Ajker Patrika

মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকায় শারীরিক কী ক্ষতি হতে পারে সুনিতাদের?

অনলাইন ডেস্ক
নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ফাইল ছবি
নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ফাইল ছবি

দীর্ঘ ৯ মাসের মিশন শেষে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন মার্কিন নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। ২৮৮ দিনের অভিযানের পর গতকাল (স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিট) স্পেসএক্স ড্রাগন নভোযানে করে তাঁরা পৃথিবীতে অবতরণ করেন। ফ্লোরিডার উপকূলে সাগরের পানিতে সফলভাবে অবতরণ করে তাঁদের বহনকারী ক্যাপসুলটি। এই অভিযানে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রুশ নভোচারী আলেকজান্দ্র গর্বুনভ।

নাসা এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সরাসরি সম্প্রচার করে। অবতরণের পর নভোচারীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা পরীক্ষা করা হয়; কারণ, দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার পর শরীরের ওপর বেশ কিছু প্রভাব পড়ে।

মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকা মানবদেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর?

মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকলে শরীরের ওপর নানা প্রতিকূল প্রভাব পড়ে। যেমন—

মাংসপেশি ও হাড় দুর্বল হয়ে যায়: প্রতি মাসে ১ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়, যা এক বছরে পৃথিবীর প্রাকৃতিক বৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি।

দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়: মহাকর্ষহীনতায় চোখের গঠনে পরিবর্তন আসে, যা দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা করে দিতে পারে।

রেডিয়েশনের প্রভাব: মহাকাশে ছয় মাসের বেশি থাকার ফলে ১০ গুণ বেশি রেডিয়েশনের শিকার হতে হয়, যা ক্যানসার ও স্নায়বিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার আশঙ্কা: রক্ত সঞ্চালন কমে যায় এবং হৃদ্‌যন্ত্রের অনিয়মিত স্পন্দন দেখা দেয়।

নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরে এলেও তাঁদের দেহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশ কিছু মাস লাগে। প্রথম সপ্তাহে ভারসাম্যহীনতা ও মাথা ঘোরা অনুভূত হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা পুনরুদ্ধার হয়, এক মাসের মধ্যে মাংসপেশি শক্তিশালী হতে শুরু করে, তবে হাড়ের ঘনত্ব স্বাভাবিক হতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত