প্রযুক্তি ডেস্ক
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক ধরনের লড়াই চলছে বিশ্বব্যাপী। যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্সের স্টারলিংক, যুক্তরাজ্যের ওয়ানওয়েব, যুক্তরাষ্ট্রের আমাজনের কুইপারের মতো মহাকাশ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা যায় প্রতিযোগিতায় নেমে গেছে।
স্যটেলাইট ইন্টারনেট হচ্ছে একধরনের সংযোগ যেটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এখানে ইন্টারনেট সিগন্যাল প্রদান করা হয় যেটি গ্রাহকের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (আইএসপি) সরবরাহ করে থাকে। এরপর এই ইন্টারনেট সিগন্যালটি স্যাটেলাইট হয়ে গ্রাহকের কাছে আসে। এই ইন্টারনেট সিগন্যালটি গ্রাহকের স্যাটেলাইট ডিশ ক্যাপচার করে বা ধারণ করে। এই স্যাটেলাইট ডিশের সাথে সংযুক্ত থাকে গ্রাহকের ইন্টারনেট মডেম। প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট মডেমের মাধ্যমেই মূলত গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা পেয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের লাইসেন্স প্রদান করে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)।
জানা গেছে, ১৯৫৭ সালের অক্টোবর মাসে সর্বপ্রথম তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশে স্পুটনিক ১ নামে স্যাটেলাইট পাঠায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫৮ সালে সফলভাবে এক্সপ্লোরার ১ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায়। সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্যাটেলাইট হচ্ছে টেলেস্টার ১। এটি ১৯৬২ সালে পাঠানো হয়। টেলেস্টার ১ নির্মাণ করেছিল বেল ল্যাবস। এরপরই চলে আসে জিওসিনক্রোনওয়াস স্যাটেলাইট আর জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট নিয়ে গবেষণা।
পৃথিবীর জিওস্টেশনারি অরবিটে সফলভাবে পৌছানো প্রথম স্যাটেলাইট হচ্ছে সিনকম৩। ১৯৬৩ সালের আগস্ট মাসে এটি নাসার জন্য নির্মাণ করে দিয়েছিল হুজেস এয়ারক্রাফট। এরপর সময়ের সাথে সাথে টেলিভিশন, মিলিটারি এবং টেলিকমিউনিকেশনের উদ্দেশ্যে যোগাযোগ স্যাটেলাইটগুলোর ব্যবহার বাড়তে থাকে। ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উদ্ভাবনের পর ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করার কাজে জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের ব্যবহার বাড়তে থাকে। বর্তমানে জিওস্টেশনারি অরবিটের পাশাপাশি মিডিয়াম আর্থ অরবিট এবং লো আর্থ অরবিটে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে ইন্টারনেট সার্ভিসের কাজ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে স্যাটেলাইটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিজ্ঞানীরা চর্চা করছেন। সেটি হলো স্যাটেলাইট কনস্টেলাশন। এটি হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে একসাথে অনেকগুলো কৃত্রিম স্যাটেলাইট একত্রে কাজ করে একটি টোটাল সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। এই স্যাটেলাইট কনস্টেলাশনের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীর ইন্টারনেট যোগাযোগ কভার করা সম্ভব হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম(জিপিএস), রাশিয়ার গ্লোনাস এধরনের স্যাটেলাইট কনস্টেলাশনের বাস্তব প্রয়োগ। জিপিএস, গ্লোনাস হচ্ছে এক ধরনের নেভিগেশন সিস্টেম প্রভাইডার যারা পৃথিবীতে কারও অবস্থান বের করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এই স্যাটেলাইট কনস্টেলাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরো পৃথিবীব্যাপী স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা দেয়ার জন্য কাজ করছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান মহাকাশ প্রযুক্তি কোম্পানি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ওয়ানওয়েব, স্টারলিংক, ও৩বি এমইও, কুইপার ।
বর্তমানে বাংলাদেশেরও রয়েছে নিজস্ব ইন্টারনেট স্যাটেলাইট সিস্টেম – বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১। এটি ১২মে ২০১৮ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়। এই স্যাটেলাইটটি বানিয়েছে ফ্রাংকো ইটালিয়ান কোম্পানি থালেস এলেনিয়া স্পেস। এটি স্পেসএক্সের ফ্যালকন৯ ব্লক ৫ রকেটের সাহায্যে উৎক্ষেপন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ স্যাটেলাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার উৎক্ষেপন কমপ্লেক্স থেকে উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর যাবতীয় কাজ তদারকি করে থাকে। কোম্পানিটি বাংলাদেশ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ইন্টারনেট সেবাই নয়,স্যাটেলাইট নিয়ে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নানারকম সমীকরণ চলছে। কারণ স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশনের মাধ্যমে যেকোনো মানুষ বা বস্তুর অবস্থান বের করা সম্ভব হচ্ছে। এজন্য ইন্টারনেট সেবার আড়ালে এক ধরনের প্রতিযোগিতাও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া,জাপানসহ পুরো ইউরোপের। এই প্রতিযোগিতা মহাকাশের পরিবেশ যেন হুমকীর মধ্যে না ফেলে সেটা নিয়ে এক ধরনের উৎকন্ঠা চলছে।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক ধরনের লড়াই চলছে বিশ্বব্যাপী। যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্সের স্টারলিংক, যুক্তরাজ্যের ওয়ানওয়েব, যুক্তরাষ্ট্রের আমাজনের কুইপারের মতো মহাকাশ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা যায় প্রতিযোগিতায় নেমে গেছে।
স্যটেলাইট ইন্টারনেট হচ্ছে একধরনের সংযোগ যেটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এখানে ইন্টারনেট সিগন্যাল প্রদান করা হয় যেটি গ্রাহকের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (আইএসপি) সরবরাহ করে থাকে। এরপর এই ইন্টারনেট সিগন্যালটি স্যাটেলাইট হয়ে গ্রাহকের কাছে আসে। এই ইন্টারনেট সিগন্যালটি গ্রাহকের স্যাটেলাইট ডিশ ক্যাপচার করে বা ধারণ করে। এই স্যাটেলাইট ডিশের সাথে সংযুক্ত থাকে গ্রাহকের ইন্টারনেট মডেম। প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট মডেমের মাধ্যমেই মূলত গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা পেয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের লাইসেন্স প্রদান করে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)।
জানা গেছে, ১৯৫৭ সালের অক্টোবর মাসে সর্বপ্রথম তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশে স্পুটনিক ১ নামে স্যাটেলাইট পাঠায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫৮ সালে সফলভাবে এক্সপ্লোরার ১ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায়। সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্যাটেলাইট হচ্ছে টেলেস্টার ১। এটি ১৯৬২ সালে পাঠানো হয়। টেলেস্টার ১ নির্মাণ করেছিল বেল ল্যাবস। এরপরই চলে আসে জিওসিনক্রোনওয়াস স্যাটেলাইট আর জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট নিয়ে গবেষণা।
পৃথিবীর জিওস্টেশনারি অরবিটে সফলভাবে পৌছানো প্রথম স্যাটেলাইট হচ্ছে সিনকম৩। ১৯৬৩ সালের আগস্ট মাসে এটি নাসার জন্য নির্মাণ করে দিয়েছিল হুজেস এয়ারক্রাফট। এরপর সময়ের সাথে সাথে টেলিভিশন, মিলিটারি এবং টেলিকমিউনিকেশনের উদ্দেশ্যে যোগাযোগ স্যাটেলাইটগুলোর ব্যবহার বাড়তে থাকে। ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উদ্ভাবনের পর ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করার কাজে জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের ব্যবহার বাড়তে থাকে। বর্তমানে জিওস্টেশনারি অরবিটের পাশাপাশি মিডিয়াম আর্থ অরবিট এবং লো আর্থ অরবিটে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে ইন্টারনেট সার্ভিসের কাজ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে স্যাটেলাইটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিজ্ঞানীরা চর্চা করছেন। সেটি হলো স্যাটেলাইট কনস্টেলাশন। এটি হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে একসাথে অনেকগুলো কৃত্রিম স্যাটেলাইট একত্রে কাজ করে একটি টোটাল সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। এই স্যাটেলাইট কনস্টেলাশনের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীর ইন্টারনেট যোগাযোগ কভার করা সম্ভব হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম(জিপিএস), রাশিয়ার গ্লোনাস এধরনের স্যাটেলাইট কনস্টেলাশনের বাস্তব প্রয়োগ। জিপিএস, গ্লোনাস হচ্ছে এক ধরনের নেভিগেশন সিস্টেম প্রভাইডার যারা পৃথিবীতে কারও অবস্থান বের করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এই স্যাটেলাইট কনস্টেলাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরো পৃথিবীব্যাপী স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা দেয়ার জন্য কাজ করছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান মহাকাশ প্রযুক্তি কোম্পানি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ওয়ানওয়েব, স্টারলিংক, ও৩বি এমইও, কুইপার ।
বর্তমানে বাংলাদেশেরও রয়েছে নিজস্ব ইন্টারনেট স্যাটেলাইট সিস্টেম – বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১। এটি ১২মে ২০১৮ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়। এই স্যাটেলাইটটি বানিয়েছে ফ্রাংকো ইটালিয়ান কোম্পানি থালেস এলেনিয়া স্পেস। এটি স্পেসএক্সের ফ্যালকন৯ ব্লক ৫ রকেটের সাহায্যে উৎক্ষেপন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ স্যাটেলাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার উৎক্ষেপন কমপ্লেক্স থেকে উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর যাবতীয় কাজ তদারকি করে থাকে। কোম্পানিটি বাংলাদেশ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ইন্টারনেট সেবাই নয়,স্যাটেলাইট নিয়ে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নানারকম সমীকরণ চলছে। কারণ স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশনের মাধ্যমে যেকোনো মানুষ বা বস্তুর অবস্থান বের করা সম্ভব হচ্ছে। এজন্য ইন্টারনেট সেবার আড়ালে এক ধরনের প্রতিযোগিতাও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া,জাপানসহ পুরো ইউরোপের। এই প্রতিযোগিতা মহাকাশের পরিবেশ যেন হুমকীর মধ্যে না ফেলে সেটা নিয়ে এক ধরনের উৎকন্ঠা চলছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটির’ জন্য নতুন ফিচার নিয়ে এল ওপেনএআই। এখন চ্যাট হিস্টোরি বা চ্যাট ইতিহাসে সার্চ করে দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পারবেন ব্যবহারকারীরা। তবে ফিচারটি এখন শুধু ওয়েব সংস্করণের শুধু ব্যবহার করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তির জগতে উদ্ভাবনের জোয়ারে এসেছে একটি নতুন ধরনের ফোন নিয়ে এসেছে নাথিং কোম্পানি। ‘ফোন ২এ প্লাসের একটি বিশেষ সংস্করণ’ নিয়ে এসেছে নাথিং। এই সংস্করণে ‘গ্লো-ইন-দ্য ডার্ক’ ডিজাইন যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ফোনের স্ক্রিন বন্ধ থাকলেও অন্ধকার জ্বলজ্বল করবে এই ফোন। ফলে অন্ধকার ঘরে বা রাতের বেলা খুব সহজেই ফ
৪ ঘণ্টা আগেমানুষের মতো সহজে মনের কথা বুঝতে পারে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুল। এ জন্য কাজ সম্পাদনের এসব টুলের সঙ্গে অন্যভাবে যোগাযোগ করতে হয়। তাই এআই মডেল ব্যবহারের সময় এই যোগাযোগের জন্য ‘প্রম্পট’ ব্যবহার করা হয়। চ্যাটবটের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য এই ইনপুট ব্যবহার করতে হয়। প্রম্পটিং হলো এআই-এর
৬ ঘণ্টা আগেচীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইয়িমিং। দেশটির ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই তালিকায় ৪৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন ঝ্যাং। ২০২৩ সালের তুলনায় তা
১ দিন আগে