সাকিবকে শাস্তি দিল আইসিসি, দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশও

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ১৭
Thumbnail image

রাওয়ালপিন্ডিতে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। তবে এমন স্মরণীয় জয়ের পর শাস্তি পাচ্ছে সফরকারী দল। 

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে স্লো ওভার-রেটের কারণ ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ কাটা যাচ্ছে বাংলাদেশের। সঙ্গে কাটা যাচ্ছে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লুটিসি) ৩ পয়েন্টও। একই অপরাধে ৩০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা যাচ্ছে পাকিস্তানের। ৬ ডব্লুটিসি পয়েন্টও কেটে নেওয়া হচ্ছে স্বাগতিকদের। 

আইসিসি এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে এই শাস্তি দিয়েছেন দুই দলকে। নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে পাকিস্তান ৬ ওভার এবং বাংলাদেশ ৩ ওভার কম করায় এই জরিমানা করা হলো। 

আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের ২.২২ আর্টিকেল অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রা সময়ের মধ্যে যদি কোনো খেলোয়াড় বা দল বল করতে ব্যর্থ হয় তবে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ কাটা যায়। আর আর্টিকেল ১৬.১১.২ অনুযায়ী, আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলোয়াড়দের প্রতি ওভার কম করার জন্য একটি করে পয়েন্ট কাটা যায়। 

আইসিসির এই শাস্তি মেনে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। যার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। 

সাকিবের শাস্তি
শাস্তি পেয়েছেন সাকিব আল হাসানও। গতকাল রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে (ইনিংসের ৩৩তম ওভারে) ব্যাটিংয়ে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বোলিংয়ের সময় বল ছুড়ে মারেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। সাকিবের বোলিংয়ের সময় প্রস্তুত না থাকায় ব্যাট সরিয়ে নিয়েছিলেন রিজওয়ান। এ সময় মেজাজ হারিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটান সাকিব, যা আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ ভঙ্গের মধ্যে পড়ে। এই অপরাধে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ কাটা যাচ্ছে তাঁর। 

সাকিব আল হাসান বল ছুড়ে আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের আর্টিকেল ২.৯ ভঙ্গ করেছেন। কোনো প্রকার ক্রিকেট সরঞ্জামাদি বা পানির বোতল ছুড়ে মারা এই আইনের অন্তর্ভুক্ত। কাছাকাছি থাকা কোনো খেলোয়াড়, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সঙ্গে এই আচরণ আন্তর্জাতিক ম্যাচে বিপজ্জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছেন সাকিব। গত ২৪ মাসের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম তাঁর। মাদুগালের দেওয়া এই শাস্তি গ্রহণ করেছেন সাকিব। এই কারণে তাঁর জন্যও আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। 

অন-ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবোরো ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক, থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ ও চতুর্থ আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও সাকিবের প্রতি এই অভিযোগ দায়ের করেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত