বিরস
যৌতুকবিরোধী এক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে উঠে জনৈক নেতা বললেন, আগামী মাস থেকে আমরা যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে নামব।
এটা শুনে একজন কর্মী প্রশ্ন করলেন, এ মাসে নয় কেন, ভাই?
নেতার জবাব, কারণ এ মাসে আমার ছেলের বিয়ে, আর আগামী মাসে আমার মেয়ের বিয়ে!
কর্মী নেতাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভাই, বিশ্বাসঘাতক কাকে বলে?’
নেতার জবাব, ‘এটা জানো না? আমাদের দল ছেড়ে যারা অন্য দলে যোগ দেয়, তারা বিশ্বাসঘাতক’।
এবার কর্মীর প্রশ্ন, ‘আর যারা অন্য দল ছেড়ে দিয়ে আমাদের দলে যোগ দেয়’?
নেতা: ‘তারা দেশপ্রেমিক’।
নির্বাচনের প্রার্থীকে সাংবাদিক জিজ্ঞেস করছেন: আপনি কেন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন?
নেতা: আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, চারদিকে কী ঘটছে? সরকারি লোকেরা আমোদ-প্রমোদে মত্ত, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ।
সাংবাদিক: আপনি এর বিরুদ্ধে লড়ার জন্যই নির্বাচন করছেন?
নেতা গলা নামিয়ে বললেন: পাগল নাকি! আমার কি আমোদ-প্রমোদ করতে শখ হয় না?
স্বৈরাচারী এক শাসক নিজের ছবি দিয়ে স্ট্যাম্প বা ডাকটিকিট বের করার পর একদিন খোঁজ নিতে গেলেন।
–কী, স্ট্যাম্পটা কেমন চলছে?
–স্ট্যাম্প তো চলছে না স্যার। সবকিছু ভালো হয়েছে কিন্তু ভালো আঠা দেওয়া হয় নাই।
–কী! আঠার দায়িত্বে কে ছিল? ডাকো তাকে।
আঠার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসে বললেন, স্যার, আঠা তো ভালোই দিয়েছি কিন্তু লোকজন তো আঠার দিকে থুতু দেয় না, থুতু উল্টো দিকে দিচ্ছে।
একবার এক রাষ্ট্রপ্রধান সাধারণ মানুষের অবস্থা নিজ চোখে দেখতে শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজারে মাংসের দোকানে উপস্থিত হলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান (মাংসের দোকানের কসাইকে) : কেমন আছো? বেচাকেনা ভালো তো?
দোকানদার: বেচাকেনা এমনিতে ভালো। তবে আজ বিক্রি একদম বন্ধ।
রাষ্ট্রপ্রধান (বিস্মিত কণ্ঠে) : কেন কেন? আজ বিক্রি বন্ধ কেন?
দোকানদার: আপনি পরিদর্শনে আসছেন বলে কোনো ক্রেতাকে আজ বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আপনি চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
রাষ্ট্রপ্রধান (সহানুভূতির সুরে) : মন খারাপ কোরো না। আজ আমিই হব তোমার প্রথম কাস্টমার। ওই রানটা থেকে পাঁচ কেজি মাংস কেটে দাও দেখি।
দোকানদার: দুঃখিত, স্যার! দিতে পারবো না।
রাষ্ট্রপ্রধান (হতবাক হয়ে) : পারবে না, মানে?
দোকানদার: মহামান্য রাষ্ট্রপ্রধান, আপনার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাজারের সব ছোট-বড় চাকু-ছোরা-বঁটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাই রান থেকে মাংস কাটার কিছু নেই।
রাষ্ট্রপ্রধান (কিছুটা সামলে নিয়ে) : ঠিক আছে, কাটাকুটির ঝামেলায় গিয়ে লাভ নেই। আমাকে পুরো রানটাই দিয়ে দাও। তার আগে ওজনটা মাপো আর একটু পরিষ্কার করে দিয়ো।
দোকানদার: এসবের কিছুই আমি পারি না, স্যার!
রাষ্ট্রপ্রধান: কেন?
দোকানদার: কারণ, আমি কসাই নই।
রাষ্ট্রপ্রধান (প্রচণ্ড রেগে গিয়ে) : তুমি কসাই না, তবে মাংসের দোকানে বসে আছো কেন?
দোকানদার: আপনার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাজার থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে প্রত্যেক দোকানে ইন্টেলিজেন্সের লোক বসানো হয়েছে, স্যার। আমি নিজেও তাদেরই একজন।
রাষ্ট্রপ্রধান (রাগের সঙ্গে) : আমার সঙ্গে ফাইজলামি! ডাকো তোমার কমান্ডারকে। এর কৈফিয়ত তাকে দিতে হবে।
দোকানদার: উনাকে ডেকে লাভ নেই, স্যার। উনি নিজে মাছের দোকানদার সেজে আপনার জন্য বড় বড় রুই-চিতল নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
আজকের মতো শেষ করি আর একটি কৌতুক দিয়ে।
একটি রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে ফেরার পথে প্রত্যন্ত গ্রামে গাড়ির সবাই সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
গ্রামবাসী গাড়ির সব যাত্রীকে মৃত ভেবে কবর দিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের লোকজন গ্রামে আসে। পুলিশকর্তা গ্রামের সবচেয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে জানতে চান, ‘দুর্ঘটনায় গাড়ির সব যাত্রীই যে মারা গেছে, এই ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত হলেন কীভাবে?’
ওই গণ্যমান্য ব্যক্তিটির জবাব, ‘দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুজন বলছিল যে তারা জীবিত। কিন্তু যখন আমরা জানলাম তারা রাজনীতিবিদ, তাই তাদের কথা বিশ্বাস করি নাই। আমরা সবাইকেই কবর দিয়ে দিয়েছি।’
যৌতুকবিরোধী এক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে উঠে জনৈক নেতা বললেন, আগামী মাস থেকে আমরা যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে নামব।
এটা শুনে একজন কর্মী প্রশ্ন করলেন, এ মাসে নয় কেন, ভাই?
নেতার জবাব, কারণ এ মাসে আমার ছেলের বিয়ে, আর আগামী মাসে আমার মেয়ের বিয়ে!
কর্মী নেতাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভাই, বিশ্বাসঘাতক কাকে বলে?’
নেতার জবাব, ‘এটা জানো না? আমাদের দল ছেড়ে যারা অন্য দলে যোগ দেয়, তারা বিশ্বাসঘাতক’।
এবার কর্মীর প্রশ্ন, ‘আর যারা অন্য দল ছেড়ে দিয়ে আমাদের দলে যোগ দেয়’?
নেতা: ‘তারা দেশপ্রেমিক’।
নির্বাচনের প্রার্থীকে সাংবাদিক জিজ্ঞেস করছেন: আপনি কেন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন?
নেতা: আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, চারদিকে কী ঘটছে? সরকারি লোকেরা আমোদ-প্রমোদে মত্ত, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ।
সাংবাদিক: আপনি এর বিরুদ্ধে লড়ার জন্যই নির্বাচন করছেন?
নেতা গলা নামিয়ে বললেন: পাগল নাকি! আমার কি আমোদ-প্রমোদ করতে শখ হয় না?
স্বৈরাচারী এক শাসক নিজের ছবি দিয়ে স্ট্যাম্প বা ডাকটিকিট বের করার পর একদিন খোঁজ নিতে গেলেন।
–কী, স্ট্যাম্পটা কেমন চলছে?
–স্ট্যাম্প তো চলছে না স্যার। সবকিছু ভালো হয়েছে কিন্তু ভালো আঠা দেওয়া হয় নাই।
–কী! আঠার দায়িত্বে কে ছিল? ডাকো তাকে।
আঠার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসে বললেন, স্যার, আঠা তো ভালোই দিয়েছি কিন্তু লোকজন তো আঠার দিকে থুতু দেয় না, থুতু উল্টো দিকে দিচ্ছে।
একবার এক রাষ্ট্রপ্রধান সাধারণ মানুষের অবস্থা নিজ চোখে দেখতে শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজারে মাংসের দোকানে উপস্থিত হলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান (মাংসের দোকানের কসাইকে) : কেমন আছো? বেচাকেনা ভালো তো?
দোকানদার: বেচাকেনা এমনিতে ভালো। তবে আজ বিক্রি একদম বন্ধ।
রাষ্ট্রপ্রধান (বিস্মিত কণ্ঠে) : কেন কেন? আজ বিক্রি বন্ধ কেন?
দোকানদার: আপনি পরিদর্শনে আসছেন বলে কোনো ক্রেতাকে আজ বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আপনি চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
রাষ্ট্রপ্রধান (সহানুভূতির সুরে) : মন খারাপ কোরো না। আজ আমিই হব তোমার প্রথম কাস্টমার। ওই রানটা থেকে পাঁচ কেজি মাংস কেটে দাও দেখি।
দোকানদার: দুঃখিত, স্যার! দিতে পারবো না।
রাষ্ট্রপ্রধান (হতবাক হয়ে) : পারবে না, মানে?
দোকানদার: মহামান্য রাষ্ট্রপ্রধান, আপনার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাজারের সব ছোট-বড় চাকু-ছোরা-বঁটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাই রান থেকে মাংস কাটার কিছু নেই।
রাষ্ট্রপ্রধান (কিছুটা সামলে নিয়ে) : ঠিক আছে, কাটাকুটির ঝামেলায় গিয়ে লাভ নেই। আমাকে পুরো রানটাই দিয়ে দাও। তার আগে ওজনটা মাপো আর একটু পরিষ্কার করে দিয়ো।
দোকানদার: এসবের কিছুই আমি পারি না, স্যার!
রাষ্ট্রপ্রধান: কেন?
দোকানদার: কারণ, আমি কসাই নই।
রাষ্ট্রপ্রধান (প্রচণ্ড রেগে গিয়ে) : তুমি কসাই না, তবে মাংসের দোকানে বসে আছো কেন?
দোকানদার: আপনার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাজার থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে প্রত্যেক দোকানে ইন্টেলিজেন্সের লোক বসানো হয়েছে, স্যার। আমি নিজেও তাদেরই একজন।
রাষ্ট্রপ্রধান (রাগের সঙ্গে) : আমার সঙ্গে ফাইজলামি! ডাকো তোমার কমান্ডারকে। এর কৈফিয়ত তাকে দিতে হবে।
দোকানদার: উনাকে ডেকে লাভ নেই, স্যার। উনি নিজে মাছের দোকানদার সেজে আপনার জন্য বড় বড় রুই-চিতল নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
আজকের মতো শেষ করি আর একটি কৌতুক দিয়ে।
একটি রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে ফেরার পথে প্রত্যন্ত গ্রামে গাড়ির সবাই সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
গ্রামবাসী গাড়ির সব যাত্রীকে মৃত ভেবে কবর দিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের লোকজন গ্রামে আসে। পুলিশকর্তা গ্রামের সবচেয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে জানতে চান, ‘দুর্ঘটনায় গাড়ির সব যাত্রীই যে মারা গেছে, এই ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত হলেন কীভাবে?’
ওই গণ্যমান্য ব্যক্তিটির জবাব, ‘দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুজন বলছিল যে তারা জীবিত। কিন্তু যখন আমরা জানলাম তারা রাজনীতিবিদ, তাই তাদের কথা বিশ্বাস করি নাই। আমরা সবাইকেই কবর দিয়ে দিয়েছি।’
‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১৩ ঘণ্টা আগেসদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নানা মাত্রিক আলোচনার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন: ‘গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’
১৩ ঘণ্টা আগেতিন মাস পার হলো, আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলের অধীনে আছি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটেছে। অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছিল—সামাজিক সব বৈষম্যের অবসান ঘটবে, আমাদের সামগ্রিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হবে, প্রকৃত স্বাধীনতা..
১৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার নাছিয়াঘোনা এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে বোঝা যায় সেটি দুর্গম এলাকা। এ কারণেই সেখানে বসানো হয়েছিল ফাঁড়ি। কিন্তু ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের থানা ও ফাঁড়িগুলোয় যখন আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নুরু আলম নুরু নামের এক সন্ত্রাসীও সে সুযোগ নেন। তিনি পুলিশের ফাঁড়ি দখল করে...
১৩ ঘণ্টা আগে