অনলাইন ডেস্ক
কিছু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও অর্জন বিশ্বকে বিমোহিত করেছে। বিশাল ব্ল্যাক হোল আবিষ্কার থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ফিউশন চুল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের মতো বিস্ময়কর আবিষ্কার মানুষের মনকে অভিভূত করেছে। এবার আরেকটি বৈজ্ঞানিক খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর কেড়েছে। খবরটি হলো—ভূপৃষ্ঠের অতি গভীরে বিশাল সমুদ্রের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৭০০ কিলোমিটার নিচে ‘রিংউডাইট’ নামে পাথরে এই পানি জমে আছে। ভূগর্ভস্থ এই জলাধার ধরিত্রীপৃষ্ঠের সব মহাসাগরের মিলিত আয়তনের প্রায় তিনগুণ।
২০১৪ সালের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে এই সমুদ্রে সম্পর্কে বিশদভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘ডিহাইড্রেশন মেলটিং এট দ্য টপ অব দা লোয়ার ম্যান্টেল’ নামের শিরোনামের গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে রিংউডাইটের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষণার প্রধান সদস্য ভূ-পদার্থবিদ স্টিভ জ্যাকবসেন বলেন, ‘রিংউডাইট একটি স্পঞ্জের মতো, যা পানি শুষে রাখে। রিংউডাইটের স্ফটিক কাঠামোর মধ্যে বিশেষ কিছু রয়েছে যা হাইড্রোজেনকে আকর্ষণ করতে এবং পানি আটকে রাখতে সাহায্য করে।
তিনি আরও বলেন, ‘অবশেষে আমরা পুরো পৃথিবীর পানিচক্রের প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। এটি আমাদের বাসযোগ্য গ্রহের পৃষ্ঠে বিশাল পরিমাণ পানি থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করতে পারে। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে এই অনুপস্থিত গভীর পানির সন্ধান করছিলেন।’
ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করার সময় গবেষকরা দেখেন যে, সিসমোমিটারগুলো (ভূত্বকের কম্পন পরিমাপক যন্ত্র) পৃথিবীর পৃষ্ঠের নিচে শকওয়েভ বা ঘাততরঙ্গ শনাক্ত করছে। আর এভাবেই বিজ্ঞানীরা এই সমুদ্রের সন্ধান পান।
বিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথিবীর ম্যান্টল (পৃথিবীর ভূত্বক ও গলিত লোহার কেন্দ্রের মধ্যে গরম, কঠিন শিলার পুরু স্তর) ট্রানজিশন জোনে খনিজগুলোর উচ্চ পানি সঞ্চয় ক্ষমতা (৪১০ থেকে ৬৬০ কিলোমিটার গভীর) রয়েছে যা একটি গভীর জলাধারের থাকার সম্ভাবনার আভাস দেয়। এর ফলে ডিহাইড্রেশন মেল্টিং প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
ডিহাইড্রেশন মেল্টিং হলো একটি ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যা পৃথিবীর আবরণের নির্দিষ্ট অঞ্চলে ঘটে, যেখানে হাইড্রেটেড খনিজগুলো উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের শিকার হয়। উচ্চ-চাপ পরীক্ষাগার পরীক্ষা, সংখ্যাসূচক মডেলিং এবং সিসমিক পি-টু-এস কনভার্সনের মাধ্যমে আমরা ট্রানজিশন জোন থেকে নিম্নমুখী মেন্টলে খনিজের প্রবাহের প্রভাবগুলো পরীক্ষা করেছি ৷
ট্রানজিশন জোনে গলিত দানাদার খনিজও খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এসব ফলাফল ট্রানজিশন জোনের একটি বৃহৎ অঞ্চলের পানি থাকার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ডিহাইড্রেশন মেলটিং ট্রানজিশন জোনে পানিকে আটকাতে কাজ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
কিছু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও অর্জন বিশ্বকে বিমোহিত করেছে। বিশাল ব্ল্যাক হোল আবিষ্কার থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ফিউশন চুল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের মতো বিস্ময়কর আবিষ্কার মানুষের মনকে অভিভূত করেছে। এবার আরেকটি বৈজ্ঞানিক খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর কেড়েছে। খবরটি হলো—ভূপৃষ্ঠের অতি গভীরে বিশাল সমুদ্রের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৭০০ কিলোমিটার নিচে ‘রিংউডাইট’ নামে পাথরে এই পানি জমে আছে। ভূগর্ভস্থ এই জলাধার ধরিত্রীপৃষ্ঠের সব মহাসাগরের মিলিত আয়তনের প্রায় তিনগুণ।
২০১৪ সালের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে এই সমুদ্রে সম্পর্কে বিশদভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘ডিহাইড্রেশন মেলটিং এট দ্য টপ অব দা লোয়ার ম্যান্টেল’ নামের শিরোনামের গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে রিংউডাইটের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষণার প্রধান সদস্য ভূ-পদার্থবিদ স্টিভ জ্যাকবসেন বলেন, ‘রিংউডাইট একটি স্পঞ্জের মতো, যা পানি শুষে রাখে। রিংউডাইটের স্ফটিক কাঠামোর মধ্যে বিশেষ কিছু রয়েছে যা হাইড্রোজেনকে আকর্ষণ করতে এবং পানি আটকে রাখতে সাহায্য করে।
তিনি আরও বলেন, ‘অবশেষে আমরা পুরো পৃথিবীর পানিচক্রের প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। এটি আমাদের বাসযোগ্য গ্রহের পৃষ্ঠে বিশাল পরিমাণ পানি থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করতে পারে। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে এই অনুপস্থিত গভীর পানির সন্ধান করছিলেন।’
ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করার সময় গবেষকরা দেখেন যে, সিসমোমিটারগুলো (ভূত্বকের কম্পন পরিমাপক যন্ত্র) পৃথিবীর পৃষ্ঠের নিচে শকওয়েভ বা ঘাততরঙ্গ শনাক্ত করছে। আর এভাবেই বিজ্ঞানীরা এই সমুদ্রের সন্ধান পান।
বিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথিবীর ম্যান্টল (পৃথিবীর ভূত্বক ও গলিত লোহার কেন্দ্রের মধ্যে গরম, কঠিন শিলার পুরু স্তর) ট্রানজিশন জোনে খনিজগুলোর উচ্চ পানি সঞ্চয় ক্ষমতা (৪১০ থেকে ৬৬০ কিলোমিটার গভীর) রয়েছে যা একটি গভীর জলাধারের থাকার সম্ভাবনার আভাস দেয়। এর ফলে ডিহাইড্রেশন মেল্টিং প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
ডিহাইড্রেশন মেল্টিং হলো একটি ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যা পৃথিবীর আবরণের নির্দিষ্ট অঞ্চলে ঘটে, যেখানে হাইড্রেটেড খনিজগুলো উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের শিকার হয়। উচ্চ-চাপ পরীক্ষাগার পরীক্ষা, সংখ্যাসূচক মডেলিং এবং সিসমিক পি-টু-এস কনভার্সনের মাধ্যমে আমরা ট্রানজিশন জোন থেকে নিম্নমুখী মেন্টলে খনিজের প্রবাহের প্রভাবগুলো পরীক্ষা করেছি ৷
ট্রানজিশন জোনে গলিত দানাদার খনিজও খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এসব ফলাফল ট্রানজিশন জোনের একটি বৃহৎ অঞ্চলের পানি থাকার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ডিহাইড্রেশন মেলটিং ট্রানজিশন জোনে পানিকে আটকাতে কাজ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া দুই ছাত্রী এমন একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করেছেন, যা এত দিন প্রায় অসম্ভব বলে মনে করতেন অনেকে। ২০২২ সালে ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করে পিথাগোরাসের তত্ত্ব প্রমাণ করে আলোচনায় আসে ক্যালসিয়া জনসন ও নে’কিয়া জ্যাকসন। এই অর্জন এবার বিজ্ঞান সাময়িকী ‘আমেরিকান ম্যাথেমেটিক্যাল মান্থল
৬ ঘণ্টা আগেসমুদ্রতীরে কাঁকড়ার চলাফেরা খেয়াল করলে দেখা যায়, এরা কখনো এদের সম্মুখের দিকে হাঁটে না! এরা সরাসরি সামনে হাঁটার পরিবর্তে দ্রুতগতিতে এক কাত হয়ে হাঁটে। যেখানে মানুষের জন্য ডান বা বাম দিকে একপাশে হাঁটা খুব কঠিন।
৩ দিন আগেনিজের যৌবন ধরে রাখতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন প্রযুক্তি ধনকুব ব্রায়ান জনসন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের চুলের চমকপ্রদ পরিবর্তন শেয়ার করেন। ৪৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি এক বছরের কম সময় নিজের চুল পড়া রোধ করেছেন ও চুলের প্রাকৃতিক রঙ পুনরুদ্ধার করেছেন।
৫ দিন আগেপ্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধূমপানের উল্লেখযোগ্য স্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন। তাঁদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, তামাক ধূমপায়ীদের হাড়ে যে চিহ্ন তৈরি করে—তা কেবল তাদের জীবিতাবস্থায় নয়, মৃত্যুর পরেও বহু শতাব্দী ধরে রয়ে যায়।
১১ দিন আগে