উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আন্দোলন কিন্তু কেবল শুরু। আমরা ওয়ানডে ম্যাচ খেলছি। জনগণকে নিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করব। আপনারা কেউ পিছু হটবেন না। গুলি চললে সামনে আগাবেন, গুলি বন্ধ হয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর সড়কে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নূরে আলম, আব্দুর রহিম ও শাওন হত্যার প্রতিবাদ এবং বিএনপির চেয়ারপারসনও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
জনসভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তরের উত্তরা পশ্চিম জোন, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত থানা বিএনপি।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে জনগণের জন্য। বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। যেন জনগণ আবার ভোট দিতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, ‘আমরা আজকে যে পরিশ্রমটা করছি, এটা জনগণের জন্য করছি। আমরা চেষ্টা করছি বাংলাদেশ যেন আবার মুক্ত হয়। বাংলাদেশে যেন আবার গণতন্ত্রের চর্চা হয়, আবার যেন গণতন্ত্র ফিরে আসে। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে কিন্তু আমরা একা ক্ষমতায় যাব না। যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাদের সবাইকে নিয়েই সরকার গঠন করব এবং নতুন বাংলাদেশের জন্ম দেব। এটাই হলো আমাদের অঙ্গীকার।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যে মিটিংগুলো করছি, তা জনগণের জন্যই করছি। এই মিটিংগুলো দেখে অনেকের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজারবাগে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এই পুলিশ বাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করেছিল। যখন এই পুলিশ বাহিনীর ভাইয়েরা জনগণের ওপর কথায় কথায় গুলি চালায়, তখন আমি কষ্ট পাই।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। আর এই পুলিশই মানুষের বুকের তাজা রক্ত বের করে। আমি কিন্তু সব পুলিশ ভাইদের বলছি না। আবার পুলিশ ভাইদের মধ্যে অনেকের হৃদয় কাঁদে, তারা এটা করতে চায় না। কিন্তু চাকরির ভয়ে, পেটের কারণে তারা এটা করে। আবার তাদের মধ্যে অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যরাও আছে। কিন্তু পুলিশ বাহিনীর মধ্যে আমাদেরও লোকজন আছে। আমরা আপনাদের (পুলিশ) সঙ্গে আছি। কিন্তু যারা অন্যায় করেছে ,তাদের সঙ্গে নাই।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ দেশে গণতন্ত্র বলতে যে জিনিস আছে, সেটা আমরাই দিয়েছি। যখন একদলীয় গণতন্ত্র ছিল, তখন শহীদ মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন। এখন বাকশাল থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জোট করে দেশ শাসন করছে।’
জনসভায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান সভাপতিত্ব করেন। সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুকসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিএনপির সমাবেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন উত্তরা থানা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। উত্তরার আজমপুরে আমির কমপ্লেক্সের সামনে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের গোলচক্কর হয়ে বিএনপির জনসমাবেশস্থলে যেতে চাইলে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর এলাকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোহাম্মদ হাবিব হাসান।
এ ছাড়া উত্তরার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সাংসদ আলহাজ মোহাম্মদ হাবিব হাসান বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের জ্বালাও-পোড়াও প্রতিহত করতে হবে। তাদের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি দেশকে ধ্বংস করতে চায়। দেশের উন্নয়নকাজকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তাদের নৈরাজ্যকে প্রতিহত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আন্দোলন কিন্তু কেবল শুরু। আমরা ওয়ানডে ম্যাচ খেলছি। জনগণকে নিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করব। আপনারা কেউ পিছু হটবেন না। গুলি চললে সামনে আগাবেন, গুলি বন্ধ হয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর সড়কে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নূরে আলম, আব্দুর রহিম ও শাওন হত্যার প্রতিবাদ এবং বিএনপির চেয়ারপারসনও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
জনসভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তরের উত্তরা পশ্চিম জোন, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত থানা বিএনপি।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে জনগণের জন্য। বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। যেন জনগণ আবার ভোট দিতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, ‘আমরা আজকে যে পরিশ্রমটা করছি, এটা জনগণের জন্য করছি। আমরা চেষ্টা করছি বাংলাদেশ যেন আবার মুক্ত হয়। বাংলাদেশে যেন আবার গণতন্ত্রের চর্চা হয়, আবার যেন গণতন্ত্র ফিরে আসে। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে কিন্তু আমরা একা ক্ষমতায় যাব না। যারা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাদের সবাইকে নিয়েই সরকার গঠন করব এবং নতুন বাংলাদেশের জন্ম দেব। এটাই হলো আমাদের অঙ্গীকার।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যে মিটিংগুলো করছি, তা জনগণের জন্যই করছি। এই মিটিংগুলো দেখে অনেকের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজারবাগে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এই পুলিশ বাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করেছিল। যখন এই পুলিশ বাহিনীর ভাইয়েরা জনগণের ওপর কথায় কথায় গুলি চালায়, তখন আমি কষ্ট পাই।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। আর এই পুলিশই মানুষের বুকের তাজা রক্ত বের করে। আমি কিন্তু সব পুলিশ ভাইদের বলছি না। আবার পুলিশ ভাইদের মধ্যে অনেকের হৃদয় কাঁদে, তারা এটা করতে চায় না। কিন্তু চাকরির ভয়ে, পেটের কারণে তারা এটা করে। আবার তাদের মধ্যে অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যরাও আছে। কিন্তু পুলিশ বাহিনীর মধ্যে আমাদেরও লোকজন আছে। আমরা আপনাদের (পুলিশ) সঙ্গে আছি। কিন্তু যারা অন্যায় করেছে ,তাদের সঙ্গে নাই।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ দেশে গণতন্ত্র বলতে যে জিনিস আছে, সেটা আমরাই দিয়েছি। যখন একদলীয় গণতন্ত্র ছিল, তখন শহীদ মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন। এখন বাকশাল থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জোট করে দেশ শাসন করছে।’
জনসভায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান সভাপতিত্ব করেন। সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুকসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিএনপির সমাবেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন উত্তরা থানা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। উত্তরার আজমপুরে আমির কমপ্লেক্সের সামনে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের গোলচক্কর হয়ে বিএনপির জনসমাবেশস্থলে যেতে চাইলে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর এলাকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোহাম্মদ হাবিব হাসান।
এ ছাড়া উত্তরার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সাংসদ আলহাজ মোহাম্মদ হাবিব হাসান বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের জ্বালাও-পোড়াও প্রতিহত করতে হবে। তাদের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি দেশকে ধ্বংস করতে চায়। দেশের উন্নয়নকাজকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তাদের নৈরাজ্যকে প্রতিহত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
২ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
৪ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগে