নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ ৩১ বছর বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। সঠিক ইতিহাস জানলে বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে লোক যেত না।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
নগর ভবন প্রাঙ্গণে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আমু। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বলেছিলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমি অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে না পারি। অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য যখন তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই তাঁকে হত্যা করা হলো। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হলো না। যদি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানত, তাহলে বিএনপির মিছিলে লোক যেত না। ছাত্রদল কেউ করত না। যুবদল করার প্রশ্নই আসে না। জামায়াতে ইসলামের আয়োজনে জনসমাগম হওয়ার কথা নয়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলবে, সেই আয়োজনে জনসমাগম হবার কথা নয়। কিন্তু একটানা পাকিস্তানের ২৩ বছরের যে ইতিহাস সেটা পড়ানো হয়েছে, তাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি, বুঝতে দেওয়া হয়নি। কীভাবে দেশটা স্বাধীনতা লাভ করল, সেটা জানতে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের দেশে নতুন প্রজন্মের একাংশ পথভ্রষ্ট, বিপথগামী।’
বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার প্রতিহিংসায় সেদিন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘স্বাধীনতাকে যারা সহ্য করতে পারেনি, সেই স্বাধীনতার যারা পরাজিত শক্তি, তারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে একটি প্রতিবিপ্লব সংঘটিত করল। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার অপরাধে সেদিন জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্বংশ করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত পূর্ণতা পেয়েছিল।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। তাঁর সন্তান তারেক রহমান আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আল্লাহর রহমতে পারে নাই।’
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সব কর্মকাণ্ডই ছিল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। স্বাধীনতাবিরোধী। তার সব কর্মকাণ্ড ৪৮ বছর ধরে বিশ্লেষণ করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, খুনি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নেপথ্যের প্রধান কুশীলব। নেপথ্যের প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারী।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা-৫-এর কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সংরক্ষিত আসনের জিন্নাতুল বাকিয়া, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ ৩১ বছর বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। সঠিক ইতিহাস জানলে বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে লোক যেত না।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
নগর ভবন প্রাঙ্গণে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আমু। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বলেছিলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমি অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে না পারি। অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য যখন তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই তাঁকে হত্যা করা হলো। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হলো না। যদি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানত, তাহলে বিএনপির মিছিলে লোক যেত না। ছাত্রদল কেউ করত না। যুবদল করার প্রশ্নই আসে না। জামায়াতে ইসলামের আয়োজনে জনসমাগম হওয়ার কথা নয়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলবে, সেই আয়োজনে জনসমাগম হবার কথা নয়। কিন্তু একটানা পাকিস্তানের ২৩ বছরের যে ইতিহাস সেটা পড়ানো হয়েছে, তাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি, বুঝতে দেওয়া হয়নি। কীভাবে দেশটা স্বাধীনতা লাভ করল, সেটা জানতে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের দেশে নতুন প্রজন্মের একাংশ পথভ্রষ্ট, বিপথগামী।’
বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার প্রতিহিংসায় সেদিন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘স্বাধীনতাকে যারা সহ্য করতে পারেনি, সেই স্বাধীনতার যারা পরাজিত শক্তি, তারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে একটি প্রতিবিপ্লব সংঘটিত করল। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার অপরাধে সেদিন জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্বংশ করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত পূর্ণতা পেয়েছিল।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। তাঁর সন্তান তারেক রহমান আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আল্লাহর রহমতে পারে নাই।’
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সব কর্মকাণ্ডই ছিল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। স্বাধীনতাবিরোধী। তার সব কর্মকাণ্ড ৪৮ বছর ধরে বিশ্লেষণ করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, খুনি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নেপথ্যের প্রধান কুশীলব। নেপথ্যের প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারী।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা-৫-এর কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সংরক্ষিত আসনের জিন্নাতুল বাকিয়া, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
২ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
৪ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগে