নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট ক্ষমতাসীনদের কারণেই তৈরি হয়েছে। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে রাজনৈতিক সংকটের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটও জাতিকে গ্রাস করছে। সংকটের সমাধান না করে সরকার উল্টো জনগণকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এমন অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষকে উদ্ধার করতে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সংকট, চলমান গণ-আন্দোলন ও জনপ্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানিয়েছেন বক্তারা।
দেশে ন্যূনতম যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল, তা সরকার নষ্ট করে ফেলেছে জানিয়ে সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘অর্থনীতিতেও আদিম লুটপাটের সংস্কৃতি চলছে। সরকারের বাইরের দরজাগুলোও একেক করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মোদি ও বাইডেনের বৈঠকের যতটুকু খবর পাওয়া গেছে, তাতেও কোনো সুখবর নাই।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন লিজ দেওয়ার কথা বলে সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করছে। মানুষের মনোযোগ ভিন্নদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে, যাতে শেষ রক্ষা হবে না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নাকি আওয়ামী লীগ লড়ছে। তারা যেভাবে নতুন জমিদারি চালু করেছে, এই জমিদারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের বিদায় দেওয়া ছাড়া আমাদের অধিকার রক্ষা করতে পারব না।’
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীর নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর আলোচনা হওয়া উচিত। আলোচনার সংস্কৃতিটা উন্নয়ন করা গেলে অনেক সংকটের সমাধান হতে পারে। গত ১৫ বছরে দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তরা শক্তিশালী হয়েছে। পরিবর্তনের সড়কে ওঠার জন্য আমাদের আরেকটু গভীরভাবে ভাবতে হবে। রাজনৈতিক সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জানান, দুর্নীতিকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করে এই সরকার টিকে আছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠানকে তারা দুর্নীতির ভাগবাঁটোয়ারা দেন। সরকার চাইলেও এখন এটা বন্ধ করতে পারবে না। এর পরিণতিতে সরকার ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ করেছে। যে পরিমাণে পাচার হয়েছে, আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, তাতে এই দেশ দেউলিয়াত্বের দিকে যাচ্ছে। এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘যারা সত্যি সত্যি দেশের সার্বভৌমত্ব সংকটে ফেলেছে, তারাই আবার সার্বভৌমত্ব রক্ষার ধোয়া তুলছে। এটা ঠিক, আমরা বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলোর প্রভাববলয়ের মধ্যে আছি। কিন্তু এই সরকার দেশের স্বার্থে নয়, নিজের গদির স্বার্থে পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করছে।’
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘রাজনৈতিক সংকট মানে যে সংকটটার চরিত্র রাজনৈতিক। এই অবস্থায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার মতো কিছু নেই। দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি খুবই কষ্ট নিয়ে বলছেন, এত কষ্ট করে নির্বাচন করলাম, কিন্তু কেউ মানতে চায় না। এমন মিথ্যা যে বলে, তার সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করবেন?’
মান্না আরও বলেন, ‘আমরা একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলছি, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথকে প্রশস্ত করবে। এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষ, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘রাষ্ট্র আজ বিপর্যয়ের মুখে। দেশের এক মন্ত্রী বলেন হ্যাঁ, আরেকজন বলেন না। এদের আর জনগণ বিশ্বাস করে না। যারা স্বৈরাচারী সরকারকে এতদিন সহায়তা করেছে, তাদের কাউকে পালাতে দেওয়া হবে না। সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে হলেও ক্ষমতায় থাকতে চায়। লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে এমপিরা জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে। আজকে আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা।’
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সভাপতি বাবুল সরদার চাখারী, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস, গণফোরামের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট ক্ষমতাসীনদের কারণেই তৈরি হয়েছে। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে রাজনৈতিক সংকটের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটও জাতিকে গ্রাস করছে। সংকটের সমাধান না করে সরকার উল্টো জনগণকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এমন অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষকে উদ্ধার করতে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সংকট, চলমান গণ-আন্দোলন ও জনপ্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানিয়েছেন বক্তারা।
দেশে ন্যূনতম যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল, তা সরকার নষ্ট করে ফেলেছে জানিয়ে সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘অর্থনীতিতেও আদিম লুটপাটের সংস্কৃতি চলছে। সরকারের বাইরের দরজাগুলোও একেক করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মোদি ও বাইডেনের বৈঠকের যতটুকু খবর পাওয়া গেছে, তাতেও কোনো সুখবর নাই।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন লিজ দেওয়ার কথা বলে সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করছে। মানুষের মনোযোগ ভিন্নদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে, যাতে শেষ রক্ষা হবে না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নাকি আওয়ামী লীগ লড়ছে। তারা যেভাবে নতুন জমিদারি চালু করেছে, এই জমিদারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের বিদায় দেওয়া ছাড়া আমাদের অধিকার রক্ষা করতে পারব না।’
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীর নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকটে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর আলোচনা হওয়া উচিত। আলোচনার সংস্কৃতিটা উন্নয়ন করা গেলে অনেক সংকটের সমাধান হতে পারে। গত ১৫ বছরে দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তরা শক্তিশালী হয়েছে। পরিবর্তনের সড়কে ওঠার জন্য আমাদের আরেকটু গভীরভাবে ভাবতে হবে। রাজনৈতিক সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি জানান, দুর্নীতিকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করে এই সরকার টিকে আছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠানকে তারা দুর্নীতির ভাগবাঁটোয়ারা দেন। সরকার চাইলেও এখন এটা বন্ধ করতে পারবে না। এর পরিণতিতে সরকার ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ করেছে। যে পরিমাণে পাচার হয়েছে, আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, তাতে এই দেশ দেউলিয়াত্বের দিকে যাচ্ছে। এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘যারা সত্যি সত্যি দেশের সার্বভৌমত্ব সংকটে ফেলেছে, তারাই আবার সার্বভৌমত্ব রক্ষার ধোয়া তুলছে। এটা ঠিক, আমরা বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলোর প্রভাববলয়ের মধ্যে আছি। কিন্তু এই সরকার দেশের স্বার্থে নয়, নিজের গদির স্বার্থে পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করছে।’
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘রাজনৈতিক সংকট মানে যে সংকটটার চরিত্র রাজনৈতিক। এই অবস্থায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার মতো কিছু নেই। দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি খুবই কষ্ট নিয়ে বলছেন, এত কষ্ট করে নির্বাচন করলাম, কিন্তু কেউ মানতে চায় না। এমন মিথ্যা যে বলে, তার সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করবেন?’
মান্না আরও বলেন, ‘আমরা একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলছি, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথকে প্রশস্ত করবে। এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষ, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘রাষ্ট্র আজ বিপর্যয়ের মুখে। দেশের এক মন্ত্রী বলেন হ্যাঁ, আরেকজন বলেন না। এদের আর জনগণ বিশ্বাস করে না। যারা স্বৈরাচারী সরকারকে এতদিন সহায়তা করেছে, তাদের কাউকে পালাতে দেওয়া হবে না। সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে হলেও ক্ষমতায় থাকতে চায়। লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে এমপিরা জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে। আজকে আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা।’
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সভাপতি বাবুল সরদার চাখারী, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস, গণফোরামের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৮ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে