সম্পাদকীয়
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এফবিসিসিআই এবার একটি ব্যাংক চেয়েছে। ব্যবসায়ীরা তো এমনিতেই অনেক ব্যাংকের মালিক। দফায় দফায় তাঁরা ব্যাংক নিচ্ছেন নিজেদের মালিকানায়। বেশির ভাগ ব্যাংকই এখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে। এখন খবর হয়েছে যে, খোদ এফবিসিসিআই একটি ব্যাংক চায়। সম্প্রতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে—তারা শুধু ব্যাংক নয়, বিমা, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালও করতে চায়। সরকারও নাকি বেশ ইতিবাচক এ বিষয়ে। উপর মহল থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলা হচ্ছে, চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এই ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হবেন। ব্যবসায়ীরা অবশ্য দাবি করছেন, অনেক বিশেষায়িত সংস্থার নিজেদের ব্যাংক রয়েছে। তাহলে তাঁদের কেন হবে না? তাই তাঁরা নিজেদের জন্য একটি ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়েছেন। ব্যাংকটির বোর্ডে কারা থাকবেন, তা এফবিসিসিআইয়ের সাবেক নেতারা বসে ঠিক করবেন বলেও খবরে এসেছে।
এখন প্রশ্ন হলো, দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক যাঁদের নিয়ন্ত্রণে, যাঁরা এমনিতে বহু ব্যাংকের মালিক, তাঁরাই আবার আরেকটি ব্যাংক করার জন্য এফবিসিসিআইকে ব্যবহার করছেন। এটা কেন করতে হবে? তাঁদের কী এতগুলো ব্যাংক থাকার পরও চলছে না? বর্তমানে দেশে ৬১টি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি ব্যাংকের মালিক ব্যবসায়ী। কমবেশি প্রায় সব সাবেক সভাপতির মালিকানাতেই ব্যাংক রয়েছে। এখন নতুন করে কেন আরেকটি ব্যাংক তাঁদের প্রয়োজন হচ্ছে এটা বোধগম্য নয়। ব্যাংকিং কার্যক্রম করার জন্য তাঁরা নিজেদের ব্যাংকের পাশাপাশি অন্য ব্যাংক থেকেও লেনদেন করতে পারেন। তা ছাড়া দেশে এমনিতেই ব্যাংকের সংখ্যা বেশি।
শের ব্যাংক খাতের বিশ্লেষক ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও মনে করেন, নতুন করে আরও একটি ব্যাংকের কোনো প্রয়োজন নেই। এর আগে গেল কয়েক বছরে যে কয়েকটি ব্যাংক দেওয়া হয়েছে, এসবেরও প্রয়োজন ছিল না। ওইসব ব্যাংকের নানান অনিয়ম কেলেঙ্কারির খবর কে না জানে? ফার্মার্স ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে প্রায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছিল। পরে সরকারি হস্তক্ষেপে তাতে সরকারি কয়েকটি ব্যাংক তহবিল দিয়ে সেটিকে কোনো রকমে বাঁচিয়ে রেখেছে। নামও পরিবর্তন করতে হয়েছে ব্যাংকটির। এভাবে নতুন পুরাতন সব ব্যাংকেই কমবেশি অনিয়ম, কেলেঙ্কারির ঘটনা রয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নেওয়া হয়েছে। এসব অনিয়ম বা খেলাপির পেছনের নায়কও ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কেউ কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে একেকটি ব্যাংককে রুগ্ন করে তুলছেন। ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের যে অভাব আমরা দেখি, তা আগে বন্ধ করতে হবে। ঋণ খেলাপিবাজদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
বিশ্বের ব্যাংকিং খাত আধুনিকতা ও সুশাসনে অনেক উঁচুতে চলে যাচ্ছে। আর আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাত রীতিমতো ডুবে যাচ্ছে। আগে দরকার একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্থিতিশীল ব্যাংকিং খাত, এরপর নতুন করে চিন্তা করা যাবে। আমরা মনে করি, এখনই এফবিসিসিআইকে আরেকটি নতুন ব্যাংক দিয়ে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এতে বরং বিদ্যমান ব্যাংকগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এফবিসিসিআই এবার একটি ব্যাংক চেয়েছে। ব্যবসায়ীরা তো এমনিতেই অনেক ব্যাংকের মালিক। দফায় দফায় তাঁরা ব্যাংক নিচ্ছেন নিজেদের মালিকানায়। বেশির ভাগ ব্যাংকই এখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে। এখন খবর হয়েছে যে, খোদ এফবিসিসিআই একটি ব্যাংক চায়। সম্প্রতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে—তারা শুধু ব্যাংক নয়, বিমা, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালও করতে চায়। সরকারও নাকি বেশ ইতিবাচক এ বিষয়ে। উপর মহল থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলা হচ্ছে, চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এই ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হবেন। ব্যবসায়ীরা অবশ্য দাবি করছেন, অনেক বিশেষায়িত সংস্থার নিজেদের ব্যাংক রয়েছে। তাহলে তাঁদের কেন হবে না? তাই তাঁরা নিজেদের জন্য একটি ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়েছেন। ব্যাংকটির বোর্ডে কারা থাকবেন, তা এফবিসিসিআইয়ের সাবেক নেতারা বসে ঠিক করবেন বলেও খবরে এসেছে।
এখন প্রশ্ন হলো, দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক যাঁদের নিয়ন্ত্রণে, যাঁরা এমনিতে বহু ব্যাংকের মালিক, তাঁরাই আবার আরেকটি ব্যাংক করার জন্য এফবিসিসিআইকে ব্যবহার করছেন। এটা কেন করতে হবে? তাঁদের কী এতগুলো ব্যাংক থাকার পরও চলছে না? বর্তমানে দেশে ৬১টি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি ব্যাংকের মালিক ব্যবসায়ী। কমবেশি প্রায় সব সাবেক সভাপতির মালিকানাতেই ব্যাংক রয়েছে। এখন নতুন করে কেন আরেকটি ব্যাংক তাঁদের প্রয়োজন হচ্ছে এটা বোধগম্য নয়। ব্যাংকিং কার্যক্রম করার জন্য তাঁরা নিজেদের ব্যাংকের পাশাপাশি অন্য ব্যাংক থেকেও লেনদেন করতে পারেন। তা ছাড়া দেশে এমনিতেই ব্যাংকের সংখ্যা বেশি।
শের ব্যাংক খাতের বিশ্লেষক ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও মনে করেন, নতুন করে আরও একটি ব্যাংকের কোনো প্রয়োজন নেই। এর আগে গেল কয়েক বছরে যে কয়েকটি ব্যাংক দেওয়া হয়েছে, এসবেরও প্রয়োজন ছিল না। ওইসব ব্যাংকের নানান অনিয়ম কেলেঙ্কারির খবর কে না জানে? ফার্মার্স ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে প্রায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছিল। পরে সরকারি হস্তক্ষেপে তাতে সরকারি কয়েকটি ব্যাংক তহবিল দিয়ে সেটিকে কোনো রকমে বাঁচিয়ে রেখেছে। নামও পরিবর্তন করতে হয়েছে ব্যাংকটির। এভাবে নতুন পুরাতন সব ব্যাংকেই কমবেশি অনিয়ম, কেলেঙ্কারির ঘটনা রয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নেওয়া হয়েছে। এসব অনিয়ম বা খেলাপির পেছনের নায়কও ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কেউ কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে একেকটি ব্যাংককে রুগ্ন করে তুলছেন। ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের যে অভাব আমরা দেখি, তা আগে বন্ধ করতে হবে। ঋণ খেলাপিবাজদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
বিশ্বের ব্যাংকিং খাত আধুনিকতা ও সুশাসনে অনেক উঁচুতে চলে যাচ্ছে। আর আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাত রীতিমতো ডুবে যাচ্ছে। আগে দরকার একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্থিতিশীল ব্যাংকিং খাত, এরপর নতুন করে চিন্তা করা যাবে। আমরা মনে করি, এখনই এফবিসিসিআইকে আরেকটি নতুন ব্যাংক দিয়ে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এতে বরং বিদ্যমান ব্যাংকগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাবনিকাশ করলেই অগ্রগতি আর অবনতির খতিয়ান পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ২০২৪ সালের শেষপাদে এসে কী পেল, আর নতুন বছরে কী-ইবা পেতে যাচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে এ দেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের এগিয়ে যাওয়া। এ বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে দেড় দশকের পুরোনো ও স্বৈরাচারী শাসন
৩ ঘণ্টা আগেদুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো—আমাদের দেশে একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ। এর ভাবার্থ সহজবোধ্য। গোয়ালে বহুসংখ্যক গরুর মধ্যে দু-একটি দুষ্ট গরু থাকলে গোয়ালে নানা ঝামেলা হতে পারে। যে জন্য গোয়ালের পরিবেশ ভালো রাখতে গোয়ালকে দুষ্ট গরুশূন্য করতে চায় সবাই। দুষ্ট গরুর লক্ষণ কী? এ ধরনের গরু মনিবের শাসন মানতে চায়
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পরিচিতি বিশ্ববাসীর কাছে নানান কারণে গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগোলিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোনো দিক থেকেই এই দেশকে এখন অবহেলা করার অবকাশ নেই। এর অন্যতম যৌক্তিক কারণ হচ্ছে, এ দেশের বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম জনসংখ্যা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে চ
৩ ঘণ্টা আগে‘বাংলাদেশের বাজারে ভেজাল পণ্যের প্রভাব এবং জনস্বাস্থ্যে এর ক্ষতিকর দিক’ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো। কিছু জানা তথ্য, কিছু অজানা তথ্য প্রকাশিত হলো এই সেমিনারে। ভেজাল পণ্য রোধ করার জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় যে সচেতনতা, সে কথাও ব্যক্ত করা হলো বারবার। এখানেই সবচেয়ে বড় গেরোটা রয়েছে। এই সচে
৩ ঘণ্টা আগে