মাসুদ উর রহমান
মানুষের কথোপকথনের প্রধান সহায়ক অঙ্গ জিহ্বা। এর নিয়ন্ত্রিত নড়াচড়ার মধ্য দিয়েই মনের ভাব সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ পায়। স্বার্থবাদীরা এটি ব্যবহার করে কথায় ভুলিয়ে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু হাসিল করে নিতে পারে। আবার এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই মানুষ বন্ধু বানাতে সক্ষম হয়। শত্রু তৈরিতেও এর ভূমিকা কম নয়; বিশেষ করে রাজনীতিতে।
যে নেতা-নেত্রী জিহ্বা সংযত রেখে মিষ্টি ভাষায় কথা বলতে পারেন, তিনিই কিন্তু জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয়। ব্যর্থ হলে শুধু ক্ষমতা থেকে নয়, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্তও এ দেশে আছে। আসুন, গত কয়েক মাসে আমাদের মাননীয়দের জিহ্বার প্রয়োগের দিকে দৃষ্টিপাত করি।
২৮ মে ২০২২ : মানুষের ক্রয়ক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মানুষ চাইলে তিন বেলা মাংস খেতে পারে!’
২৮ জুলাই ২০২২ : আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির ধারাবাহিকতা বোঝাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মন্তব্য, ‘ভবিষ্যতে দারিদ্র্য দেখতে মিউজিয়ামে যেতে হবে!’
১০ আগস্ট ২০২২: জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিটা যে মামুলি ব্যাপার, সেটির প্রতি ইঙ্গিত করতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সুনামগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘যারা আমাদের পছন্দ করে না, তারা বলছে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মানুষ মারা যাবে। জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে সত্য, তবে এর জন্য এখনো কেউ মারা যায়নি।’
একই তারিখে, অর্থাৎ ১০ আগস্ট ২০২২: ঢাকার এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশে কেউ না খেয়ে নেই। গায়ে জামা-কাপড় আছে।’
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপণ্যের দাম যখন আকাশচুম্বী, তখন ১২ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা তো অন্য দেশের তুলনায় বেহেশতে আছি।’
উল্লিখিত মন্ত্রীদের এমন মন্তব্যের বিপরীতে আসুন, ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ঠাঁই পাওয়া শিরোনাম লক্ষ করি, ‘দুজনের সংসারই চলে না, সন্তান কীভাবে নেব!’
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ আপনারা কি বুঝতে পারেন কতটা কষ্টের, কতটা হতাশার এই শিরোনাম! করোনার ধকল, বৈশ্বিক পরিস্থিতি—এই সব মানুষের যেমন অজানা নয়, তেমনি সাধারণেরা অবিবেচকও নন। তাঁরা কষ্ট করে ব্যয় নির্বাহ করেন, মুখ বুজে পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। অসহনীয় ঠেকলে মনের জ্বালা মেটাতে রাগে গজগজ করেন। কিন্তু অসহিষ্ণু হয়ে রাস্তায় নেমেছেন, ভাঙচুর করেছেন—এমনটি কি এখন পর্যন্ত হয়েছে?
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কঠিন বাস্তবতায় জীবনযাপনের ব্যয় নির্বাহে দিশেহারা মানুষের প্রতি যখন আপনাদের সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা, সাহস জোগানোর কথা—সেখানে এই দুঃসময়ে আপনাদের এমন অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য সাধারণের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতো নয় কি? কিংবা নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন হতদরিদ্ররা যখন দুবেলার খাবার জোগাতে দিশেহারা, তখন আপনাদের এমন নির্দয়-নিদারুণ কথাবার্তা শুধু দুঃখজনকই নয়, রীতিমতো হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটানোর শামিল।
এবার আসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরল কথনের পরিপ্রেক্ষিতে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরপর দিল্লি সফরে গিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছিলেন, উভয় দেশের সম্পর্ক খুব ভালো, অনেকটা ‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মতো!’ যদি এমনটিই হয়ে থাকে, তাহলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কেন ব্যর্থ হয়েছেন? সীমান্তে হত্যা বন্ধ করাসহ আরও বেশ কিছু ইস্যু আমাদের এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। অচিরেই যে এসব সমস্যার সমাধান হবে, তেমনটিরও তো কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না।
এ ছাড়া এ বছরের ৫ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ভূমিকা রাখারও অনুরোধ করেছিলেন বলে খবর বেরিয়েছিল। তবে তিনি বোমা ফাটানো মন্তব্যটি করেছেন ১২ আগস্ট। বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।’ এর চার দিনের মাথায় অবশ্য ভোল পাল্টে এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে—এই অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। আমি এই অভিযোগের ধারেকাছেও নেই।’
স্বাভাবিকভাবেই এসব বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এ দেশের সরকারকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব কি তবে ভারতের? কিংবা বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব কি যুক্তরাষ্ট্রের? নির্বাচনে জিতিয়ে আনার দায়িত্ব যদি হয় অন্য দেশের, তাহলে ভোটের অধিকার থাকে কোথায়? আর ভোটের অধিকার না থাকলে স্বাধীনতারই বা মূল্য কী? বাংলাদেশের জন্য এটি যেমন মর্যাদাকর নয়, ইতিবাচক নয় দেশের সার্বভৌমত্বের জন্যও।
তা ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের, বলা ভালো, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার করুণ আকুতির পর ভারত যদি মনে করে নানা দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধানের চেয়ে সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করে আনতে পারলে ক্ষমতাসীনেরা বেশি স্বস্তি পাবেন, তাহলে ভারত নিজ স্বার্থ হ্রাস করে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে কেন আগ্রহী হবে? তবে কি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা বুঝে না পাওয়ার এটিই মূল কারণ?
লেখক: কলেজশিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী
মানুষের কথোপকথনের প্রধান সহায়ক অঙ্গ জিহ্বা। এর নিয়ন্ত্রিত নড়াচড়ার মধ্য দিয়েই মনের ভাব সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ পায়। স্বার্থবাদীরা এটি ব্যবহার করে কথায় ভুলিয়ে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু হাসিল করে নিতে পারে। আবার এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই মানুষ বন্ধু বানাতে সক্ষম হয়। শত্রু তৈরিতেও এর ভূমিকা কম নয়; বিশেষ করে রাজনীতিতে।
যে নেতা-নেত্রী জিহ্বা সংযত রেখে মিষ্টি ভাষায় কথা বলতে পারেন, তিনিই কিন্তু জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয়। ব্যর্থ হলে শুধু ক্ষমতা থেকে নয়, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্তও এ দেশে আছে। আসুন, গত কয়েক মাসে আমাদের মাননীয়দের জিহ্বার প্রয়োগের দিকে দৃষ্টিপাত করি।
২৮ মে ২০২২ : মানুষের ক্রয়ক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মানুষ চাইলে তিন বেলা মাংস খেতে পারে!’
২৮ জুলাই ২০২২ : আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির ধারাবাহিকতা বোঝাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মন্তব্য, ‘ভবিষ্যতে দারিদ্র্য দেখতে মিউজিয়ামে যেতে হবে!’
১০ আগস্ট ২০২২: জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিটা যে মামুলি ব্যাপার, সেটির প্রতি ইঙ্গিত করতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সুনামগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘যারা আমাদের পছন্দ করে না, তারা বলছে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মানুষ মারা যাবে। জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে সত্য, তবে এর জন্য এখনো কেউ মারা যায়নি।’
একই তারিখে, অর্থাৎ ১০ আগস্ট ২০২২: ঢাকার এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশে কেউ না খেয়ে নেই। গায়ে জামা-কাপড় আছে।’
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপণ্যের দাম যখন আকাশচুম্বী, তখন ১২ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা তো অন্য দেশের তুলনায় বেহেশতে আছি।’
উল্লিখিত মন্ত্রীদের এমন মন্তব্যের বিপরীতে আসুন, ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ঠাঁই পাওয়া শিরোনাম লক্ষ করি, ‘দুজনের সংসারই চলে না, সন্তান কীভাবে নেব!’
