প্রথমবার জুনিয়র হকির বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দেশের হকির ইতিহাসে যেটা সবচেয়ে বড় অর্জন। এই অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে, সেটা ওমানের মাসকট থেকে বিস্তারিত বললেন দলের অধিনায়ক মেহরাব হোসেন সামিন। কাল ফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জহির উদ্দিন মিশু
জহির উদ্দিন মিশু
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। এই অর্জনের পর মনের ভেতর কেমন অনুভূতি কাজ করছে?
মেহরাব হোসেন সামিন: এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। ২০২১ থেকে জানতাম যে ২০২৫ বিশ্বকাপে ২৪ দল খেলবে। এরপর থেকেই আমরা মানসিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করছিলাম। তখন আমরা বিকেএসপির শিক্ষার্থী। ওই সময়ই পরিকল্পনা শুরু, মনস্থির করি, যদি ঠিকঠাক খেলা চালিয়ে যাই, অবশ্যই বাংলাদেশের হকিকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারব। আমাদের সবার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও পূরণ করতে পারব। এই যে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার পর এত বড় অর্জন। সত্যি এই অনুভূতির সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলে না।
প্রশ্ন: বড় সাফল্য ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখাটা কবে কীভাবে শুরু?
সামিন: ২০২১ সালে যখন বিকেএসপি থেকে বের হব, তখন মালয়েশিয়ান কোচ ইমান গোবিনাথই আমাদের স্বপ্ন দেখান যে চাইলে ২০২৫ সালের বিশ্বকাপে খেলতে পারবে। কারণ, সেখানে দলের সংখ্যা বাড়বে ৷ তিনি আমাদের বিষয়টা বুঝিয়ে বলেন। সেই থেকেই আমাদের স্বপ্ন দেখা শুরু। চুক্তি শেষে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর যাঁরা কোচ হয়ে এসেছিলেন, সবার সঙ্গে আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে খেলবেন, কথাটা টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বলেছিলেন। এতটা আত্মবিশ্বাস কীভাবে তৈরি হলো?
সামিন: আমাদের আত্মবিশ্বাসটা সেদিনই তৈরি হয়েছিল, যেদিন এএইচএফ কাপে আমরা চীনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। সবার মধ্যে তখন আত্মবিশ্বাস চলে আসে। সতীর্থদের অনেকে বলেছিলেন, আমরা যখন চীনের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে পেরেছি, অবশ্যই চেষ্টা করলে এশিয়া কাপেও ভালো একটা ফল পাব। এরপর যখন বিশ্বকাপের সূচি দেখি, তখন আমরা সবকিছু নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করি। কীভাবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যেতে পারব, সেভাবে কাজ শুরু করি। সবার মধ্যে একটা বিশ্বাস গড়ে ওঠে যে চেষ্টা করলে বিশ্বকাপটা খেলতে পারব। আমরা এশিয়া কাপ খেলতে আসার আগে তাই বলেছিলাম, আমরা বিশ্বকাপ খেলব।
প্রশ্ন: আগে এশিয়া কাপ থেকে শীর্ষ তিন বা চার দল বিশ্বকাপে জায়গা পেত। এবার ছয় দল যাচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে আপনারা কোন কৌশলে এগিয়েছেন?
সামিন: হ্যাঁ, এবার বিশ্বকাপে দলের সংখ্যাও বেড়েছে। আগে যেমন সেরা তিন-চারটা দল যেত। আমরা এদিকটাও মাথায় রেখে এগিয়েছি। দল বাড়ায় আমাদের সুযোগ ভালোভাবে তৈরি হয়েছে, আর আমরাও সেটা কাজে লাগিয়েছি। যে যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিয়েছে; বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই আমাদের কোচ এবং ফিজিওকে। আমাদের কোচের সহকারীও ছিল না। তিনি এককভাবে সার্বক্ষণিক আমাদের বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে পথ দেখিয়েছেন।
প্রশ্ন: ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে ভারতে বিশ্বকাপ। প্রায় এক বছর সময় বাকি। এ সময়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
সামিন: ফেডারেশনের কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে, আমরা যেন প্রস্তুতির সময়টা বেশি পাই। যেহেতু এখন বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে হবে। এখানে তো আর সব এশিয়ার দেশ নয়, ইউরোপের দেশগুলোও থাকবে ৷ সে ক্ষেত্রে আমরা যদি দেশের বাইরে গিয়ে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে বিদেশি দলগুলো সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা হবে, তাদের গতি, শক্তিমত্তা নিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা এখন যে পর্যায়ে আছি, আমাদের তো বিশ্বকাপের দলের সঙ্গে লড়াই করতে ভালোভাবে প্রস্তুত হতে হবে। যত দ্রুত আমাদের ক্যাম্প শুরু করা যায়, ততই ভালো। বিশ্বকাপের আগে যদি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারি, আশা করি বিশ্বকাপেও ভালো করব।
প্রশ্ন: হকিতে অনেক সীমাবদ্ধতা। আপনার কি মনে হয়, এখানে উন্নতি করতে কোন দিকগুলোয় আরও গুরুত্ব দিতে হবে?
সামিন: বাবা-মায়েরা মনে করেন, ছেলে খেলাধুলা করছে, সে একসময় অনেক টাকাপয়সা পাবে বা পাচ্ছে। বাস্তব চিত্র পুরোই ভিন্ন। হকিতে কিন্তু তেমন টাকা নেই! আমাদের কোনো পৃষ্ঠপোষক ছিল না। আমাদের দৈনিক ভাতা মাত্র ৪০০ টাকা। অথচ হকির একটা বুট কিনতে গেলে ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা লাগে। এরপর আমাদের এ পর্যায়ে খেলতে যে হকিস্টিক লাগে, সেটারও দাম ১৮ থেকে ২০ হাজার করে। হকি খেলার আনুষঙ্গিক সামগ্রী কিনতে যে টাকার দরকার, আমরা মাস শেষে সেটা আয় করেও পাই না। এক মাসে আসে যদি ১২ হাজার, সেখানে আমাদের জুতার দামই পড়ে ১৬ হাজার। সত্যি বলতে, আমাদের যদি একটা লেভেল পর্যন্ত সম্মানী ঠিকঠাক বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আরও এগিয়ে যেতে পারব। অনেক সময় দেখা যায়, মাস শেষে আমাদের আয় নেই, তখন হতাশায় ভুগতে হয়। এই দিকগুলোয় গুরুত্ব দিলে এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে আমাদের খেলারও আরও উন্নতি হবে বলে মনে করি।
প্রশ্ন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। এই অর্জনের পর মনের ভেতর কেমন অনুভূতি কাজ করছে?
মেহরাব হোসেন সামিন: এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। ২০২১ থেকে জানতাম যে ২০২৫ বিশ্বকাপে ২৪ দল খেলবে। এরপর থেকেই আমরা মানসিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করছিলাম। তখন আমরা বিকেএসপির শিক্ষার্থী। ওই সময়ই পরিকল্পনা শুরু, মনস্থির করি, যদি ঠিকঠাক খেলা চালিয়ে যাই, অবশ্যই বাংলাদেশের হকিকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারব। আমাদের সবার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও পূরণ করতে পারব। এই যে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার পর এত বড় অর্জন। সত্যি এই অনুভূতির সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা চলে না।
প্রশ্ন: বড় সাফল্য ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখাটা কবে কীভাবে শুরু?
সামিন: ২০২১ সালে যখন বিকেএসপি থেকে বের হব, তখন মালয়েশিয়ান কোচ ইমান গোবিনাথই আমাদের স্বপ্ন দেখান যে চাইলে ২০২৫ সালের বিশ্বকাপে খেলতে পারবে। কারণ, সেখানে দলের সংখ্যা বাড়বে ৷ তিনি আমাদের বিষয়টা বুঝিয়ে বলেন। সেই থেকেই আমাদের স্বপ্ন দেখা শুরু। চুক্তি শেষে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর যাঁরা কোচ হয়ে এসেছিলেন, সবার সঙ্গে আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে খেলবেন, কথাটা টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বলেছিলেন। এতটা আত্মবিশ্বাস কীভাবে তৈরি হলো?
সামিন: আমাদের আত্মবিশ্বাসটা সেদিনই তৈরি হয়েছিল, যেদিন এএইচএফ কাপে আমরা চীনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। সবার মধ্যে তখন আত্মবিশ্বাস চলে আসে। সতীর্থদের অনেকে বলেছিলেন, আমরা যখন চীনের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে পেরেছি, অবশ্যই চেষ্টা করলে এশিয়া কাপেও ভালো একটা ফল পাব। এরপর যখন বিশ্বকাপের সূচি দেখি, তখন আমরা সবকিছু নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করি। কীভাবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যেতে পারব, সেভাবে কাজ শুরু করি। সবার মধ্যে একটা বিশ্বাস গড়ে ওঠে যে চেষ্টা করলে বিশ্বকাপটা খেলতে পারব। আমরা এশিয়া কাপ খেলতে আসার আগে তাই বলেছিলাম, আমরা বিশ্বকাপ খেলব।
প্রশ্ন: আগে এশিয়া কাপ থেকে শীর্ষ তিন বা চার দল বিশ্বকাপে জায়গা পেত। এবার ছয় দল যাচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে আপনারা কোন কৌশলে এগিয়েছেন?
সামিন: হ্যাঁ, এবার বিশ্বকাপে দলের সংখ্যাও বেড়েছে। আগে যেমন সেরা তিন-চারটা দল যেত। আমরা এদিকটাও মাথায় রেখে এগিয়েছি। দল বাড়ায় আমাদের সুযোগ ভালোভাবে তৈরি হয়েছে, আর আমরাও সেটা কাজে লাগিয়েছি। যে যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিয়েছে; বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই আমাদের কোচ এবং ফিজিওকে। আমাদের কোচের সহকারীও ছিল না। তিনি এককভাবে সার্বক্ষণিক আমাদের বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়ে পথ দেখিয়েছেন।
প্রশ্ন: ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে ভারতে বিশ্বকাপ। প্রায় এক বছর সময় বাকি। এ সময়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
সামিন: ফেডারেশনের কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে, আমরা যেন প্রস্তুতির সময়টা বেশি পাই। যেহেতু এখন বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে হবে। এখানে তো আর সব এশিয়ার দেশ নয়, ইউরোপের দেশগুলোও থাকবে ৷ সে ক্ষেত্রে আমরা যদি দেশের বাইরে গিয়ে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে বিদেশি দলগুলো সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা হবে, তাদের গতি, শক্তিমত্তা নিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা এখন যে পর্যায়ে আছি, আমাদের তো বিশ্বকাপের দলের সঙ্গে লড়াই করতে ভালোভাবে প্রস্তুত হতে হবে। যত দ্রুত আমাদের ক্যাম্প শুরু করা যায়, ততই ভালো। বিশ্বকাপের আগে যদি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারি, আশা করি বিশ্বকাপেও ভালো করব।
প্রশ্ন: হকিতে অনেক সীমাবদ্ধতা। আপনার কি মনে হয়, এখানে উন্নতি করতে কোন দিকগুলোয় আরও গুরুত্ব দিতে হবে?
সামিন: বাবা-মায়েরা মনে করেন, ছেলে খেলাধুলা করছে, সে একসময় অনেক টাকাপয়সা পাবে বা পাচ্ছে। বাস্তব চিত্র পুরোই ভিন্ন। হকিতে কিন্তু তেমন টাকা নেই! আমাদের কোনো পৃষ্ঠপোষক ছিল না। আমাদের দৈনিক ভাতা মাত্র ৪০০ টাকা। অথচ হকির একটা বুট কিনতে গেলে ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা লাগে। এরপর আমাদের এ পর্যায়ে খেলতে যে হকিস্টিক লাগে, সেটারও দাম ১৮ থেকে ২০ হাজার করে। হকি খেলার আনুষঙ্গিক সামগ্রী কিনতে যে টাকার দরকার, আমরা মাস শেষে সেটা আয় করেও পাই না। এক মাসে আসে যদি ১২ হাজার, সেখানে আমাদের জুতার দামই পড়ে ১৬ হাজার। সত্যি বলতে, আমাদের যদি একটা লেভেল পর্যন্ত সম্মানী ঠিকঠাক বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আরও এগিয়ে যেতে পারব। অনেক সময় দেখা যায়, মাস শেষে আমাদের আয় নেই, তখন হতাশায় ভুগতে হয়। এই দিকগুলোয় গুরুত্ব দিলে এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে আমাদের খেলারও আরও উন্নতি হবে বলে মনে করি।
অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে জামাল ভূঁইয়া। প্রিমিয়ার লিগে পাননি কোনো দলও। শেষ পর্যন্ত ডেনমার্কেই ফিরে যান। সেখানে লম্বা সময় ছুটির আমেজে থাকলেও অনুশীলন ছাড়েননি জামাল, ‘এত দিন আমি ডেনমার্কে ছিলাম, ওখানে স্থানীয় পর্যায়ে খেলেছি ক্লাবে অনুশীলন করেছি।’
১৫ মিনিট আগেনেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ শুরু পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নেপালের বিপক্ষে ব্যাটিংটা ততটা ভালো না হলেও বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ ছিল বাংলাদেশ। টস জিতে নেপালকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার।
১৭ মিনিট আগেওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কিংসটাউনে সিরিজের দ্বিতীয় টোয়েন্টিতে চোটে পড়েন সৌম্য সরকার। ফিল্ডিং করার সময় ডান তর্জনী কেটে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন, লেগেছিল পাঁচটি সেলাইও। চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে, তখনই বিসিবির চিকিৎসা বিভাগ জানিয়েছিল। সৌম্য এখন সুস্থতার দিকে। চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
৩ ঘণ্টা আগেআক্রমণের পর আক্রমণ, দিশেহারা হয়ে ওঠে আল-তাউনের রক্ষণ। কিন্তু ফুটবল তো গোলের খেলা। আক্রমণ যেমনই হোক, কাঙ্ক্ষিত গোলই তো মুখ্য। উল্টো নিজেরাই প্রথমার্ধে গোল হজম করে পিছিয়ে যায় আল নাসর। সফল হতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও, আইমেরিক লাপোর্তের গোলে কোনোরকম হার এড়ায় তারা।
৩ ঘণ্টা আগে