অনলাইন ডেস্ক
চুইংগাম বা বাবল গাম চিবাতে থাকলে ধীরে ধীরে স্বাদ হারাতে শুরু করে। এরপর ফেলে দিতে গেলে বাধে বিপত্তি। কারণ, এটি এতটাই আঠালো হয়ে যায় যে আঙুলের সঙ্গে লেগে যায়। তাই কাগজ বা টিস্যুতে পেঁচিয়ে সাবধানে ফেলে দিতে হয়।
মুখ থেকে বের করার কিছুক্ষণ পরই চুইংগাম কেন এত আঠালো হয়? এতে কি এত কম সময়ের মধ্যে এমন কোনো রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে এটি আঠালো হয়?
প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী প্রতিটি বাবল গামের নিজস্ব ফর্মুলা থাকে। তবে সব ধরনের বাবল গামে কিছু সাধারণ উপাদান পাওয়া যায়। চুইংগামের মিষ্টি স্বাদ সাধারণত বিভিন্ন ধরনের চিনি ও ফ্লেভারিং (খাবারের স্বাদের যেসব উপাদান যুক্ত করা হয়) উপাদান থেকে আসে।
বাবল গামের ইলাস্টিসিটি বা স্থিতিস্থাপক বৈশিষ্ট্য পলিমার (যার মধ্যে এলাস্টোমারস থাকে), প্লাস্টিসাইজারের (যেমন, প্রাকৃতিক বা প্যারাফিন মোম) মতো অন্যান্য উপাদান থেকে আসে। আর রেজিন এতে স্ট্যাবিলাইজার বা স্থিতিশীলকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। এসব উপাদান বাবল গামকে টেক্সচার ও ইলাস্টিসিটি দেয়।
দুর্ভাগ্যবশত উপাদানগুলো বাবল গামকে আঠালো করে তোলে। বাবল গামে থাকা পলিমারগুলো পানি প্রতিরোধী। চিবানোর সময় মুখের লালা চিনি ও ফ্লেভার দ্রবীভূত করে। কিন্তু এরপরও চিবানো যায়, পুরোটা গলে যায় না। কারণ, পলিমারগুলো লালায় দ্রবীভূত হয় না।
পলিমারগুলো পানি প্রতিহত করলেও এগুলো তেলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। যখন এগুলো তৈলাক্ত পৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসে (ফুটপাথ, জুতোর তলা, আঙুল বা চুলের সঙ্গে লেগে থাকা তেল), তখন এরা শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তোলে এবং দৃঢ়ভাবে আটকে যায়। পলিমারগুলোর মধ্যে দীর্ঘ রাসায়নিক বন্ধনগুলো ছাড়ানো কঠিন হয়ে যায়। ফলে আঠালো চুইংগাম কোনো পৃষ্ঠ থেকে তুলে ফেলা কঠিন হয়ে যায়। কারণ, এগুলো বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরিবর্তে প্রসারিত হতে থাকে।
তবে ভবিষ্যতে আঠালো বাবল গামের সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনের বাবল গামের পলিমার তৈরি করেছেন যা হাইড্রোফিলিক। অর্থাৎ এসব পলিমার পানির উপস্থিতিতে ভেঙে যায় এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে ক্ষয় হয়ে যায়।
এই ধরনের চুইংগাম উদ্ভাবন হলে প্রাণী ও প্রকৃতি উভয়ের জন্যই ভালো। রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা এসব আঠালো চুইংগাম যেমন জামা–কাপড় বা প্রিয় বস্তুর ক্ষতি করে, তেমনি পশুপাখির লোম বা ত্বকে লেগে এদের অস্বস্তিতে ফেলে।
লন্ডন শহরের কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, সাবওয়ে ট্রেন ও স্টেশনের মতো জায়গা থেকে চুইংগাম সরাতে প্রতিবছর প্রায় ৪০ লাখ ডলার ব্যয় করতে হয়।
তথ্যসূত্র: ওয়ারন্ডারপলিস
চুইংগাম বা বাবল গাম চিবাতে থাকলে ধীরে ধীরে স্বাদ হারাতে শুরু করে। এরপর ফেলে দিতে গেলে বাধে বিপত্তি। কারণ, এটি এতটাই আঠালো হয়ে যায় যে আঙুলের সঙ্গে লেগে যায়। তাই কাগজ বা টিস্যুতে পেঁচিয়ে সাবধানে ফেলে দিতে হয়।
মুখ থেকে বের করার কিছুক্ষণ পরই চুইংগাম কেন এত আঠালো হয়? এতে কি এত কম সময়ের মধ্যে এমন কোনো রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে এটি আঠালো হয়?
প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী প্রতিটি বাবল গামের নিজস্ব ফর্মুলা থাকে। তবে সব ধরনের বাবল গামে কিছু সাধারণ উপাদান পাওয়া যায়। চুইংগামের মিষ্টি স্বাদ সাধারণত বিভিন্ন ধরনের চিনি ও ফ্লেভারিং (খাবারের স্বাদের যেসব উপাদান যুক্ত করা হয়) উপাদান থেকে আসে।
বাবল গামের ইলাস্টিসিটি বা স্থিতিস্থাপক বৈশিষ্ট্য পলিমার (যার মধ্যে এলাস্টোমারস থাকে), প্লাস্টিসাইজারের (যেমন, প্রাকৃতিক বা প্যারাফিন মোম) মতো অন্যান্য উপাদান থেকে আসে। আর রেজিন এতে স্ট্যাবিলাইজার বা স্থিতিশীলকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। এসব উপাদান বাবল গামকে টেক্সচার ও ইলাস্টিসিটি দেয়।
দুর্ভাগ্যবশত উপাদানগুলো বাবল গামকে আঠালো করে তোলে। বাবল গামে থাকা পলিমারগুলো পানি প্রতিরোধী। চিবানোর সময় মুখের লালা চিনি ও ফ্লেভার দ্রবীভূত করে। কিন্তু এরপরও চিবানো যায়, পুরোটা গলে যায় না। কারণ, পলিমারগুলো লালায় দ্রবীভূত হয় না।
পলিমারগুলো পানি প্রতিহত করলেও এগুলো তেলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। যখন এগুলো তৈলাক্ত পৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসে (ফুটপাথ, জুতোর তলা, আঙুল বা চুলের সঙ্গে লেগে থাকা তেল), তখন এরা শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তোলে এবং দৃঢ়ভাবে আটকে যায়। পলিমারগুলোর মধ্যে দীর্ঘ রাসায়নিক বন্ধনগুলো ছাড়ানো কঠিন হয়ে যায়। ফলে আঠালো চুইংগাম কোনো পৃষ্ঠ থেকে তুলে ফেলা কঠিন হয়ে যায়। কারণ, এগুলো বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরিবর্তে প্রসারিত হতে থাকে।
তবে ভবিষ্যতে আঠালো বাবল গামের সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনের বাবল গামের পলিমার তৈরি করেছেন যা হাইড্রোফিলিক। অর্থাৎ এসব পলিমার পানির উপস্থিতিতে ভেঙে যায় এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে ক্ষয় হয়ে যায়।
এই ধরনের চুইংগাম উদ্ভাবন হলে প্রাণী ও প্রকৃতি উভয়ের জন্যই ভালো। রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা এসব আঠালো চুইংগাম যেমন জামা–কাপড় বা প্রিয় বস্তুর ক্ষতি করে, তেমনি পশুপাখির লোম বা ত্বকে লেগে এদের অস্বস্তিতে ফেলে।
লন্ডন শহরের কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, সাবওয়ে ট্রেন ও স্টেশনের মতো জায়গা থেকে চুইংগাম সরাতে প্রতিবছর প্রায় ৪০ লাখ ডলার ব্যয় করতে হয়।
তথ্যসূত্র: ওয়ারন্ডারপলিস
আমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
২ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৮ দিন আগেটয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের
৮ দিন আগেসৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানাল বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহ ও এর চাঁদগুলো একেবারে নিষ্প্রাণ নয়, বরং ইউরেনাসের চাঁদগুলোতে সমুদ্র থাকতে পারে। ফলে চাঁদগুলোয় জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগে