নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার বা বাংলাদেশ কোনো সংকটে নেই। বরং বিএনপি ভয়াবহ সংকটে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা এসব কথা বলেন।
আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্যকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার’ দাবি করে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্যে, দুর্নীতির বরপুত্র, একুশে আগস্টের খুনি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান নাকি তাঁদের তথাকথিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পথ প্রদর্শক। এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয় বিএনপি নীতি ও আদর্শের রাজনীতির পথে না চলে অন্ধকারের কানাগলিতে অপরাজনীতির কূটকৌশলকে বেছে নিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার বা বাংলাদেশ কোনো সংকটে নেই। বরং ভয়াবহ সংকটে রয়েছে বিএনপি। দেশবাসী ভালো করেই জানে, বহুমাত্রিক সংকটে পর্যুদস্ত বিএনপি এখন জনগণ দ্বারা লাল কার্ড খেয়ে রাজনীতির মাঠে বাউন্ডারির বাইরে অবস্থান করছে। লাগাতারভাবে ভুল-রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি ক্রমেই দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম অর্থনীতি ধ্বংসের কথা বলেছেন। তিনি কিছুদিন পূর্বে ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। আজ তাঁদের সেই পেয়ারে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা কী? আর তার বিপরীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা রচনা করেছিল, ২০০১-২০০৬ সময়কালে বিএনপি আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে সেই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বিএনপির কথা বলা জাতির সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক মন্দা ও সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলামের মনোবেদনা আমরা বুঝি। বাংলাদেশ পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া না হওয়ায় তাঁদের সুপ্ত বাসনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে বিভোর বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন ফিকে হয়ে পড়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি নেতারা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আজ সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবসভ্যতার জন্য হুমকিস্বরূপ এই সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের যে কষ্ট হচ্ছে আমরা সকলেই তা জানি।’
জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্যই সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার ফ্যামিলি কার্ড ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা সকল দুর্যোগে ও সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট থেকেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অন্যদিকে বিএনপি সংকটকে পুঁজি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত থেকেছে, জনদুর্ভোগকে ঘনীভূত করেছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জাতির কান্ডারি হিসেবে সফল শেখ হাসিনা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত সময়ের সকল সংকট উত্তরণে সফল হয়েছেন। এ দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও দুর্ভোগ লাঘবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।
সরকার বা বাংলাদেশ কোনো সংকটে নেই। বরং বিএনপি ভয়াবহ সংকটে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা এসব কথা বলেন।
আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্যকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার’ দাবি করে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্যে, দুর্নীতির বরপুত্র, একুশে আগস্টের খুনি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান নাকি তাঁদের তথাকথিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পথ প্রদর্শক। এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয় বিএনপি নীতি ও আদর্শের রাজনীতির পথে না চলে অন্ধকারের কানাগলিতে অপরাজনীতির কূটকৌশলকে বেছে নিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার বা বাংলাদেশ কোনো সংকটে নেই। বরং ভয়াবহ সংকটে রয়েছে বিএনপি। দেশবাসী ভালো করেই জানে, বহুমাত্রিক সংকটে পর্যুদস্ত বিএনপি এখন জনগণ দ্বারা লাল কার্ড খেয়ে রাজনীতির মাঠে বাউন্ডারির বাইরে অবস্থান করছে। লাগাতারভাবে ভুল-রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি ক্রমেই দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম অর্থনীতি ধ্বংসের কথা বলেছেন। তিনি কিছুদিন পূর্বে ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। আজ তাঁদের সেই পেয়ারে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা কী? আর তার বিপরীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা রচনা করেছিল, ২০০১-২০০৬ সময়কালে বিএনপি আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে সেই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বিএনপির কথা বলা জাতির সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক মন্দা ও সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলামের মনোবেদনা আমরা বুঝি। বাংলাদেশ পাকিস্তান কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া না হওয়ায় তাঁদের সুপ্ত বাসনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে বিভোর বিএনপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন ফিকে হয়ে পড়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি নেতারা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আজ সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মানবসভ্যতার জন্য হুমকিস্বরূপ এই সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের যে কষ্ট হচ্ছে আমরা সকলেই তা জানি।’
জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্যই সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার ফ্যামিলি কার্ড ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা সকল দুর্যোগে ও সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট থেকেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অন্যদিকে বিএনপি সংকটকে পুঁজি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত থেকেছে, জনদুর্ভোগকে ঘনীভূত করেছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জাতির কান্ডারি হিসেবে সফল শেখ হাসিনা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত সময়ের সকল সংকট উত্তরণে সফল হয়েছেন। এ দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও দুর্ভোগ লাঘবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
৯ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১১ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে