ক্রীড়া ডেস্ক
এঞ্জেল ভাস্কোস ডি লা ক্রুজ নামে এক বন্ধু আমাকে লিখেছিল, আমি সব সময় সেল্টা ভিগোর সমর্থক ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আছি তাদের চিরশত্রু দেপার্তিভো লা করুনার সঙ্গে। সবাই জানে তুমি শহর, কাজ অথবা রাজনৈতিক পছন্দ বদলাতে পারো, এমনকি সম্ভবত সেটা উচিতও...কিন্তু তুমি কখনো দল বদলাতে পারো না। আমি জানি, আমি একজন বিশ্বাসঘাতক! আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই। বিশ্বাস করো, আমি এটা করেছি আমার সন্তানের জন্য। সম্ভবত আমি একজন বিশ্বাসঘাতক কিন্তু আমি একজন মহান পিতা।–
কথাগুলো এদোয়ার্দো গালেয়ানোর বিখ্যাত নিবন্ধ ‘ফুটবল, রূপকথা ও বাস্তবতা’ থেকে নেওয়া। একজন সেল্টা সমর্থকের কান্না ও হতাশার কথাই এখানে উঠে এসেছে, যিনি ছেলেকে খুশি করতে দল বদলে ফেলেছেন। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সমর্থনটা অবশ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অঞ্চলকেন্দ্রিক। যে অঞ্চলের দল সেখানকার জনগোষ্ঠী সেই দলটিকেই সমর্থন করে। তবে সমস্যাটা হয় একই অঞ্চলের দুটি ক্লাব থাকলে। যেমন: মার্সেসাইড এলাকার দুই দল লিভারপুল ও এভারটনের সমর্থকেরা দুই ভাগে বিভক্ত। দুই দলের বৈরী সম্পর্ক অনেক সময় সমর্থকদের আচরণকেও প্রভাবিত করে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশের বিষয়টা ভিন্ন। অঞ্চলকেন্দ্রিক যে সমর্থনের যে হিসাব-নিকাশ, বাংলাদেশে তা চলে না। এখানে ক্লাব সমর্থনের পেছনে খেলোয়াড়দের বিশাল প্রভাব থাকে। নয়তো লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার পর পিএসজির সমর্থন হু হু করে বাড়ত না। এর ব্যতিক্রমও অবশ্য আছে।
বাংলাদেশে লিভারপুল, আর্সেনাল কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবগুলোর সমর্থকের সংখ্যাও একেবারে কম না। তবে এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে দলগুলোর অতীত ঐতিহ্য, রাজনৈতিক অবস্থান, দলীয় সক্ষমতা ও কখনো কখনো নিয়মিত ইউরোপিয়ান সাফল্যও।
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজ অঞ্চলের বাইরে ক্লাবের সমর্থন বেড়েছে খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ইমেজের পথ ধরে। গত ১০-১১ বছরের ছবির দিকে চোখ রাখলেই বিষয়টা বোঝা যাবে। ২০০৯ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে আসর পর থেকেই লা লিগা জনপ্রিয়তার চূড়া স্পর্শ করে। একদিকে বার্সেলোনায় মেসি ও রিয়ালে রোনালদোকে ঘিরেই জমে ওঠে সমর্থকদের লড়াই। একই সময় স্প্যানিশ ফুটবলও নিজেদের স্বর্ণযুগ পার করছিল।
একইভাবে ইয়ুর্গেন ক্লপের হাত ধরে লিভারপুল যখন দীর্ঘ সময় পর সাফল্য পেতে শুরু করে, তখন ক্লাবটির সমর্থকদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে দেখা যায়। ফুটবলীয় ভাষায় এই ধরনের সমর্থকদের বলা হয় ‘গ্লোরি হান্টার’। আর খেলোয়াড় ধরে ক্লাবের সমর্থকদের দল বদলানোর বড় উদাহরণ মেসির পিএসজি যাত্রা। অনেক সমর্থক এরই মধ্যে দলবদলে ফেলেছে।
এভাবে দল বদলানোর ঘটনাকে অনেকেই নৈতিক জায়গা থেকেও দেখতে চান। যেমনটা এঞ্জেল ভাস্কোস দেখেছেন নিজের দল বদলানো নিয়ে। কিন্তু সেই নৈতিকতার দায় অন্যদের ওপর কতটা বর্তায়, সে প্রশ্নও এসে যায়। ফুটবল যেহেতু একটি খেলা, সেখানে খেলোয়াড়ের কারিকুরি, ব্যক্তিগত শৈলী ও দলীয় সাফল্যই সব সময় সমর্থনের মানদণ্ড তৈরি করে। একসময় যেমন বিপুল সমর্থন ছিল ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের কিংবা ম্যারাডোনার সময়ের নাপোলির কথাও বলা যায়। কিন্তু সেই ক্লাবগুলোর সাফল্য ও পরিচিত মুখগুলো যতই আড়াল হয়েছে, সমর্থনও একই সঙ্গে পথ ছেড়ে গেছে। যার বিপরীত উদাহরণ হতে পারে পিএসজি ও ম্যানচেস্টার সিটি।
তবে শেষ পর্যন্ত যেকোনো ক্লাবকে সমর্থনের একটি সূচনা মুহূর্ত থাকে। সেটি এখন ক্লাবের ঐতিহ্য, সাম্প্রতিক সাফল্য, পারিবারিক উত্তরাধিকার কিংবা খেলোয়াড়ের নাম ধরেও হতে পারে। সময়ের সঙ্গে কেউ হয়তো সেটি বদলেও ফেলতে পারেন। বদল যেহেতু জগতেরই ধর্ম!
এঞ্জেল ভাস্কোস ডি লা ক্রুজ নামে এক বন্ধু আমাকে লিখেছিল, আমি সব সময় সেল্টা ভিগোর সমর্থক ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আছি তাদের চিরশত্রু দেপার্তিভো লা করুনার সঙ্গে। সবাই জানে তুমি শহর, কাজ অথবা রাজনৈতিক পছন্দ বদলাতে পারো, এমনকি সম্ভবত সেটা উচিতও...কিন্তু তুমি কখনো দল বদলাতে পারো না। আমি জানি, আমি একজন বিশ্বাসঘাতক! আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই। বিশ্বাস করো, আমি এটা করেছি আমার সন্তানের জন্য। সম্ভবত আমি একজন বিশ্বাসঘাতক কিন্তু আমি একজন মহান পিতা।–
কথাগুলো এদোয়ার্দো গালেয়ানোর বিখ্যাত নিবন্ধ ‘ফুটবল, রূপকথা ও বাস্তবতা’ থেকে নেওয়া। একজন সেল্টা সমর্থকের কান্না ও হতাশার কথাই এখানে উঠে এসেছে, যিনি ছেলেকে খুশি করতে দল বদলে ফেলেছেন। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সমর্থনটা অবশ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অঞ্চলকেন্দ্রিক। যে অঞ্চলের দল সেখানকার জনগোষ্ঠী সেই দলটিকেই সমর্থন করে। তবে সমস্যাটা হয় একই অঞ্চলের দুটি ক্লাব থাকলে। যেমন: মার্সেসাইড এলাকার দুই দল লিভারপুল ও এভারটনের সমর্থকেরা দুই ভাগে বিভক্ত। দুই দলের বৈরী সম্পর্ক অনেক সময় সমর্থকদের আচরণকেও প্রভাবিত করে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশের বিষয়টা ভিন্ন। অঞ্চলকেন্দ্রিক যে সমর্থনের যে হিসাব-নিকাশ, বাংলাদেশে তা চলে না। এখানে ক্লাব সমর্থনের পেছনে খেলোয়াড়দের বিশাল প্রভাব থাকে। নয়তো লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার পর পিএসজির সমর্থন হু হু করে বাড়ত না। এর ব্যতিক্রমও অবশ্য আছে।
বাংলাদেশে লিভারপুল, আর্সেনাল কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবগুলোর সমর্থকের সংখ্যাও একেবারে কম না। তবে এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে দলগুলোর অতীত ঐতিহ্য, রাজনৈতিক অবস্থান, দলীয় সক্ষমতা ও কখনো কখনো নিয়মিত ইউরোপিয়ান সাফল্যও।
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজ অঞ্চলের বাইরে ক্লাবের সমর্থন বেড়েছে খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ইমেজের পথ ধরে। গত ১০-১১ বছরের ছবির দিকে চোখ রাখলেই বিষয়টা বোঝা যাবে। ২০০৯ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে আসর পর থেকেই লা লিগা জনপ্রিয়তার চূড়া স্পর্শ করে। একদিকে বার্সেলোনায় মেসি ও রিয়ালে রোনালদোকে ঘিরেই জমে ওঠে সমর্থকদের লড়াই। একই সময় স্প্যানিশ ফুটবলও নিজেদের স্বর্ণযুগ পার করছিল।
একইভাবে ইয়ুর্গেন ক্লপের হাত ধরে লিভারপুল যখন দীর্ঘ সময় পর সাফল্য পেতে শুরু করে, তখন ক্লাবটির সমর্থকদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে দেখা যায়। ফুটবলীয় ভাষায় এই ধরনের সমর্থকদের বলা হয় ‘গ্লোরি হান্টার’। আর খেলোয়াড় ধরে ক্লাবের সমর্থকদের দল বদলানোর বড় উদাহরণ মেসির পিএসজি যাত্রা। অনেক সমর্থক এরই মধ্যে দলবদলে ফেলেছে।
এভাবে দল বদলানোর ঘটনাকে অনেকেই নৈতিক জায়গা থেকেও দেখতে চান। যেমনটা এঞ্জেল ভাস্কোস দেখেছেন নিজের দল বদলানো নিয়ে। কিন্তু সেই নৈতিকতার দায় অন্যদের ওপর কতটা বর্তায়, সে প্রশ্নও এসে যায়। ফুটবল যেহেতু একটি খেলা, সেখানে খেলোয়াড়ের কারিকুরি, ব্যক্তিগত শৈলী ও দলীয় সাফল্যই সব সময় সমর্থনের মানদণ্ড তৈরি করে। একসময় যেমন বিপুল সমর্থন ছিল ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের কিংবা ম্যারাডোনার সময়ের নাপোলির কথাও বলা যায়। কিন্তু সেই ক্লাবগুলোর সাফল্য ও পরিচিত মুখগুলো যতই আড়াল হয়েছে, সমর্থনও একই সঙ্গে পথ ছেড়ে গেছে। যার বিপরীত উদাহরণ হতে পারে পিএসজি ও ম্যানচেস্টার সিটি।
তবে শেষ পর্যন্ত যেকোনো ক্লাবকে সমর্থনের একটি সূচনা মুহূর্ত থাকে। সেটি এখন ক্লাবের ঐতিহ্য, সাম্প্রতিক সাফল্য, পারিবারিক উত্তরাধিকার কিংবা খেলোয়াড়ের নাম ধরেও হতে পারে। সময়ের সঙ্গে কেউ হয়তো সেটি বদলেও ফেলতে পারেন। বদল যেহেতু জগতেরই ধর্ম!
অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করেছিল বল। ভেতরে ঢুকে মুখে লাইনে না গিয়েই খেলতে গেলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে তাসকিনের সেই বল লাগল ব্যাটারের প্যাডে।
৫ মিনিট আগেপ্রথম সেশন বেশ ভালো কাটল বাংলাদেশের। মধ্যাহ্নভোজের আগে নিয়েছে ২ উইকেট। দুটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগেপেপ গার্দিওলাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড। কদিন আগে রোনালদো নাজারিও জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের আগামী নির্বাচনে সভাপতি হলে সেলেসাওদের জন্য নিয়ে আসবেন স্প্যানিশ কোচকে। তবে আপাতত কোথাও যাচ্ছেন না গার্দিওলা। থাকছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেই।
৩ ঘণ্টা আগেউয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে পেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। মুখোমুখি হবে চারবারের দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি-জার্মানি।
৩ ঘণ্টা আগে