অনলাইন ডেস্ক
হাসির মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে অনেকে বলে থাকেন—‘হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছি’। কিন্তু আসলেই কি মানুষ হাসতে হাসতে মরতে পারে? এর সম্ভাবনা খুবই কম হলেও কার্যত এমন ঘটনা অসম্ভব কিছু নয় এবং এর প্রমাণও রয়েছে। প্রাচীন গ্রিস থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত রাজা, শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের এভাবে মৃত্যুর দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে চিকিৎসকেরা অতীতে হাসি সম্পর্কিত মৃত্যুর প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
হাসি মানবশরীরে কয়েকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হলো হৃৎপিণ্ডে হাসির প্রভাব। বিরল হলেও অতিরিক্ত হাসার কারণে মানুষ ‘হাসির প্রভাবে সংজ্ঞাহীন’ হতে পারে। অতিরিক্ত হাসির কারণে ব্যক্তির রক্তচাপ অতি দ্রুত কমে যেতে পারে, এর ফলে স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র থেকে উচ্চতর প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র বলতে এক ধরনের স্নায়ুর নেটওয়ার্ক বোঝায় যেগুলো অনৈচ্ছিক শারীরিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পরিপাক তন্ত্র। স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়ার ফলে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছাতে পারে না। এতে মানুষ সাময়িকভাবে জ্ঞান হারাতে পারে।
নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কার্ডিওলজির প্রধান এবং চিকিৎসা বিষয়ক ডিভাইস উদ্ভাবন বিভাগের পরিচালক ড. টড কোহেন লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘আপনি যখন হাসেন, আপনার বুক তখন ওঠানামা করে এবং এতে বক্ষ গহ্বরের চাপে পরিবর্তন আসে। এ পরিবর্তন ভ্যাগাস স্নায়ুতে প্রভাব ফেলতে পারে। ভ্যাগাস স্নায়ু মস্তিষ্ক ও বেশির ভাগ অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সংকেত পৌঁছে দেয়। ভ্যাগাস স্নায়ুতে চাপ পড়লে মাথা ঘোরাতে পারে। এমনকি মানুষ জ্ঞানও হারাতে পারে। বিশেষ করে যখন হাসির মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
হাসির কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার ঘটনা প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৭ সালে। টেলিভিশন শো সিনফিল্ডে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লে উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত ৬২ বছর বয়সী এক রোগী বেশ কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ ছাড়া তাঁর অন্যান্য হৃদ্রোগ ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তখন থেকে রোগটিকে ‘দ্য সিনফিল্ড সিনকোপ’ বলা হয়।
কোহেন বলেন, ‘এ পরিস্থিতির কারণে রোগীটির মৃত্যু না হলেও এ ধরনের সিনকোপে সাধারণত ব্যক্তি কয়েক মিনিটের জন্য অজ্ঞান থাকেন। হাসির কারণে সৃষ্ট সিনকোপের কারণে হৃৎক্রিয়া থেমে যেতে পারে। এ ধরনের জ্ঞান হারানোর সবচেয়ে বড় বিপদ হলো এগুলো ভয়ানক পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে।’
সম্ভাবনা খুব কম থাকলেও কোহেনের মতে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে কেউ পড়ে যেতে পারেন এবং মাথায় আঘাত পেতে পারেন বা সিঁড়ি থেকে পড়ে যেতে পারেন বা সাবওয়ে টার্মিনাল থেকে পড়ে ট্রেনের নিচে আসতে পারেন আর তার মৃত্যু হতে পারে।
হাসির কারণে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও মস্তিষ্কে বায়ু প্রবেশের পরিমাণ প্রভাবিত হতে পারে। অতি আনন্দে শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যেতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে উচ্চহাসির ফলে সৃষ্ট অস্বাভাবিক শ্বাস–প্রশ্বাস।
২০০৯ সালে ১০৫ জন শ্বাসকষ্টের রোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে গবেষকেরা বলেন, ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষের হাসির কারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। কারও কাছে ইনহেলার না থাকলে শ্বাসকষ্ট গুরুতর রূপ নিতে পারত।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া হেলথের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেগান কামাথ বলেন, তাত্ত্বিকভাবে উচ্চহাসির কারণে স্বরতন্ত্রের ওপর আকস্মিক টান পড়তে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিকে ল্যারিঙ্গোস্পাজম বলে। যদি আক্রান্ত ব্যক্তি হাসির সময় যথেষ্ট অক্সিজেন না পান তাহলে একে অ্যাসফিক্সিয়েশন বা শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা বলে। তবে, এতে মৃত্যুর আশঙ্কা খুব কম।
এক ই–মেইল বার্তায় মেগান লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘হাসার কারণে শ্বাসরোধ বা হৃৎক্রিয়া বন্ধে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও এটি এখনো স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠার কথা জানা যায়নি।’
কোহেন বলেন, ‘হাসি ক্ষতিকর নয় বরং বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী।’
হাসির মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে অনেকে বলে থাকেন—‘হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছি’। কিন্তু আসলেই কি মানুষ হাসতে হাসতে মরতে পারে? এর সম্ভাবনা খুবই কম হলেও কার্যত এমন ঘটনা অসম্ভব কিছু নয় এবং এর প্রমাণও রয়েছে। প্রাচীন গ্রিস থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত রাজা, শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের এভাবে মৃত্যুর দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে চিকিৎসকেরা অতীতে হাসি সম্পর্কিত মৃত্যুর প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
হাসি মানবশরীরে কয়েকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হলো হৃৎপিণ্ডে হাসির প্রভাব। বিরল হলেও অতিরিক্ত হাসার কারণে মানুষ ‘হাসির প্রভাবে সংজ্ঞাহীন’ হতে পারে। অতিরিক্ত হাসির কারণে ব্যক্তির রক্তচাপ অতি দ্রুত কমে যেতে পারে, এর ফলে স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র থেকে উচ্চতর প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র বলতে এক ধরনের স্নায়ুর নেটওয়ার্ক বোঝায় যেগুলো অনৈচ্ছিক শারীরিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পরিপাক তন্ত্র। স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়ার ফলে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছাতে পারে না। এতে মানুষ সাময়িকভাবে জ্ঞান হারাতে পারে।
নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কার্ডিওলজির প্রধান এবং চিকিৎসা বিষয়ক ডিভাইস উদ্ভাবন বিভাগের পরিচালক ড. টড কোহেন লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘আপনি যখন হাসেন, আপনার বুক তখন ওঠানামা করে এবং এতে বক্ষ গহ্বরের চাপে পরিবর্তন আসে। এ পরিবর্তন ভ্যাগাস স্নায়ুতে প্রভাব ফেলতে পারে। ভ্যাগাস স্নায়ু মস্তিষ্ক ও বেশির ভাগ অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সংকেত পৌঁছে দেয়। ভ্যাগাস স্নায়ুতে চাপ পড়লে মাথা ঘোরাতে পারে। এমনকি মানুষ জ্ঞানও হারাতে পারে। বিশেষ করে যখন হাসির মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
হাসির কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার ঘটনা প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৭ সালে। টেলিভিশন শো সিনফিল্ডে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লে উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত ৬২ বছর বয়সী এক রোগী বেশ কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ ছাড়া তাঁর অন্যান্য হৃদ্রোগ ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তখন থেকে রোগটিকে ‘দ্য সিনফিল্ড সিনকোপ’ বলা হয়।
কোহেন বলেন, ‘এ পরিস্থিতির কারণে রোগীটির মৃত্যু না হলেও এ ধরনের সিনকোপে সাধারণত ব্যক্তি কয়েক মিনিটের জন্য অজ্ঞান থাকেন। হাসির কারণে সৃষ্ট সিনকোপের কারণে হৃৎক্রিয়া থেমে যেতে পারে। এ ধরনের জ্ঞান হারানোর সবচেয়ে বড় বিপদ হলো এগুলো ভয়ানক পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে।’
সম্ভাবনা খুব কম থাকলেও কোহেনের মতে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে কেউ পড়ে যেতে পারেন এবং মাথায় আঘাত পেতে পারেন বা সিঁড়ি থেকে পড়ে যেতে পারেন বা সাবওয়ে টার্মিনাল থেকে পড়ে ট্রেনের নিচে আসতে পারেন আর তার মৃত্যু হতে পারে।
হাসির কারণে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও মস্তিষ্কে বায়ু প্রবেশের পরিমাণ প্রভাবিত হতে পারে। অতি আনন্দে শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যেতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে উচ্চহাসির ফলে সৃষ্ট অস্বাভাবিক শ্বাস–প্রশ্বাস।
২০০৯ সালে ১০৫ জন শ্বাসকষ্টের রোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে গবেষকেরা বলেন, ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষের হাসির কারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। কারও কাছে ইনহেলার না থাকলে শ্বাসকষ্ট গুরুতর রূপ নিতে পারত।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া হেলথের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেগান কামাথ বলেন, তাত্ত্বিকভাবে উচ্চহাসির কারণে স্বরতন্ত্রের ওপর আকস্মিক টান পড়তে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিকে ল্যারিঙ্গোস্পাজম বলে। যদি আক্রান্ত ব্যক্তি হাসির সময় যথেষ্ট অক্সিজেন না পান তাহলে একে অ্যাসফিক্সিয়েশন বা শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা বলে। তবে, এতে মৃত্যুর আশঙ্কা খুব কম।
এক ই–মেইল বার্তায় মেগান লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘হাসার কারণে শ্বাসরোধ বা হৃৎক্রিয়া বন্ধে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও এটি এখনো স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠার কথা জানা যায়নি।’
কোহেন বলেন, ‘হাসি ক্ষতিকর নয় বরং বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী।’
আমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
২ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৮ দিন আগেটয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের
৮ দিন আগেসৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানাল বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহ ও এর চাঁদগুলো একেবারে নিষ্প্রাণ নয়, বরং ইউরেনাসের চাঁদগুলোতে সমুদ্র থাকতে পারে। ফলে চাঁদগুলোয় জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগে