১৬ মাসের অপেক্ষা ফুরোল মুশফিকের, ছাড়িয়ে গেলেন তামিমকেও 

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ০৭
Thumbnail image

সেঞ্চুরির পর চিৎকার করলেন। শূন্যে হাত ছুড়লেন। তারপর সিজদাহ করলেন পিচে। সেই ক্রিকেটার হলেন মুশফিকুর রহিম। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সেঞ্চুরি দিয়ে আজ ফুরোল তাঁর ১৬ মাসের অপেক্ষা। একটি রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন তাঁর দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম ইকবালকেও। 

রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা চলছে আজ। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১১৬তম ওভারের ঘটনা। ওভারের তৃতীয় বলে ফাইন লেগে গ্ল্যান্স করে নিলেন ২ রান। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর রাওয়ালপিন্ডিকে শোনালেন তাঁর গর্জন। হেলমেট খুলে যখন অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছিলেন, তখন ডাগ আউট থেকে সাকিব আল হাসানসহ পুরো দল মুহূর্মুহু করতালি দিতে থাকে। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে সেঞ্চুরি পেতে মুশফিককে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৬ মাস। সবশেষ ২০২৩ সালের এপ্রিলে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক।  

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে একের পর এক রেকর্ড নামের পাশে যোগ করছেন মুশফিক। তামিমের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।  ১৫১৯২ রান করে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তামিম। মুশফিক এখনো পর্যন্ত করেছেন ১৫০৬৯ রান। তবে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে বিদেশের মাঠে টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে তামিমকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক। বিদেশের মাঠে ৫ টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। তামিম ঘরের বাইরে টেস্টে করেছেন ৪ সেঞ্চুরি। 

প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা আজ শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ হারিয়েছে শুধু লিটন দাসের উইকেট। যে নাসিম শাহকে বেধড়ক পিটিয়ে ফিফটি করেন লিটন, তাঁর বলেই আত্মাহুতি দিয়েছেন তিনি (লিটন)। ১০১তম ওভারের পঞ্চম বলে নাসিমের অনেক বাইরের বল ড্রাইভ করতে যান লিটন। আউটসাইড এজ হওয়া বল ধরেছেন পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৭৮ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করেন লিটন। ৬ উইকেটে ৩৮৯ রান করে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেল বাংলাদেশ। ২০৮ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত মুশফিক। চার মেরেছেন ১২টি।

বিদেশের মাঠে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরি করতে মুশফিকের অপেক্ষা বাড়তেই পারত। ৯৮তম ওভারের চতুর্থ বলে তাঁর (মুশফিক) বিপক্ষে লেগবিফোরের আবেদন করেন মোহাম্মদ আলী। আম্পায়ার সাড়া দিলে এরপর রিভিউ করেন মুশফিক। রিভিউতে দেখা যায় বল স্টাম্প মিস করেছে। মুশফিকের তখন স্কোর ছিল ৫৯ রান। 

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত