অনলাইন ডেস্ক
সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির জয়জয়কার। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন ১৪ বছরের ব্যবধানে শূন্য থেকে ১ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। তবে এর মূল্য সরল রৈখিকভাবে বাড়েনি; এর বৃদ্ধি ছিল অত্যন্ত অস্থির। বিটকয়েনের এই মূল্যবৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতি ও বাজারের জন্য এক নজিরবিহীন ঘটনা।
বিটকয়েনের জন্ম: ২০০৮-২০০৯
বিটকয়েনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। ‘সাতোশি নাকামোতো’ নামের এক অজানা ব্যক্তির (বা গ্রুপের) বিটকয়েনের ধারণা প্রকাশ করেন। এই ধারণা একটি নতুন ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা তৈরির কথা বলা হয়েছিল যা কেন্দ্রীয় কোনো ব্যাংক বা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না, বরং ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে স্যাটোশি নাকামোতো বিটকয়েন ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক চালু করেন এবং প্রথম বিটকয়েন ব্লক ‘জেনেসিস ব্লক’ তৈরি করেন। প্রথম ৫০ বিটকয়েন তৈরি হয়েছিল এই ব্লকের মাধ্যমে, কিন্তু তখন তার মূল্য ছিল শূন্য। প্রথম কয়েক বছর বিটকয়েনের বাজার ছিল খুবই ছোট এবং তার ব্যবহারও ছিল সীমিত।
বিটকয়েনের মূল্য পরিবর্তনের ইতিহাস
বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ ও ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ার কারণে বিটকয়েনের মূল্য বেড়েছে। বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিকভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার মূলধনও বেড়েছে।
সাতোশি নাকামোতো একে দৈনন্দিন লেনদেনের জন্য ডিজাইন করলেও এখন অনেকভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে এটি। বিটকয়েন বর্তমানে মূল্য সংরক্ষণ, সম্পদ বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি থেকে সুরক্ষা পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিটকয়েনকে সোনার মতো একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে দেখা হয়।
বিটকয়েনের মূল্য সাধারণত ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীর মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। যারা বাজারের পরবর্তী বড় পরিবর্তন বা মূল্য ওঠানামা পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ক্রয়-বিক্রয় করেন। বিটকয়েনের মূল্য কখনই স্থির থাকে না। এর মূল্য বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে।
যারা বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্ভরযোগ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বেছে নেওয়া। নিরাপদ এবং প্রতিষ্ঠিত এক্সচেঞ্জে বিনিয়োগ করলে লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। তাই, বিনিয়োগের আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০০৯-২০১৫: প্রায় শূন্য থেকে শুরু
২০০৯ সালে বিটকয়েন চালু হওয়ার সময় এর মূল্য ছিল প্রায় শূন্য। ২০১০ সালের মে মাসে বিটকয়েনের মূল্য প্রথমবারের মতো নগদায়নের সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ২৬ অক্টোবর এর মূল্য দশমিক ২ ডলারে–এ উন্নীত হয় এবং বছর শেষে এক বিটকয়েনের মূল্য দাঁড়ায় দশমিক ৩ ডলারে পৌঁছায়।
২০১১ সালে এটি প্রথমবারের মতো ১ ডলার অতিক্রম করে এবং ৮ জুন ২৯ দশমিক ৬০ ডলারে-এ পৌঁছায়। কিন্তু পরবর্তীতে বছর শেষে মূল আবার কমে বিটকয়নের মূল্য ৫ ডলার হয়।
২০১২ সালে বিটকয়েনের মূল্য সামান্য বাড়ে। ২০১৩ সালের নভেম্বরে বিটকয়েন ১ হাজার ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছিল। বছরের শুরুতে এর মূল্য ছিল ১৩ ডলার আর বছর শেষে এর মূল্য ৭৩২ ডলার।
২০১৬–২০২০: বিটকয়েনের মূল্যের বড় উত্থান
২০১৬ সালে বিটকয়েন ধীরে ধীরে ৯০০ ডলারে পৌঁছায়। ২০১৭ সালে এর মূল্য ১ হাজার ডলার থেকে ১৯ হাজার ১৮৮ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যায়।
২০২০ সালে কোভিড–১৯ মহামারির সময় বিটকয়েনের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এই বছর শুরুতে বিটকয়েনের মূল্য ৭ হাজার ১৬১ ডলার হয় এবং বছরের শেষে এর মূল্য দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৯৯৩ ডলার। এই বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৪১৬ শতাংশ।
২০২১-২০২৩: মূল্যবৃদ্ধি ও ধস
২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি বিটকয়েনের মূল্য ৪০ হাজার ডলার অতিক্রম করে। এপ্রিল মাসে এর মূল্য ৬৪ হাজার ৮৯৫ ডলারে পৌঁছে। তবে জুন–জুলাইয়ে এর মূল্য অর্ধেকে নেমে আসে।
২০২২ সালে ক্রিপ্টো বাজারের ধস নামে। এই বছরের শেষে বিটকয়েনের মূল্য ২০ হাজার ডলারের নিচে নেমে যায়। তবে ২০২৩ সালের শুরুতে বিটকয়নের মূল্য ১৬ হাজার ৫৩০ ডলার ছিল এবং বছর শেষে এর মূল্য ৪২ হাজার ২৫৮ ডলারে পৌঁছায়।
২০২৪: বিটকয়েনের নতুন রেকর্ড এবং ভবিষ্যৎ
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিটকয়েন স্পট ইটিএফ অনুমোদন পাওয়ার পর এর মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পায়। মার্চ মাসে এর মূল্য ৭৩ হাজার ৮৩৫ ডলার অতিক্রম করে। এই অনুমোদনটি বিটকয়েনের মূল্যের ওপর এক শক্তিশালী ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। কারণ এটি বিটকয়েনকে বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও গ্রহণযোগ্য করে তোলে। স্পট ইটিএফের অনুমোদন বিটকয়েনের বৈশ্বিক স্বীকৃতির এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে মার্চ মাসে বিটকয়েনের মূল্য ৭৩ হাজার ৮৩৫ ডলার অতিক্রম করে।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে বিটকয়েনের চতুর্থ হালভিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতি মাইনিং ব্লকের পুরস্কার ৬ দশমিক ২৫ বিটকয়েন থেকে কমিয়ে ৩ দশমিক ২৫ বিটকয়েন করা হয়। হালভিং ইভেন্টটি বিটকয়েনের সরবরাহ কমিয়ে দেয়, যা ঐতিহ্যগতভাবে বিটকয়েনের মূল্য বাড়াতে সাহায্য করে। এই ইভেন্টের পর বিটকয়েনের মূল্য কিছুদিন ৬৩ হাজার ৮২১ ডলারে স্থির ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই তরতর করে বাড়তে শুরু করেছিল বিটকয়েনের দাম। গত নভেম্বর মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে বিটকয়েন নতুন রেকর্ড গড়ে। গত ৭ নভেম্বর এর মূল্য ৭৬ হাজার ৯৯৯ ডলার এবং ১০ নভেম্বর ৮০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। ডিসেম্বরের শুরুতে এর মূল্য ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা ক্রিপ্টো বাজারে একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
ট্রাম্পের ক্রিপ্টো-বান্ধব নীতিমালা তৈরির প্রতিশ্রুতি এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নতুন প্রধান নিয়োগের কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিশাল উৎসাহ তৈরি হয়েছে। গত রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিটকয়েনের দাম কিছু সময়ের জন্য ১ লাখ ৬ হাজার ডলারে উঠে যায়।
বিটকয়েন ২০২৪ সালে তার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিশ্ব অর্থনীতি, প্রযুক্তি, এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিটকয়েন একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির জয়জয়কার। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন ১৪ বছরের ব্যবধানে শূন্য থেকে ১ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। তবে এর মূল্য সরল রৈখিকভাবে বাড়েনি; এর বৃদ্ধি ছিল অত্যন্ত অস্থির। বিটকয়েনের এই মূল্যবৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতি ও বাজারের জন্য এক নজিরবিহীন ঘটনা।
বিটকয়েনের জন্ম: ২০০৮-২০০৯
বিটকয়েনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। ‘সাতোশি নাকামোতো’ নামের এক অজানা ব্যক্তির (বা গ্রুপের) বিটকয়েনের ধারণা প্রকাশ করেন। এই ধারণা একটি নতুন ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা তৈরির কথা বলা হয়েছিল যা কেন্দ্রীয় কোনো ব্যাংক বা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না, বরং ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে স্যাটোশি নাকামোতো বিটকয়েন ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক চালু করেন এবং প্রথম বিটকয়েন ব্লক ‘জেনেসিস ব্লক’ তৈরি করেন। প্রথম ৫০ বিটকয়েন তৈরি হয়েছিল এই ব্লকের মাধ্যমে, কিন্তু তখন তার মূল্য ছিল শূন্য। প্রথম কয়েক বছর বিটকয়েনের বাজার ছিল খুবই ছোট এবং তার ব্যবহারও ছিল সীমিত।
বিটকয়েনের মূল্য পরিবর্তনের ইতিহাস
বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ ও ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ার কারণে বিটকয়েনের মূল্য বেড়েছে। বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিকভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার মূলধনও বেড়েছে।
সাতোশি নাকামোতো একে দৈনন্দিন লেনদেনের জন্য ডিজাইন করলেও এখন অনেকভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে এটি। বিটকয়েন বর্তমানে মূল্য সংরক্ষণ, সম্পদ বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি থেকে সুরক্ষা পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিটকয়েনকে সোনার মতো একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে দেখা হয়।
বিটকয়েনের মূল্য সাধারণত ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীর মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। যারা বাজারের পরবর্তী বড় পরিবর্তন বা মূল্য ওঠানামা পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ক্রয়-বিক্রয় করেন। বিটকয়েনের মূল্য কখনই স্থির থাকে না। এর মূল্য বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে।
যারা বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্ভরযোগ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বেছে নেওয়া। নিরাপদ এবং প্রতিষ্ঠিত এক্সচেঞ্জে বিনিয়োগ করলে লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। তাই, বিনিয়োগের আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০০৯-২০১৫: প্রায় শূন্য থেকে শুরু
২০০৯ সালে বিটকয়েন চালু হওয়ার সময় এর মূল্য ছিল প্রায় শূন্য। ২০১০ সালের মে মাসে বিটকয়েনের মূল্য প্রথমবারের মতো নগদায়নের সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ২৬ অক্টোবর এর মূল্য দশমিক ২ ডলারে–এ উন্নীত হয় এবং বছর শেষে এক বিটকয়েনের মূল্য দাঁড়ায় দশমিক ৩ ডলারে পৌঁছায়।
২০১১ সালে এটি প্রথমবারের মতো ১ ডলার অতিক্রম করে এবং ৮ জুন ২৯ দশমিক ৬০ ডলারে-এ পৌঁছায়। কিন্তু পরবর্তীতে বছর শেষে মূল আবার কমে বিটকয়নের মূল্য ৫ ডলার হয়।
২০১২ সালে বিটকয়েনের মূল্য সামান্য বাড়ে। ২০১৩ সালের নভেম্বরে বিটকয়েন ১ হাজার ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছিল। বছরের শুরুতে এর মূল্য ছিল ১৩ ডলার আর বছর শেষে এর মূল্য ৭৩২ ডলার।
২০১৬–২০২০: বিটকয়েনের মূল্যের বড় উত্থান
২০১৬ সালে বিটকয়েন ধীরে ধীরে ৯০০ ডলারে পৌঁছায়। ২০১৭ সালে এর মূল্য ১ হাজার ডলার থেকে ১৯ হাজার ১৮৮ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যায়।
২০২০ সালে কোভিড–১৯ মহামারির সময় বিটকয়েনের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এই বছর শুরুতে বিটকয়েনের মূল্য ৭ হাজার ১৬১ ডলার হয় এবং বছরের শেষে এর মূল্য দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৯৯৩ ডলার। এই বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৪১৬ শতাংশ।
২০২১-২০২৩: মূল্যবৃদ্ধি ও ধস
২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি বিটকয়েনের মূল্য ৪০ হাজার ডলার অতিক্রম করে। এপ্রিল মাসে এর মূল্য ৬৪ হাজার ৮৯৫ ডলারে পৌঁছে। তবে জুন–জুলাইয়ে এর মূল্য অর্ধেকে নেমে আসে।
২০২২ সালে ক্রিপ্টো বাজারের ধস নামে। এই বছরের শেষে বিটকয়েনের মূল্য ২০ হাজার ডলারের নিচে নেমে যায়। তবে ২০২৩ সালের শুরুতে বিটকয়নের মূল্য ১৬ হাজার ৫৩০ ডলার ছিল এবং বছর শেষে এর মূল্য ৪২ হাজার ২৫৮ ডলারে পৌঁছায়।
২০২৪: বিটকয়েনের নতুন রেকর্ড এবং ভবিষ্যৎ
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিটকয়েন স্পট ইটিএফ অনুমোদন পাওয়ার পর এর মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পায়। মার্চ মাসে এর মূল্য ৭৩ হাজার ৮৩৫ ডলার অতিক্রম করে। এই অনুমোদনটি বিটকয়েনের মূল্যের ওপর এক শক্তিশালী ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। কারণ এটি বিটকয়েনকে বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও গ্রহণযোগ্য করে তোলে। স্পট ইটিএফের অনুমোদন বিটকয়েনের বৈশ্বিক স্বীকৃতির এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে মার্চ মাসে বিটকয়েনের মূল্য ৭৩ হাজার ৮৩৫ ডলার অতিক্রম করে।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে বিটকয়েনের চতুর্থ হালভিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতি মাইনিং ব্লকের পুরস্কার ৬ দশমিক ২৫ বিটকয়েন থেকে কমিয়ে ৩ দশমিক ২৫ বিটকয়েন করা হয়। হালভিং ইভেন্টটি বিটকয়েনের সরবরাহ কমিয়ে দেয়, যা ঐতিহ্যগতভাবে বিটকয়েনের মূল্য বাড়াতে সাহায্য করে। এই ইভেন্টের পর বিটকয়েনের মূল্য কিছুদিন ৬৩ হাজার ৮২১ ডলারে স্থির ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই তরতর করে বাড়তে শুরু করেছিল বিটকয়েনের দাম। গত নভেম্বর মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে বিটকয়েন নতুন রেকর্ড গড়ে। গত ৭ নভেম্বর এর মূল্য ৭৬ হাজার ৯৯৯ ডলার এবং ১০ নভেম্বর ৮০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। ডিসেম্বরের শুরুতে এর মূল্য ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা ক্রিপ্টো বাজারে একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
ট্রাম্পের ক্রিপ্টো-বান্ধব নীতিমালা তৈরির প্রতিশ্রুতি এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নতুন প্রধান নিয়োগের কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিশাল উৎসাহ তৈরি হয়েছে। গত রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিটকয়েনের দাম কিছু সময়ের জন্য ১ লাখ ৬ হাজার ডলারে উঠে যায়।
বিটকয়েন ২০২৪ সালে তার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিশ্ব অর্থনীতি, প্রযুক্তি, এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিটকয়েন একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
প্রতিনিয়তই আসছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। আর নতুন বছর মানে নতুন মডেলের ইলেকট্রনিক পণ্যের সমাহার। ২০২৫ সালও এর ব্যতিক্রম হবে না। বছর জুড়ে নিত্যনতুন পণ্য উন্মোচন হলেও বিশ্বের নামীদামি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো নিজেদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তুলে ধরে এক বিশেষ ইভেন্টে।
১ দিন আগেদৈনন্দিন সাধারণ কাজের জন্য হিউম্যানয়েড বা মানবাকৃতির রোবটের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করেছে চীনের রোবোটিকস প্রতিষ্ঠান অ্যাগিবট। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের টেসলার মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোতে টেক্কা দেবে চীন। ২০২৬ সালের মধ্যে অপটিমাস রোবট বাজারে নিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন মাস্ক। তবে এর আগেই
১ দিন আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহারের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই। এবার নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে কল করেই চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে। অর্থাৎ স্মার্টফোন ছাড়াও টেলিফোন থেকে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেওয়া যাবে। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও এখন চ্যাটবটটিত
১ দিন আগেশিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আনন্দময় শৈশব অত্যন্ত জরুরি। তবে শৈশবে স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে পড়ে থাকলে বিলিয়নয়ের হতে পারতেন না বলে মনে করেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি কমানোর জন্য অভিভ
১ দিন আগে