সম্পাদকীয়
একটি চরম খারাপ সময় অতিক্রম করছি আমরা। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়, চাকরি হারানো, বেতন ও আয়-উপার্জন কমে যাওয়া, পরিবার সদস্য বা পরিচিতজনের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের শোক, সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার বাধ্যবাধকতা, মাঝেমধ্যে লকডাউনের কারণে স্বাভাবিক জনচলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদির প্রভাব সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে। অবসাদগ্রস্ততা, দুশ্চিন্তা, হতাশা, খিটখিটে মেজাজ, অনিদ্রাজনিত সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
শিশুদের সমস্যা একটু প্রকট। যেকোনো মানসিক চাপে শিশুরা বড়দের চেয়ে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়; তারা মা-বাবাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়, অস্থির হয়ে পড়ে, নিজেকে গুটিয়ে রাখে, রাগ করে। এই সময়ে শিশুর মানসিক চাপজনিত এসব প্রতিক্রিয়ার প্রতি পরিবারের অন্যদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি শিশুদের কথা মন দিয়ে শুনে তাদের একটু বেশি ভালোবাসা দেওয়া উচিত। তাদের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়া এখন খুব জরুরি।
শহরের তুলনায় গ্রামের লোকজন করোনায় কম আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত হলেও সেটা শনাক্ত হচ্ছে না। কারণ, করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁরা হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তাই গ্রামের মানুষ এখনো খোলামেলা চলাফেরা করছেন। সে কারণে শহরের চেয়ে গ্রামের শিশুরাও ভালো আছে। তারা সকাল-বিকেল আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সংস্পর্শে আসছে। খেলাধুলা, গল্প করতে পারছে। মানসিকভাবে অনেক ভালো আছে। শহরাঞ্চলের সব বয়সী ছেলেমেয়ের ঘরে বন্দী জীবন যাপন করতে হচ্ছে। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে; ফলে শিশুদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
কোভিড ১৯-এর জন্য কতটা অসহায় আমাদের দরিদ্র মানুষ তা তো আমরা ভালো করেই জানি। তবুও বেঁচে থাকতে হয়। বেঁচে থাকতে হবে। মানসিক চাপে আছেন বয়োবৃদ্ধরাও। তাঁদের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত।
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, যতই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাই না কেন, জীবনের কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এই কঠিন সময়ও একসময় না একসময় শেষ হয়ে যাবে। জীবনের কোনো কিছুই এককভাবে সম্পূর্ণ নেতিবাচক নয়। সর্বোপরি আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবন অনেক সময় আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয় সত্যি, কিন্তু আমাদের জীবন একই সঙ্গে আমাদের আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও দেয়। তাই আজ যে আঁধার দেখছি, তা কেটে দুদিন পরে হলেও আলো ফুটবেই।
একটি চরম খারাপ সময় অতিক্রম করছি আমরা। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়, চাকরি হারানো, বেতন ও আয়-উপার্জন কমে যাওয়া, পরিবার সদস্য বা পরিচিতজনের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের শোক, সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার বাধ্যবাধকতা, মাঝেমধ্যে লকডাউনের কারণে স্বাভাবিক জনচলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়া ইত্যাদির প্রভাব সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে। অবসাদগ্রস্ততা, দুশ্চিন্তা, হতাশা, খিটখিটে মেজাজ, অনিদ্রাজনিত সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
শিশুদের সমস্যা একটু প্রকট। যেকোনো মানসিক চাপে শিশুরা বড়দের চেয়ে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়; তারা মা-বাবাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়, অস্থির হয়ে পড়ে, নিজেকে গুটিয়ে রাখে, রাগ করে। এই সময়ে শিশুর মানসিক চাপজনিত এসব প্রতিক্রিয়ার প্রতি পরিবারের অন্যদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি শিশুদের কথা মন দিয়ে শুনে তাদের একটু বেশি ভালোবাসা দেওয়া উচিত। তাদের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়া এখন খুব জরুরি।
শহরের তুলনায় গ্রামের লোকজন করোনায় কম আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত হলেও সেটা শনাক্ত হচ্ছে না। কারণ, করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁরা হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তাই গ্রামের মানুষ এখনো খোলামেলা চলাফেরা করছেন। সে কারণে শহরের চেয়ে গ্রামের শিশুরাও ভালো আছে। তারা সকাল-বিকেল আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সংস্পর্শে আসছে। খেলাধুলা, গল্প করতে পারছে। মানসিকভাবে অনেক ভালো আছে। শহরাঞ্চলের সব বয়সী ছেলেমেয়ের ঘরে বন্দী জীবন যাপন করতে হচ্ছে। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে; ফলে শিশুদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
কোভিড ১৯-এর জন্য কতটা অসহায় আমাদের দরিদ্র মানুষ তা তো আমরা ভালো করেই জানি। তবুও বেঁচে থাকতে হয়। বেঁচে থাকতে হবে। মানসিক চাপে আছেন বয়োবৃদ্ধরাও। তাঁদের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত।
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, যতই খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাই না কেন, জীবনের কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এই কঠিন সময়ও একসময় না একসময় শেষ হয়ে যাবে। জীবনের কোনো কিছুই এককভাবে সম্পূর্ণ নেতিবাচক নয়। সর্বোপরি আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবন অনেক সময় আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয় সত্যি, কিন্তু আমাদের জীবন একই সঙ্গে আমাদের আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও দেয়। তাই আজ যে আঁধার দেখছি, তা কেটে দুদিন পরে হলেও আলো ফুটবেই।
প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাবনিকাশ করলেই অগ্রগতি আর অবনতির খতিয়ান পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ২০২৪ সালের শেষপাদে এসে কী পেল, আর নতুন বছরে কী-ইবা পেতে যাচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে এ দেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের এগিয়ে যাওয়া। এ বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে দেড় দশকের পুরোনো ও স্বৈরাচারী শাসন
৩ ঘণ্টা আগেদুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো—আমাদের দেশে একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ। এর ভাবার্থ সহজবোধ্য। গোয়ালে বহুসংখ্যক গরুর মধ্যে দু-একটি দুষ্ট গরু থাকলে গোয়ালে নানা ঝামেলা হতে পারে। যে জন্য গোয়ালের পরিবেশ ভালো রাখতে গোয়ালকে দুষ্ট গরুশূন্য করতে চায় সবাই। দুষ্ট গরুর লক্ষণ কী? এ ধরনের গরু মনিবের শাসন মানতে চায়
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পরিচিতি বিশ্ববাসীর কাছে নানান কারণে গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগোলিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোনো দিক থেকেই এই দেশকে এখন অবহেলা করার অবকাশ নেই। এর অন্যতম যৌক্তিক কারণ হচ্ছে, এ দেশের বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম জনসংখ্যা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে চ
৩ ঘণ্টা আগে‘বাংলাদেশের বাজারে ভেজাল পণ্যের প্রভাব এবং জনস্বাস্থ্যে এর ক্ষতিকর দিক’ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো। কিছু জানা তথ্য, কিছু অজানা তথ্য প্রকাশিত হলো এই সেমিনারে। ভেজাল পণ্য রোধ করার জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় যে সচেতনতা, সে কথাও ব্যক্ত করা হলো বারবার। এখানেই সবচেয়ে বড় গেরোটা রয়েছে। এই সচে
৩ ঘণ্টা আগে