ভালোবাসা দিবসের আর মাত্র একদিন বাকি। আর আপনার হৃদয় যদি ভেঙে গিয়ে থাকে তবে আজই শরণাপন্ন হন চিকিৎসকের। তবে বিষয়টি আক্ষরিক অর্থে নেবেন না। বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের হাইড্রোজেল আবিষ্কার করেছেন, যা দিয়ে ভগ্ন হৃদয় তথা মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপিণ্ড তো বটেই ক্যানসারের চিকিৎসাও করা সম্ভব হবে।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু, ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টো ও যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক যৌথভাবে সেলুলোজ ন্যানো ক্রিস্টাল ব্যবহার করে একধরনের সিনথেটিক বস্তু তৈরি করেছেন। এই বস্তুটি মূলত একধরনের হাইড্রোজেল। গাছের বাকলের শাঁস থেকে এই হাইড্রোজেল তৈরি করা হয়েছে। এই গবেষক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর গবেষক ড. এলিজাবেথ প্রিন্স।
হাইড্রোজেল হলো এমন এক ধরনের পলিমার চেইনের নেটওয়ার্ক যা ব্যাপক পানি শোষণ করতে পারে। কোনো জলীয় মাধ্যমের রাখলে এটি ব্যাপকভাবে পানি শোষণ করে ফুলে যায় এবং পলিমার নেটওয়ার্কে শোষিত পানি বা তরল পদার্থ ধরে রাখে।
তবে বিজ্ঞানীরা এই হাইড্রোজেলকে এমনভাবে তৈরি করেছেন যার বিশেষত্ব হলো—এটি তন্তুময় বিভিন্ন ন্যানো স্ট্রাকচার ও মানুষের টিস্যুকে পুনরুৎপাদন করতে পারে। সোজা কথায় বললে, এই হাইড্রোজেলের এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক বস্তুর প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে।
এ বিষয়ে ড. এলিজাবেথ প্রিন্স বলেছেন, ‘ক্যানসার একটি বৈচিত্র্যময় রোগ ও একই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত দুজন রোগী প্রায়শই একই চিকিৎসার প্রতি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে সাড়া দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে টিউমার অর্গানয়েডস মূলত একজন রোগীর টিউমারের (অনেক ক্ষেত্রে ক্যানসারের প্রাথমিক অবস্থা) একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। এই অর্গানয়েডগুলোকে ওই রোগীর ক্যানসার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ নির্ধারণের পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই বিষয়টি গবেষকদের একজন নির্দিষ্ট রোগীর জন্য ব্যক্তিগতকৃত থেরাপি নিশ্চিতের সুযোগ দেবে।’
প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তাদের আবিষ্কৃত হাইড্রোজেলে ন্যানোফাইব্রাস কাঠামোর এবং এতে বড় বড় ছিদ্র বা গর্ত আছে যা বিভিন্ন ধরনে পুষ্টি উপাদান ও জৈব বর্জ্য পরিবহন করতে পারে। এবং এই বিষয়টি একটি কোষের যান্ত্রিক ও সামগ্রিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে।
অনেক সময় ক্যানসার বা টিউমার কোষগুলো সঠিকভাবে শনাক্ত করতে না পারার কারণে তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করা সম্ভব হয় না। আর তাই বিজ্ঞানীরা এই হাইড্রোজেলকে ছোট আকৃতির ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করার মতো করে তৈরি করেছেন। এবং এরপর সেই অর্গানয়েডগুলোর বিশ্লেষণ করে তার প্রকৃত স্বরূপ বের করে ব্যক্তিভেদে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ক্যানসার চিকিৎসা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্যানসারের পাশাপাশি ড. এলিজাবেথ প্রিন্সের দলের তৈরি হাইড্রোজেল হৃৎপিণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে মানুষের হার্ট অ্যাটাকের পর যেসব টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেগুলোকে।
এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার পিএইচডি গবেষণা চলাকালে মানব টিস্যুর প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে এমন হাইড্রোজেল ডিজাইন করার কাজ শুরু করি এবং আমরা তা তৈরিকে সফল হয়েছি। এই হাইড্রোজেল রোগীর হার্ট অ্যাটাক হলে হৃৎপিণ্ডের টিস্যুর ক্ষতি মেরামত করার জন্য মানবদেহে ইনজেকশন হিসেবে দেওয়া যেতে পারে।’
ভালোবাসা দিবসের আর মাত্র একদিন বাকি। আর আপনার হৃদয় যদি ভেঙে গিয়ে থাকে তবে আজই শরণাপন্ন হন চিকিৎসকের। তবে বিষয়টি আক্ষরিক অর্থে নেবেন না। বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের হাইড্রোজেল আবিষ্কার করেছেন, যা দিয়ে ভগ্ন হৃদয় তথা মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপিণ্ড তো বটেই ক্যানসারের চিকিৎসাও করা সম্ভব হবে।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু, ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টো ও যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক যৌথভাবে সেলুলোজ ন্যানো ক্রিস্টাল ব্যবহার করে একধরনের সিনথেটিক বস্তু তৈরি করেছেন। এই বস্তুটি মূলত একধরনের হাইড্রোজেল। গাছের বাকলের শাঁস থেকে এই হাইড্রোজেল তৈরি করা হয়েছে। এই গবেষক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর গবেষক ড. এলিজাবেথ প্রিন্স।
হাইড্রোজেল হলো এমন এক ধরনের পলিমার চেইনের নেটওয়ার্ক যা ব্যাপক পানি শোষণ করতে পারে। কোনো জলীয় মাধ্যমের রাখলে এটি ব্যাপকভাবে পানি শোষণ করে ফুলে যায় এবং পলিমার নেটওয়ার্কে শোষিত পানি বা তরল পদার্থ ধরে রাখে।
তবে বিজ্ঞানীরা এই হাইড্রোজেলকে এমনভাবে তৈরি করেছেন যার বিশেষত্ব হলো—এটি তন্তুময় বিভিন্ন ন্যানো স্ট্রাকচার ও মানুষের টিস্যুকে পুনরুৎপাদন করতে পারে। সোজা কথায় বললে, এই হাইড্রোজেলের এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক বস্তুর প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে।
এ বিষয়ে ড. এলিজাবেথ প্রিন্স বলেছেন, ‘ক্যানসার একটি বৈচিত্র্যময় রোগ ও একই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত দুজন রোগী প্রায়শই একই চিকিৎসার প্রতি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে সাড়া দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে টিউমার অর্গানয়েডস মূলত একজন রোগীর টিউমারের (অনেক ক্ষেত্রে ক্যানসারের প্রাথমিক অবস্থা) একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। এই অর্গানয়েডগুলোকে ওই রোগীর ক্যানসার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ নির্ধারণের পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই বিষয়টি গবেষকদের একজন নির্দিষ্ট রোগীর জন্য ব্যক্তিগতকৃত থেরাপি নিশ্চিতের সুযোগ দেবে।’
প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তাদের আবিষ্কৃত হাইড্রোজেলে ন্যানোফাইব্রাস কাঠামোর এবং এতে বড় বড় ছিদ্র বা গর্ত আছে যা বিভিন্ন ধরনে পুষ্টি উপাদান ও জৈব বর্জ্য পরিবহন করতে পারে। এবং এই বিষয়টি একটি কোষের যান্ত্রিক ও সামগ্রিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে।
অনেক সময় ক্যানসার বা টিউমার কোষগুলো সঠিকভাবে শনাক্ত করতে না পারার কারণে তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করা সম্ভব হয় না। আর তাই বিজ্ঞানীরা এই হাইড্রোজেলকে ছোট আকৃতির ক্যানসার কোষের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করার মতো করে তৈরি করেছেন। এবং এরপর সেই অর্গানয়েডগুলোর বিশ্লেষণ করে তার প্রকৃত স্বরূপ বের করে ব্যক্তিভেদে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ক্যানসার চিকিৎসা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্যানসারের পাশাপাশি ড. এলিজাবেথ প্রিন্সের দলের তৈরি হাইড্রোজেল হৃৎপিণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে মানুষের হার্ট অ্যাটাকের পর যেসব টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেগুলোকে।
এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার পিএইচডি গবেষণা চলাকালে মানব টিস্যুর প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে এমন হাইড্রোজেল ডিজাইন করার কাজ শুরু করি এবং আমরা তা তৈরিকে সফল হয়েছি। এই হাইড্রোজেল রোগীর হার্ট অ্যাটাক হলে হৃৎপিণ্ডের টিস্যুর ক্ষতি মেরামত করার জন্য মানবদেহে ইনজেকশন হিসেবে দেওয়া যেতে পারে।’
মানুষের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে বেশি মানসিক সমর্থন দেয় পোষা কুকুর। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা। আন্তর্জাতিক জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্ট–এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ তাদের কুকুরকে শুধুমাত্র ‘পোষা প্রাণী’ হিসেবে নয়, বরং ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সন্তানের মতো আদরের...
২ দিন আগেপূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া ও তানজানিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন মশার প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই আবিষ্কার ম্যালেরিয়া পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩ দিন আগেমুরগির ডিমের কথা বললে সাধারণত সাদা বা বাদামি খোলসের ডিমই ভেসে ওঠে আমাদের চোখে। প্রকৃতপক্ষে ডিমের খোলসের রং হতে পারে ক্রিম, গোলাপি, নীল, এমনকি সবুজও। শুধু তাই নয়—কিছু ডিমের খোলসের ওপর আবার দাগও দেখা যায়। তবে প্রশ্ন হলো—ডিমের রঙে এত বৈচিত্র্য কেন এবং কী কারণে একেক মুরগি একেক রঙের ডিম পাড়ে?
৩ দিন আগেএখন মোবাইল ফোনেই জটিল হিসাব-নিকাশ ঝটপট কষে ফেলা যায়। কিন্তু সময়টা যখন সতেরো শতক, যখন কাগজ-কলমই ভরসা, আর জটিল গাণিতিক হিসাব করতে গিয়ে মানুষ হারিয়ে যেত সংখ্যার গোলকধাঁধায়। তখনই জার্মানির এক বিরল প্রতিভা উইলহেম শিকার্ড উদ্ভাবন করেন এমন এক যন্ত্র, যা গাণিতিক অনেক হিসাব-নিকাশ সহজ করে দেয়।
৪ দিন আগে