Ajker Patrika

সৌদি নিওম শহরে যাত্রী পরিবহনে বৈদ্যুতিক জাহাজ, উড়বে পানির ওপর

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৪: ০৪
Thumbnail image

সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল এলাকাজুড়ে লোহিত সাগরের তীরে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী নগর প্রকল্প নিওম। এই শহরে যাত্রী পরিবহন করবে প্রায় দূষণমুক্ত বিদ্যুৎচালিত জাহাজ। হাইড্রোফয়েল প্রযুক্তির এই জাহাজ পানির ওপর প্রায় ‘উড়ন্ত’ অবস্থায় চলাচল করে।

এই জাহাজে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হয় না। ফলে অল্প পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করে। ‘ক্যান্ডেলা পি–১২’ নামে এই হাইড্রোফয়েল জাহাজ বানায় সুইডিশ কোম্পানি ক্যান্ডেলা। টেকসই সামুদ্রিক পরিবহনের লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদন এসব তথ্য জানা যায়।

‘ক্যান্ডেলা পি–১২’ জাহাজগুলো নিওম–এর পরিকল্পিত জলপথ নেটওয়ার্কে সেবা দেবে। ক্যান্ডেলার ইতিহাসে এই অর্ডারটি সবচেয়ে বড়। কোম্পানির সিইও গাস্টাভ হ্যাসেলসকগ বলেছেন, ‘পি–১২ জাহাজটি শূন্য-নির্গমন পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে, যা প্রচলিত জাহাজের তুলনায় পরিবেশবান্ধব।’

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্যান্ডেলা পি–১২ স্টকহোমের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এটি দ্রুততম ও দীর্ঘতম পরিসরের বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী জাহাজ হিসেবে পরিচিত। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পানির নিচের পাখা বা হাইড্রোফয়েল ব্যবহার করার হয়েছে। তাই জাহাজগুলো প্রচলিত জাহাজের তুলনায় ৮০ শতাংশ কম শক্তি ব্যবহার করে।

হ্যাসেলসকগ বলেন, ‘প্রচলিত বড়, ধীর ও শক্তি অপচয়কারী জাহাজের তুলনায়, ক্যান্ডেলা পি১২ ছোট এবং দ্রুত চলে। ফলে জাহাজটি দিয়ে কম সময়ে বেশি বেশি যাত্রার সুযোগ দেয় এবং যাত্রীদের জন্য দ্রুত যাত্রা নিশ্চিত করে।’

জাহাজটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫ নটস ও একবার চার্জে ২ ঘণ্টারও বেশি চলতে পারে। নিওমের উচ্চাকাঙ্ক্ষী শহর পরিকল্পনায় এই প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

স্টকহোমের কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, একটি পি–১২ জাহাজের জীবনকালে ৯৭.৫ শতাংশ কম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করবে, যা প্রচলিত ডিজেল জাহাজের তুলনায় অনেক কম। এটি নিওমের টেকসই শহুরে তৈরির লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। 
হাইড্রোফয়েল প্রযুক্তি যাত্রীদের যাতায়াত আরও আরামদায়ক হবে।

হ্যাসেলসকগ আরও বলেন, ‘যাত্রীরা লাল সাগরের ওপর মসৃণভাবে উড়বে। কারণ পি–১২ এর ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম প্রতি সেকেন্ডে ১০০ বার জাহাজের ভারসাম্য বজায় রাখবে, বাতাস ও ঢেউয়ের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

এ ছাড়া বৈদ্যুতিক ক্যান্ডেলা সি–পিওডি মোটরগুলো যা পানির নিচের পডের ভেতরে (পানির নিচে বা বাতাসে চলাচলকারী ছোট ইউনিট যা যন্ত্রাংশ বা প্রযুক্তি ধারণ করে) থাকবে। ফলে এটি কম শব্দ তৈরি করে এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে কম প্রভাবিত করে।

২০২৫ ও ২০২৬ সালের শুরুর দিকে প্রথম আটটি জাহাজের সরবরাহ করা হবে।

চলতি বছরের শুরুতে এক প্রতিবেদনে আল অ্যারাবিয়া ইংলিশ বলছে, নিওম বিশাল ব্যবসা ও পর্যটন প্রকল্পের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি নির্মাণকর্মী সাইটের মূল অঞ্চলগুলো উন্নয়নে নিয়োজিত রয়েছে। নতুন পরিবহন ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি এই পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

গত মে মাসে প্রকল্পটির একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে বিশাল আকারের নির্মাণকাজের দৃশ্য দেখা যায় এবং গত এক বছরে কাজের জন্য নিয়োজিত কর্মী সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী সহকর্মীর সঙ্গে রাতযাপন: হাইটেক পার্কের ডিডি আতিক বরখাস্ত

বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের

পদ্মা সেতু ও ড. ইউনূসকে নিয়ে ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণ! ভাইরাল ভিডিওর পেছনের ঘটনা জানুন

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ

২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত