বিরস
তখন বাংলাদেশে এরশাদের সামরিক শাসনকাল চলছে। সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসন থেকে প্রার্থী হলেন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী, যিনি নামের আগে ডক্টর লিখে থাকেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খুব বেশি লেখাপড়া জানেন না। এক নির্বাচনী বক্তৃতায় এই দ্বিতীয় প্রার্থী প্রতিপক্ষের প্রার্থী সম্পর্কে বললেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এমন একজন প্রার্থী হয়েছেন, তিনি নাকি একজন বড় ডাক্তার। কিন্তু ওই ডাক্তার সাহেব কি আপনাদের কাউকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন?’ উপস্থিত জনতা সমস্বরে ‘না, না’ ধ্বনি তুলল। এবার আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে জানতে চান, ‘তাইলে তিনি কিসের বড় ডাক্তার?’
ডক্টরেট ডিগ্রিধারী প্রার্থী একদিন তাঁর নির্বাচনী প্রচারে এলাকাকে নিরক্ষরতামুক্ত ও বয়স্কদের সাক্ষর করে তুলতে নৈশবিদ্যালয় করার অঙ্গীকার করেন। পরদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জবাবে বলেন, ‘তিনি এলাকায় ৯০০ বিদ্যালয় করতে চেয়েছেন। আমি ভোটে জিতলে এখানে এক হাজার বিদ্যালয় করে দেব।’
নৈশবিদ্যালয়কে যিনি ৯০০ বোঝেন, তিনিই কিন্তু জনগণের ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।
খ. সংসদে সরকারি দলের এক সাংসদ বক্তৃতা দিতে গিয়ে একটি গল্প বললেন। গল্পটি হলো: এক বাবা তাঁর তিন ছেলেকে ১০০ টাকা করে দিয়ে বলেন, এমন কিছু কিনে আনো, যাতে ঘরটা পুরো ভর্তি হয়ে যায়।
প্রথম ছেলে ১০০ টাকার খড় কিনে আনল, কিন্তু ওই খড়ে ঘর পুরোপুরি ভর্তি হলো না।
দ্বিতীয় ছেলে ১০০ টাকার তুলা কিনে এনেও সেই তুলায় ঘরটি পুরোপুরি ভর্তি করতে পারল না।
তৃতীয় ছেলে ৫ টাকা দিয়ে একটা মোমবাতি কিনে আনল এবং রুমের মাঝে জ্বালাল। এতে পুরো ঘর আলোতে সম্পূর্ণ ভর্তি হয়ে গেল।
গল্প শেষে সাংসদ বললেন, ‘আমাদের সরকার হচ্ছে তৃতীয় ছেলের মতো। দেশসেবার দায়িত্ব নিয়ে উন্নতির আলোয় দেশ পরিপূর্ণ করে দিয়েছে।’
কেউ একজন মৃদুকণ্ঠে বললেন, ‘সেটা তো ঠিক আছে, কিন্তু বাকি ৯৫ টাকা কই গেল?’
গ. এক শিক্ষক একদিন শ্রেণিকক্ষে আক্ষেপ করে বললেন, ‘কত গরু পিটিয়ে মানুষ করলাম, শুধু একটাকেই পারলাম না।’
ভয়ে ভয়ে এক ছাত্র দাঁড়িয়ে বলল, ‘কার কথা বলছেন স্যার?’
‘আরে বোকার হদ্দ, এটাও বুঝলি না?’
‘না স্যার। একটু স্পষ্ট করে যদি বলেন।’
‘তোর বাবা। শুনলাম, সে নাকি বড় নেতা হয়েছে।’
ঘ. শিক্ষক একজন ছাত্রের কাছে জিজ্ঞেস করলেন: তুই ওই গল্পটা পড়েছিস?
ছাত্র: কোন গল্পটা স্যার?
শিক্ষক: ওই যে এক রাখাল মজা করার জন্য প্রতিদিন বাঘ বাঘ করে চিৎকার করত, গ্রামবাসী দৌড়ে এসে দেখত সব মিথ্যা।
তারপর একদিন যখন সত্যি বাঘ এল, সেদিন রাখালের চিৎকার শুনে কেউ এল না।
ছাত্র: এ গল্প তো অনেকবার পড়েছি স্যার।
শিক্ষক: এই গল্পে আমরা কী শিক্ষা পাই?
ছাত্র: এই গল্পে আমরা এই শিক্ষা পাই যে, ‘যত দিন আমরা মিথ্যা কথা বলব, তত দিন মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে, যেদিন সত্যি কথা বলব, সেদিন আর কেউ থাকবে না।’
শিক্ষক: বাহ্, সুন্দর বলেছিস তো! তোর বাপ কি রাজনীতি করে?
তখন বাংলাদেশে এরশাদের সামরিক শাসনকাল চলছে। সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসন থেকে প্রার্থী হলেন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী, যিনি নামের আগে ডক্টর লিখে থাকেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খুব বেশি লেখাপড়া জানেন না। এক নির্বাচনী বক্তৃতায় এই দ্বিতীয় প্রার্থী প্রতিপক্ষের প্রার্থী সম্পর্কে বললেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এমন একজন প্রার্থী হয়েছেন, তিনি নাকি একজন বড় ডাক্তার। কিন্তু ওই ডাক্তার সাহেব কি আপনাদের কাউকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন?’ উপস্থিত জনতা সমস্বরে ‘না, না’ ধ্বনি তুলল। এবার আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে জানতে চান, ‘তাইলে তিনি কিসের বড় ডাক্তার?’
ডক্টরেট ডিগ্রিধারী প্রার্থী একদিন তাঁর নির্বাচনী প্রচারে এলাকাকে নিরক্ষরতামুক্ত ও বয়স্কদের সাক্ষর করে তুলতে নৈশবিদ্যালয় করার অঙ্গীকার করেন। পরদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জবাবে বলেন, ‘তিনি এলাকায় ৯০০ বিদ্যালয় করতে চেয়েছেন। আমি ভোটে জিতলে এখানে এক হাজার বিদ্যালয় করে দেব।’
নৈশবিদ্যালয়কে যিনি ৯০০ বোঝেন, তিনিই কিন্তু জনগণের ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।
খ. সংসদে সরকারি দলের এক সাংসদ বক্তৃতা দিতে গিয়ে একটি গল্প বললেন। গল্পটি হলো: এক বাবা তাঁর তিন ছেলেকে ১০০ টাকা করে দিয়ে বলেন, এমন কিছু কিনে আনো, যাতে ঘরটা পুরো ভর্তি হয়ে যায়।
প্রথম ছেলে ১০০ টাকার খড় কিনে আনল, কিন্তু ওই খড়ে ঘর পুরোপুরি ভর্তি হলো না।
দ্বিতীয় ছেলে ১০০ টাকার তুলা কিনে এনেও সেই তুলায় ঘরটি পুরোপুরি ভর্তি করতে পারল না।
তৃতীয় ছেলে ৫ টাকা দিয়ে একটা মোমবাতি কিনে আনল এবং রুমের মাঝে জ্বালাল। এতে পুরো ঘর আলোতে সম্পূর্ণ ভর্তি হয়ে গেল।
গল্প শেষে সাংসদ বললেন, ‘আমাদের সরকার হচ্ছে তৃতীয় ছেলের মতো। দেশসেবার দায়িত্ব নিয়ে উন্নতির আলোয় দেশ পরিপূর্ণ করে দিয়েছে।’
কেউ একজন মৃদুকণ্ঠে বললেন, ‘সেটা তো ঠিক আছে, কিন্তু বাকি ৯৫ টাকা কই গেল?’
গ. এক শিক্ষক একদিন শ্রেণিকক্ষে আক্ষেপ করে বললেন, ‘কত গরু পিটিয়ে মানুষ করলাম, শুধু একটাকেই পারলাম না।’
ভয়ে ভয়ে এক ছাত্র দাঁড়িয়ে বলল, ‘কার কথা বলছেন স্যার?’
‘আরে বোকার হদ্দ, এটাও বুঝলি না?’
‘না স্যার। একটু স্পষ্ট করে যদি বলেন।’
‘তোর বাবা। শুনলাম, সে নাকি বড় নেতা হয়েছে।’
ঘ. শিক্ষক একজন ছাত্রের কাছে জিজ্ঞেস করলেন: তুই ওই গল্পটা পড়েছিস?
ছাত্র: কোন গল্পটা স্যার?
শিক্ষক: ওই যে এক রাখাল মজা করার জন্য প্রতিদিন বাঘ বাঘ করে চিৎকার করত, গ্রামবাসী দৌড়ে এসে দেখত সব মিথ্যা।
তারপর একদিন যখন সত্যি বাঘ এল, সেদিন রাখালের চিৎকার শুনে কেউ এল না।
ছাত্র: এ গল্প তো অনেকবার পড়েছি স্যার।
শিক্ষক: এই গল্পে আমরা কী শিক্ষা পাই?
ছাত্র: এই গল্পে আমরা এই শিক্ষা পাই যে, ‘যত দিন আমরা মিথ্যা কথা বলব, তত দিন মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে, যেদিন সত্যি কথা বলব, সেদিন আর কেউ থাকবে না।’
শিক্ষক: বাহ্, সুন্দর বলেছিস তো! তোর বাপ কি রাজনীতি করে?
‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১৩ ঘণ্টা আগেসদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নানা মাত্রিক আলোচনার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন: ‘গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’
১৩ ঘণ্টা আগেতিন মাস পার হলো, আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলের অধীনে আছি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটেছে। অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছিল—সামাজিক সব বৈষম্যের অবসান ঘটবে, আমাদের সামগ্রিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হবে, প্রকৃত স্বাধীনতা..
১৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার নাছিয়াঘোনা এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে বোঝা যায় সেটি দুর্গম এলাকা। এ কারণেই সেখানে বসানো হয়েছিল ফাঁড়ি। কিন্তু ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের থানা ও ফাঁড়িগুলোয় যখন আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নুরু আলম নুরু নামের এক সন্ত্রাসীও সে সুযোগ নেন। তিনি পুলিশের ফাঁড়ি দখল করে...
১৩ ঘণ্টা আগে