অনলাইন ডেস্ক
বিশালকায় প্রাচীন ক্যাঙারুদের নতুন তিনটি প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এদের একটি প্রজাতি দৈর্ঘ্যে ছিল সাড়ে ছয় ফুটের বেশি। ওজন ছিল এখনকার সবচেয়ে বড় ক্যাঙারুর দ্বিগুণের বেশি। ৫০ লাখ বছর আগে থেকে শুরু করে ৪০ হাজার বছর আগপর্যন্ত পৃথিবীতে বাস করত এই প্রাণীরা।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডারস ইউনিভার্সিটির একটি বিবৃতি অনুসারে, দৈত্যাকার ক্যাঙারুগুলো প্রোটেমনডন গোত্রের। গবেষকেরা আগে যা ভেবেছিলেন, তার চেয়ে আকৃতি, বিচরণের এলাকা এবং লাফানোর পদ্ধতিতেও পার্থক্য আছে।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার লেক কেলাবোনায় পেলিয়েনটলজিস্ট বা জীবাশ্মবিদেরা কিছু পূর্ণাঙ্গ ফসিল কঙ্কাল খুঁজে পান। তাঁরা মাটিতে খুঁজে পাওয়া ফসিল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। আর এর ভিত্তিতেই করা গবেষণাটি প্রকাশ পায় গত সোমবার ম্যাগাটেক্সা নামের জার্নালে। ফ্লিন্ডারস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ আইজাক ক্যারের নেতৃত্বে গবেষণাটি চালানো হয়।
প্রোটেমনডনের ফসিলের খোঁজ পাওয়া অস্ট্রেলিয়ায় বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এদের সম্পর্কে জানা-বোঝায় একটা বড় সমস্যা ছিল, সেটি হলো পূর্ণাঙ্গ ফসিলের বদলে হাড়ের টুকরো টুকরো অংশের খোঁজ এত দিন পাওয়া যাচ্ছিল।
যদিও প্রাণীগুলো আমরা এখন যেসব ক্যাঙারু দেখি, মোটামুটি একই রকম, তবে এরা পেশিবহুল ছিল বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গবেষকেরা জানান, নতুন এই তিন প্রজাতির ক্যাঙারুর লাফানোর পদ্ধতি ভিন্ন এবং আলাদা ধরনের পরিবেশে বসবাসের জন্য অভিযোজিত হয়।
এদের একটি পি. ভিয়াটর ওজনে ১৭০ কেজি পর্যন্ত হতো। এখনকার সবচেয়ে বড় পুরুষ লাল ক্যাঙারুদের অন্তত দ্বিগুণ ছিল এরা ওজনে।
এগুলোর কোনো কোনোটি লম্বায় সাড়ে ৬ ফুটের বেশি হতো বলে ক্যার সিএনএনকে জানান।
‘সরু পা, অপেক্ষাকৃত ছোট ঊরুর হাড় এবং লম্বা পায়ের হাড়সহ এরা অনেকটা এখনকার লাল এবং ধূসর ক্যাঙারুর মতো। দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে লাফিয়ে চলার উপযোগী এদের দেহের গঠন।’ বলেন তিনি।
ক্যার জানান, এই ক্যাঙারুরা সাধারণত এখনকার লাল ও ধূসর ক্যাঙারুদের বড় দলে চলাফেরা করত। এদের মূল শত্রু ছিল বিলুপ্ত প্রাণী মারসুপিয়াল লায়ন। বড় কুকুরের আকারের এই প্রাণীরা গুপ্ত হামলা চালিয়ে ক্যাঙারু শিকার করত বলে ধারণা করা হয়।
নতুনভাবে আলোচনায় আসা অপর দুই প্রজাতির ক্যাঙারু হলো পি. মামকুরা ও পি. ডাওসোনায়ে। এদের মধ্যে পি. মামকুরা দুই পায়ে লাফিয়ে চলার বদলে বেশির ভাগ সময় চার পায়ে চলত বলে জানান ক্যার। এটি বেশ ধীরগতির ছিল।
পি. ডাওসোনায়ে সম্পর্কে তুলনামূলক কম তথ্য পাওয়া যায়; কারণ, এদের কম ফসিল খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। এটি মাঝারি গতিতে লাফিয়ে চলত।
বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও মোটামুটি ৪০ হাজার বছর আগে ক্যাঙারুর এ প্রজাতিরা অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূমি থেকে হারিয়ে যায়।
ক্যার বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রোটেমনডনদের বিভিন্ন প্রজাতি শুষ্ক মধ্য অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে তাসমানিয়া এবং নিউগিনির উচ্চ বৃষ্টিপাতসমৃদ্ধ পাহাড়-অরণ্যময় এলাকায় বসবাস করত বলে জানা গেছে।’
এই বিলুপ্তি অবশ্য ওয়ালারু এবং ধূসর ক্যাঙারুর মতো অনেকটা একই ধরনের প্রাণীদের প্রভাবিত করেনি। এর কারণ, বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি এখনো।
তবে দলটির সদস্যরা আশা করছেন, কেন এটা ঘটেছে, তা জানতে ভবিষ্যতের গবেষণায় অবদান রাখবে তাঁদের এই প্রচেষ্টা।
বিশালকায় প্রাচীন ক্যাঙারুদের নতুন তিনটি প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এদের একটি প্রজাতি দৈর্ঘ্যে ছিল সাড়ে ছয় ফুটের বেশি। ওজন ছিল এখনকার সবচেয়ে বড় ক্যাঙারুর দ্বিগুণের বেশি। ৫০ লাখ বছর আগে থেকে শুরু করে ৪০ হাজার বছর আগপর্যন্ত পৃথিবীতে বাস করত এই প্রাণীরা।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডারস ইউনিভার্সিটির একটি বিবৃতি অনুসারে, দৈত্যাকার ক্যাঙারুগুলো প্রোটেমনডন গোত্রের। গবেষকেরা আগে যা ভেবেছিলেন, তার চেয়ে আকৃতি, বিচরণের এলাকা এবং লাফানোর পদ্ধতিতেও পার্থক্য আছে।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার লেক কেলাবোনায় পেলিয়েনটলজিস্ট বা জীবাশ্মবিদেরা কিছু পূর্ণাঙ্গ ফসিল কঙ্কাল খুঁজে পান। তাঁরা মাটিতে খুঁজে পাওয়া ফসিল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। আর এর ভিত্তিতেই করা গবেষণাটি প্রকাশ পায় গত সোমবার ম্যাগাটেক্সা নামের জার্নালে। ফ্লিন্ডারস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ আইজাক ক্যারের নেতৃত্বে গবেষণাটি চালানো হয়।
প্রোটেমনডনের ফসিলের খোঁজ পাওয়া অস্ট্রেলিয়ায় বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এদের সম্পর্কে জানা-বোঝায় একটা বড় সমস্যা ছিল, সেটি হলো পূর্ণাঙ্গ ফসিলের বদলে হাড়ের টুকরো টুকরো অংশের খোঁজ এত দিন পাওয়া যাচ্ছিল।
যদিও প্রাণীগুলো আমরা এখন যেসব ক্যাঙারু দেখি, মোটামুটি একই রকম, তবে এরা পেশিবহুল ছিল বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গবেষকেরা জানান, নতুন এই তিন প্রজাতির ক্যাঙারুর লাফানোর পদ্ধতি ভিন্ন এবং আলাদা ধরনের পরিবেশে বসবাসের জন্য অভিযোজিত হয়।
এদের একটি পি. ভিয়াটর ওজনে ১৭০ কেজি পর্যন্ত হতো। এখনকার সবচেয়ে বড় পুরুষ লাল ক্যাঙারুদের অন্তত দ্বিগুণ ছিল এরা ওজনে।
এগুলোর কোনো কোনোটি লম্বায় সাড়ে ৬ ফুটের বেশি হতো বলে ক্যার সিএনএনকে জানান।
‘সরু পা, অপেক্ষাকৃত ছোট ঊরুর হাড় এবং লম্বা পায়ের হাড়সহ এরা অনেকটা এখনকার লাল এবং ধূসর ক্যাঙারুর মতো। দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে লাফিয়ে চলার উপযোগী এদের দেহের গঠন।’ বলেন তিনি।
ক্যার জানান, এই ক্যাঙারুরা সাধারণত এখনকার লাল ও ধূসর ক্যাঙারুদের বড় দলে চলাফেরা করত। এদের মূল শত্রু ছিল বিলুপ্ত প্রাণী মারসুপিয়াল লায়ন। বড় কুকুরের আকারের এই প্রাণীরা গুপ্ত হামলা চালিয়ে ক্যাঙারু শিকার করত বলে ধারণা করা হয়।
নতুনভাবে আলোচনায় আসা অপর দুই প্রজাতির ক্যাঙারু হলো পি. মামকুরা ও পি. ডাওসোনায়ে। এদের মধ্যে পি. মামকুরা দুই পায়ে লাফিয়ে চলার বদলে বেশির ভাগ সময় চার পায়ে চলত বলে জানান ক্যার। এটি বেশ ধীরগতির ছিল।
পি. ডাওসোনায়ে সম্পর্কে তুলনামূলক কম তথ্য পাওয়া যায়; কারণ, এদের কম ফসিল খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। এটি মাঝারি গতিতে লাফিয়ে চলত।
বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও মোটামুটি ৪০ হাজার বছর আগে ক্যাঙারুর এ প্রজাতিরা অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূমি থেকে হারিয়ে যায়।
ক্যার বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রোটেমনডনদের বিভিন্ন প্রজাতি শুষ্ক মধ্য অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে তাসমানিয়া এবং নিউগিনির উচ্চ বৃষ্টিপাতসমৃদ্ধ পাহাড়-অরণ্যময় এলাকায় বসবাস করত বলে জানা গেছে।’
এই বিলুপ্তি অবশ্য ওয়ালারু এবং ধূসর ক্যাঙারুর মতো অনেকটা একই ধরনের প্রাণীদের প্রভাবিত করেনি। এর কারণ, বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি এখনো।
তবে দলটির সদস্যরা আশা করছেন, কেন এটা ঘটেছে, তা জানতে ভবিষ্যতের গবেষণায় অবদান রাখবে তাঁদের এই প্রচেষ্টা।
সেলিব্রিটি শেফ বা ইতালি নানিরা যা কখনোই কল্পনা করতে পারেননি তাই তৈরি করে দেখালেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্প্যাগেটি তৈরি করলেন তাঁরা। গবেষকেরা এমন এক স্টার্চ ন্যানোফাইবারের তৈরি স্প্যাগেটি তৈরি করেছে, যা মাত্র ৩৭২ ন্যানোমিটার চওড়া। চুলের চেয়ে ২০০ গুণ পাত
২ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
৪ ঘণ্টা আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৯ দিন আগে