজিতে হাত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজ করা ব্যক্তিরা জানেন না আগামীকাল তাঁদের চাকরি থাকবে কি না। এত অনিশ্চয়তা জীবনে হঠাৎ ভর করলে কার মাথা ঠিক থাকে? শুধু কি তা-ই? ট্রাম্প ও তাঁর বড় চ্যালা মাস্ক সবাইকে অযোগ্য বিবেচনা করছেন। তাঁদের প্রতি সহানুভূতি দূরে থাকুক, বরং বিদ্বেষ কাজ করছে। লোকরঞ্জনবাদী ট্রাম্পের ভালো দিনের অপেক্ষায় একটু তো ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। কী আশ্চর্য! ভালো দিন আসা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে—এ বিশ্বাস মার্কিন জনগণ করে না। তাই একেবারে তারা রাস্তায় নেমে পড়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প প্রশাসন ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই) প্রতিষ্ঠা করে সে দেশের ধনকুবের ইলন মাস্ককে এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। এই সংস্থার অধীনে মাত্র তিন মাসের মধ্যে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪৫ জনকে ফেডারেল চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৭২ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া অভিবাসী বিতাড়ন, স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার এবং সামাজিক সেবা বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ জনগণ। সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ভোক্তা সুরক্ষাসংক্রান্ত পরিষেবাগুলোতে ব্যাপক কাটছাঁট করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। এই পদক্ষেপগুলো সাধারণ মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর। ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট সংস্থার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপক গ্রেপ্তার ও নির্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম ৫০ দিনে ৩২ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা অভিবাসীদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন এসব পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করছে। বিক্ষোভ সমাবেশগুলোতে লাখ লাখ মানুষের মুখে ছিল একটাই কথা, ‘আমেরিকার কোনো রাজা নেই। আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না।’ এই কথাটা নির্বাচনের আগে যদি অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক বুঝতেন তাহলে ভালো হতো। তবে এটাও সত্যও যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জিতলে বিশ্ব আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠত। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ ভূমিকা আরও আগ্রাসী রূপ নিতে পারত।
এখন ‘হ্যান্ডস অফ’ কর্মসূচিকে সরাসরি সমর্থন করেছেন কমলা হ্যারিসও। ট্রাম্প-প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রশংসা করেছেন তিনি। রোববার মাস্ককে কটাক্ষ করে কমলা নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আজ আমাদের দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন আমেরিকানরা। সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিক্ষোভকারী শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর এসব “অনির্বাচিত ধনকুবেরদের” কণ্ঠকে ছাপিয়ে যাক।’
ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং নতুন শুল্কনীতিও রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের একাংশ। সম্প্রতি ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিকে ঘিরে দেশের বাইরেও ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। চীনের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আছে, নিয়েছে। বন্ধু ইউরোপ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে। অন্যরা ট্রাম্পের করুণা প্রত্যাশী। কিন্তু যে যেভাবেই ভাবুক না কেন, এটা পরিষ্কার যে ট্রাম্পের আমেরিকার ওপর কেউ সন্তুষ্ট নয়। তিনি নিজের দেশকে সবার কাছে এ কয় দিনে অবিশ্বস্ত করে তুলতে পেরেছেন।
ট্রাম্প যে রকম গোঁয়ার, এসব বিক্ষোভ-প্রতিবাদে তাঁর প্রশাসনের নীতিতে তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন আসবে, তা মনে হয় না। কিন্তু গোয়ার্তুমি করে কি ট্রাম্প ক্ষমতায় টিকতে পারবেন? তা হয়তো পারবেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করতে হলে তাঁকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত এবং সিনেটে দোষী সাব্যস্ত হতে হয়।
বর্তমানে রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ট্রাম্পের অপসারণের আশঙ্কা কম। তবে, যদি বিক্ষোভ ও জনমতের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে, তাহলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও হতে পারে।
খোদ নিজের দেশে এমন কঠিন সমস্যায় পড়বেন তা হয়তো স্বপ্নেও চিন্তা করেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত রোববার দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সব কয়টি উত্তাল হয়ে ওঠে ট্রাম্প ও তাঁর প্রধান চ্যালা ইলন মাস্কবিরোধী বিক্ষোভে। ১ হাজার ৪০০-এর বেশি স্থান তাঁদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কেঁপে ওঠে। ‘হ্যান্ডস অফ!’ নামের এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। তারা সবাই ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ প্রধান শহরগুলোতে বড় বড় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন শহরেও সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ হয়েছে। কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিজ দেশে এ ধরনের বিক্ষোভ সম্ভবত এটাই প্রথম।
তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্প যা শুরু করেছেন, তাতে এ ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনিবার্য ছিল। তিনি দেশে-বিদেশে যেসব নতুন বন্দোবস্ত চালু করার পরিকল্পনা আগেই ঘোষণা করেছিলেন, এখন ক্ষমতায় বসে তার বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। আর শুরুটা অনেকটা কালবৈশাখীর মতো হয়ে এসেছে সাধারণ মানুষের কাছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে সবার জীবন। ফলে প্রতিবাদটা অনিবার্য ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় বসার ৮০ দিনের মধ্যে এমন প্রতিবাদের মুখে পড়বেন তা বোধ হয় ট্রাম্প বা তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা ভাবতে পারেননি।
পারবেন কীভাবে? তাঁরা ক্ষমতার মধু খেতে বসেই অন্যের রুটি-রুজিতে হাত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজ করা ব্যক্তিরা জানেন না আগামীকাল তাঁদের চাকরি থাকবে কি না। এত অনিশ্চয়তা জীবনে হঠাৎ ভর করলে কার মাথা ঠিক থাকে? শুধু কি তা-ই? ট্রাম্প ও তাঁর বড় চ্যালা মাস্ক সবাইকে অযোগ্য বিবেচনা করছেন। তাঁদের প্রতি সহানুভূতি দূরে থাকুক, বরং বিদ্বেষ কাজ করছে। লোকরঞ্জনবাদী ট্রাম্পের ভালো দিনের অপেক্ষায় একটু তো ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। কী আশ্চর্য! ভালো দিন আসা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে—এ বিশ্বাস মার্কিন জনগণ করে না। তাই একেবারে তারা রাস্তায় নেমে পড়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প প্রশাসন ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই) প্রতিষ্ঠা করে সে দেশের ধনকুবের ইলন মাস্ককে এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। এই সংস্থার অধীনে মাত্র তিন মাসের মধ্যে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪৫ জনকে ফেডারেল চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৭২ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া অভিবাসী বিতাড়ন, স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার এবং সামাজিক সেবা বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ জনগণ। সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ভোক্তা সুরক্ষাসংক্রান্ত পরিষেবাগুলোতে ব্যাপক কাটছাঁট করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। এই পদক্ষেপগুলো সাধারণ মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর। ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট সংস্থার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপক গ্রেপ্তার ও নির্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম ৫০ দিনে ৩২ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা অভিবাসীদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন এসব পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করছে। বিক্ষোভ সমাবেশগুলোতে লাখ লাখ মানুষের মুখে ছিল একটাই কথা, ‘আমেরিকার কোনো রাজা নেই। আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না।’ এই কথাটা নির্বাচনের আগে যদি অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক বুঝতেন তাহলে ভালো হতো। তবে এটাও সত্যও যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জিতলে বিশ্ব আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠত। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ ভূমিকা আরও আগ্রাসী রূপ নিতে পারত।
এখন ‘হ্যান্ডস অফ’ কর্মসূচিকে সরাসরি সমর্থন করেছেন কমলা হ্যারিসও। ট্রাম্প-প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রশংসা করেছেন তিনি। রোববার মাস্ককে কটাক্ষ করে কমলা নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আজ আমাদের দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন আমেরিকানরা। সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিক্ষোভকারী শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর এসব “অনির্বাচিত ধনকুবেরদের” কণ্ঠকে ছাপিয়ে যাক।’
ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং নতুন শুল্কনীতিও রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের একাংশ। সম্প্রতি ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিকে ঘিরে দেশের বাইরেও ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। চীনের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আছে, নিয়েছে। বন্ধু ইউরোপ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে। অন্যরা ট্রাম্পের করুণা প্রত্যাশী। কিন্তু যে যেভাবেই ভাবুক না কেন, এটা পরিষ্কার যে ট্রাম্পের আমেরিকার ওপর কেউ সন্তুষ্ট নয়। তিনি নিজের দেশকে সবার কাছে এ কয় দিনে অবিশ্বস্ত করে তুলতে পেরেছেন।
ট্রাম্প যে রকম গোঁয়ার, এসব বিক্ষোভ-প্রতিবাদে তাঁর প্রশাসনের নীতিতে তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন আসবে, তা মনে হয় না। কিন্তু গোয়ার্তুমি করে কি ট্রাম্প ক্ষমতায় টিকতে পারবেন? তা হয়তো পারবেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করতে হলে তাঁকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত এবং সিনেটে দোষী সাব্যস্ত হতে হয়।
বর্তমানে রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ট্রাম্পের অপসারণের আশঙ্কা কম। তবে, যদি বিক্ষোভ ও জনমতের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে, তাহলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও হতে পারে।
দেশের সংবিধান, পুলিশ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নানা আলাপ হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারেরই গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৬ ঘণ্টা আগেঈশ্বরকে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমরা। এ কারণে মানবদেহ থাকলেও মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নেই কিংবা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই, যদিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি এখানে আসার কথা ছিল না। শব্দটি প্রযোজ্য নয় এখানে। কিন্তু জন্ম, মৃত্যু ও ধর্মকে পুঁজি করে এক অদৃশ্য নাগপাশে বাঁধা পড়ে
১৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক অংশ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়; বিচার বিভাগে সংস্কার, হাসিনা সরকারের হত্যা-নির্যাতন, গুম-খুন ও দুর্নীতির বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষকরণসহ নানা
১৬ ঘণ্টা আগেঢাকা শহরে পরিবহনের অব্যবস্থাপনার কারণে নগরবাসী কাহিল অনেক আগে থেকেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকারের কিছু উদ্যোগ গ্রহণের কারণে মানুষ আশার আলো দেখতে পেলেও সময়ের সঙ্গে সেই আশাও নিরাশায় পরিণত হয়েছে। মূলত পরিবহনমালিক ও নেতাদের অসহযোগিতার কারণে
১৬ ঘণ্টা আগে