বিরস
তখন বিএনপির শাসনকাল চলছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। সেনাবাহিনী কী করে, তা দেখার জন্য কৌতূহলী এক ব্যক্তি রাস্তার এদিক-ওদিক পায়চারি করছিলেন। তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে কাছে ডেকে এক সেনাসদস্য জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি এভাবে ঘুরঘুর করছেন কেন?’
পথচারীর জবাব: ‘ঘরে খুব গরম, তাই একটু ঘোরাঘুরি করছি।’
সেনাসদস্য রেগে গিয়ে তাঁকে দশবার কান ধরে ওঠবস করতে বললেন। লোকটি দশবারের জায়গায় বিশবার ওঠবস করায় সেনাসদস্য বললেন, ‘আপনাকে দশবার ওঠবস করতে বললাম। আপনি বিশবার করলেন কেন?’
লোকটির জবাব: ‘আপনি বলেছেন বলে দশবার ওঠবস করেছি, আর দশবার নিজের নির্বুদ্ধিতার জন্য।’
সেনাসদস্যের প্রশ্ন: ‘নির্বোধের মতো কী করেছেন?’
লোকটির জবাব: ‘প্রথমত, বিএনপিকে ভোট দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত কৌতূহলবশত আজ আপনাদের কর্মকাণ্ড দেখতে বেরিয়েছি।’
খ. যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি ছোট বিমান আকাশে বেসামাল হয়ে উড়তে থাকে। যেকোনো মুহূর্তে ক্র্যাশ করার আশঙ্কা। বিমানে যাত্রী মাত্র চারজন। একজন পাইলট, একজন রাজনৈতিক নেতা, একজন শিক্ষক, অপরজন ছাত্র। বিমানে প্যারাস্যুট আছে মাত্র তিনটি!
একটা প্যারাস্যুট নিয়ে পাইলট বললেন, ‘আমি আগে লাফিয়ে পড়ছি। কারণ, আমাকে তাড়াতাড়ি রিপোর্ট করতে হবে যে বিমান ক্র্যাশ করছে।’
রাজনৈতিক নেতা একটি প্যারাস্যুট নিয়ে বললেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণের জন্য আমার এখনো অনেক কিছুই করার বাকি। তাই আমার বেঁচে থাকা জরুরি’—বলেই তিনি ঝাঁপ দিলেন।
অবশিষ্ট যাত্রী দুজন—শিক্ষক ও ছাত্র।
শিক্ষক বললেন, ‘ওরা তো দুটি প্যারাস্যুট নিয়ে গেল। এখন আছে আর একটা। তুমি ছোট, তোমার দীর্ঘ জীবন সামনে। তুমিই ওটা নিয়ে নেমে যাও। আমি বয়স্ক মানুষ। আমি বেঁচে থেকে আর কী করব?’
ছাত্রটি এবার হাসিমুখে বলে: ‘স্যার, তার দরকার নেই। প্যারাস্যুট এখনো দুটি আছে। কারণ, নেতা সাহেব তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে প্যারাস্যুট মনে করে আমার ব্যাগ নিয়ে লাফ দিয়েছেন…’
গ. জেলখানায় একজন তরুণ কয়েদিকে দেখে একজন বয়স্ক কয়েদি এগিয়ে এসে জানতে চাইলেন, ‘তুমি কী অপরাধ করে জেলে এসেছ?’
‘একটি দোকান থেকে কিছু মালামাল লুট করতে গিয়ে ধরা পড়ায়...’
তরুণ কয়েদি কথা শেষ করতে পারে না। বয়স্ক কয়েদি বলেন, ‘ছি ছি করেছ কী? দাঁও মারলে মারতে হয় বড়। কথায় আছে—মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার। ব্যাংক লুট না করে সামান্য একটি দোকান লুট করতে গেছ?’
তরুণ কয়েদি কাতর কণ্ঠে জবাব দেয়: ‘কী করব বলুন, লুট তো ব্যাংকই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমার আগেই ব্যাংকের টাকা সব বড় লুটেরা ঋণ হিসেবে নিয়ে মেরে বিদেশে পাচার করে এখন ঋণখেলাপি হয়ে বসে আছে।’
ঘ. একবার কলকাতার এক পাড়ায় রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে একজন মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীকে প্রধান অতিথি করা হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা দেওয়ার কারণে। তো, অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য-সংগীতের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশিষ্টজনেরা কথা বললেন। কবিগুরুর লেখা-আঁকার নানা দিক নিয়ে খুবই মনোমুগ্ধকর আলোচনা হলো। শেষে উঠলেন মাড়োয়ারি ভদ্রলোক প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে। তিনি বললেন, ‘এতক্ষণ অনেক বক্তা অনেক কথা বললেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যে এক বড় “বেওসায়ী” (ব্যবসায়ী) ছিলেন সেটা কেউ বললেন না। আমরা কত টাকা ইনভেস্ট করে মুনাফা করি আর রবীন্দ্রনাথ একটি খাতা ও কলম কেনার কয়টি টাকা ইনভেস্ট করেই নোবেল পুরস্কার পেয়ে কত টাকা কামিয়ে নিলেন!’
তখন বিএনপির শাসনকাল চলছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। সেনাবাহিনী কী করে, তা দেখার জন্য কৌতূহলী এক ব্যক্তি রাস্তার এদিক-ওদিক পায়চারি করছিলেন। তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে কাছে ডেকে এক সেনাসদস্য জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি এভাবে ঘুরঘুর করছেন কেন?’
পথচারীর জবাব: ‘ঘরে খুব গরম, তাই একটু ঘোরাঘুরি করছি।’
সেনাসদস্য রেগে গিয়ে তাঁকে দশবার কান ধরে ওঠবস করতে বললেন। লোকটি দশবারের জায়গায় বিশবার ওঠবস করায় সেনাসদস্য বললেন, ‘আপনাকে দশবার ওঠবস করতে বললাম। আপনি বিশবার করলেন কেন?’
লোকটির জবাব: ‘আপনি বলেছেন বলে দশবার ওঠবস করেছি, আর দশবার নিজের নির্বুদ্ধিতার জন্য।’
সেনাসদস্যের প্রশ্ন: ‘নির্বোধের মতো কী করেছেন?’
লোকটির জবাব: ‘প্রথমত, বিএনপিকে ভোট দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত কৌতূহলবশত আজ আপনাদের কর্মকাণ্ড দেখতে বেরিয়েছি।’
খ. যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি ছোট বিমান আকাশে বেসামাল হয়ে উড়তে থাকে। যেকোনো মুহূর্তে ক্র্যাশ করার আশঙ্কা। বিমানে যাত্রী মাত্র চারজন। একজন পাইলট, একজন রাজনৈতিক নেতা, একজন শিক্ষক, অপরজন ছাত্র। বিমানে প্যারাস্যুট আছে মাত্র তিনটি!
একটা প্যারাস্যুট নিয়ে পাইলট বললেন, ‘আমি আগে লাফিয়ে পড়ছি। কারণ, আমাকে তাড়াতাড়ি রিপোর্ট করতে হবে যে বিমান ক্র্যাশ করছে।’
রাজনৈতিক নেতা একটি প্যারাস্যুট নিয়ে বললেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণের জন্য আমার এখনো অনেক কিছুই করার বাকি। তাই আমার বেঁচে থাকা জরুরি’—বলেই তিনি ঝাঁপ দিলেন।
অবশিষ্ট যাত্রী দুজন—শিক্ষক ও ছাত্র।
শিক্ষক বললেন, ‘ওরা তো দুটি প্যারাস্যুট নিয়ে গেল। এখন আছে আর একটা। তুমি ছোট, তোমার দীর্ঘ জীবন সামনে। তুমিই ওটা নিয়ে নেমে যাও। আমি বয়স্ক মানুষ। আমি বেঁচে থেকে আর কী করব?’
ছাত্রটি এবার হাসিমুখে বলে: ‘স্যার, তার দরকার নেই। প্যারাস্যুট এখনো দুটি আছে। কারণ, নেতা সাহেব তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে প্যারাস্যুট মনে করে আমার ব্যাগ নিয়ে লাফ দিয়েছেন…’
গ. জেলখানায় একজন তরুণ কয়েদিকে দেখে একজন বয়স্ক কয়েদি এগিয়ে এসে জানতে চাইলেন, ‘তুমি কী অপরাধ করে জেলে এসেছ?’
‘একটি দোকান থেকে কিছু মালামাল লুট করতে গিয়ে ধরা পড়ায়...’
তরুণ কয়েদি কথা শেষ করতে পারে না। বয়স্ক কয়েদি বলেন, ‘ছি ছি করেছ কী? দাঁও মারলে মারতে হয় বড়। কথায় আছে—মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার। ব্যাংক লুট না করে সামান্য একটি দোকান লুট করতে গেছ?’
তরুণ কয়েদি কাতর কণ্ঠে জবাব দেয়: ‘কী করব বলুন, লুট তো ব্যাংকই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমার আগেই ব্যাংকের টাকা সব বড় লুটেরা ঋণ হিসেবে নিয়ে মেরে বিদেশে পাচার করে এখন ঋণখেলাপি হয়ে বসে আছে।’
ঘ. একবার কলকাতার এক পাড়ায় রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে একজন মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীকে প্রধান অতিথি করা হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা দেওয়ার কারণে। তো, অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য-সংগীতের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশিষ্টজনেরা কথা বললেন। কবিগুরুর লেখা-আঁকার নানা দিক নিয়ে খুবই মনোমুগ্ধকর আলোচনা হলো। শেষে উঠলেন মাড়োয়ারি ভদ্রলোক প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে। তিনি বললেন, ‘এতক্ষণ অনেক বক্তা অনেক কথা বললেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যে এক বড় “বেওসায়ী” (ব্যবসায়ী) ছিলেন সেটা কেউ বললেন না। আমরা কত টাকা ইনভেস্ট করে মুনাফা করি আর রবীন্দ্রনাথ একটি খাতা ও কলম কেনার কয়টি টাকা ইনভেস্ট করেই নোবেল পুরস্কার পেয়ে কত টাকা কামিয়ে নিলেন!’
‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১৩ ঘণ্টা আগেসদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নানা মাত্রিক আলোচনার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন: ‘গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’
১৩ ঘণ্টা আগেতিন মাস পার হলো, আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলের অধীনে আছি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটেছে। অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছিল—সামাজিক সব বৈষম্যের অবসান ঘটবে, আমাদের সামগ্রিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হবে, প্রকৃত স্বাধীনতা..
১৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার নাছিয়াঘোনা এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে বোঝা যায় সেটি দুর্গম এলাকা। এ কারণেই সেখানে বসানো হয়েছিল ফাঁড়ি। কিন্তু ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের থানা ও ফাঁড়িগুলোয় যখন আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নুরু আলম নুরু নামের এক সন্ত্রাসীও সে সুযোগ নেন। তিনি পুলিশের ফাঁড়ি দখল করে...
১৩ ঘণ্টা আগে