অনলাইন ডেস্ক
আমাদের সৌরজগতের প্রায় সব বড় গ্রহেরই রিং বা বলয় রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে শনির কথাই ধরা যাক। এমনকি এটাও ধারণা করা হয় যে, আমাদের প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলেরও একটি বলয় ছিল এক সময়। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে যে, পৃথিবীরও কি অতীতে একটি বলয় ছিল? একদল বিজ্ঞানী বলছেন, তাদের গবেষণা এই বিষয়েই প্রমাণ দেয় যে—এক সময় পৃথিবীরও একটি বলয় ছিল।
আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটারস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এই নিবন্ধটি বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স ডিরেক্টেও প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি, মেলবোর্নের স্কুল অব অর্থ, অ্যাটমোসফিয়ার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের অ্যান্ড্রু টমকিনস। এ ছাড়া একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই অনুষদের এরিন এল মার্টিন ও পিটার ক্যাওউড এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীর মধ্য ওর্ডোভিসিয়ান সময়কালে (আজ থেকে প্রায় ৪৬৬ মিলিয়ন বছর আগে) সম্ভবত একটি বলয় ছিল। গবেষকদের অনুমান, পৃথিবীর ‘রোশ সীমা’ মধ্যে পড়ে যাওয়ায় একটি গ্রহাণুর ভাঙনের ফলে এই বলয় তৈরি হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের আরও অনুমান যে, এই বলয়ের কারণে যে ছায়া তৈরি হয়েছিল তার কারণেই পৃথিবীজুড়ে বরফযুগের সূচনা হয়েছিল।
রোশ সীমা হলো—পৃথিবীর মহাকর্ষের এমন একটি এলাকা যে পর্যন্ত আসলে কোনো বস্তু স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর আকর্ষণের আওতায় চলে আসে। পৃথিবীর রোশ সীমা হলো ১৮ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, এই সীমার মধ্যে মহাশূন্যের কোনো বস্তু আসলেই তা পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের আওতায় পড়ে যাবে।
গবেষণা প্রতিবেদনের অ্যাবস্ট্রাক্টে গবেষকেরা বলেছেন, আমরা পৃথিবীতে আঘাত হানা ২১টি গ্রহাণুর সৃষ্ট গহ্বরের প্যালিওলাটিটিউড (প্যালিওল্যাটিটিউড হলো অতীতের কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ের কোনো স্থানের অক্ষাংশ, যা সেই সময়ের পৃথিবীর চৌম্বক মেরুর তুলনায় পরিমাপ করা হয়।) বিশ্লেষণ করেছি। আমরা দেখতে পেয়েছি, এগুলো আজ থেকে প্রায় ৪০ মিলিয়ন বছর আগের এক অস্বাভাবিক বড় গ্রহাণু আঘাতজনিত গহ্বর তৈরির ফলে সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো ওর্ডোভিসিয়ান ইমপ্যাক্ট স্পাইক নামে পরিচিত।
এতে আরও বলা হয়েছে, আমরা দেখতে পেয়েছি, এসব গহ্বর কমবেশি ৩০ ডিগ্রি সমানুপ্রস্থে (ইক্যুটোরিয়াল ব্যান্ডে) পড়ে। এই গহ্বর সৃষ্টির সময়কাল শুরু হয় আনুমানিক ৪৬৫ মিলিয়ন বছর আগে। যখন তলদেশীয় শিলাস্তরে (সেডিমেন্টারি রকস) জমা হওয়া এল কন্ড্রাইট (এল আকৃতির সৌরজগতের প্রাচীন কিছু উপাদান) উপাদানের পরিমাণে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যায়।
আমাদের অনুমান, এসব গহ্বর সৃষ্টি করেছে যেসব বস্তু বা বস্তুগুলো সেগুলো গ্রহাণু বেল্টে ভেঙে যাওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের বাইনোমিয়াল সম্ভাব্যতা গণনায় দেখা গেছে যে, সরাসরি গ্রহাণু বলয় থেকে আসা বোলাইড বা দ্রুতগতির বস্তুর কারণে আমাদের পর্যবেক্ষণ করা গহ্বর তৈরি হয়েছে এমন সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
আমরা তাই প্রস্তাব করি যে, যেসব এল কন্ড্রাইটের কারণে এসব গহ্বর সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোর একটি বড় অংশ আনুমানিক ৪৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর নিকটবর্তী হওয়ায় রোশ সীমার মধ্যে ঢুকে পড়ায় ভেঙে যায়। আমরা অনুমান করছি যে, এই ভেঙে যাওয়ার ঘটনার পর ধ্বংসাবশেষের একটি বলয় তৈরি হয় এবং সেখান থেকে কিছু উপাদান পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং আমরা যেসব গহ্বর পর্যবেক্ষণ করেছি সেগুলো সৃষ্টি করে। আমরা আরও অনুমান করি যে, এই বলয়ের ছায়া পৃথিবীতে পড়ায় হিরনেশিয়ান বৈশ্বিক বরফ যুগের সূচনার সূত্রপাত করতে পারে।
আমাদের সৌরজগতের প্রায় সব বড় গ্রহেরই রিং বা বলয় রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে শনির কথাই ধরা যাক। এমনকি এটাও ধারণা করা হয় যে, আমাদের প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলেরও একটি বলয় ছিল এক সময়। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে যে, পৃথিবীরও কি অতীতে একটি বলয় ছিল? একদল বিজ্ঞানী বলছেন, তাদের গবেষণা এই বিষয়েই প্রমাণ দেয় যে—এক সময় পৃথিবীরও একটি বলয় ছিল।
আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটারস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এই নিবন্ধটি বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স ডিরেক্টেও প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি, মেলবোর্নের স্কুল অব অর্থ, অ্যাটমোসফিয়ার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের অ্যান্ড্রু টমকিনস। এ ছাড়া একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই অনুষদের এরিন এল মার্টিন ও পিটার ক্যাওউড এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীর মধ্য ওর্ডোভিসিয়ান সময়কালে (আজ থেকে প্রায় ৪৬৬ মিলিয়ন বছর আগে) সম্ভবত একটি বলয় ছিল। গবেষকদের অনুমান, পৃথিবীর ‘রোশ সীমা’ মধ্যে পড়ে যাওয়ায় একটি গ্রহাণুর ভাঙনের ফলে এই বলয় তৈরি হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের আরও অনুমান যে, এই বলয়ের কারণে যে ছায়া তৈরি হয়েছিল তার কারণেই পৃথিবীজুড়ে বরফযুগের সূচনা হয়েছিল।
রোশ সীমা হলো—পৃথিবীর মহাকর্ষের এমন একটি এলাকা যে পর্যন্ত আসলে কোনো বস্তু স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর আকর্ষণের আওতায় চলে আসে। পৃথিবীর রোশ সীমা হলো ১৮ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, এই সীমার মধ্যে মহাশূন্যের কোনো বস্তু আসলেই তা পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের আওতায় পড়ে যাবে।
গবেষণা প্রতিবেদনের অ্যাবস্ট্রাক্টে গবেষকেরা বলেছেন, আমরা পৃথিবীতে আঘাত হানা ২১টি গ্রহাণুর সৃষ্ট গহ্বরের প্যালিওলাটিটিউড (প্যালিওল্যাটিটিউড হলো অতীতের কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ের কোনো স্থানের অক্ষাংশ, যা সেই সময়ের পৃথিবীর চৌম্বক মেরুর তুলনায় পরিমাপ করা হয়।) বিশ্লেষণ করেছি। আমরা দেখতে পেয়েছি, এগুলো আজ থেকে প্রায় ৪০ মিলিয়ন বছর আগের এক অস্বাভাবিক বড় গ্রহাণু আঘাতজনিত গহ্বর তৈরির ফলে সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো ওর্ডোভিসিয়ান ইমপ্যাক্ট স্পাইক নামে পরিচিত।
এতে আরও বলা হয়েছে, আমরা দেখতে পেয়েছি, এসব গহ্বর কমবেশি ৩০ ডিগ্রি সমানুপ্রস্থে (ইক্যুটোরিয়াল ব্যান্ডে) পড়ে। এই গহ্বর সৃষ্টির সময়কাল শুরু হয় আনুমানিক ৪৬৫ মিলিয়ন বছর আগে। যখন তলদেশীয় শিলাস্তরে (সেডিমেন্টারি রকস) জমা হওয়া এল কন্ড্রাইট (এল আকৃতির সৌরজগতের প্রাচীন কিছু উপাদান) উপাদানের পরিমাণে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যায়।
আমাদের অনুমান, এসব গহ্বর সৃষ্টি করেছে যেসব বস্তু বা বস্তুগুলো সেগুলো গ্রহাণু বেল্টে ভেঙে যাওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের বাইনোমিয়াল সম্ভাব্যতা গণনায় দেখা গেছে যে, সরাসরি গ্রহাণু বলয় থেকে আসা বোলাইড বা দ্রুতগতির বস্তুর কারণে আমাদের পর্যবেক্ষণ করা গহ্বর তৈরি হয়েছে এমন সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
আমরা তাই প্রস্তাব করি যে, যেসব এল কন্ড্রাইটের কারণে এসব গহ্বর সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোর একটি বড় অংশ আনুমানিক ৪৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর নিকটবর্তী হওয়ায় রোশ সীমার মধ্যে ঢুকে পড়ায় ভেঙে যায়। আমরা অনুমান করছি যে, এই ভেঙে যাওয়ার ঘটনার পর ধ্বংসাবশেষের একটি বলয় তৈরি হয় এবং সেখান থেকে কিছু উপাদান পৃথিবীতে প্রবেশ করে এবং আমরা যেসব গহ্বর পর্যবেক্ষণ করেছি সেগুলো সৃষ্টি করে। আমরা আরও অনুমান করি যে, এই বলয়ের ছায়া পৃথিবীতে পড়ায় হিরনেশিয়ান বৈশ্বিক বরফ যুগের সূচনার সূত্রপাত করতে পারে।
গাঁজা সেবন এসভি২এ-এর স্তর এবং সেই অনুযায়ী সাইনাপসের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। এটি পূর্বের একটি গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেখানে দেখা গেছে, গাঁজা সেবনের ফলে এসভি২এ প্রোটিনের স্তর কমে যায়। মিজরাহি বলেন...
২১ ঘণ্টা আগেচলতি সপ্তাহে ‘নিউ গ্লেন’ রকেটের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের ব্যক্তিগত মহাকাশ কোম্পানি ‘ব্লু অরিজিন’। রকেটটি ভারী লোড বা যন্ত্রপাতি (যেমন—উপগ্রহ, মহাকাশযান, বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি) মহাকাশে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হবে। তবে উৎক্ষেপণের নির্দিষ্ট সময় এখনো ঘোষ
১ দিন আগেশীতকালে কথা বলার সময় মুখ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় এটি আরও বেশি চোখে পড়ে। এ ঘটনায় সবাই অভ্যস্ত এবং বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেয়। তবে এই ধোঁয়া গরম কালে দেখা যায় না কেন—এমন প্রশ্ন মনে আসতে পারে।
২ দিন আগেটরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন, যা সময়ের ধারণা সম্পর্কে প্রচলিত তত্ত্বগুলোকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে। তাঁদের কোয়ান্টাম পরীক্ষায় দেখা গেছে, আলো কোনো বস্তুতে প্রবেশ করার আগেই সেখান থেকে উদ্ভাসিত হতে পারে। এটি সময়ের প্রকৃতি নিয়ে কয়েক দশকের প্রচলিত ধারণার...
৪ দিন আগে