সম্পাদকীয়
পুঁজিবাজারে সুবাতাস চলছে কয়েক দিন ধরে। বাজারে করোনাভাইরাসের আঘাত বা লকডাউনের তেমন প্রভাব নেই, অন্তত গেল কয়েক দিনের চিত্র দেখলেই তা-ই মনে হয়। গত সোমবারও সূচক বেড়েছে আর লেনদেন গেল তিন মাসের মধ্যে হয়েছে সর্বোচ্চ। খবর বলছে, রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান ৫ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৮ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গতকাল মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ পুঁজিবাজার খানিকটা চাঙা। ঈদ সামনে রেখে এটাই স্বাভাবিক। লকডাউনের শুরুতে আর রোজার প্রথম দিকে পুঁজিবাজার বেশ পতনের ধারায় ছিল। বলতে গেলে তলানিতে গিয়ে ঠেকে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম। যতই ঈদ ঘনিয়ে আসছে, ততই বাজার উঠতে শুরু করেছে।
আসলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে শেষ বলে কিছু নেই! যেকোনো বিশ্লেষককে যদি প্রশ্ন করেন, জবাবে তিনি এমনটাই বলবেন। এর মানে এই বাজার যৌক্তিক আচরণ করে না। আজ বাজার চাঙা তো কাল আবার মন্দা। বাজারে মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম বাড়বে বা স্থিতিশীল থাকবে; বিনিয়োগকারী এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করে অন্তত ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না—এমন আশা থাকলেও এই বাজারে তা খাটে না। বিশ্বের কোনো বাজারের সঙ্গেই এর যৌক্তিক তুলনা চলে না। কোনো কারণ ছাড়াই দেখা যাবে অখ্যাত কিংবা লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আবার শক্ত মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম পড়ে রয়েছে তলানিতে।
একজন বিশ্লেষক যখন বাজার বিশ্লেষণ করেন বা কী হতে পারে আগামীর বাজারের গতিপ্রকৃতি, তা তাঁর অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ দিয়ে আভাস দেওয়া হলেও দিন শেষে তা কাজ করে না। এ ধরনের বাজারে কারসাজি হয়, এমন অভিযোগ অনেক দিনের। বাজার ঘিরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করে– এমন অভিযোগও পুরোনো। তার প্রতিফলনই দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে। ঈদের আগে বাজারে পতন ঘটিয়ে একে তলানিতে নিয়ে শেয়ার কেনা শুরু করে থাকতে পারে চক্রটি। ঈদ ঘিরে আবার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে আবার বাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এটিই হয়ে আসছে অনেক দিন থেকে।
ঈদের পর এই চাঙা বাজার আবার যে মন্দায় পড়বে না—এমন নিশ্চয়তা নেই। তাই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল ও টেকসই করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। এখানে এমনসব নীতিকৌশলের সমাবেশ ঘটাতে হবে, যার ফল হবে ইতিবাচক। বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবেন, নতুন নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে আসতে পারেন এমন আত্মবিশ্বাস জাগাতে হবে। সাময়িক চাঙা বাজার দিয়ে বহুদূর যাওয়া সম্ভব নয়। পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে হলে একে টেকসই করার কোনো
বিকল্প নেই।
পুঁজিবাজারে সুবাতাস চলছে কয়েক দিন ধরে। বাজারে করোনাভাইরাসের আঘাত বা লকডাউনের তেমন প্রভাব নেই, অন্তত গেল কয়েক দিনের চিত্র দেখলেই তা-ই মনে হয়। গত সোমবারও সূচক বেড়েছে আর লেনদেন গেল তিন মাসের মধ্যে হয়েছে সর্বোচ্চ। খবর বলছে, রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান ৫ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৮ পয়েন্ট।
ডিএসইতে গতকাল মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ পুঁজিবাজার খানিকটা চাঙা। ঈদ সামনে রেখে এটাই স্বাভাবিক। লকডাউনের শুরুতে আর রোজার প্রথম দিকে পুঁজিবাজার বেশ পতনের ধারায় ছিল। বলতে গেলে তলানিতে গিয়ে ঠেকে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম। যতই ঈদ ঘনিয়ে আসছে, ততই বাজার উঠতে শুরু করেছে।
আসলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে শেষ বলে কিছু নেই! যেকোনো বিশ্লেষককে যদি প্রশ্ন করেন, জবাবে তিনি এমনটাই বলবেন। এর মানে এই বাজার যৌক্তিক আচরণ করে না। আজ বাজার চাঙা তো কাল আবার মন্দা। বাজারে মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম বাড়বে বা স্থিতিশীল থাকবে; বিনিয়োগকারী এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করে অন্তত ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না—এমন আশা থাকলেও এই বাজারে তা খাটে না। বিশ্বের কোনো বাজারের সঙ্গেই এর যৌক্তিক তুলনা চলে না। কোনো কারণ ছাড়াই দেখা যাবে অখ্যাত কিংবা লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আবার শক্ত মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম পড়ে রয়েছে তলানিতে।
একজন বিশ্লেষক যখন বাজার বিশ্লেষণ করেন বা কী হতে পারে আগামীর বাজারের গতিপ্রকৃতি, তা তাঁর অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ দিয়ে আভাস দেওয়া হলেও দিন শেষে তা কাজ করে না। এ ধরনের বাজারে কারসাজি হয়, এমন অভিযোগ অনেক দিনের। বাজার ঘিরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করে– এমন অভিযোগও পুরোনো। তার প্রতিফলনই দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে। ঈদের আগে বাজারে পতন ঘটিয়ে একে তলানিতে নিয়ে শেয়ার কেনা শুরু করে থাকতে পারে চক্রটি। ঈদ ঘিরে আবার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে আবার বাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এটিই হয়ে আসছে অনেক দিন থেকে।
ঈদের পর এই চাঙা বাজার আবার যে মন্দায় পড়বে না—এমন নিশ্চয়তা নেই। তাই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল ও টেকসই করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। এখানে এমনসব নীতিকৌশলের সমাবেশ ঘটাতে হবে, যার ফল হবে ইতিবাচক। বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবেন, নতুন নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে আসতে পারেন এমন আত্মবিশ্বাস জাগাতে হবে। সাময়িক চাঙা বাজার দিয়ে বহুদূর যাওয়া সম্ভব নয়। পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে হলে একে টেকসই করার কোনো
বিকল্প নেই।
প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাবনিকাশ করলেই অগ্রগতি আর অবনতির খতিয়ান পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ২০২৪ সালের শেষপাদে এসে কী পেল, আর নতুন বছরে কী-ইবা পেতে যাচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে এ দেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের এগিয়ে যাওয়া। এ বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে দেড় দশকের পুরোনো ও স্বৈরাচারী শাসন
৩ ঘণ্টা আগেদুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো—আমাদের দেশে একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ। এর ভাবার্থ সহজবোধ্য। গোয়ালে বহুসংখ্যক গরুর মধ্যে দু-একটি দুষ্ট গরু থাকলে গোয়ালে নানা ঝামেলা হতে পারে। যে জন্য গোয়ালের পরিবেশ ভালো রাখতে গোয়ালকে দুষ্ট গরুশূন্য করতে চায় সবাই। দুষ্ট গরুর লক্ষণ কী? এ ধরনের গরু মনিবের শাসন মানতে চায়
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পরিচিতি বিশ্ববাসীর কাছে নানান কারণে গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগোলিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোনো দিক থেকেই এই দেশকে এখন অবহেলা করার অবকাশ নেই। এর অন্যতম যৌক্তিক কারণ হচ্ছে, এ দেশের বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম জনসংখ্যা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে চ
৩ ঘণ্টা আগে‘বাংলাদেশের বাজারে ভেজাল পণ্যের প্রভাব এবং জনস্বাস্থ্যে এর ক্ষতিকর দিক’ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো। কিছু জানা তথ্য, কিছু অজানা তথ্য প্রকাশিত হলো এই সেমিনারে। ভেজাল পণ্য রোধ করার জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় যে সচেতনতা, সে কথাও ব্যক্ত করা হলো বারবার। এখানেই সবচেয়ে বড় গেরোটা রয়েছে। এই সচে
৩ ঘণ্টা আগে