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ আপনারা কি বুঝতে পারেন কতটা কষ্টের, কতটা হতাশার এই শিরোনাম! করোনার ধকল, বৈশ্বিক পরিস্থিতি—এই সব মানুষের যেমন অজানা নয়, তেমনি সাধারণেরা অবিবেচকও নন। তাঁরা কষ্ট করে ব্যয় নির্বাহ করেন, মুখ বুজে পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। অসহনীয় ঠেকলে মনের জ্বালা মেটাতে রাগে গজগজ করেন। কিন্তু অসহিষ্ণু হয়ে রাস্তায় নেমেছেন, ভাঙচুর করেছেন—এমনটি কি এখন পর্যন্ত হয়েছে?
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কঠিন বাস্তবতায় জীবনযাপনের ব্যয় নির্বাহে দিশেহারা মানুষের প্রতি যখন আপনাদের সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা, সাহস জোগানোর কথা—সেখানে এই দুঃসময়ে আপনাদের এমন অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য সাধারণের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতো নয় কি? কিংবা নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন হতদরিদ্ররা যখন দুবেলার খাবার জোগাতে দিশেহারা, তখন আপনাদের এমন নির্দয়-নিদারুণ কথাবার্তা শুধু দুঃখজনকই নয়, রীতিমতো হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটানোর শামিল।
এবার আসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরল কথনের পরিপ্রেক্ষিতে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরপর দিল্লি সফরে গিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছিলেন, উভয় দেশের সম্পর্ক খুব ভালো, অনেকটা ‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মতো!’ যদি এমনটিই হয়ে থাকে, তাহলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কেন ব্যর্থ হয়েছেন? সীমান্তে হত্যা বন্ধ করাসহ আরও বেশ কিছু ইস্যু আমাদের এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। অচিরেই যে এসব সমস্যার সমাধান হবে, তেমনটিরও তো কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না।
এ ছাড়া এ বছরের ৫ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ভূমিকা রাখারও অনুরোধ করেছিলেন বলে খবর বেরিয়েছিল। তবে তিনি বোমা ফাটানো মন্তব্যটি করেছেন ১২ আগস্ট। বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।’ এর চার দিনের মাথায় অবশ্য ভোল পাল্টে এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে—এই অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। আমি এই অভিযোগের ধারেকাছেও নেই।’
স্বাভাবিকভাবেই এসব বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এ দেশের সরকারকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব কি তবে ভারতের? কিংবা বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব কি যুক্তরাষ্ট্রের? নির্বাচনে জিতিয়ে আনার দায়িত্ব যদি হয় অন্য দেশের, তাহলে ভোটের অধিকার থাকে কোথায়? আর ভোটের অধিকার না থাকলে স্বাধীনতারই বা মূল্য কী? বাংলাদেশের জন্য এটি যেমন মর্যাদাকর নয়, ইতিবাচক নয় দেশের সার্বভৌমত্বের জন্যও।
তা ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের, বলা ভালো, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার করুণ আকুতির পর ভারত যদি মনে করে নানা দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধানের চেয়ে সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করে আনতে পারলে ক্ষমতাসীনেরা বেশি স্বস্তি পাবেন, তাহলে ভারত নিজ স্বার্থ হ্রাস করে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে কেন আগ্রহী হবে? তবে কি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা বুঝে না পাওয়ার এটিই মূল কারণ?
লেখক: কলেজশিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী
‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১৯ ঘণ্টা আগেসদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নানা মাত্রিক আলোচনার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন: ‘গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’
১৯ ঘণ্টা আগেতিন মাস পার হলো, আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলের অধীনে আছি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটেছে। অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছিল—সামাজিক সব বৈষম্যের অবসান ঘটবে, আমাদের সামগ্রিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হবে, প্রকৃত স্বাধীনতা..
২০ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার নাছিয়াঘোনা এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে বোঝা যায় সেটি দুর্গম এলাকা। এ কারণেই সেখানে বসানো হয়েছিল ফাঁড়ি। কিন্তু ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের থানা ও ফাঁড়িগুলোয় যখন আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নুরু আলম নুরু নামের এক সন্ত্রাসীও সে সুযোগ নেন। তিনি পুলিশের ফাঁড়ি দখল করে...
২০ ঘণ্টা আগে