নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বিদেশি চাপ নয়, বিবেকের চাপ অনুভব করছি’—গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তাঁর এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার আজকে প্রমাদ গুনছে। তাঁদের কথার মধ্যে ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদেরের বললেন, বিবেকের চাপ অনুভব করছি। এ কথা বলেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন ফখরুল। মির্জা ফখরুল বলেন, ওদের (সরকার) বিবেক আছে! তার আবার চাপ অনুভব করে! তাঁদের কথা-কাজে কোনো মিল নেই। যখন মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়, যখন চতুর্দিকে অন্ধকার দেখতে থাকে, তখন প্রলাপ বকতে থাকে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজার প্রতিবাদে দেশব্যাপী পালিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি ও ঢাকা জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজার প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। যার (তারেক রহমান) নেতৃত্বে আমরা দেশকে মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম করছি, তখন তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে ফখরুল বলেন, ‘সরকার যেনতেনভাবে টিকে থাকার জন্য নানা ক্যারিকেচার করছে। কিন্তু ক্যারিকেচার করে কোনো লাভ হবে না। এই সরকারের সময় শেষ। তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার আগে ভাবুন যে, এ দেশের মানুষ আপনাদেরও হিসাব নেবে। এইভাবে সাজা দিয়ে, কারাগারে নিয়ে, মামলা দিয়ে, গ্রেপ্তার করে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারবেন না। আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত মানুষ জেগে উঠেছ। একটিমাত্র লক্ষ্য এই সরকারের পতন চায় তাঁরা।’
বিদেশিদের নয়, বিএনপি মানুষের কথা শুনছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বলল, যুক্তরাজ্য কি বলল বা ভারত কি বলল এটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নাই। আমাদের দরকার, আমাদের মানুষ কি বলছে। আমাদের মানুষ খুব পরিষ্কার করে বলছে—তোমাদের (সরকার) আর সময় নাই, যেতে হবে।’
সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ফখরুল বলেন, খেলার ইচ্ছা থাকলে রাস্তায় আসুন, খেলা হোক, ভোট হোক। একই সঙ্গে নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এবার মরণপণ সংগ্রাম করতে হবে। মরণপণ যুদ্ধ করে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এদের (সরকার) পরাজিত করতে হবে। আমাদের একটাই মাত্র পথ এই সরকারকে সরাতে হবে। জাতির অস্তিত্বের জন্য আজকে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সমাগত। এটা বুঝতে পেরেই সরকার অসংলগ্ন আচরণ করছে। বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন করছে, গ্রেপ্তার করছে, মামলা দিচ্ছে। থানা থেকে অর্ডার এসেছে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিচার শব্দ বাংলাদেশে নাই। এখানে কোনো ন্যায় বিচার নেই। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বিচার চাওয়া আষাঢ়ে গল্পের মতো। গণতন্ত্রের মুক্তি না হলে বিচারপতিরা ন্যায় বিচার করতে পারবেন না। আর পুলিশও শেখ হাসিনার বাড়ির কর্মচারীর মতো আচরণ করতে থাকবে। আমার বিশ্বাস শেখ হাসিনার পতন না দেখিয়ে ঈশ্বর আমাকে চিতায় তুলবেন না। এই বিশ্বাস রেখেই আমাদের পথ চলতে হবে। যুদ্ধ ততক্ষণ চলবে যতক্ষণ না দেশে গণতন্ত্র আসবে।’
আবদুল মঈন খান বলেন, ধোঁকাবাজি করে বাংলাদেশের মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।
‘বিদেশি চাপ নয়, বিবেকের চাপ অনুভব করছি’—গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তাঁর এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার আজকে প্রমাদ গুনছে। তাঁদের কথার মধ্যে ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদেরের বললেন, বিবেকের চাপ অনুভব করছি। এ কথা বলেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন ফখরুল। মির্জা ফখরুল বলেন, ওদের (সরকার) বিবেক আছে! তার আবার চাপ অনুভব করে! তাঁদের কথা-কাজে কোনো মিল নেই। যখন মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়, যখন চতুর্দিকে অন্ধকার দেখতে থাকে, তখন প্রলাপ বকতে থাকে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজার প্রতিবাদে দেশব্যাপী পালিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি ও ঢাকা জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজার প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। যার (তারেক রহমান) নেতৃত্বে আমরা দেশকে মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম করছি, তখন তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে ফখরুল বলেন, ‘সরকার যেনতেনভাবে টিকে থাকার জন্য নানা ক্যারিকেচার করছে। কিন্তু ক্যারিকেচার করে কোনো লাভ হবে না। এই সরকারের সময় শেষ। তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার আগে ভাবুন যে, এ দেশের মানুষ আপনাদেরও হিসাব নেবে। এইভাবে সাজা দিয়ে, কারাগারে নিয়ে, মামলা দিয়ে, গ্রেপ্তার করে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারবেন না। আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত মানুষ জেগে উঠেছ। একটিমাত্র লক্ষ্য এই সরকারের পতন চায় তাঁরা।’
বিদেশিদের নয়, বিএনপি মানুষের কথা শুনছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বলল, যুক্তরাজ্য কি বলল বা ভারত কি বলল এটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নাই। আমাদের দরকার, আমাদের মানুষ কি বলছে। আমাদের মানুষ খুব পরিষ্কার করে বলছে—তোমাদের (সরকার) আর সময় নাই, যেতে হবে।’
সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ফখরুল বলেন, খেলার ইচ্ছা থাকলে রাস্তায় আসুন, খেলা হোক, ভোট হোক। একই সঙ্গে নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এবার মরণপণ সংগ্রাম করতে হবে। মরণপণ যুদ্ধ করে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এদের (সরকার) পরাজিত করতে হবে। আমাদের একটাই মাত্র পথ এই সরকারকে সরাতে হবে। জাতির অস্তিত্বের জন্য আজকে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সমাগত। এটা বুঝতে পেরেই সরকার অসংলগ্ন আচরণ করছে। বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন করছে, গ্রেপ্তার করছে, মামলা দিচ্ছে। থানা থেকে অর্ডার এসেছে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিচার শব্দ বাংলাদেশে নাই। এখানে কোনো ন্যায় বিচার নেই। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বিচার চাওয়া আষাঢ়ে গল্পের মতো। গণতন্ত্রের মুক্তি না হলে বিচারপতিরা ন্যায় বিচার করতে পারবেন না। আর পুলিশও শেখ হাসিনার বাড়ির কর্মচারীর মতো আচরণ করতে থাকবে। আমার বিশ্বাস শেখ হাসিনার পতন না দেখিয়ে ঈশ্বর আমাকে চিতায় তুলবেন না। এই বিশ্বাস রেখেই আমাদের পথ চলতে হবে। যুদ্ধ ততক্ষণ চলবে যতক্ষণ না দেশে গণতন্ত্র আসবে।’
আবদুল মঈন খান বলেন, ধোঁকাবাজি করে বাংলাদেশের মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
৯ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১০ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে