অনলাইন ডেস্ক
মানব শিশুর (২–৩ বছর বয়সী) তুলনায় শব্দ ও ছবির মধ্যে সম্পর্ক ৪ গুণ দ্রুত বুঝতে পারে বিড়াল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরেছে জাপানের গবেষকেরা। গবেষণাটি গত ৪ অক্টোবর ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
মানুষ যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হল ভাষা। কিন্তু ভাষা বোঝার ক্ষমতা শুধু ‘হোমো স্যাপিয়েন্স’ (মানুষ) এর রয়েছে তা সঠিক নয়। মুখে উচ্চারিত শব্দগুলোকে লিখিত চিহ্ন বা ছবি সঙ্গে সম্পর্কিত করতে পারে কিছু প্রাইমেট (বানর প্রজাতি)। আবার আফ্রিকান গ্রে প্যারট (ধূসর তোতা) শব্দ শুনে তার অর্থ বুঝতে পারে, এমনকি নির্দেশনাও অনুসরণ করতে পারে। অন্যদিকে সহজ শব্দ বুঝতে ও সাড়া দিতে কুকুরদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে মানুষের আরেকটি প্রধান সঙ্গী বিড়াল সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এখনও অনেক কম।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসক ও আচরণবিদ ড. কার্লো সিরাকুসা বলেন, বিড়ালরা অবশ্যই মানুষের মুখ থেকে উচ্চারিত বিভিন্ন আওয়াজ চিহ্নিত করতে পারে। আরও অন্যান্য গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য বিড়ালরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে।
এমনকি বিড়ালরা ইশারা বুঝতে পারে এমন কিছু সীমিত প্রমাণও রয়েছে। গত পাঁচ বছর বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিড়ালরা শুধু তাদের নিজের নামই নয়, পরিচিত মানুষ এবং প্রাণীর নামও চিনতে পারে। তবে এরা সাধারণ শব্দ এবং বস্তুগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে পারে নাকি তা জানতে চান গবেষকেরা।
এই তত্ত্বটি পরীক্ষা করার জন্য জাপানের আজাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহো তাকাগি এবং তার দলের সদস্যরা ৩১টি পূর্ণবয়স্ক বিড়ালকে সহজ শব্দের খেলা খেলতে দেন। সাধারণত শিশুদের মধ্যে এই ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য খেলাটি ব্যবহার করা হয়।
বিড়ালগুলোকে দুটি নয় সেকেন্ডের কার্টুন ক্লিপ দেখানো হয়েছিল, যেখানে তাদের মালিকরা প্রতিটি ছবির ওপরে একটি কল্পিত শব্দ পুনরাবৃত্তি করছিলেন। এসব ক্লিপে একটি লাল সূর্য যার ওপর ‘paramo’ লেখা ছিল এবং একটি নীল ইউনিকর্ন (কাল্পনিক ঘোড়া) যার ওপর ‘keraru’ লেখা ছিল। এই ক্লিপগুলো বারবার দেখানো হয় যতক্ষণ না বিড়ালগুলো বিরক্ত হয়ে যায় এবং পর্দায় ৫০ শতাংশ কম মনোযোগ দিতে শুরু করে।
সংক্ষিপ্ত বিরতির পর আবার ছবির ক্লিপগুলো পুনরাবৃত্তি করা হয়। তবে এইবার শব্দগুলো পাল্টে দেওয়া হল। এই পরিবর্তিত ক্লিপগুলো স্পষ্টভাবে বিড়ালগুলোকে বিভ্রান্ত করেছিল। এবার ‘paramo’ শব্দটি ইউনিকর্নকে দেখিয়ে সঙ্গে এবং ‘keraru’ শব্দটি সূর্যের সঙ্গে বলা হচ্ছিল। এই পরিবর্তনটি বিড়ালদের বিভ্রান্ত করছিল এবং তারা নতুন ক্লিপগুলোতে আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি সময় মনোযোগ দিয়ে দেখছিল। এতে বোঝা যায় যে, বিড়ালগুলো ক্লিপের পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করছিল এবং শব্দ ও চিত্রের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করেছিল।
গবেষক তাকাগি বলেন, কিছু বিড়াল এমন বদলানো ক্লিপের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছিল। পরীক্ষায় এরা কতটা গুরুত্ব দিয়ে অংশগ্রহণ করেছে, তা সত্যিই আশ্চর্যজনক ছিল।
গবেষণাটি প্রমাণ করেছে যে, বিড়ালগুলো মাত্র দুটি ৯ সেকেন্ডের সেশন থেকেই শব্দের সঙ্গে চিত্রের সম্পর্কগুলো বুঝতে পারে, যা মানব শিশুর (২ থেকে ৩ বছর বয়সী) তুলনায় অনেক দ্রুত। শিশুরা এই সম্পর্কগুলো শিখতে গড়ে অন্তত চারটি ২০ সেকেন্ড সেশনের প্রয়োজন হয়।
ড. কার্লো সিরাকুসা বলেন, এই তুলনাগুলো বেশি গুরত্বসহকারে নেওয়া যাবে না। কারণ এখানে একটি প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণীকে একটি অপরিণত প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করছেন এবং তা আবার আলাদা প্রজাতির।
সিরাকুসা আরও বলেন, অন্যান্য ঘরোয়া প্রজাতির সঙ্গে যেমন কুকুরের সঙ্গে তুলনা করা সম্ভবত আরও বেশি উপকারী হবে। তবে তিনি আরও বলেন, এই তুলনা করার সময় তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তনমূলক পার্থক্যগুলিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
তবে নিজস্ব প্রকৃতি অনুযায়ী, জ্ঞানগত (কগনিটিভ) গবেষণাগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ গবেষণায় সব ধরনের বিড়ালের ওপর গবেষনা করা হয়নি। এরপরও গবেষণাটি প্রমাণ করে যে, বিড়ালরা ছবি এবং শব্দের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে পারে। তবে এটি কি একটি সহজাত ক্ষমতা নাকি গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়ার ফল তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
মানব শিশুর (২–৩ বছর বয়সী) তুলনায় শব্দ ও ছবির মধ্যে সম্পর্ক ৪ গুণ দ্রুত বুঝতে পারে বিড়াল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন চমকপ্রদ তথ্য তুলে ধরেছে জাপানের গবেষকেরা। গবেষণাটি গত ৪ অক্টোবর ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
মানুষ যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হল ভাষা। কিন্তু ভাষা বোঝার ক্ষমতা শুধু ‘হোমো স্যাপিয়েন্স’ (মানুষ) এর রয়েছে তা সঠিক নয়। মুখে উচ্চারিত শব্দগুলোকে লিখিত চিহ্ন বা ছবি সঙ্গে সম্পর্কিত করতে পারে কিছু প্রাইমেট (বানর প্রজাতি)। আবার আফ্রিকান গ্রে প্যারট (ধূসর তোতা) শব্দ শুনে তার অর্থ বুঝতে পারে, এমনকি নির্দেশনাও অনুসরণ করতে পারে। অন্যদিকে সহজ শব্দ বুঝতে ও সাড়া দিতে কুকুরদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে মানুষের আরেকটি প্রধান সঙ্গী বিড়াল সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এখনও অনেক কম।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসক ও আচরণবিদ ড. কার্লো সিরাকুসা বলেন, বিড়ালরা অবশ্যই মানুষের মুখ থেকে উচ্চারিত বিভিন্ন আওয়াজ চিহ্নিত করতে পারে। আরও অন্যান্য গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য বিড়ালরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে।
এমনকি বিড়ালরা ইশারা বুঝতে পারে এমন কিছু সীমিত প্রমাণও রয়েছে। গত পাঁচ বছর বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিড়ালরা শুধু তাদের নিজের নামই নয়, পরিচিত মানুষ এবং প্রাণীর নামও চিনতে পারে। তবে এরা সাধারণ শব্দ এবং বস্তুগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে পারে নাকি তা জানতে চান গবেষকেরা।
এই তত্ত্বটি পরীক্ষা করার জন্য জাপানের আজাবু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহো তাকাগি এবং তার দলের সদস্যরা ৩১টি পূর্ণবয়স্ক বিড়ালকে সহজ শব্দের খেলা খেলতে দেন। সাধারণত শিশুদের মধ্যে এই ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য খেলাটি ব্যবহার করা হয়।
বিড়ালগুলোকে দুটি নয় সেকেন্ডের কার্টুন ক্লিপ দেখানো হয়েছিল, যেখানে তাদের মালিকরা প্রতিটি ছবির ওপরে একটি কল্পিত শব্দ পুনরাবৃত্তি করছিলেন। এসব ক্লিপে একটি লাল সূর্য যার ওপর ‘paramo’ লেখা ছিল এবং একটি নীল ইউনিকর্ন (কাল্পনিক ঘোড়া) যার ওপর ‘keraru’ লেখা ছিল। এই ক্লিপগুলো বারবার দেখানো হয় যতক্ষণ না বিড়ালগুলো বিরক্ত হয়ে যায় এবং পর্দায় ৫০ শতাংশ কম মনোযোগ দিতে শুরু করে।
সংক্ষিপ্ত বিরতির পর আবার ছবির ক্লিপগুলো পুনরাবৃত্তি করা হয়। তবে এইবার শব্দগুলো পাল্টে দেওয়া হল। এই পরিবর্তিত ক্লিপগুলো স্পষ্টভাবে বিড়ালগুলোকে বিভ্রান্ত করেছিল। এবার ‘paramo’ শব্দটি ইউনিকর্নকে দেখিয়ে সঙ্গে এবং ‘keraru’ শব্দটি সূর্যের সঙ্গে বলা হচ্ছিল। এই পরিবর্তনটি বিড়ালদের বিভ্রান্ত করছিল এবং তারা নতুন ক্লিপগুলোতে আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি সময় মনোযোগ দিয়ে দেখছিল। এতে বোঝা যায় যে, বিড়ালগুলো ক্লিপের পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করছিল এবং শব্দ ও চিত্রের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করেছিল।
গবেষক তাকাগি বলেন, কিছু বিড়াল এমন বদলানো ক্লিপের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছিল। পরীক্ষায় এরা কতটা গুরুত্ব দিয়ে অংশগ্রহণ করেছে, তা সত্যিই আশ্চর্যজনক ছিল।
গবেষণাটি প্রমাণ করেছে যে, বিড়ালগুলো মাত্র দুটি ৯ সেকেন্ডের সেশন থেকেই শব্দের সঙ্গে চিত্রের সম্পর্কগুলো বুঝতে পারে, যা মানব শিশুর (২ থেকে ৩ বছর বয়সী) তুলনায় অনেক দ্রুত। শিশুরা এই সম্পর্কগুলো শিখতে গড়ে অন্তত চারটি ২০ সেকেন্ড সেশনের প্রয়োজন হয়।
ড. কার্লো সিরাকুসা বলেন, এই তুলনাগুলো বেশি গুরত্বসহকারে নেওয়া যাবে না। কারণ এখানে একটি প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণীকে একটি অপরিণত প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করছেন এবং তা আবার আলাদা প্রজাতির।
সিরাকুসা আরও বলেন, অন্যান্য ঘরোয়া প্রজাতির সঙ্গে যেমন কুকুরের সঙ্গে তুলনা করা সম্ভবত আরও বেশি উপকারী হবে। তবে তিনি আরও বলেন, এই তুলনা করার সময় তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তনমূলক পার্থক্যগুলিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
তবে নিজস্ব প্রকৃতি অনুযায়ী, জ্ঞানগত (কগনিটিভ) গবেষণাগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ গবেষণায় সব ধরনের বিড়ালের ওপর গবেষনা করা হয়নি। এরপরও গবেষণাটি প্রমাণ করে যে, বিড়ালরা ছবি এবং শব্দের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে পারে। তবে এটি কি একটি সহজাত ক্ষমতা নাকি গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়ার ফল তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
সূর্যালোক থেকে শক্তি সংগ্রহ করতে পারে এমন প্রাণী কোষ তৈরি করেছেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। শৈবালের ক্লোরোপ্লাস্ট প্রাণী কোষে প্রবেশ করিয়ে এই কোষ তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই ধরনের কোষ তৈরি করা আগে অসম্ভব বলে মনে করা হতো। এই নতুন পদ্ধতি কৃত্রিম টিস্যু উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। বিশেষ কর
৪ দিন আগেবিশ্বের প্রথম কাঠের তৈরি স্যাটেলাইট তৈরি করল জাপানের গবেষকেরা। গত মঙ্গলবার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের জন্য কাঠ ব্যবহারের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা।
৪ দিন আগেচার হাজার বছর পুরোনো প্রাচীর ঘেরা শহরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমের এক সুন্দর মরূদ্যানে। প্রাচীন যুগে মানুষেরা কীভাবে যাযাবর জীবন থেকে শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হয়েছে তা এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি তুলে ধরে। ধ্বংসাবশেষটি ‘আল-নাতাহ’ নামে পরিচিত। এটি খাইবারের প্রাচীরযুক্ত মরূদ্যানের ভেতরে
৬ দিন আগেসংক্ষিপ্ত বিরতির পর পৃথিবীর সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করেছে নাসার ৪৭ বছর পুরোনো মহাকাশযান ভয়েজার ১। তবে অবাক করা বিষয় হলো যে, এই যোগাযোগের জন্য অত্যাধুনিক কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। ১৯৮১ সালের রেডিও ট্রান্সমিটার প্রযুক্তির সাহায্যে সংকেত পাঠিয়েছে মহাকাশযানটি।
৭ দিন আগে