সম্পাদকীয়
এ মুহূর্তে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দেশের কোথাও নিরাপদে নিজের কাজ করার গ্যারান্টি নেই। সামনের কোন দিনে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নতুন দল আসছে, সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে, জাতীয় নির্বাচন না স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন ইত্যাদি প্রশ্ন নিয়ে যত আলোচনা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি নিয়ে সেভাবে আলোচনা হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই বিপর্যয়কর অবস্থায় স্বস্তি পাচ্ছেন না।
যাঁরা দেশ পরিচালনার ভার হাতে নিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার তাঁদেরই। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে সাধারণ জনগণকে রেহাই দেওয়া যায়, সেটা ভাবা দরকার।
রামদা বা দেশীয় অস্ত্র হাতে একদল দস্যু হঠাৎ করে বের হয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে—এমন দৃশ্য এখন বিরল নয়। উদাহরণ দিতে গেলে প্রকাশ্যে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের হাজারটা ঘটনার কথা উল্লেখ করা যায়। রাজধানীর কোনো কোনো এলাকা পরিণত হয়েছে অপরাধের স্বর্গভূমিতে। দেশের জনগণ যখন বুঝতে পারে, তাদের নিরাপদ রাখার দায়িত্ব পালন করছে না সরকার, তখন এই অসহায়ত্বের মধ্যেই তাদের বসবাস করতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে তাঁরা এই প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে তাঁরা বলেন, দেশব্যাপী ছিনতাই, হামলা, ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়ে গেছে। দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান তাঁরা। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। রোববার গভীর রাতে বারিধারার বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
‘কেষ্টা ব্যাটাই চোর’—রবীন্দ্রনাথের ‘পুরাতন ভৃত্য’ কবিতার প্রতিধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কণ্ঠে। একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা যখন বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে, ভাঙচুর করছে, তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘুম ভাঙছে না। কারা এই অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তা দুর্বৃত্তদের দেহভাষা এবং কথাবার্তা থেকেই বোঝা যায়। স্থানীয়ভাবে ডাকাতি-ছিনতাই বাড়ার পেছনেও আওয়ামী জুজু আবিষ্কারের চেষ্টা দেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে না। ধান খুঁজতে বেগুনখেতে ঢুকলে সেখানে বেগুনই মিলবে, ধান মিলবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের মদদে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে, দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তাদের বিচার করুন। দেশবাসী সেই বিচার চায়। কিন্তু বর্তমানে যারা মব ভায়োলেন্স করছে, স্থানীয় পর্যায়ে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই করছে, জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে, তাদের খুঁজুন বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে। তাদের পরিচয় খুঁজে বের করুন। বিগত সরকারের আমলেই শুধু নয়, ক্ষমতাসীন দলগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় নানা অবান্তর কথা বলে লোক হাসিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই কাতারে নিজের নাম না লিখিয়ে বাস্তব অবস্থার ভিত্তিতে এই অরাজকতা বন্ধের ব্যবস্থা নিন। দোষারোপ নয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করুন।
এ মুহূর্তে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। দেশের কোথাও নিরাপদে নিজের কাজ করার গ্যারান্টি নেই। সামনের কোন দিনে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নতুন দল আসছে, সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে, জাতীয় নির্বাচন না স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন ইত্যাদি প্রশ্ন নিয়ে যত আলোচনা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি নিয়ে সেভাবে আলোচনা হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই বিপর্যয়কর অবস্থায় স্বস্তি পাচ্ছেন না।
যাঁরা দেশ পরিচালনার ভার হাতে নিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার তাঁদেরই। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে সাধারণ জনগণকে রেহাই দেওয়া যায়, সেটা ভাবা দরকার।
রামদা বা দেশীয় অস্ত্র হাতে একদল দস্যু হঠাৎ করে বের হয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে—এমন দৃশ্য এখন বিরল নয়। উদাহরণ দিতে গেলে প্রকাশ্যে ডাকাতি, ছিনতাইয়ের হাজারটা ঘটনার কথা উল্লেখ করা যায়। রাজধানীর কোনো কোনো এলাকা পরিণত হয়েছে অপরাধের স্বর্গভূমিতে। দেশের জনগণ যখন বুঝতে পারে, তাদের নিরাপদ রাখার দায়িত্ব পালন করছে না সরকার, তখন এই অসহায়ত্বের মধ্যেই তাদের বসবাস করতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে তাঁরা এই প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে তাঁরা বলেন, দেশব্যাপী ছিনতাই, হামলা, ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়ে গেছে। দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান তাঁরা। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। রোববার গভীর রাতে বারিধারার বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
‘কেষ্টা ব্যাটাই চোর’—রবীন্দ্রনাথের ‘পুরাতন ভৃত্য’ কবিতার প্রতিধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কণ্ঠে। একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা যখন বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে, ভাঙচুর করছে, তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘুম ভাঙছে না। কারা এই অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তা দুর্বৃত্তদের দেহভাষা এবং কথাবার্তা থেকেই বোঝা যায়। স্থানীয়ভাবে ডাকাতি-ছিনতাই বাড়ার পেছনেও আওয়ামী জুজু আবিষ্কারের চেষ্টা দেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে না। ধান খুঁজতে বেগুনখেতে ঢুকলে সেখানে বেগুনই মিলবে, ধান মিলবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের মদদে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে, দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তাদের বিচার করুন। দেশবাসী সেই বিচার চায়। কিন্তু বর্তমানে যারা মব ভায়োলেন্স করছে, স্থানীয় পর্যায়ে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই করছে, জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে, তাদের খুঁজুন বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে। তাদের পরিচয় খুঁজে বের করুন। বিগত সরকারের আমলেই শুধু নয়, ক্ষমতাসীন দলগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় নানা অবান্তর কথা বলে লোক হাসিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই কাতারে নিজের নাম না লিখিয়ে বাস্তব অবস্থার ভিত্তিতে এই অরাজকতা বন্ধের ব্যবস্থা নিন। দোষারোপ নয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করুন।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম ও এর প্রাতিষ্ঠানিক বিকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার উল্লিখিত ঘোষণাপত্রের এই যে বিশাল ভূমিকা ও অবস্থান, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতা-পরর্বর্তী কোনো সরকারই আজ পর্যন্ত সেটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব ও মর্যাদার সাথে তুলে ধরতে আগ্রহ দেখায়নি—এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারগুলোও নয়।
৫ ঘণ্টা আগেআমি বেশ কিছুদিন আগে এক ফিলিস্তিনি অভিনেতার সঙ্গে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। ওই অভিনেতা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে হলিউডেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। শুনেছি একবার অস্কারে নমিনেশনও পেয়েছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন মানুষ। ফিলিস্তিন নিয়ে আমাদের প্রবল কৌতূহল। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে ওই দেশের কথা জানার চেষ্টা করতাম।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় একটি অতি পরিচিত শব্দ হলো খই। কারও কারও মুখের ভাষায় আবার ‘খই ফোটে’। এতে কেউ হয় মুগ্ধ আবার এটি অতিরঞ্জিত হলে কেউ হয় বিরক্ত। কারও আবার কথায় তুবড়ি ছোটে, কারওবা ফুলঝুরি। পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে কেউবা প্রবচন হিসেবে বলে থাকেন ‘নেই কাজ তো খই ভাজ।’
১০ ঘণ্টা আগেতিরিশোত্তর আধুনিক বাঙালি কবিদের মধ্যে অমিয় চক্রবর্তীর মতো আত্মস্থ কবি আমরা খুব কমই দেখতে পাই। জটিল মার্কিন সমাজে দীর্ঘদিন বসবাস করেও এই উপলব্ধি থেকে তিনি কখনো সরে আসেননি: ‘অপার্থিব কী তা আমার জানা নেই, খোলা চোখের সামনে এই আমার অফুরন্ত দু-দিনের দৃশ্যকাব্য।’ তাঁর একান্ত নিজস্ব চেতনার আদলে নির্মিত এই
১০ ঘণ্টা আগে