প্রযুক্তি ডেস্ক
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বোঝার আগে ‘সোর্স কোড’ কী তা বোঝা জরুরি। সোর্স কোড মূলত কোনো প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার তৈরির জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে লেখা কোড। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সোর্স কোড সম্পূর্ণ উন্মুক্ত থাকে। যদি কোনো সফটওয়্যারের ওপেন সোর্স লাইসেন্স থাকে তাহলে সেই সফটওয়্যারটিকে যেকোনো ব্যবহারকারী বিনামূল্যে ডাউনলোডের পাশাপাশি ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে পারেন।
কিছু ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের উদাহরণ— লিনাক্স কার্নেল, ক্রোমিয়াম ব্রাউজার, মোজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার, ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার, লিব্রা অফিস, ওয়ার্ডপ্রেস, পাইথন, ব্লেন্ডার, ইঙ্কস্কেপ ইত্যাদি।
ফ্রি ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের পার্থক্য
যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে কোনো টাকা খরচ করতে হয় না সেগুলোই মূলত ফ্রি সফটওয়্যার। যেমন— গুগল ক্রোম , কেএম প্লেয়ার, পিকাসা ইত্যাদি। তবে ফ্রি সব সফটওয়্যার ওপেনসোর্স হয় না। অর্থাৎ এসব সফটওয়্যারের সোর্স কোড যে কেউ দেখার পাশাপাশি নিজের প্রয়োজন মতো পরিবর্তনে করতে পারেন না।
সব ওপেন সোর্স সফটওয়্যারই ফ্রি নয়, আবার সব ফ্রি সফটওয়্যারও ওপেন সোর্স নয়। বেশির ভাগ ওপেন সোর্স সফটওয়্যারই ফ্রি। তবে বেশ কিছু ওপেনসোর্স সফটওয়্যার রয়েছে যারা সফটওয়্যার সার্ভিস এবং সাপোর্ট বাবদ কিছু টাকা নিয়ে থাকে। যেমন— রেড হ্যাট লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ইতিহাস
১৯৫০ ও ১৯৬০–এর দশকে বেশির ভাগ সফটওয়্যার শিক্ষাবিদ ও করপোরেট গবেষকেরা তৈরি করতেন। ফলে এই সফটওয়্যারের কোডগুলো উন্মুক্ত থাকত। তবে সত্তর ও আশির দশকে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। ফলস্বরূপ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বানানো সফটওয়্যার পরিবর্তন এবং শেয়ারের সুবিধা সীমাবদ্ধ করে দেয়।
রিচার্ড স্টলম্যান এমআইটির আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরিতে প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছিলেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উত্থান এবং প্রোগ্রামারদের মধ্যে স্বাধীনতা ও সহযোগিতা হারানোর কারণে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। এমআইটির চাকরি ছেড়ে ১৯৮৩ সালে প্রথম ওপেন সোর্স প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি ‘গ্নু প্রোজেক্ট’ ও ‘গ্নু ওএস’ সফটওয়্যার নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং এগুলোর লাইসেন্স সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স রাখেন। ফলে যেকোনো ব্যবহারকারী সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার পাশাপাশি পরিবর্তনেরও সুবিধা পায়।
অপারেটিং সিস্টেমের অনেক উপাদান যেমন— কম্পাইলার, এডিটর, লাইব্রেরি এবং ইউটিলিটি ডেভেলপ করলেও একটি অপারেটিং সিস্টেমের মূল উপাদান— কার্নেলের অভাব ছিল। কার্নেল হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেমের মূল যা হার্ডওয়্যার রিসোর্স এবং কোনো নির্দেশনা তত্ত্বাবধান করে।
১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিনাস টোরভাল্ডস শখের বশে একটি ইউনিক্স (অপারেটিং সিস্টেম) সদৃশ কার্নেল তৈরি করেন।
লিনাক্স শুরুতে ফ্রি সফটওয়্যার ছিল না। তবে ১৯৯২ সালে টোরভাল্ডস জিএনইউ জেনারেল পাবলিক লাইসেন্সের (জিপিএল) অধীনে সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে লিনাক্স একটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যারে পরিণত হয়। লিনাক্সকে জিএনইউর উপাদানগুলোর সঙ্গে একত্রিত করে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হয়। যেটিকে জিএনইউ/লিনাক্স বা শুধু লিনাক্স বলা হয়।
নমনীয়, কর্মক্ষম ও ওপেনসোর্স হওয়ার কারণে লিনাক্স হ্যাকার ও ডেভেলপারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা উইন্ডোজ ও ম্যাকওএস–এর মতো মালিকানাভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের বদলে লিনাক্স ব্যবহার শুরু করে। লিনাক্সের অনেক সংস্করণ বাজারে এসেছে যা লিনাক্স কার্নেলের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর সবগুলোই সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স। যেমন – উবুন্টু, কালি লিনাক্স, সেন্ট ওএস, ডেবিয়ান, রেড হ্যাট লিনাক্স, ফেডোরা কোর ইত্যাদি।
পরবর্তীতে, ১৯৯৮ সালে বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীকে বিনামূল্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি এবং সফটওয়্যারে পরিবর্তনের সুযোগ বাড়াতে ‘ওপেন সোর্স’ টার্মের প্রচলন করা হয়। মূলত এরপর থেকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বানানো বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ওপেনসোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করে।
অ্যান্ড্রয়েড কি ওপেন সোর্স
অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এটি মূলত লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করে তৈরি করা। অ্যান্ড্রয়েড ফ্রি ও ওপেন সোর্স হওয়ায় যেকোনো স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের মোবাইল ফোনে বিনামূল্যে এই অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করে নিতে পারে। তবে এর জন্য গুগলের কাছ থেকে এককালীন লাইসেন্স কিনতে হয়।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বোঝার আগে ‘সোর্স কোড’ কী তা বোঝা জরুরি। সোর্স কোড মূলত কোনো প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার তৈরির জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে লেখা কোড। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের সোর্স কোড সম্পূর্ণ উন্মুক্ত থাকে। যদি কোনো সফটওয়্যারের ওপেন সোর্স লাইসেন্স থাকে তাহলে সেই সফটওয়্যারটিকে যেকোনো ব্যবহারকারী বিনামূল্যে ডাউনলোডের পাশাপাশি ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে পারেন।
কিছু ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের উদাহরণ— লিনাক্স কার্নেল, ক্রোমিয়াম ব্রাউজার, মোজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার, ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার, লিব্রা অফিস, ওয়ার্ডপ্রেস, পাইথন, ব্লেন্ডার, ইঙ্কস্কেপ ইত্যাদি।
ফ্রি ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের পার্থক্য
যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে কোনো টাকা খরচ করতে হয় না সেগুলোই মূলত ফ্রি সফটওয়্যার। যেমন— গুগল ক্রোম , কেএম প্লেয়ার, পিকাসা ইত্যাদি। তবে ফ্রি সব সফটওয়্যার ওপেনসোর্স হয় না। অর্থাৎ এসব সফটওয়্যারের সোর্স কোড যে কেউ দেখার পাশাপাশি নিজের প্রয়োজন মতো পরিবর্তনে করতে পারেন না।
সব ওপেন সোর্স সফটওয়্যারই ফ্রি নয়, আবার সব ফ্রি সফটওয়্যারও ওপেন সোর্স নয়। বেশির ভাগ ওপেন সোর্স সফটওয়্যারই ফ্রি। তবে বেশ কিছু ওপেনসোর্স সফটওয়্যার রয়েছে যারা সফটওয়্যার সার্ভিস এবং সাপোর্ট বাবদ কিছু টাকা নিয়ে থাকে। যেমন— রেড হ্যাট লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের ইতিহাস
১৯৫০ ও ১৯৬০–এর দশকে বেশির ভাগ সফটওয়্যার শিক্ষাবিদ ও করপোরেট গবেষকেরা তৈরি করতেন। ফলে এই সফটওয়্যারের কোডগুলো উন্মুক্ত থাকত। তবে সত্তর ও আশির দশকে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। ফলস্বরূপ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বানানো সফটওয়্যার পরিবর্তন এবং শেয়ারের সুবিধা সীমাবদ্ধ করে দেয়।
রিচার্ড স্টলম্যান এমআইটির আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরিতে প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছিলেন। মালিকানাধীন সফটওয়্যারের উত্থান এবং প্রোগ্রামারদের মধ্যে স্বাধীনতা ও সহযোগিতা হারানোর কারণে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। এমআইটির চাকরি ছেড়ে ১৯৮৩ সালে প্রথম ওপেন সোর্স প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি ‘গ্নু প্রোজেক্ট’ ও ‘গ্নু ওএস’ সফটওয়্যার নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং এগুলোর লাইসেন্স সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স রাখেন। ফলে যেকোনো ব্যবহারকারী সফটওয়্যারের সোর্স কোড দেখার পাশাপাশি পরিবর্তনেরও সুবিধা পায়।
অপারেটিং সিস্টেমের অনেক উপাদান যেমন— কম্পাইলার, এডিটর, লাইব্রেরি এবং ইউটিলিটি ডেভেলপ করলেও একটি অপারেটিং সিস্টেমের মূল উপাদান— কার্নেলের অভাব ছিল। কার্নেল হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেমের মূল যা হার্ডওয়্যার রিসোর্স এবং কোনো নির্দেশনা তত্ত্বাবধান করে।
১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিনাস টোরভাল্ডস শখের বশে একটি ইউনিক্স (অপারেটিং সিস্টেম) সদৃশ কার্নেল তৈরি করেন।
লিনাক্স শুরুতে ফ্রি সফটওয়্যার ছিল না। তবে ১৯৯২ সালে টোরভাল্ডস জিএনইউ জেনারেল পাবলিক লাইসেন্সের (জিপিএল) অধীনে সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে লিনাক্স একটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যারে পরিণত হয়। লিনাক্সকে জিএনইউর উপাদানগুলোর সঙ্গে একত্রিত করে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হয়। যেটিকে জিএনইউ/লিনাক্স বা শুধু লিনাক্স বলা হয়।
নমনীয়, কর্মক্ষম ও ওপেনসোর্স হওয়ার কারণে লিনাক্স হ্যাকার ও ডেভেলপারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা উইন্ডোজ ও ম্যাকওএস–এর মতো মালিকানাভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের বদলে লিনাক্স ব্যবহার শুরু করে। লিনাক্সের অনেক সংস্করণ বাজারে এসেছে যা লিনাক্স কার্নেলের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর সবগুলোই সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স। যেমন – উবুন্টু, কালি লিনাক্স, সেন্ট ওএস, ডেবিয়ান, রেড হ্যাট লিনাক্স, ফেডোরা কোর ইত্যাদি।
পরবর্তীতে, ১৯৯৮ সালে বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীকে বিনামূল্যে সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি এবং সফটওয়্যারে পরিবর্তনের সুযোগ বাড়াতে ‘ওপেন সোর্স’ টার্মের প্রচলন করা হয়। মূলত এরপর থেকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বানানো বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ওপেনসোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করে।
অ্যান্ড্রয়েড কি ওপেন সোর্স
অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এটি মূলত লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করে তৈরি করা। অ্যান্ড্রয়েড ফ্রি ও ওপেন সোর্স হওয়ায় যেকোনো স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের মোবাইল ফোনে বিনামূল্যে এই অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করে নিতে পারে। তবে এর জন্য গুগলের কাছ থেকে এককালীন লাইসেন্স কিনতে হয়।
টাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
১৭ মিনিট আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে মানব মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের অনুমোদন পেল ইলন মাস্কের নিউরো প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক। কানাডায় মানব ট্রায়াল চালানোর জন্য অনুমোদন পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রক্রিয়ার জন্য ‘প্রথম এবং একমাত্র সার্জিক্যাল সাইট’ হবে কানাডার টরন্টো ওয়েস্
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী নতুন সিরিজ ফাইন্ড এক্স ৮ উন্মোচন করল চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা অপো। এই সিরিজে অপো ফাইন্ড এক্স ও অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেল দুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মডেল দুটিতেই ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে। তবে অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেলে আইফোনের মতো ক্যামেরা বাটন যুক্ত করা হয়েছে। সিরিজটিতে মিডিয়াটেক
১ দিন আগে